Thursday, April 29, 2021

কোন সাহসী বীর আছে কি নিম্ন প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেয়ার!!

 কোন সাহসী বীর আছে কি নিম্ন প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেয়ার!!

:

২০০ বছর আগে সৌদির/অন্য কোন দেশের (আন্তর্জাতিক) চাঁদ দেখার সংবাদে বাংলাদেশে ঈদ-ছিয়াম পালন যেমন অসম্ভব ছিলো, ঠিক তেমনি পঞ্চগড়ের চাঁদ দেখার সংবাদে ঢাকায় ঈদ-ছিয়াম অসম্ভব ছিলো। 

:

২০০ বছর পর যদি প্রযুক্তির ব্যবহার-এ পঞ্চগড়ের চাঁদ দেখার সংবাদে ঢাকায় ঈদ-ছিয়াম সম্ভব হয়, তবে প্রযুক্তির ব্যবহার-এ সৌদির/অন্য দেশের (আন্তর্জাতিক) চাঁদ দেখার সংবাদে বাংলাদেশে ঈদ-সিয়াম সম্ভব নয় কেনো? 

:

চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহনে যখন আপনি নিজেই প্রযুক্তির দারস্ত হচ্ছেন, তখন কেন আমাদের (প্রযুক্তির) দারস্ত হওয়া নিয়ে আপনার প্রশ্ন তোলা?

:

জানতে চাই  চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণে দূরত্বের পরিমাপ বা সীমানা কতটুকু? 

:

যদি আনাস বিন মালিক(রঃ) থেকে বর্নিত হাদিসের প্রতি লক্ষ্য করি তাহলে আমরা দেখতে পাই রছুল(ছঃ) উক্ত কাফেলার প্রতি এই প্রশ্ন রাখেননি যে, তারা কতদূর থেকে এসেছে। 

তবে আমরা কেন দূরত্বের পরিমাপ বা সীমানার প্রশ্ন তুলে হাদিসের হুকুমকে সংর্কীন করছি? 

:

আর যদি অনুমান ভিত্তিক দূরত্বের এক পরিমাপ নির্ধারন করা হয়ও তাহলে কি উক্ত সীমানার বাহিরের মানুষগুলো ভিন্ন দিনে ঈদ-সিয়াম পালন করবে যদিও তারা একই শহর বা দেশের বাসিন্দা হয়? 

:

যদি একদিকে দূরত্বের এক পরিমাপ নির্ধারন করি  আর অন্যদিকে প্রযুক্তির ব্যবহার না করি, তবে পঞ্চগড়ের চাঁদ দেখায় পুরো বাংলাদেশে একই দিনে ঈদ-ছিয়াম কি করে সম্ভব? 

:

প্রযুক্তির ব্যবহার-এ কাটাতারের ভিতরের সংবাদ  গ্রহনীয় হবে কিন্তু কাটাতারের বাহিরের সংবাদ গ্রহনীয় হবেনা তার দলীল কি?

:

এই কাটা তার তো স্থায়ী নয় সময়ের সাথে সাথে এর পরিধি বৃদ্ধি বা হ্রাস হয়। এই পরিবর্তনশীল মনুষ্য সৃষ্ট সীমানা কি করে আল্লহর ফরজ বিধানের পরিবর্তন করে??

২০১৯ সালে মালিতে সৌদির আগে ঈদ হইছে তাহলে আপনারা কেন ঐদিন ঈদ করেননি?

 ♦️ঈদ করা আর চাঁদ দেখা এক জিনিস নয়। পৃথিবীর তাবৎ জোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে,

২০১৯ সালের ০২ ই জুন রবিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার সংবাদ অগ্রহণযোগ্য।

পৃথিবীর আকাশের প্রথম চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্য ও শরীয়াতসম্মত সংবাদ অনুযায়ী ঈদুল ফিতর মঙ্গলবার

 এই লিংকে দেখুন

https://www.moonsighting.com/1440shw.html

:

তাছাড়া সারা পৃথিবীতে ২০১৯ সালে মালিই একমাত্র দেশ ছিলো যে একদিন আগে ছিয়াম শুরু করেছিলো আর একদিন আগে ঈদও পালন করেছিলো। আর কোন দেশ তাদের সাথে ছিয়াম / ঈদ কোনটাই পালন করে নাই।

প্রমানঃ https://www.khaleejtimes.com/ramadan-2019/only-one-country-began-ramadan-on-may-5


২০১৯ সালের ২ জুন মালিতে সূর্যাস্তের সময় ছিলো সন্ধ্যা ৬ঃ৪২ মিনিটে। 

দেখুন নিম্ন ছবিতে, প্রয়োজনে নেটে সার্চ দিয়ে যাচাই করবেন। 

:

২০১৯ সালের ২ জুন মালিতে চাঁদ উদয়ের সময় ছিলো বিকাল ৫ঃ৩৯ মিনিটে এবং চাঁদ অস্ত গেছে বিকাল ৫ঃ৫৮ মিনিটে। (দেখুন নিম্ন ছবিতে)


অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, চাঁদ 

অস্ত যাওয়ার আরও ৪৪ মিনিট পরে সূর্য অস্ত গেছে মালিতে ২ জুনে। অর্থাৎ কাশ্মনকালেও ২ তারিখ মালিতে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ও ভূল তথ্য। 

হয় তারা মিথ্যা বলেছে অথবা ভূল দেখছে অথবা চাদের মতো দেখতে অন্য গ্রহ দেখছে যেমন শুক্র গ্রহ। শুক্রগ্রহ অনেকটা চাদের মতো দেখা যায় যখন পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে চলে আসে। 


এসব অসংগতিপূর্ণ কারনের জন্য OIC মালির সংবাদকে সন্দেহজনক হিসেবে ধরে নিয়েছে। আর সন্দেহজনক খবর দ্বারা ঈদ ছিয়াম নির্ধারণ করা যায় না। তাই OIC এই সংবাদ প্রত্যাখ্যান করেছিলো।


সুতরাং মালির চাঁদ দেখার সংবাদ বিজ্ঞানসম্মত নয় অর্থাৎ নির্ভরযোগ্য নয়। এরপরেও যারা ত্যানা পেচানোর জন্য বারবার একই কথা বলেন তাদেরকে বলছি আপনি কি কসম করে ও লিআন করে বলতে পারবেন ২০১৯ সালের ২ জুন রবিবার দিনগত সন্ধ্যায় মালি যা দেখার দাবি করেছিল তা আসলেই চাঁদ ছিল? 

যদি না পারেন তবে বলি, শরীয়তসম্মত ও নির্ভরযোগ্য চাঁদ দেখার সংবাদ ছাড়া ঈদ পালন করা যায়না।

Wednesday, April 28, 2021

সৌদি আরব ২৯ শাবান নিজ দেশে চাঁদ না দেখে কীসের ভিত্তিতে সিয়াম পালন শুরু করেছে এ বছর ২০২১ ?

 বাংলা সালাফি আলেম ও অনুসারীদের কাছে জানতে চাই, 

সৌদি আরব ২৯ শাবান নিজ দেশে চাঁদ দেখেনি এবং শাবান ৩০ পূর্ণ করেনি তাহলে কীসের ভিত্তিতে সিয়াম পালন শুরু করেছে এ বছর ২০২১ ⁉️

সৌদি আরব শাবান মাস শুরু করেছিল ১৫ মার্চ সোমবার থেকে। দেখুন https://arynews.tv/en/monday-shaban-moon-saudi-arabia/ 

সৌদি আরব ১২ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় রমজানের নতুন চাঁদ দেখতে পাইনি, দেখুন https://www.moonsighting.com/1442rmd.html



Tuesday, April 27, 2021

২০২১ সাল ১৪৪২ হিজরির রমাদ্বন শুরুর বৈশ্বিক পরিসংখ্যান

 1️⃣ পৃথিবীর মোট রাষ্ট্র- ২২৮ টি 

2️⃣ পৃথিবীর স্বাধীন রাষ্ট্র- ১৯৫ টি 

3️⃣ পৃথিবীতে মোট মুসলিম রাষ্ট্র- ৬৫ টি 

4️⃣ OIC ভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্র ৫৭ টি 

:

OIC ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ৫৪ টি মুসলিম রাষ্ট্র একই তারিখ (১৩ এপ্রিল) ও বারে (মঙ্গলবার) ছিয়াম পালন শুরু করেছে আলহামদুলিল্লাহ। 

:

আর বাকি ৩ টি দেশ (বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওমান) এর মধ্যেও বিরাট জনগোষ্ঠী ১৩ এপ্রিল ছিয়াম শুরু করেছে তবে এই ৩ দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী ১৪ এপ্রিল ছিয়াম পালন শুরু করেছে।

এদের সূত্রঃ সৌদি+১ 

:

শতকরা হারে প্রায় ৯৫% মুসলিম রাস্ট্র একই দিনে বারে তারিখে ছিয়াম শুরু করেছে।

:

উল্লেখ্য আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন যে, 

স্রোতের বিপরীতে চলা উক্ত ৩ টি দেশের ভৌগোলিক অবস্থান একেবারে পশ্চিমেও নয় আবার পূর্বেও নয়।

 অথচ ভৌগোলিক অবস্থানের একেবারে পূর্বে ও পশ্চিমে অবস্থিত দেশও একই দিনে বারে তারিখে ছিয়াম শুরু করেছে!!

মাঝখান থেকে এরা আল্লহর জমিনকে নিজেদের ইচ্ছামত ভাগ করে বিধান তৈরী করে নিয়েছে!

:

হে আল্লহ সবাইকে সঠিক বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।


*********************************************************************** 


These countries has #started_Ramadan on #April_13, 2021:

Afghanistan (Follow Saudi)

Albania (Follow Saudi)

Angola (follow Turkey)

Armenia (Follow Saudi)

Australia (Lebanese & Turkish communities follow Saudi)

Austria (Follow Saudi)

Azerbaijan (Follow Saudi)

Bahrian (Follow Saudi)

Bangladesh (Follow annoncement from any Muslim country)

Belgium (Follow Saudi)

Bolivia (Follow Saudi)

Bosnia and Hercegovina (Follow Turkey)

Bulgaria (Follow Saudi)

Burkina Faso (Follow Saudi)

Cameroon (Official Announcement)

Canada (FCNA/ISNA - Fiqh Council of North America/Islamic Society of North America)

Chechnia (Follow Saudi)

China (Following MeccaCalendar.org)

Croatia (Follow Turkey)

Dagestan (Local Sighting)

Denmark (Follow Saudi)

Egypt - (Moon Born before sunset & moon sets at least 5 minutes after sunset)

Finland (Follow Saudi)

France (CFCM - French Council of Muslims) Altitude > 5°, elongation > 8°

Georgia (Follow Saudi)

Germany (ECFR - European Council for Fatwa and Research - Somewhere on the globe Altitude > 5°, elongation > 8°)

Hungary (Follow Saudi)

Iceland (Follow Saudi)

India - Hijri Committee of India

Indonesia (Official Announcement)

Iraq (Sunnis Follow Saudi)

Ireland (ECFR - European Council for Fatwa and Research - Somewhere on the globe Altitude > 5°, elongation > 8°)

Italy (Follow Saudi)

Japan (Follow Saudi)

Jordan (Follow Saudi)

Kazakhstan (Follow Saudi)

Kenya (Local Sighting)

south Korea

Kosovo (Follow Turkey)

Kuwait (Follow Saudi)

Kyrgizstan (Follow Saudi)

Lebanon (Follow Saudi)

Libya (Official Announcement)

Luxembourg (ECFR - European Council for Fatwa and Research - Somewhere on the globe Altitude > 5°, elongation > 8°)

Macedonia (Follow Turkey)

Maldives (Official Announcement)

Mauritania (Follow Saudi)

Montenegro (Follow Turkey)

Morocco (Local Sighting)

Netherlands (Follow Saudi)

Norway (Islamic Council of Norway - follow annoncement from any Muslim country

Norway (Some follow Saudi)

Palestine (Follow Saudi)

Philippines (Follow Saudi)

Poland (Calculation)

Qatar (Follow Saudi)

Romania (Follow Saudi)

Russia (Follow Saudi)

Saudi Arabia (Local Sighting - Official Announcement)

Serbia (Follow Turkey)

Singapore (Follow Saudi)

Slovania (Follow Turkey)

Spain (Union of Islamic Communities of Spain, Islamic Commission of Spain)

Sudan (Follow Saudi)

Sweden (Follow Saudi)

Switzerland (Follow Saudi)

Syria (Follow Saudi)

Taiwan (Follow Saudi)

Tajikistan (Follow Saudi)

Tatarstan (Follow Saudi)

Togo (Follow Saudi)

Tunisia (Criteria of age, or sunset-moonset lag)

Turkey (Elongation > 8° & Altitude > 5° anywhere) = Possibility of telescopic sighting

Turkmenistan (Follow Saudi)

U.A.E. (Follow Saudi)

UK (Follow Saudi)

USA (FCNA/ISNA - Fiqh Council of North America/Islamic Society of North America)

USA (Local Sighting)

Uzbekistan (Follow Saudi)

Yemen (Follow Saudi)

:

******************************

******************************

:

These countries has #started_Ramadan on #April_14, 2021

:

Australia (Indian and Pakistani community follow Local Sighting)

Bangladesh (Official Announcement)

Barbados (Local Sighting)

Chile (Local Sighting)

Colombia (Follow Chile sighting)

India (Local Sighting)

Kenya (Local Sighting)

Madagascer (Local Sighting)

Mauritius (Local Sighting)

Mayanmar (Local Sighting)

Montenegro (Follow Turkey)

Morocco (Local Sighting)

New Zealand (Local Sighting or follow Australia)

Nigeria (Local Sighting)

Oman (Local Sighting)

Pakistan (Local Sighting)

South Africa (Local Sighting)

Sri Lanka (Local Sighting)

Tanzania (Local Sighting)

UK [Coordinated by Major Islamic Centres and Mosques of London]

Zimbabwe (Local Sighting)

Ref: https://www.moonsighting.com/1442rmd.html

Monday, April 26, 2021

এদেশের মুসলিমদের চেয়ে বিধর্মিরাও চন্দ্র মাসের হিসাব ভালো জানেন

এদেশের মুসলিমরা অন্যধর্মের লোকের কাছ থেকেও শিক্ষা নিতে পারেন! 

আজকে চৈত্র পূর্ণিমা। এমনকি হিন্দুদের পঞ্জিকাতেও ১৪ই চন্দ্র তারিখ ছিলো। 

অথচ অন্ধ অনুসারীদের কাছে আজকে ১৩ চন্দ্র তারিখ মানে ১৩ রমাদ্বন ছিলো!! 

উল্লেখ্য, ১৩ চন্দ্র তারিখে কাশ্মীনকালেও পূর্ণ পূর্ণিমা সম্ভব নয়।

২৬ এপ্রিল ২০২১ রোজ সোমবার




Saturday, April 24, 2021

শায়খ জাফরি হাফিঃ একইদিনে ঈদ-ছিয়াম পালনকে যারা ফিতনা বলে তারাই ফিতনা করে

শায়খ জাফরি হাফিঃ 

উনি নিজে একই দিনে ঈদ ছিয়াম পালন না করলেও উনি এটাকে নাজায়েজ বা ফিতনা মনে করেন না! বরং যারা এটাকে ফিতনা বলে তারাই ফিতনা করে। 

তিনি সঠিক বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এজন্য যাঝাকাল্লহুখইরন। 


https://fb.watch/53stv8SGge/



Friday, April 23, 2021

মুফতি ইমাম হোসাইন হাফিঃ নিজে একইদিনে ঈদ-ছিয়াম পালন না করলেও তিনি সঠিক মনে করেন

মুফতি ইমাম হোসাইন হাফিঃ 

উনি নিজে একইদিনে ঈদ-ছিয়াম পালন‌ না করলেও অন্তত এটা ভালো মনে করেন এবং এটা যে, সঠিক তা পরিষ্কার করে বলার জন্য আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দেন এবং তাকে সারা বিশ্বের সাথে মিল রেখে ছিয়াম ও ঈদ পালন করার তাওফীক দান করুন।




Thursday, April 22, 2021

২০২০ সালের ২২ মে মরক্কোতে ১ দিন আগে ঈদ হয়েছে তাহলে আপনারা কেন ২৩ মে ঈদ করলেন?

 ♦️ঈদ করা আর চাঁদ দেখা এক জিনিস নয়। পৃথিবীর তাবৎ জোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে ২০২০ সালের ২২শে মে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার সংবাদ অগ্রহণযোগ্য। লিংক দেখুন  https://english.alaraby.co.uk/english/news/2020/5/23/did-muslim-countries-mistake-other-planets-for-eid-moon?fbclid=IwAR3EhTn223wxrtlb8zL5Bxvfh9ExtUe_99XYenkkP6g4SzBkCeAujL8EvLI

সোমালিয়া, মৌরিতানিয়া, এই দেশগুলির চাঁদ দেখার দাবি সম্পর্কে আবু ধাবি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্র (IAC) জানিয়েছে যে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুসলিম বিশ্বের সব দেশের জন্য চাঁদ সূর্যের আগে অস্তমিত হয়েছিল, অর্থাৎ সেই রাতে আর দেখা সম্ভব নয়।

 IAC জানিয়েছে শুক্র গ্রহ (venus) ও বুধ গ্রহ (Mercury) পশ্চিম দিগন্তে খুব নিকটবর্তী ও আকর্ষণীয়ভাবে ছিল। এগুলো হয়ত ঐসব দেশ থেকে দেখা গেছে।

  ঐসব দেশে চাঁদ দেখার খবর সঠিক নয়। 

লিংক দেখুন https://www.latestly.com/lifestyle/festivals-events/eid-moon-2020-sighting-in-algeria-libya-tunisia-nigeria-and-somalia-live-news-updates-sighting-of-shawwal-crescent-to-decide-eid-al-fitr-date-in-africa-1771757.html/amp?fbclid=IwAR0M1yjJuLWyC-RaLNyYMxMmot1whkngfzvAgbslRmqjVMnRgFeSRC6_-ek

গাম্বিয়াতে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যাওয়ার খর সঠিক নয়। MCW গাম্বিয়া প্রতিনিধি মাহমুদ নিশ্চত করেছেন


 পৃথিবীর আকাশের প্রথম চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্য ও শরীয়াতসম্মত সংবাদ অনুযায়ী ঈদুল ফিতর রবিবার

 এই লিংকে দেখুন

 https://www.moonsighting.com/1441shw.html

 https://stardate.org/nightsky/moon


moonsighting.com এর সদস্য ড. আইয়ুব প্যাটেল বলেন, আমি আভা থেকে চাঁদ দেখার চেষ্টা করেছি কিন্তু দেখতে পাইনি। তবে ভেনাস অ্থাৎ শুক্র গ্রহকে দেখেছি ছোট্ট চাঁদের মতো আকারে।  এই লিংকে দেখুন।

https://www.moonsighting.com/moonphotos/only/23may2020-abha-venus.jpg

https://www.moonsighting.com/1441shw.html


সুতরাং সোমালিয়ার চাঁদ দেখার সংবাদ বিজ্ঞানসম্মত নয় অর্থাৎ নির্ভরযোগ্য নয়। এরপরেও যারা ত্যানা পেচানোর জন্য বারবার একই কথা বলেন তাদেরকে বলছি আপনি কি কসম করে ও লিআন করে বলতে পারবেন শুক্রবার দিনগত সন্ধ্যায় সোমালিয়া যা দেখার দাবি করেছিল তা আসলেই চাঁদ ছিল? যদি না পারেন তবে বলি, শরীয়তসম্মত ও নির্ভরযোগ্য চাঁদ দেখার সংবাদ ছাড়া ঈদ করা যায়না।

সৌদির সাথে মিল রেখে ছিয়াম ঈদ পালন করলে, একই সময় ইফতার ও নামাজ করেন না কেন?

প্রশ্ন: আপনারা সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা রাখেন, সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ করেন, তাহলে সৌদির সাথে মিল রেখে একই সময় ইফতার করেন না কেন? সৌদির সাথে মিল রেখে একই সময় নামাজ পড়েন না কেন?

.

জবাব:

প্রথম কথা হচ্ছে আমরা শুধু সৌদির সাথে  মিল রেখে সিয়াম ঈদ করি না, কিংবা শুধু সৌদির চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করি না। বরং পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার বিজ্ঞানসম্মত,  নির্ভরযোগ্য ও শরীয়াতসম্মত সংবাদ পেলে আমরা সিয়াম ও ঈদ পালন করি। অর্থাৎ আমরা রাসুল সঃ এর হাদিস অনুযায়ী নতুন চাঁদের সংবাদের ভিত্তিতে সিয়াম ঈদ করি, কোনো হারাম জাতীয়তাবাদী সীমান্ত কিংবা কোনো দেশের বর্ডার কিংবা কাঁটাতারের বেড়ার ভিত্তিতে নয়।

.

পরবর্তী কথা হচ্ছে নিচের চারটি পয়েন্ট বুঝার চেষ্টা করুন।

.

♦(১)♦  একই সময়ে আর একই দিনে কথাটির পার্থক্য:

এখানে “একই সময়” আর “একই দিনে” কথাটির পার্থক্য বুঝতে হবে। “একই সময়” অর্থ একই সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা । আর “একই দিনে” অর্থ “একই বারে” যেমন শনিবার, রবিবার, সোমবার। আমরা কখনোই বলিনি সারা পৃথিবীতে ঈদ “একই সময়ে” করতে হবে। “একই সময়”  আর “একই দিন” কথাটি এক নয়। 

সারা পৃথিবীতে নামাজ যেমন “একই সময়ে” (সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা) পড়া যায়না, রোজাও তেমনি একই সময়ে রাখা যাবেনা, অ্থাৎ সারা পৃথিবীতে একই সময়ে সাহরী করা যায়না, সারা পৃথিবীতে একই সময়ে ইফতার করা যায়না,  সারা পৃথিবীতে ঈদও তেমনি “একই সময়ে” করা যাবে না।

কিন্তু সময়ের পার্থক্য বজায় রেখেই সারা পৃথিবীতে নামাজ “একই দিনে” পড়তে হয়। যেমন জুম্মার নামাজ সারা পৃথিবীতে একই দিনে বা একই বার এ (শুক্রবারে) পড়তে হয়। বাংলাদেশে যখন রাত আমেরিকায় তখন দিন। বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য প্রায় ১২ ঘন্টা। কিন্তু জুম্মার নামাজ বাংলাদেশেও শুক্রবার দুপুরে হয়, আমেরিকাতেও  শুক্রবার দুপুরে হয়। সময়ের পার্থক্য যত বেশিই হোক সারা পৃথিবীতে শুক্রবার দিনটি একই দিন। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সময়ের পার্থক্য রয়েছে বলেই সব জেলায় ইফতার একই সময় হয়না। যেমন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে সাতক্ষীরা ও সিলেটের সময়ের পার্থক্য প্রায় ১৯ মিনিট। কক্সবাজার থেকে পঞ্চগড়ের সময়ের পার্থক্য প্রায় ২৩ মিনিট।  তবুও এক জেলা থেকে অন্য জেলার সময়ের পার্থক্য মেনে নিয়েই সারা বাংলাদেশে “একই দিনে” ঈদ পালিত হচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশের ভিতরেও সকল জেলায় একই সময় নামাজর ওয়াক্ত হয়না, “একই সময়” রোজা শুরু হয়না কিন্তু “একই দিনে” রোজা শুরু হয়। সময়ের পার্থক্য মেনে নিয়েই বাংলাদেশের যেকোনো জেলা থেকে চাঁদ দেখার সংবাদ অন্য সকল জেলায় গৃহীত হচ্ছে।  

সুতরাং সময়ের পার্থক্য মেনে নিয়েই রাসূল ﷺ এর কথা ও আমল অনুযায়ী দুইজন মুসলিমের চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্য সংবাদ পেলে সিয়াম ও ঈদ পালন করা জরুরী। সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে রাসূল সঃ দেশের সীমারেখা বা বর্ডার এর কোনো শর্ত দেন নি। আমরাও দেশের সীমারেখা বা বর্ডার এর কোনো শর্ত দেই না। 

.

♦(২)♦  নামাজের ওয়াক্তের সাথে রমজান মাস শুরুর তুলনা সঠিক নয়:

নামাজের ওয়াক্ত, সাহরী এবং ইফতার সূর্যের সাথে সম্পর্কিত। অপরদিকে রমজান মাস শুরু হওয়া এবং শাওয়াল মাস শুরু হওয়া বা ঈদের দিন হওয়া চাঁদের সাথে সম্পর্কিত।

নামাজের ওয়াক্ত, সাহরী এবং ইফতার সূর্যের সাথে সম্পর্কিত, চাঁদের সাথে নয়। যেমন ইফতার করতে হয় সূর্য ডোবার পর, চাঁদ ডোবার পর নয়। একইভাবে মাগরিব পড়তে হয় সূর্য ডোবার পর, চাঁদ ডোবার পর নয়। জুম্মার ওয়াক্ত যেমন সূর্য অনুযায়ী হয় ঈদের নামাজের ওয়াক্তও তেমনি সূর্য অনুযায়ী হয়। সাহরী, ইফতার ও নামাজের ওয়াক্ত চাঁদ অনুযায়ী হয়না, চাঁদের সাথে এগুলির আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং সাহরী, ইফতার ও নামাজের ওয়াক্ত হয় সূর্য অনুযায়ী।

কিন্তু প্রতি আরবী মাসের প্রথম তারিখ নির্ধারিত হয় চাঁদ অনুযায়ী। রমজান মাসের প্রথম তারিখ নির্ধারণ সূর্য উঠার দ্বারা হয় না বরং রমজানের চাঁদ দেখার দ্বারা হয়। তেমনি শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ বা ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ ও সূর্য উঠার দ্বারা হয়না বরং ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার দ্বারা হয়। ঈদুল আযহার তারিখ নির্ধারণ ও সূর্য উঠার দ্বারা হয়না বরং ঈদুল আযহার চাঁদ দেখার দ্বারা হয়। রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে তার সাথে সূর্যের কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং রমজান মাস শুরু হওয়া চাঁদের সাথে সম্পর্কিত, ঈদ হওয়াটাও চাঁদের সাথে সম্পর্কিত ।

কাজেই "সূর্যের সাথে সম্পর্কিত নামাজের ওয়াক্ত" আর "চাঁদের সাথে সম্পর্কিত ঈদ হওয়া" এই দুইটির তুলনা যুক্তিযুক্ত নয়। সূর্য ও চাঁদের হিসাব আলাদা।

.

♦(৩)♦  দুইজন মুসলিমের সাক্ষ্য সম্পর্কে রাসূল সঃ এর আমল ও নির্দেশ নতুন চাঁদ দেখার ব্যাপারে, কিন্তু সূর্য দেখার ব্যাপারে নয়:

রাসূল সঃ মুসলিমদের মধ্যে দুইজন নতুন চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিলে রোযার মাস শুরু, ও দুইজন মুসলিম চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিলে ঈদ করতে বলেছেন। কিন্তু দুইজনের সূর্য দেখার সাক্ষ্যে সাহরী ইফতার ও সলাত (নামাজ) আদায় করতে বলেননি।

আব্দুর রহমান ইবনে যায়েদ রদিআল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন,

“...যদি (মুসলিমদের) দু’জন স্বাক্ষ্য দেয় যে, তারা (নতুন চাঁদ উদয়ের ব্যাপারে) দেখেছে, তাহলে তোমরা সাওম (রোজা) ও ঈদ পালন কর”। [নাসাঈ, সহীহ্, অধ্যায়ঃ ৮, হাদিস # ২১১৬।]

.

♦(৪)♦  নিজ এলাকায় চাঁদ না দেখা গেলেও দূরের চাঁদ দেখার সংবাদে রাসূল ﷺ ঈদ করেছেন কিন্তু দূরের সূর্য দেখার সংবাদ অনুযায়ী সলাত (নামাজ) পড়েননি:

মদীনায় চাঁদ না উঠলেও দূর দেশের চাঁদের সংবাদ শুনে রাসূল ﷺ ঈদ করেছেন, কিন্তু দূর দেশের সূর্য অনুযায়ী সলাত (নামাজ) পড়েননি এবং দূর দেশের সূর্য অনুযায়ী সাহরী ইফতারও করেননি।

দলীল: 

হযরত আবু উমাইর ইবনু আনাস রদিআল্লহু আনহু হতে বর্ণিত

“রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম-এর নিকট একদল আরোহী আসল এবং তারা সাক্ষ্য দিল যে তারা গতকাল (শাওয়ালের) নতুন চাঁদ দেখেছে। ফলে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম মানুষকে রোযা ছাড়ার আদেশ দিলেন। পরের দিন প্রাতঃকালে সকলেই ঈদগাহে সমবেত হলেন”। 

[(আবু দাউদ, সহীহ, হাদীস নং ১১৫৭, ইংরেজি অনুবাদ হাদীস নং ১১৫৩, নাসায়ী, মিশকাত-১২৭)]

অত্র হাদিসের ব্যাখ্যায় মিশকাত গ্রন্থের উক্ত পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে-

“তারা ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহে সমাবেত হল। আল্লামা মাজহার বলেন যে ঐ বছর মদীনা শরীফে ২৯শে রমযান দিবাগত রাতে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে মদীনা বাসী ৩০ রমযানের রোযা রেখে ছিলেন। এমতাবস্থায় ঐ দিন দ্বিপ্রহরে একদল ছাওয়ারী দূর থেকে আসল এবং তারা সাক্ষ্য দিল যে, নিশ্চয়ই তারা ২৯ তারিখ দিবাগত রাতে নুতন চাঁদ দেখেছে। অতপর, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম তাদের এ সংবাদ গ্রহণ করে সকলকে সিয়াম (রোযা) ভঙ্গের নির্দেশ দিলেন এবং পরের দিন (২রা শাওয়াল) ঈদের সলাত (নামায) পড়ার নির্দেশ দিলেন”। (মিশকাত গ্রন্থের ব্যাখ্যা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল)

[(মিরকাতুল মাফাতিহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ ৫/১৫৩)] 

সুতরাং সলাত (নামাজ), সাহরী ও ইফতার যার যার স্থানীয় সূর্য অনুযায়ী আদায় করতে হবে পক্ষান্তরে রোজা ঈদ করতে হবে পৃথিবীর যেখান থেকেই প্রথম চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্য সংবাদ পাওয়া যাবে সেই সংবাদ অনুযায়ী।

‘মাআরিফুস সুনান’ কিতাবে লিখিত হয়েছে

“আমাদের ফিকহের কিতাব সমূহের উপর ভিত্তি করে আমরা লিখেছি যে, এক দেশের চাঁদ দেখা অন্য দেশে গ্রহণীয় হবে। যদিও দেশ দুটির মধ্যে পশ্চিম ও পূর্বের দূরত্ব হয়। আর এ মাসয়ালা ফকীহ্‌গণের এ নীতিমালার উপর ভিত্তি করে যে চাঁদ উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে না। তবে ফকিহগণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, সলাত (নামায) ও ইফতারের ওয়াক্ত সমূহের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে এবং যার যার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সলাত (নামায) পড়বে ও ইফতার করবে”।

(মায়ারিফুস্‌ সুনানের উদ্ধৃতি এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল) 

[(মায়ারিফুস্‌ সুনান, খন্ড-৫, পৃঃ-৩৩৭)]

Wednesday, April 21, 2021

নিজ দেশের চাঁদের সংবাদে ঈদ সিয়াম করতে হবে, এই মর্মে পারলে মাত্র ১টা হাদিস দেন

রছুল ছঃ নিজ দেশের চাঁদের সংবাদে ঈদ সিয়াম করতে বলেছেন, এই মর্মে পারলে মাত্র ১টা হাদিস দেন⁉️

:

রছুল ছঃ থেকে দেশভিত্তিক ঈদ-ছিয়াম পালনের হাদিস থাকলে আমরা সেইভাবেই আমল শুরু করব ইংশাআল্লহ। আর হাদিস না থাকলে, আমাকে তো আপনি দলিল বিহীন/দলিলের বিপরীত আমল করতে বলতে পারেন না। 

:

চাঁদের সংবাদের ক্ষেত্রে "নিজ দেশ" শর্তটি সম্পূর্ণ দলিল বিহীন। এর স্বপক্ষে রসুল সঃ থেকে কোন হাদিস নেই। সহি জইফ এমনকি কোন জাল হাদিসও নেই।

:

চাঁদের সংবাদের ক্ষেত্রে দেশের শর্তটি সর্বপ্রথম কে দিয়েছিল⁉️

রছুল ছঃ নাকি সাহাবা নাকি তাবেইন? 

তাবে তাবেইন সহ হিজরি ১৪০০ সালের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এমন একজন সালাফ আলিমও পাওয়া যাবে না, যিনি এই দেশ শর্তটি দিয়েছেন। তবে এই শর্তটি কে দিল⁉️

:

ইবনে হাযার আসকালানি রহঃ এর কঠিন মন্তব্যঃ

বুখারির যে হাদিসে তোমরা চাঁদ দেখে ঈদ সিয়াম কর বলা হয়েছে। সেই হাদিসের ব্যাখ্যায় বুখারির ভাষ্যকার ইবনে হাজার আসকালানি রহঃ ফতহুল বারীতে উল্লেখ করেন। 

"যারা চাঁদ দেখাকে প্রতিটি দেশ ও প্রতিটি মানুষের সাথে শর্তযুক্ত করে তারা হাদিসের অর্থ পালটিয়ে দিল।" 

Tuesday, April 20, 2021

মদিনা থেকে দামেস্কের চেয়ে মদিনা থেকে দাম্মামের দুরত্ব বেশি

 আপনি জানেন কি?

দেশভিত্তিক ছিয়াম-ঈদ পালনের ক্ষেত্রে কুরাইব রহঃ এর হাদিসে ইবনে আব্বাস রহঃ এর ইজতিহাদকে শুধু একমাত্র দলিল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এই ১টি মাত্র হাদিস ছাড়া আর কোন দলিল নেই!!

উক্ত হাদিসে উল্লেখিত ২টি শহর অর্থাৎ মদিনা ও শাম (দামেস্ক) এর দুরত্ব ১০৫৬ কি.মি. এবং সৌদির দাম্মাম থেকে মদিনার দুরত্ব ১২২৩ কি.মি. 

অর্থাৎ মদিনা থেকে দামেস্কের চেয়ে মদিনা থেকে দাম্মামের দুরত্ব বেশি। 


উক্ত হাদিসে যে দুরত্বের জন্য একইদিনে ছিয়াম-ঈদ পালন করতে পারে নাই তার চেয়ে বেশি দুরত্ব সৌদির আরেকটা অঞ্চল দাম্মামের!! 

:

:

এখন প্রশ্ন হলো, আপনাদের দেয়া দলিল উক্ত হাদিস মোতাবেক একই দেশ সৌদির দুটি অঞ্চল দাম্মাম ও মদিনার জন্য কি আলাদা আলাদা চাঁদ দেখতে হবে??

:

আপনাদের দেয়া যুক্তি ও দলিল অনুযায়ী এমনটাই হওয়া উচিত তাই নয় কি? 

:

তাছাড়া তৎকালীন মদিনা ও শাম একই দেশের অন্তভূক্ত দুইটি অঞ্চল ছিল যার খলিফা ১জনই ছিলো অর্থাৎ আপনাদের দলিলেই একই দেশেই ভিন্ন দিনে ঈদ হয়েছে। 

একই দেশে ভিন্ন দিনে ঈদ-ছিয়াম কিভাবে দেশভিত্তিক ঈদ-ছিয়াম পালনের দলিল হয়?? 

ব্যাপারটা হাস্যকর নয় কি?

Sunday, April 18, 2021

আলোচনা, হারুন বিন ইদ্রিস

 জেনে নিন, চাঁদের ভিত্তিতে নাকি দেশের ভিত্তিতে সিয়াম ও ঈদ পালন করতে হবে,

چاند کی بنیاد پر یا ملک کی بنیاد پر روزہ رکھنا ؟

https://fb.watch/54JYT401rk/

https://www.facebook.com/100006722419436/videos/2972554989645219/

https://www.facebook.com/groups/GloballyUnifiedEIDSiyam/permalink/1115936455549168/

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=881245949275269&id=100021696154213&sfnsn=mo


বাংলার আলেম সমাজ সহীহ্ হাদিসের যে অংশ বিশেষ গোপন করে সমস্যা সৃস্টি করে, কিন্তু কেন?

একই দিনে ঈদ/ সাওম পালন প্রসঙ্গে 

হারুন বিন ইদ্রিস।

https://fb.watch/54JV_j-nui/

https://www.facebook.com/100006722419436/videos/2977730569127661/


আমাদের দেশের আলেম সমাজ চাঁদ  আর হিলালের পার্থক্য বুঝেনা যদি বুঝতো তাহলে সব সমাধান হয়ে যেত।

https://www.facebook.com/100013065585633/videos/1177700036008838/


একদিন বিরতি নিয়ে ঈদ!! ইহা হাস্যকর...

https://www.facebook.com/100006722419436/videos/2996311817269536/

Saturday, April 17, 2021

চাঁদের বিষয়ে পূর্বের সালাফদের কেউ দেশের শর্ত দেয়নি

চাঁদের বিষয়ে পূর্বের সালাফদের কেউ দেশের শর্ত দেয়নি।

আসলে দেওয়া সম্ভবও ছিলো না।

৩০০ বছর আগে পৃথিবীতে মাত্র দুটি মুসলিম দেশ ছিলো।

তাই তখনকার ভিন্ন ভিন্ন দিনে সওম ঈদ করার পক্ষের  আলিমরা চাঁদের মাতলা অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিক সওম ঈদ করার কথা বলতেন, দেশ কথাটা তারা বলতেন না।

মুসলিমদের এই দুটি রাস্ট্র ভেঙ্গে অনেক গুলি রাষ্ট্র হওয়ার পরে নিকট অতিতের ভিন্ন ভিন্ন দিনে সওম ঈদ করার পক্ষের আলিমরা চাঁদের মাতলা অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিক সওম ঈদ করার ফতোয়া বলে সাথে দেশ শব্দটি যুক্ত করতে শুরু করে। তারা মাতলা এবং অঞ্চলকে দেশের মধ্যে নিয়ে আসে কিন্তু তাদের দেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা বলে দেশ নয় চাঁদের মাতলা অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিক করতে হবে। এভাবেই তারা আস্তে আস্তে  চাঁদের মাতলাকে দেশে সিমানাতে আবদ্ধকরে ফেলে।

দেশ ও রাষ্ট্রপ্রধানের ঘোষনা কত আগে কে প্রথম বলেছে জানি না তবে ৫/৬ বছর আগে দেশের এক বড় আলিম দেশ শব্দটিকে বাদ দিয়ে সরকারে ঘোষনা কথা বলে, তার এই কথার পক্ষে একটি হাদিসের রেফারেন্স দেয় (যদিও হাদিসগুলি সব কটি প্রায় সকল মুহিাদ্দিসদের কাছে দ্বইফ) এই লেকচারের পরে দেশের শীর্ষ কিছু আলিম একই ভাবে এটার পক্ষে বলতে শুরু করে রাতা রাতি বিষয়টা পপুলার হয়ে যায় আর এখন এক মাত্র দলিল এটাই। 

তারা ভেবে দেখে না কুরাইব রাঃ হাদিসে ইবনে আব্বাস রাঃ রাষ্ট্রপ্রধানে ঘোষনা মানে নি।

তারা ভেবে দেখে না, ঐ হাদিস সহী ধরলেও এখন পৃথিবীতে সেই ইমাম (ইসলামিক রাষ্ট্র প্রধান) আর নেই, আর এটা কুরাইব রাঃ হাদিস, চাঁদ দেখার ও শুনার সব গুলি সহী হাদিস বিরোধী।

রাষ্ট্র প্রধানের ঘোষনা যদি জরুরী হতো তাহলে ৩০০বছর আগে এই পৃথিবীর এত বড় দুটি ইসলামিক রাস্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধানের ঘোষনা কি করে সব স্থানে পৌছাতো। আর তখন কার মুসলিম রাস্ট্রপ্রধান কি চাঁদ দেখে দেশের সব স্থানে দূত পাঠাতের, খবর পৌছানোর জন্য ?? ১০০ বছর আগে (এই বাংলাদেশ এখন যতটুকু) এখানেওতো রাস্ট্র প্রধানের খবর সমস্ত স্তানে না পৌছানোর কারনে দুই দিন সওম ঈদ হয়েছে। মোট কথা খবরা খবরের জন্য উন্নত প্রযুক্তি সর্ব স্থানে না আসা প্রযন্ত সরকারে  ঘোষনা ফলো করা কখনই সম্ভব হয় নাই। 

তাই এগুলি দিয়ে সহী হাদিসের বিপরিতে আমল করা সঠিক মনে করি না।

বাঁকি আল্লাহ আলম। cld. 

হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা (পর্বঃ ১-৯)

হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব-১
........
বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দীস মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীসের সাবেক অধ্যাপক নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহমাতুল্লহি আলাইহি) তার তামামুল মিন্নাহ কিতাবে হাদিসে কুরাইব সম্পর্কে লিখেছেন,
“ইবনে আব্বাসের হাদীস তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা তাদের শহরের চাঁদ দেখে রোজা রেখেছে কিন্তু রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে জানতে পেরেছে অন্য শহরে/দেশে একদিন আগে চাঁদ দেখা গিয়েছে, এই অবস্থায় তারা তাদের শহরের লোকদের সাথে রোজা চালিয়ে যেতে পারেন চাঁদ দেখা অথবা ৩০ পূর্ণ করা পর্যন্ত। এইভাবে হলে সকল সংশয় দূর হয়ে গেল এবং চাঁদ দেখলে রোজা রাখা ও ছাড়ার নির্দেশ সাধারনভাবে সকল মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং তাদেরকেও শামিল করবে যারা চাঁদ দেখার সংবাদ পেয়েছে যে কোনো দেশে, যে কোনো শহরে, বা অঞ্চলে, কোনো দূরত্ব বিবেচনা না করে।…“
শাইখ আলবানীর কথা এ পর্যন্তই এখানে দেয়া হলো।
(-নাসিরুদ্দীন আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ২৯৮ কিংবা ৩৯৮)।
.
এরপর শাইখ আলবাণী (রহমাতুল্লহি আলাইহি) বলেন
“যেমনটি শায়খুল ইসলাম ইবুন তায়মিয়া (রহমাতুল্লহি আলাইহি) তার ফাতওয়া গ্রন্থের ২৫তম খণ্ডের ১০৭ পৃষ্ঠায় বলেছেন ।“
(আলবানীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল)
.
উক্ত উদ্ধৃতির পর শাইখ আলবানী (রহমাতুল্লহি আলাইহি) বলেছেনঃ
“ ইবনুল কাইয়িম (রহমাতুল্লহি আলাইহি) তাঁর ‘তাহযীবুস সুনানে’ ও অনুরূপ বলেছেন । ”
(আলবানীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল)
[ আলবানী ' র আস - সহীহাহা ১ / ২২৪ নং হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য ] ।
.
তখনকার যুগের বাস্তবতায় হাদীসে কুরাইবের মধ্যে
(i) রমজানের শুরুর চাঁদের সংবাদ পৌছেছে প্রায় একমাস পর ঈদের আগে
(ii) সিরিয়া কিংবা এইরকম দূর এলাকা থেকে ঈদের চাঁদের সংবাদ মদীনায় পৌছানোর সম্ভাবনা ছিল না যে তার ভিত্তিতে তারা ঈদ করতে পারবেন
(iii) কুরাইব (রহমাতুল্লহি আলাইহি) ছিলেন একজন সাক্ষী এবং রমজানের শুরুর চাঁদের সাক্ষী, ঈদের চাঁদের নয়।
.
এক্ষেত্রে নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহমাতুল্লহি আলাইহি) ব্যাখ্যা করেছেন যে, ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লহু আনহু এর ইজতিহাদ তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা তাদের শহরের চাঁদ দেখে রোজা রেখেছে কিন্তু রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে জানতে পেরেছে অন্য শহরে/দেশে একদিন আগে চাঁদ দেখা গিয়েছে।
.
অর্থাৎ যারা রমজানের শুরুর চাঁদের সংবাদ ঈদের আগে পায় আর ঈদুল ফিতরের চাঁদের সংবাদ সময়মত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। আর রসূল ﷺ এর চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সিয়াম রাখা ও ছাড়ার নির্দেশ সাধারনভাবে সকল মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং তাদেরকেও শামিল করবে যারা চাঁদ দেখার সংবাদ সময়মত পেয়েছে যে কোনো দেশে, যে কোনো শহরে, বা অঞ্চলে, কোনো দূরত্ব বিবেচনা না করে। কারণ রসূল ﷺ চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো দূরত্ব কিংবা কোন শহর দেশ মহাদেশের সীমারেখার কথা উল্লেখ করেননি বা শর্ত দেননি।
.
আমাদের এটাও দেখা উচিৎ এবং বিবেকের কাছে প্রশ্ন করা উচিৎ এই যুগে সিরিয়া ও অন্য পার্শ্ববর্তি দেশ ঐ হাদিসের উপর আমল করছে কি?
.
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের বিবেকের কাছে আগে এই প্রশ্ন করতে হবে যে, এইযুগে কি এমন বাস্তবতা আছে যে একমাস পর চাঁদ দেখার সংবাদ পৌছায়?
.
ঐ হাদীসের উপর আমল হতে হলে একমাস পর নতুন চাঁদ দেখার সংবাদ পৌছার বাস্তবতা থাকতে হবে। একমাস পর চাঁদ দেখার সংবাদ পৌছার বাস্তবতা বর্তমান প্রযুক্তি তথা বিদ্যুৎ, রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল ফোনের এই যুগে বিরল এবং খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য।
.
যারা প্রশ্ন করেন প্রযুক্তি না থাকলে আমরা কি করব তাদের উত্তর হচ্ছে বিষয়টি নির্ভর করে সংবাদ পৌছেছে কিনা তার উপর। নির্ভরযোগ্য, শরীয়াতসম্মত সংবাদ পেলে আমল জরুরী, অন্যথায় নয়। আমরা আবু দাউদের হাদীস থেকে রসূল ﷺ এর আমল সম্পর্কে জেনেছি। সংবাদ না পেলে রসূল ﷺ নিজেও আমল করতেন না। সংবাদ যতদূর পৌছাবে ততদূরই আমল জরুরী হবে। সংবাদ না পৌছালে নয়।



হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব- ২
........
ইবনে আব্বাস রাদি আল্লাহু তায়ালা আনহু তো কুরাইবের কথা শুনে প্রথমেই বলে দিতে পারতেন সিরিয়ার চাঁদ দেখা মদীনার জন্য প্রযোজ্য নয় কিংবা একথা বলতে পারতেন দূরবর্তী এলাকার চাঁদ দেখা কিংবা ভিন্ন উদয়স্থলের চাঁদ দেখার সংবাদ অনুযায়ী আমল করা যাবেনা। তিনি তা না করে চাঁদ দেখার ব্যপারটিকে যাচাই করলেন এই প্রশ্নদুটি করে "তুমি এটা কখন দেখেছ? এবং “তুমি কি এটা নিজে দেখেছ?”
.
অর্থাৎ,
(i) ইবনে আব্বাস রাদি আল্লাহু তায়ালা আনহু একথা বলেননি যে সিরিয়ার চাঁদ দেখা মদীনার জন্য প্রযোজ্য নয়।
(ii) ইবনে আব্বাস রাদি আল্লাহু আনহু একথাও বলেননি যে দূরবর্তী এলাকার চাঁদ দেখা অনুযায়ী আমল করা যাবেনা
(iii) ইবনে আব্বাস রাদি আল্লাহু আনহু একথাও বলেননি যে ভিন্ন উদয়স্থলের চাঁদ দেখার সংবাদ অনুযায়ী আমল করা যাবেনা।
(iv) ইবনে আব্বাস রাদি আল্লাহু আনহু একথাও বলেননি যে অন্য শহর কিংবা দেশের চাঁদ দেখার সংবাদ অনুযায়ী আমল করা যাবেনা।
(v) বরং ইবনে আব্বাস রাদি আল্লাহু আনহু প্রশ্নদু’টি করে গুরুত্বের সাথে সিরিয়া থেকে আসা সংবাদটি যাচাই করেছেন।
.
এরপর বিবেচনার বিষয়, কুরাইব রহমাতুল্লহি আলাইহি ছিলেন রমজানের শুরুর চাঁদের সাক্ষী, ঈদের চাঁদের নয়। যেহেতু তার কাছে সিরিয়া কিংবা অন্য দূর কোথাও থেকে ঈদের চাঁদের সাক্ষী সময়মত আসার সম্ভাবনা ছিলনা অথচ ঈদের চাঁদের সংবাদ অনুযায়ী ঈদ করাই রসূল সঃ এর নির্দেশ তাই হয়তো তিনি রসূল ﷺ এর নির্দেশের কথা বলেছেন।
.
কুরাইব রহমাতুল্লহি আলাইহি সিরিয়ায় রমজানের শুরুর চাঁদ এর সংবাদ মদীনায় এনেছিলেন ঈদের কয়েকদিন পূর্বে। ঈদের চাঁদ অনুযায়ী ঈদ করাই রসূল ﷺ এর নির্দেশ। সিরিয়ার রমজানের শুরুর চাঁদে মদীনায় ঈদ করা যায় না কারণ মাস ফিক্সড নয়, মাস যদি শুধু ২৯ দিনে হতো কিংবা শুধু ৩০ দিনে হতো তাহলে সম্ভব হতো, কিন্তু মাস ২৯ বা ৩০ যে কোনোটি হতে পারে। ইবনে আব্বাস কিভাবে জানবেন যে সিরিয়াতে রমজান মাস ২৯ নাকি ৩০ হচ্ছে? ইবনে আব্বাস রাদি আল্লাহু আনহুর কাছে ঈদের চাঁদের কোন সংবাদ ছিল না, সিরিয়া বা অন্য দূর অঞ্চল থেকে সময় মত আসার সম্ভাবনাও ছিল না। ফলে তিনি মদীনায় চাঁদ দেখেই ঈদ করা অথবা মদীনার রোজা শুরু হিসেবেই ৩০ পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের চাঁদের সংবাদ অনুযায়ী ঈদ করাই রসূল ﷺ এর নির্দেশ বিধায়ই হয়তো ইবনে আব্বাস রসূল ﷺ এর নির্দেশ এর কথা বলেছিলেন।
.
রসূল ﷺ এর নির্দেশের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই
(i) রসূল ﷺ একথা বলেননি যে সিরিয়ার চাঁদ দেখা মদীনার জন্য প্রযোজ্য নয়।
(ii) রসূল ﷺ একথাও বলেননি যে দূরবর্তী এলাকার চাঁদ দেখা অনুযায়ী আমল করা যাবেনা
(iii) রসূল ﷺ একথাও বলেননি যে ভিন্ন উদয়স্থলের চাঁদ দেখার সংবাদ অনুযায়ী আমল করা যাবেনা।
(iv) রসূল ﷺ একথাও বলেননি যে অন্য শহর কিংবা দেশের চাঁদ দেখার সংবাদ অনুযায়ী আমল করা যাবেনা।
(v) বরং রসূল ﷺ দুজন সাক্ষীর চাঁদ দেখার সংবাদে রোজা ঈদ করতে বলেছেন। রাসূল ﷺ দুইজন স্বাক্ষ্যের কথা বলেছেন। রাসূল ﷺ বলেননি শুধু মদীনার বর্ডারের ভিতরের দুইজন বা শুধু সৌদির সীমান্তের ভিতরের দু'জন বা শুধু বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরের দুইজন। দুইজন বলতে গোটা বিশ্বের যেকোন দুইজন মুসলিম। আর "তোমরা" বলতে শুধু মদীনার বর্ডারের ভিতরের মানুষ, বা শুধু সৌদির সীমান্তের ভিতরের মানুষ, বা শুধু বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরের মানুষকে নির্দিষ্ট করেননি। বরং "তোমরা" বলতে পৃথিবীর সকল মানুষ।
(vi) শুধু তাই নয় রসূল ﷺ মদীনায় চাঁদ না দেখা যাওয়ায় ৩০ তম রোজা শুরু করা স্বত্তেও দূর শহর থেকে ইফতারীর কিছু পূর্বে আসা কাফেলা কর্তৃক গতদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার সংবাদ অনুযায়ী রোযা ভেঙ্গেছেন।



হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব- ৩
........ 
হাদীসে কুরাইবের ব্যাখ্যায় হিজরী ৭ম শতাব্দীর হাম্বলী মাযহাবের প্রখ্যাত ফকিহ ও মুজতাহিদ সমসাময়িক সিরীয় আলিমগণের মুকুটমণি আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনু কুদামা আল মাকদিসী আল দিমাশকী আল হাম্বলী রহমাতুল্লহি আলাইহি তার মুগণী কিতাবে লিখেছেন,
“তারা শুধুমাত্র কুরাইব রহমাতুল্লহি আলাইহি এর কথায় রোযা বন্ধ করতে (ঈদ করতে) পারতেন না”।
(আল মুগনী, অধ্যায়- "যখন এক দেশের মানুষ চাঁদ দেখবে, সকল দেশের অধিবাসীদের জন্যই রোজা জরুরী হবে")
পাকিস্তানের মুফতিয়ে আজম, মুফতি রফী উসমানী, তার "মাছাবাহ" এর মধ্যে এটা উল্লেখ করেছেন এবং কানাডার বিশিষ্ট আলিম, শাইখ ইউসুফ বাদাত, তা ইংরেজীতে অনুবাদ করেছেন।
তারা শুধুমাত্র কুরাইব রহমাতুল্লহি আলাইহি এর কথায় রোযা বন্ধ করতে পারতেন না কারন ঈদ করতে হলে ঈদের চাঁদের দুইজন সাক্ষী প্রয়োজন। দু’জনের সাক্ষী ছাড়া রোযা ছেড়ে ঈদ করা যায়না। কুরাইব ছিলেন একজন সাক্ষী তাও রমজানের শুরুর চাঁদের, ঈদের চাঁদের নয়। সিরিয়ার রমজানের শুরুর চাঁদে মদীনায় ঈদ করা যায় না কারণ মাস ফিক্সড নয়, মাস যদি শুধু ২৯ দিনে হতো কিংবা শুধু ৩০ দিনে হতো তাহলে সম্ভব হতো, কিন্তু মাস ২৯ বা ৩০ যে কোনোটি হতে পারে। ইবনে আব্বাস কিভাবে জানবেন যে সিরিয়াতে রমজান মাস ২৯ নাকি ৩০ হচ্ছে? ইবনে আব্বাসের কাছে ঈদের চাঁদের কোন সংবাদ ছিল না, সিরিয়া বা অন্য দূর অঞ্চল থেকে সময় মত আসার সম্ভাবনাও ছিল না। ফলে তিনি মদীনায় চাঁদ দেখেই ঈদ করা অথবা মদীনার রোজা শুরু হিসেবেই ৩০ পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের চাঁদের সংবাদ ছাড়া ঈদ করা যায়না বিধায়ই হয়তো ইবনে আব্বাস রসূল ﷺ এর নির্দেশ এর কথা বলেছিলেন এবং শুধু কুরাইবের কথায় রোযা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেননি। এটা ছিল সেই পরিস্থিতিতে তার নিজস্ব ইজতিহাদ।
কিন্তু রসূল ﷺ এর নির্দেশ সাধারনভাবে সকল মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং তাদেরকেও শামিল করবে যারা চাঁদ দেখার সংবাদ সময়মত পেয়েছে যে কোনো দেশে, যে কোনো শহরে, বা অঞ্চলে, কোনো দূরত্ব বিবেচনা না করে। কারণ রসূল ﷺ চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো দূরত্ব কিংবা কোন শহর দেশ মহাদেশের সীমারেখার কথা উল্লেখ করেননি বা শর্ত দেননি।
জ্ঞানের সুবিশাল স্তম্ভ ইমাম ইবনে কুদামাহ্ রহমাতুল্লহি আলাইহি তার মতামত উল্লেখ করে বলেন,
“কোনো এক দেশের মানুষ চাঁদ দেখলে সকল দেশের মানুষের জন্য সিয়াম (রোযা) রাখা জরুরী হবে। ফকিহ আবুল লাইছ এবং কিছু শাফেয়ী ফকিহগণও এ মত দিয়েছেন। ”
(ইবনে কুদামাহ এর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হলো। )
[মুগণী, দারুল হাদীস কায়রো মিশর, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা - ১২১]
জ্ঞানের উজ্জল নক্ষত্র ইমাম ইবনে কুদামা রহমাতুল্লহি আলাইহি বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন,
“আমাদের এই আয়াত রয়েছে ‘তোমাদের যে কেউ এ (পবিত্র রমযান) মাসের সাক্ষ্য/প্রমাণ পাবে সেই যেন তাতে (এ মাসে) রোযা রাখে,’ এবং রাসূল সঃ এর বেদুঈনকে দেয়া সেই বাণী যখন সে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল ‘তিনি কি আল্লাহ যিনি আপনাকে বছরের এই মাসে রোযা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন?’ তিনি জবাব দিলেন ‘হাঁ’ এবং অন্য একজনকে দেয়া তাঁর সেই বাণী যখন তিনি জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন ‘রোযার ব্যাপারে আল্লাহ আমাদের উপরে কি বাধ্যতামূলক করেছেন?’ তিনি জবাব দিলেন ‘রমজান মাস’ । এটা মুসলিমদের সম্মিলিত মত যে রমজান মাসের রোযা বাধ্যতামূলক এবং এ মাসের প্রথম দিন ধার্য হয় নির্ভরযোগ্য মুসলিমদের সাক্ষ্য দ্বারা যখন এর পরে রোযা রাখা সকল মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। এবং এটাও যে রমজান মাস হচ্ছে দুই চাঁদের মধ্যবর্তী, এবং এটাও প্রতিষ্ঠিত যে, এর প্রথম দিন প্রত্যেকের জন্য একটাই সুনির্দিষ্ট দিন বিবেচিত হবে সকল আহকাম (আইন কানুন) এর ব্যাপারে যেমন ঋণ পরিশোধের শেষ সীমা, তালাকের কার্যকারিতা, দাস মুক্ত করা, কসম পূর্ণ করা এবং এধরণের অন্যান্য আইন। সুতরাং ‘নস’ (কুরআন ও হাদিসের পরিষ্কার ভাষ্য) অনুযায়ী এবং মুসলিমদের ঐকমত্য ও ঐক্যবদ্ধতার জন্যেও। এটাও যে, নির্ভরযোগ্য-সাক্ষ্য প্রমানিত হবে চাঁদ দেখার দ্বারা, সুতরাং রোযা রাখা বাধ্যতামূলক হবে নিকটবর্তি দুই শহরের মতই ”।
(ইমাম ইবনে কুদামাহ রহমাতুল্লহি আলাইহি এর বর্ণনা এ পর্যন্তই এখানে দেয়া হল )
পাকিস্তানের মুফতিয়ে আজম মুফতি রফী উসমানী তার মাছাবাহ এর মধ্যে এটা উল্লেখ করেছেন এবং কানাডার বিশিষ্ট আলিম শাইখ ইউসুফ বাদাত তা ইংরেজীতে অনুবাদ করেছেন।
সুতরাং রমজানের প্রথম দিন সকলের জন্য একটাই সুনির্দিষ্ট দিন হওয়া উচিৎ। কারণ এটা তারিখের সাথে সম্পর্কিত। আর তারিখ আইনের সাথে সম্পর্কিত।
এলাকা ভেদে তারিখ ভিন্ন হলে এক এলাকার তারিখ অনুযায়ী রোযা রেখে অন্য তারিখের এলাকায় ঈদ করলে রোযা ২৮ বা ৩১ হয়ে যায় অথচ রাসূল ২৮ বা ৩১ রোজা রাখতে বলেননি।
এলাকা ভেদে তারিখ ভিন্ন হলে সর্বশেষ যে সীমা পর্যন্ত একই তারিখ হলো এবং তার পাশের এলাকায় ভিন্ন তারিখ হলো সেই সীমার একপাশে রোজা অন্যপাশে ঈদ হবে ফলে দুই এলাকার সীমান্তের মানুষ রোজা নাকি ঈদ করবে তা নিয়েও সমস্যা হবে এবং একই দিন রোজা ও ঈদ উভয়টির আমল হয়ে যাবে আর ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম।
তাছাড়াও কুরআন তো একরাত্রেই নাযিল হয়েছে। মূল শয়তান কে তো একদিনেই বাঁধা হয়। জান্নাতের দরজা একদিনেই খোলা হয়, জাহান্নামের দরজা একদিনেই বন্ধ হয়।
সম্ভবত এসকল দিক বিবেচনা করেই ইমাম ইবনে কুদামা রহ. বলেছেন যে রমজানের প্রথম দিন প্রত্যেকের জন্য একটাই সুনির্দিষ্ট দিন বিবেচিত হবে, কোনো এক দেশের মানুষ চাঁদ দেখলে সকল দেশের মানুষের জন্য রোযা রাখা জরুরী হবে এবং রোযা রাখা বাধ্যতামূলক হবে নিকটবর্তি দুই শহরের মতই।



হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব- ৪
........ 
হাদীসে কুরাইবের ব্যাখায় ইমাম শাওকানী রহমাতুল্লহি আলাইহি তাঁর নাইলুল আওতার কিতাবে লিখেছেন:
وَاعْلَمْ أَنَّ الْحُجَّةَ إنَّمَا هِيَ فِي الْمَرْفُوعِ مِنْ رِوَايَةِ ابْنِ عَبَّاسٍ لَا فِي اجْتِهَادِهِ الَّذِي فَهِمَ عَنْهُ النَّاسُ وَالْمُشَارُ إلَيْهِ بِقَوْلِهِ : " هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " هُوَ قَوْلُهُ : فَلَا نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلَاثِينَ ، وَالْأَمْرُ الْكَائِنُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ مَا أَخْرَجَهُ الشَّيْخَانِ وَغَيْرُهُمَا بِلَفْظِ : { لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ ، وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ } وَهَذَا لَا يَخْتَصُّ بِأَهْلِ نَاحِيَةٍ عَلَى جِهَةِ الِانْفِرَادِ بَلْ هُوَ خِطَابٌ لِكُلِّ مَنْ يَصْلُحُ لَهُ مِنْ الْمُسْلِمِينَ
“জেনে রাখ, (আমাদের কাছে) হুজ্জত (সুস্পষ্ট প্রমাণ) সাব্যস্ত হয় ইবন আব্বাস (রদিআল্লহু আনহু) -এর মারফু' রেওয়ায়াত থেকে, তার ইজতিহাদ থেকে নয় লোকজন যা তার থেকে বুঝেছে এবং তাঁর বর্ণনায় যেটি এসেছে "এভাবে রাসূল ﷺ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন" সেটি তারই মন্তব্য; (এজন্যই তিনি বলেছেন): "আমরা সিয়াম পালন করে যাচ্ছি ত্রিশদিন পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত"। রাসূল ﷺ এর নির্দেশটি নিহিত রয়েছে সেই হাদীসটিতে যা শায়খাইন (বুখারী ও মুসলিম) ও অন্যান্যদের কর্তৃক সংকলিত হয়েছে: "নতুন চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সিয়াম পালন শুরু করবে না এবং তা না দেখা পর্যন্ত সিয়াম পালন বন্ধ করবে না; যদি গোপন থাকে তাহলে ত্রিশ দিনে (গণণা) পূর্ণ করবে"।
(ইমাম শাওকানীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হয়েছে)
[নাইলুল আওতার ৪র্থ খন্ড]
.
ইমাম শাওকানী রহমাতুল্লহি আলাইহি এরপর বলেন,
“ইবনে আব্বাস রাদিললহু আনহু বলেছেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এভাবেই নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীর কোনো শব্দ বা তার শব্দের কোনো অর্থ বর্ণনা করেননি, যার ফলে তার বাণীর বৈশিষ্ট্য ও ব্যাপকতা লক্ষ্য করা যাবে।
তাছাড়া রমাজান মাসের প্রথম দিকে ইবনে আব্বাস রাঃ এর নিকট সিরিয়াবাসীর নতুন চাঁদ দেখার সংবাদ পৌছেনি। বরং রমাজান মাসের শেষের দিকে তার নিকট এর সংবাদ পৌঁছে।“
(ইমাম শাওকানীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হয়েছে)
[নাইলুল আওতার ৪র্থ খন্ড]
.
সুতরাং এ থেকে বুঝা যায়
(i) সেই পরিস্থিতিতে ইবনে আব্বাসের নিজস্ব ইজতিহাদ সার্বজনীন আইনের জন্য হুজ্জত বা সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে প্রযোজ্য নয়।
(ii) তার ইজতিহাদ থেকে কিছু লোক যেই বুঝ নিয়েছে যে, “দূর থেকে সময়মত চাঁদ দেখার সংবাদ আসলেও নিজের এলাকার সীমারেখার ভিতর আলাদা চাঁদ না দেখলে মাস শুরু করা যাবেনা”, কিছু লোকের এই বুঝ, সার্বজনীন আইনের জন্য হুজ্জত বা সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে প্রযোজ্য নয়।
(iii) বরং সার্বজনীন আইনের জন্য হুজ্জত বা সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে প্রযোজ্য হবে রসূল ﷺ এর মারফু হাদীস "চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তোমরা রোজা রাখ এবং চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তোমরা রোজা ছাড়ো এবং এর ভিত্তিতেই কুরবানী করো। যদি গোপন থাকে ত্রিশ পূর্ণ করো এবং যদি (মুসলিমদের) দু’জন স্বাক্ষ্য দেয় যে, তারা (নতুন চাঁদ উদয়ের ব্যাপারে) দেখেছে, তাহলে তোমরা রোজা রাখো ও ছাড়ো"। [নাসাঈ, সহীহ্, অধ্যায়ঃ ৮, হাদিস # ২১১৬।]
(iv) এখানে রাসূল ﷺ দুইজন স্বাক্ষ্যের কথা বলেছেন। রাসূল ﷺ বলেননি শুধু মদীনার বর্ডারের ভিতরের দুইজন বা শুধু সৌদির সীমান্তের ভিতরের দু'জন বা শুধু বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরের দুইজন। দুইজন বলতে গোটা বিশ্বের যেকোন দুইজন মুসলিম।
(v) আর "তোমরা" বলতে শুধু মদীনার বর্ডারের ভিতরের মানুষ, বা শুধু সৌদির সীমান্তের ভিতরের মানুষ, বা শুধু বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরের মানুষকে নির্দিষ্ট করেননি। বরং "তোমরা" বলতে পৃথিবীর সকল মানুষ।
(vi) কাজেই চাঁদ দেখা ও সিয়াম শুরুর বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো একটি জাতিয়তাবাদী সীমারেখার লোকজনকে বুঝাচ্ছে না বরং সমস্ত মুসলিমদেরকেই বুঝাচ্ছে।
.
তাই ইমাম শাওকানী বলেছেন,
“রাসূলুল্লাহর ﷺ আদেশ আঞ্চলিক বিভিন্নতার জন্য পৃথক পৃথক হয়নি, সকল মুসলমান উক্ত আদেশে সম্বোধিত হয়েছেন, সুতরাং এক নগরের রূয়ত (দেখা) অন্য নগরের প্রতি প্রযোজ্য হওয়ার ব্যবস্থা – না হওয়ার ব্যবস্থা অপেক্ষা সুস্পষ্ট। কারণ এক শহরের মুসলমানের চাঁদ দেখা, সকল মুসলমানের দেখার মতোই, সুতরাং সেই শহরের মুসলমানগণের উপর যা প্রযোজ্য হবে, অপর স্থানের মুসলমানদের উপর ও তাই বলবৎ হবে”।
(ইমাম শাওকানীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হয়েছে)
[(নাইলুল আওতার)(৪/১৬৬)]
.
ইমাম শাওকানীর বক্তব্য থেকে আমরা আরও বুঝলাম
(i) ইবনে আব্বাস নাবী ﷺ এর নির্দেশের কথা বলেছেন কিন্তু সেই নির্দেশ কি অথবা তার সেই নির্দেশ থেকে কোনো শব্দ বা বাক্য উল্লেখ করেননি যা থেকে বোঝা যাবে সিরিয়ার চাঁদ দেখা মদীনার জন্য প্রযোজ্য নয়। সিরিয়ার চাঁদ দেখা মদীনার জন্য প্রযোজ্য নয় অথবা দূরবর্তী অঞ্চল কিংবা ভিন্ন উদয়স্থলের চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণযোগ্য নয় এই মর্মে রসূল ﷺ এর কোনো বাণী ইবনে আব্বাস বলেননি।
(ii) তাছাড়া ইবনে আব্বাস তো সময়মত সংবাদ পাননি। তিনি রমজানের শুরুর চাঁদের সংবাদ পেয়েছেন ঈদের পূর্বে। হযরত কুরাইব রহমাতুল্লহি আলাইহি-এর সংবাদ এবং শামবাসীর চাঁদ দেখাকে গ্রহণ না করা এটা আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রদিআল্লহু আনহু-এর সেই পরিস্থিতিতে নিজস্ব ইজতিহাদ (গবেষণা বা সিদ্ধান্ত)। আর সেই পরিস্থিতিতে ইবনে আব্বাসের নিজস্ব ইজতিহাদ সার্বজনীন আইনের জন্য হুজ্জত বা সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে প্রযোজ্য নয়। আর তার ইজতিহাদ থেকে কিছু লোক যেই বুঝ নিয়েছে যে, “দূর থেকে সময়মত চাঁদ দেখার সংবাদ আসলেও নিজের এলাকার সীমারেখার ভিতর আলাদা চাঁদ না দেখলে মাস শুরু করা যাবেনা”, কিছু লোকের এই বুঝ, সার্বজনীন আইনের জন্য হুজ্জত বা সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে প্রযোজ্য নয়।
.
নবাব সিদ্দীক হাসান খান তার রওযাতুন নাদীয়াহ গ্রন্থের প্রথম খন্ডের ৩৩১ পৃষ্ঠায় ইমাম শাওকানীর এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন প্রদান করেন।
.
ইমাম শাওকানী (রহমাতুল্লহি আলাইহি) (১১৭৩-১২৫৫ হিজরী.) সংকলিত মা'রিফা, বৈরুত, লেবানন হতে প্রকাশিত الدراري المضية شرح الدرر البهية গ্রন্থের ১ম খন্ডের ২১ পৃষ্ঠায় লিখেছেন
واما کونه اذا رآه اهل بلد لزم سائر البلاد الموافقة)۱(، فوجه الأحاديث أاصرحنة بالصيام لرؤيته، والأمطار لرقبته: وهي خطاب لجميع الأمة ، فن رآه منهم في اي كان ، كان ذلك رؤية م -م
অর্থাৎ:- “যখন কোনো দেশবাসী নতুন চাঁদ দেখবে তখন সকল দেশের সমস্ত অধিবাসীর উপর নতুন চাঁদ দেখা দেশটির অনুরূপ আমল লাযেম (আবশ্যক) হবে। কেননা অনেক সুস্পষ্ট হাদীস বিশ্লেষণ করেছে যে, চাঁদ দেখার ভিত্তিতেই রোযা রাখতে হবে এবং ঈদ করতে হবে। হাদীসে রোযা রাখার ও ঈদ করার উক্ত সম্বোধন সকল উম্মতের জন্য। অতএব, উম্মতের যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো স্থান হতে নতুন চাঁদ দেখবে, উক্ত নতুন চাঁদ দেখাই সকল উম্মতের দেখা হিসেবে গণ্য হবে।“
(তার কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল)



হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব-৫
........ 
সম্মানিত পাঠক, আসুন প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থ মুসনাদে আহমাদ এর লেখক, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহমাতুল্লহি আলাইহি)., যিনি হাম্বলী মাযহাবের প্রধান ইমাম, এবং যাকে ইমামু আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতও বলা হয়, তার মতামত জেনে নেই।
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহমাতুল্লহি আলাইহি) (২৪১ হি.)-এর ছাত্র ইমাম আবু দাউদ সিজিস্তানী (রহমাতুল্লহি আলাইহি) (২৭৫ হি.) যিনি ‘‘আসুসনান’’-এর সংকলক, ইমাম আহমদ রাহ.-এর কাছে যেসব ফিকহী মাসাইল সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন বা তাঁর উপস্থিতিতে অন্য কেউ করেছিলেন তা একটি আলাদা কিতাবে সংকলিত হয়েছে। ‘মাসাইলু আহমদ’ নামে তা মুদ্রিত ও প্রকাশিত। এই কিতাবে লিখিত হয়েছে-
ইমাম আবু দাউদ সিজিস্তানী (রহমাতুল্লহি আলাইহি) বর্ণনা করেছেন,
আমি আহমদ (রহমাতুল্লহি আলাইহি) কে বলতে শুনেছি, তাঁকে কেউ প্রশ্ন করলেন,
“আপনার মতামত কি কুরাইবের হাদীস অনুযায়ী? অর্থাৎ, ঐ হাদীস যাতে আছে যে, কুরাইব শাম থেকে মদীনায় এলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লহু আনহু) তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন (তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ?)”
আহমদ ইবনে হাম্বল (রহমাতুল্লহি আলাইহি) বললেন,
“না। (অর্থাৎ আমার মতামত সে অনুযায়ী নয়)”।
আহমদ ইবনে হাম্বল (রহমাতুল্লহি আলাইহি) বললেন,
“যখন (এ এলাকার লোকদের) পরিষ্কার জানা হয়ে যাবে যে, (ঐ এলাকার লোকেরা) এক দিন আগে চাঁদ দেখেছে তখন এদেরকে সেদিনের রোযা কাযা করতে হবে। “
(এরপর আবু দাউদ (রহমাতুল্লহি আলাইহি) এ হাদীসের পুরা মতন উল্লেখ করেন।)
(আবু দাউদ সিজিস্তানীর বর্ণনা এ পর্যন্তই এখানে দেয়া হল)
[(মাসাইলু ইমাম আহমদ, আবু দাউদ সিজিস্তানী পৃষ্ঠা: ১২৮, বর্ণনা: ৬১৬, আবু মুয়ায তারিক সম্পাদিত এডিশন)]
কুরাইবের এই হাদীসকে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহমাতুল্লহি আলাইহি) সার্বজনীন দলীল হিসেবে গ্রহণ করেননি বা এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেননি। হাদীসে কুরাইব হচ্ছে সাহাবীর কথা ও কাজ অর্থাৎ মাওকুফ হাদীস বা আছার। এটা ইবনে আব্বাস রাঃ এর সেই পরিস্থিতিতে নিজস্ব ইজতিহাদ ছিল। আর রাসূল ﷺ এর কথা ও কাজ হচ্ছে মারফু হাদীস। মাওকুফ হাদীস এর বিপরীতে মারফু হাদীস পাওয়া গেলে আমল এর ক্ষেত্রে মারফু হাদীস প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ আছার বা সাহাবীর কথা কাজ বা নিজস্ব ইজতিহাদের বিপরীতে রাসূল ﷺ এর কথা ও কাজ পাওয়া গেলে, আমল এর ক্ষেত্রে রাসূল ﷺ এর কথা ও কাজ প্রাধান্য পাবে। আর কুরআনের আয়াত হচ্ছে আল্লাহর কথা। তাই কুরআনের আয়াত, আমল এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে।
সম্ভবত এসকল দিক বিবেচনা করেই আহমদ বিন হাম্বল (রহমাতুল্লহি আলাইহি) হাদীসে কুরাইব যা সাহাবীর কথা-কাজ বা মাওকুফ হাদীস এর পরিবর্তে কুরআনের আয়াত ও রাসূল ﷺ এর কথা-কাজ বা মারফু হাদীসকে প্রাধান্য দিয়ে এর উপরে আমল করার মতামত দিয়েছেন এবং হাম্বলী মাযহাবে সেটাই সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহিত হয়েছে।



হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব- ৬
........ 
হাদীসে কুরাইব হচ্ছে সাহাবীর কথা ও কাজ অর্থাৎ মাওকুফ হাদীস অথবা আছার। আর রসূল ﷺ এর কথা ও কাজ হচ্ছে মারফু হাদীস। আছার অথবা মাওকুফ হাদীসের বিপরীতে মারফু হাদীস পাওয়া গেলে আমল এর ক্ষেত্রে মারফু হাদীস প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ সাহাবীর কথা ও কাজের বিপরীতে রসূল ﷺ এর কথা ও কাজ পাওয়া গেলে, আমল এর ক্ষেত্রে রসূল ﷺ এর কথা ও কাজ প্রাধান্য পাবে। আর কুরআনের আয়াত হচ্ছে আল্লাহর কথা। তাই কুরআনের আয়াত সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে।
.
♦রাসূল ﷺ এর ক্বওলী হাদীস (বাণী):
আব্দুর রহমান ইবনে যায়েদ রাদিআল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন,
“...যদি (মুসলিমদের) দু’জন স্বাক্ষ্য দেয় যে, তারা (নতুন চাঁদ উদয়ের ব্যাপারে) দেখেছে, তাহলে তোমরা সাওম (রোজা) ও ঈদ পালন কর”।
[নাসাঈ, সহীহ্, অধ্যায়ঃ ৮, হাদিস # ২১১৬।]
.
এখানে রাসূল ﷺ দুইজন স্বাক্ষ্যের কথা বলেছেন। রাসূল ﷺ বলেননি শুধু সৌদির জাতিয়তাবাদী সীমান্তের ভিতরের দু'জন বা শুধু বাংলাদেশের জাতিয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরের দুইজন।
.
আর "তোমরা" বলতে শুধু সৌদির জাতিয়তাবাদী সীমান্তের ভিতরের মানুষ, বা শুধু বাংলাদেশের জাতিয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরের মানুষকে নির্দিষ্ট করেননি। বরং "তোমরা" বলতে পৃথিবীর সকল মানুষ।
.
♦রাসূল ﷺ এর ফে’লী হাদীস (আমল বা কাজ):
হযরত আবু উমাইর ইবনু আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত
“রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম-এর নিকট একদল আরোহী আসল এবং তারা সাক্ষ্য দিল যে তারা গতকাল (শাওয়ালের) চাঁদ দেখেছে। ফলে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম মানুষকে রোযা ছাড়ার আদেশ দিলেন। পরের দিন প্রাতঃকালে সকলেই ঈদগাহে সমবেত হলেন”।
[(আবু দাউদ, সহীহ, হাদীস নং ১১৫৭, ইংরেজি অনুবাদ হাদীস নং ১১৫৩, নাসায়ী, মিশকাত-১২৭)]
.
সংবাদ শোনার সাথে সাথে রসূল ﷺ এবং সাহাবাগণ (রাঃ) রোজা ভেঙে ফেললেন। সেই কাফেলা কোন দেশ থেকে এসেছে কিংবা কতদূর থেকে এসেছে রসূল ﷺ তা জিজ্ঞাসা করেননি। সুতরাং বুঝা গেল, নিজ এলাকায় চাঁদ দেখা না গেলেও দূর এলাকা থেকে আসা সংবাদ রসূল ﷺ গ্রহণ করেছেন। এটাও বুঝা গেল, সেই সংবাদ পৌঁছেছে পরদিন দুপুরের পর এবং এত দেরীতে আসা সংবাদও রসূল ﷺ গ্রহণ করে রোজা ভেঙেছেন। শুধু তাই নয়, এটাও বুঝা গেল সংবাদ না পৌছালে কি করতে হবে আর পৌছালে কি করতে হবে।
.
এ থেকে বুঝা যায় বিষয়টি নির্ভর করে সংবাদ পৌছেছে কিনা তার উপর। দুইজন মুসলিমের সংবাদ পৌছালে আমল জরুরী।
.
এক শহরের চাঁদ দেখা অন্য শহরে গ্রহণযোগ্য বলেই মদীনাবাসী চাঁদ না দেখার পরও রাসূল সঃ অন্য শহর থেকে আসা সংবাদে সিয়াম ভেঙেছেন। আর শুধু দেশের জাতিয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরের চাঁদের সংবাদ গ্রহণ করা যাবে অথবা জাতিয়তাবাদী বর্ডারের বাইরের চাঁদের সংবাদ গ্রহণ করা যাবেনা, এ মর্মে কোন আয়াত বা হাদীস নেই। ইবনে আব্বাস কিংবা রসূল ﷺ কোথাও এমনটি বলেননি। ভিন্ন উদয়স্থলের চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণ করা যাবেনা একথাও ইবনে আব্বাস কিংবা রসূল ﷺ কোথাও বলেননি।
.
যেখানে মদীনাবাসী চাঁদ না দেখা স্বত্তেও শরীয়ত প্রবর্তক রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই অনেক দূর থেকে আসা কাফেলার সংবাদ গ্রহণ করে রোজা ভেঙ্গেছেন, সেখানে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রদি আল্লাহু তায়ালা আনহু কুরাইব রদি আল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সংবাদ গ্রহণ করলেন কি করলেন না, তা ধর্তব্য নয়।
.
♦কুরআনের বক্তব্য:
আর আল্লাহ কুরআনে সূরা বাকারার ১৮৯ নং আয়াতে বলেছেন
"এগুলো (অর্থাৎ নতুন চাঁদসমূহ বা ১২ মাসের ১২টি চাঁদ) মানবজাতির জন্য সময়সূচী (অর্থাৎ মাসের শুরু) নির্দেশক এবং হজ্জের (সময়সূচী অর্থাৎ তারিখ নির্ধারণকারী)”।
.
"মানবজাতি" হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ। হজ্জের তারিখ তো মানবজাতির জন্য একটাই হয়। আল্লাহ একথা বলেননি যে, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী সীমান্তের ভিতরের নতুন চাঁদ বাংলাদেশী জাতির জন্য মাসের শুরু নির্দেশক এবং বাংলাদেশী জাতির জন্য হজ্জের তারিখ নির্দেশক। আর কুরআন নাযিলের সময়ে সৌদি আরব নামে আলাদা জাতি রাষ্ট্রের জাতিয়তাবাদী সীমান্ত কিংবা বাংলাদেশ নামে আলাদা জাতি রাষ্ট্রের জাতিয়তাবাদী সীমান্ত ছিলনা।
.
পৃথিবীর আকাশে “নতুন চাঁদ” উদয়ের দিনে সকল এলাকা, দেশ, মহাদেশের বাসিন্দারাই “মানুষ” ছিলেন, আছেন, থাকবেন। পৃথিবীর আকাশে “নতুন চাঁদ” উদয়ের দিনে তারা মানবজাতির বাহিরে অন্য কোনো জাতি বা অন্য কোনো প্রাণী হয়ে যান না বরং মানবজাতির অন্তর্ভুক্তই থাকেন।
.
সুতরাং পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে এবং তার নির্ভরযোগ্য সংবাদ পৌছে গেলে পৃথিবীর গোটা মানবজাতির জন্যই চান্দ্রমাসের তারিখ নির্ধারন হয়ে যায়।
.
সুতরাং আমল করার ক্ষেত্রে আছার বা মাওকুফ হাদীস অর্থাৎ সাহাবীর কথা ও কাজ এর পরিবর্তে মারফু হাদীস অর্থাৎ রসূল ﷺ এর কথা ও কাজ এবং কুরআনের আয়াতে আল্লাহর নির্দেশ প্রাধান্য পাবে।



হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব- ৭
........ 
বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রহমাতুল্লহি আলাইহি) হাদীসে কুরাইব সম্পর্কে লিখেছেন,
“রাসূলুল্লাহ ﷺ কি আদেশ করিয়াছেন, ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লহু আনহু) তাহা উল্লেখ করেন নাই, রাসূলুল্লাহর ﷺ আদেশের যে তাৎপর্য তিনি উপলদ্ধি করিয়াছেন, তিনি কেবল তাহাই উল্লেখ করিয়াছেন, সুতরাং (সেই পরিস্থিতিতে) এক প্রদেশের রূয়ত অন্য প্রদেশের জন্য প্রযোজ্য না হওয়া হযরত ইবনে আব্বাসের নিজস্ব ইজতিহাদ মাত্র। রাসূলুল্লাহর ﷺ নির্দেশ ইমাম আহমাদ, মুসলিম ও তিরমিযি প্রভৃতি ইবনে উমর ও আবু হুরায়রার (রাঃ) বাচনিক রেওয়ায়েত করিয়াছেন:
‘হিলাল (চাঁদ) দর্শন করার পর রোযা রাখিবে আর উহা দর্শন করিয়া ফিতর (ঈদ) করিবে, যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়, তাহা হইলে দিন গণনা করিবে’।
অন্য রেওয়ায়েতে আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলিলেন,
‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইলে ত্রিশের সংখ্যা পূর্ণ করিবে’।
(বুখারী (১) ২১৫, মুসলিম (১) ৩৪৭, তিরমিযী (২) ৩৪ পৃঃ)
রাসূলু্ল্লাহর ﷺ এই আদেশ ব্যাপক, কোন অঞ্চল বা ভূভাগকে তাঁর আদেশে সীমাবদ্ধ করা হয় নাই সুতরাং একস্থানের রূয়ত (দেখা) দ্বারা সকল স্থানে উহার বিধান বলবৎ করার আদেশ অধিকতর স্পষ্ট এবং নস্সের ব্যাপক আদেশকে ইবনে আব্বাসের ইজতিহাদ সীমাবদ্ধ করিতে সক্ষম নয়।
বুখারী ও মুসলিমের উল্লিখিত হাদীস প্রসঙ্গে ইমাম শাওকানী লিখিয়াছেন:
‘রাসূলুল্লাহর ﷺ আদেশ আঞ্চলিক বিভিন্নতার জন্য পৃথক পৃথক হয় নাই, সকল মুসলমান উক্ত আদেশে সম্বোধিত হইয়াছেন, সুতরাং এক নগরের রূয়ত (দেখা) অন্য নগরের প্রতি প্রযোজ্য হইবার ব্যবস্থা – না হইবার ব্যবস্থা অপেক্ষা সুস্পষ্ট। কারণ এক শহরের মুসলমানের চন্দ্র দর্শন সকল মুসলমানের দর্শনের অনুরূপ, সুতরাং সেই শহরের মুসলমানগণের উপর যাহা প্রযোজ্য হইবে, অপর স্থানের মুসলমানদের উপর ও তাহা বলবৎ হইবে’। (ইমাম শাওকানীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হয়েছে) [(নাইলুল আওতার ৪/১৬৬)]
তারপর এক শহরের রূয়ত (দেখা) অন্য শহরের জন্য অনুসরণীয় না হওয়াই যদি ইবনে আব্বাসের ইঙ্গিতকৃত হাদীসের তাৎপর্য হয়, তাহা হইলে দূরত্বের পরিমাণ এবং মাত্লার পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় সম্বন্ধে উহাতে কোন উল্লেখ নাই। আবার ইহাও লক্ষ্য করার বিষয় যে শাম ও মদীনার দূরত্ব এত দূর নয় যাহাতে মাতলার পার্থক্য ঘটিতে পারে, সুতরাং ইবনে আব্বাসের শামের রূয়ত(দেখা) অস্বীকার করার হেতুবাদ তাহার ইজতিহাদ মাত্র”।
(মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রঃ) এর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল) ।
মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রঃ) আরও লিখেছেন,
“ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লহু আনহু) রাসূলুল্লাহর (ﷺ) বাচনিক এমন কোন হাদীস রেওয়ায়েত করেন নাই, যদ্বারা আমরা বিবেচনা করিয়া দেখিতে পারি যে, উহা হযরতের (সঃ) ব্যপক আদেশকে সীমাবদ্ধ করিতে পারে কিনা। সর্বশেষ কথা এই যে, ইবনে আব্বাসের ইজতিহাদকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ব্যপক আদেশের সংকোচক বলিয়া মানিয়া লইলে বেশীর বেশী এইটুকু সাব্যস্ত হইতে পারে যে, মদীনা হইতে দামেশকের দূরত্ব যতখানি ততখানি দূরত্বে অবস্থিত কোন শহরের রূয়ত অন্য শহরের উপর প্রযোজ্য নয়, কিন্তু ইবনে আব্বাসের (রাঃ) ইজতিহাদকে মারফু হাদীসের সংকোচক স্বীকার করার উপায় নাই।
ইমাম কুরতুবী তাঁহার উস্তাদগনের উক্তি উদ্ধৃত করিয়াছেন যে,
‘এক নগরীর অধিবাসীরা হিলাল দর্শন করিলে সকল প্রদেশের অধিবাসীগণের জন্য উহা অনুসরণীয় হইবে ইহাই ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমাদের সিদ্ধান্ত’। (ইমাম কুরতুবীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হয়েছে) [গায়াতুল আমানী (৯) ২৭২ পৃষ্ঠা]
রাসূলুল্লাহর (ﷺ) স্পষ্ট নির্দেশের সহিত এই সিদ্ধান্তই সুসামঞ্জস্য এবং আমরা ইহাকেই অনুসরণযোগ্য মনে করি।”
(মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রঃ) এর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল) ।



হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব- ৮
.......
হাদীসে কুরাইব দ্বারা “সিরীয়ার চাঁদ দেখা মদীনার জন্য প্রযোজ্য নয়” এমন বুঝ নিলেও এটি প্রত্যেক শহরভিত্তিক আলাদা চাঁদ দেখার দলীল। এটা রাষ্ট্রভিত্তিক বা দেশভিত্তিক বা জাতীয়তাবাদী বর্ডার ভিত্তিক চাঁদ দেখার দলীল নয়। সে সময় মদীনা ও সিরিয়া একই রাষ্ট্রের দুটি শহর ছিল।
হাদীসে কুরাইব থেকে এই বুঝ অনুযায়ী শহরভিত্তিক আমল করলে এক ইউনিয়নে চাঁদ দেখলে শুধু সেই ইউনিয়নেই ঈদ হবে অথবা এক থানায় চাঁদ দেখলে শুধু সেই থানায়ই ঈদ হবে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠে শুধু সেই গ্রামে হবে নাকি সেই ইউনিয়নে হবে নাকি সেই থানায় নাকি সেই জেলায় নাকি সেই বিভাগে?
এক শহরে চাঁদ দেখার ফলে ঈদ হলে এবং পাশের শহরে শাওয়ালের নতুন চাঁদ না দেখার ফলে ঐদিন রোজা হলে দুই শহরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ ঈদ করবে না রোজা রাখবে সেটা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। দেশের সীমান্ত ভিত্তিক দলীল হিসেবে নিলেও একদেশে চাঁদ দেখার ফলে ঈদ হলে এবং পাশের দেশে শাওয়ালের চাঁদ না দেখার ফলে ঐদিন রোজা হলে, দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ ঈদ করবে না রোজা রাখবে সেটা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এমন হলে দেখা যাবে বর্ডারের একপাশে ঈদ হচ্ছে অন্যপাশে রোজা হচ্ছে একই বারে/ দিনে, অথচ ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম।
বাংলাদেশে প্রত্যেক শহরভিত্তিক আলাদা চাঁদ দেখার উপর আমল হচ্ছেনা। বাংলাদশের সীমান্তের ভিতরে যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখার সংবাদ পেলে গোটা বাংলাদেশেই সিয়াম কিংবা ঈদ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়, অর্থাৎ রাষ্ট্রভিত্তিক বা দেশভিত্তিক বা জাতীয়তাবাদী বর্ডার ভিত্তিক চাঁদ দেখার উপরে আমল হচ্ছে কিন্তু হাদীসে কুরাইব রাষ্ট্রভিত্তিক বা দেশভিত্তিক বা জাতীয়তাবাদী বর্ডার ভিত্তিক চাঁদ দেখার দলীল নয়। সে সময় সিরিয়া ও মদীনা একই রাষ্ট্রের অন্তভূক্ত ছিল।
আর এক শহরের চাঁদ দেখা অন্য শহরের জন্য গ্রহণযোগ্য বলেই রাসূল ﷺ মদীনায় চাঁদ না দেখা যাওয়া স্বত্তেও, অনেক দূর থেকে আসা কাফেলার চাঁদ দেখার সংবাদে রোযা ভেঙ্গেছেন। এ সম্পর্কে সহীহ মারফু হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে।
আর শুধু হারাম জাতীয়তাবাদী সীমান্তের ভিতরের সংবাদই গ্রহণ করা যাবে অথবা হারাম জাতীয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার বাইরের চাঁদের সংবাদ গ্রহণ করা যাবেনা এ মর্মে কোন আয়াত বা হাদীস নেই। ইবনে আব্বাস কিংবা রসূল ﷺ কোথাও এমনটি বলেননি। দূরবর্তী অঞ্চলের কিংবা ভিন্ন উদয়স্থলের চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণ করা যাবেনা একথাও ইবনে আব্বাস কিংবা রসূল ﷺ কোথাও বলেননি।
বৃটিশের দেয়া জাতিয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার একপাশে লাইলাতুল ক্বদর একরাতে আর অপর পাশে লাইলাতুল ক্বদর তার পরের রাতে, এটা হতে পারেনা। কারণ কুরআন তো দুই রাতে নাযিল হয়নি, বরং একরাতেই হয়েছে। তেমনি জাতিয়তাবাদী বর্ডারের একপাশে প্রধান শয়তানকে যেদিন বাঁধা হয়, অপরপাশে তার পরের দিন বাঁধা হয়, এটাও হতে পারেনা। তেমনিভাবে জাতিয়তাবাদী সীমান্তের একপাশে যেদিন ঈদ, অন্যপাশে সেদিন রোজা এটাও গ্রহণযোগ্য নয়। ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম।
মুসলমানদের ভূমি একটাই। হারাম জাতিয়তাবাদী বর্ডার দিয়ে একক মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করা হারাম। চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে রসূল ﷺ দেশের জাতীয়তাবাদী সীমারেখার কোন শর্ত দেননি আমরাও দেই না।
সুতরাং চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে ২ জন মুসলিমের নির্ভরযোগ্য সংবাদ পৌঁছালে তারিখ পহেলা রমজান হয়ে যাবে। যতদূর পৌঁছাবে ততদূর হবে। শাওয়াল জিলহজ্জ সবই তাই।



হাদীসে কুরাইব প্রসঙ্গে আলোচনা, পর্ব- ৯
....... 
হযরত ইবনু আব্বাস রদি আল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সেই পরিস্থিতির আমলকে দলীল গ্রহণ করে, যে সকল পূর্ববর্তী আলেমগণ এলাকা ভিত্তিক আলাদা চাঁদ দেখে আমলের সপক্ষে মতামত দিয়েছেন তারা প্রায় সকলেই একথা বলেছেন যে, “নিকটবর্তী দেশ বা অঞ্চলে চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে না। এক স্থানের দেখা দ্বারাই সকল স্থানে আমল করতে হবে। আর যদি চাঁদ দেখার দেশটি চাঁদ না দেখার দেশ থেকে অনেক দূরে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে যার যার দেখা অনুযায়ী আমল করতে হবে।” একটু গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে সকলের নিকটই একথা সূর্যালোকের মত পরিষ্কার যে, এক দেশের চাঁদ দেখার সংবাদ অন্য দেশ থেকে গ্রহণ করা না করার দিক থেকে ঐ সকল সম্মানিত ওলামাই কিরাম পৃথিবীকে নিকটবর্তী ও দূরবর্তী এ দু’ভাগে ভাগ করার কারণ হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা। তাদের যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তাদের এ মতামত ঐ যুগের জন্য যুক্তিযুক্ত এবং যথার্থ ছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সম্মানিত ওলামাই কিরামের ঐ মতামত (উদয়স্থলের ভিন্নতা অনুযায়ী আমল বা প্রত্যেক শহরভিত্তিক আমল) এর বিপরীত মত (উদয়স্থলের অভিন্নতা Global moon sighting) বর্তমানে দু’টি কারণে প্রাধান্য পাওয়া উচিত। এক: যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে বর্তমান পৃথিবীর বিপরীত মেরুর দেশ দু’টিও তাদের যুগের পাশাপাশি অবস্থিত দু’টি জেলা শহরের চেয়েও অধিক নিকটবর্তী। সুতরাং আজকের যোগাযোগ ব্যবস্থায় দূরবর্তী দেশ বলতে আর কোন কথা নেই। দুই: তারা যে ওজর বা বাধ্যবাধকতার কারণে এ মতামত দিয়েছেন আজকের বিশ্ব ব্যবস্থায় সে ওজর সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
.
যখন যোগাগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ছিলোনা, রেডিও, টিভি, মোবাইল ফোন ছিলোনা তখন চাঁদ দেখার সংবাদ আদান প্রদান কষ্টসাধ্য ছিল তখন যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে চাঁদ উদয়ের সংবাদ দেয়া-নেয়ার সমস্যার সমাধান কল্পেই হয়তো অনেক সম্মানিত ইমাম নিকটবর্তী ও দূরবর্তী স্থান কিংবা উদয়স্থলের ভিন্নতা কিংবা প্রত্যেক শহর বিবেচনা করেছেন। কিন্তু এখন মুহুর্তেই সারা পৃথিবীতে সংবাদ পৌঁছে যাচ্ছে ফলে অনেক দূরতম দেশও এখন নিকটবর্তী দেশের মতোই হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন অসুবিধা না থাকায় যে সকল ইমামগন উদয়স্থলের অভিন্নতার ফাতওয়া দিয়েছেন সেটাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত।
.
ইবনে আব্বাস রমজানের চাঁদ দেখার সংবাদ পেয়েছিলেন ঈদের পূর্বে অর্থাৎ প্রায় একমাস পর। সেই যুগের বাস্তবতা আর বর্তমান যুগের বাস্তবতা এক নয়। এরপরেও যদি কেউ বর্তমান যুগে নিকটবর্তী - দূরবর্তী, উদয়স্থলের ভিন্নতা, প্রত্যেক শহর কিংবা প্রত্যেক দেশ অনুযায়ী আলাদা চাঁদ দেখার কথা বলেন তাহলে তাদেরকে আমি নিম্নোক্ত (1), (2), (3), (4) চারটি পয়েন্ট বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি।
.
(1) বর্তমান বিশ্বের প্রখ্যাত আলিম পাকিস্তানের শাইখ মুফতি আল্লামা তাক্বী উসমানী সাহেব (হাফিজাহুল্লহ) বলেন,
(i) “উদয়স্থলের ভিন্নতা বা একতা নির্ভর করে দূরত্বের উপর নয় বরং দেখা যাওয়ার উপর।“
(ii) “চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা (অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দিনে আমল করার নীতি) কে গ্রহন করলে একই এলাকার সাক্ষ্য একে অপরের জন্য গ্রহনযোগ্য হয় না। এটা পরিষ্কারভাবে রাসূল (সঃ) এর আমল ও নির্দেশের বিপরীত।“
(iii) “নিকটবর্তী ও দূরবর্তী শহর বলে যে পার্থক্য পরবর্তী হানাফি উলামাগন করেছেন তা চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতার বাস্তবতার বিরুদ্ধে যায় কারন (চাঁদ দেখার ভিত্তিতে) নিকটবর্তী ও দূরবর্তী শহরের প্রকৃত (বা নির্ধারিত) কোন দূরত্ব নাই।
(তাক্বি উসমানী সাহেবের (হাফিজাহুল্লহ) কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল) [(ইনআম আল বারী শরহে সহীহ বুখারী, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৮৯ )]
.
(2) যারা বলেন ভিন্ন উদয়স্থলের এলাকার চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণীয় নয় তাদের জবাব এই যে, চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা অনুযায়ী আপনি কি নিখুঁতভাবে এলাকার সীমারেখা তৈরী করতে পারবেন? চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা অনুযায়ী নিশ্চিতভাবে সঠিক স্থায়ী সীমানা নির্ধারন করা যায়না। এছাড়া উদয় স্থল সর্বদা একই রকম থাকেনা। যে কোন বছরে যে কোন মাসের চাঁদ পৃথিবীতে প্রথম উদিত হলে যে এলাকাসমূহ তার আওতাভূক্ত থাকে তার সীমানা প্রতিমাসে একরকম থাকেনা, প্রতি বছরেও একরকম হয়না। তারপরেও যদি চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতার ভিত্তিতে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার সীমানা নির্ধারন করে সেই কথিত সীমানার এক পাশে রোযা অন্য পাশে ঈদ হয়, তবে সেই সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ কি রোযা করবে নাকি ঈদ করবে? দলিল সহ জানতে চাই।
.
অনেক এলাকা আছে যেখান থেকে চাঁদ খালি চোখে দেখা যায়, অনেক এলাকা থেকে খালি চোখে দেখা না গেলেও দুর্বল টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা যায়। অনেক এলাকা থেকে দুর্বল টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা না গেলেও শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা যায়। এই অবস্থায় কিসের ভিত্তিতে উদয়স্থল নির্ণয় করবেন? টেলিস্কোপের পাওয়ারের ভিন্নতার কারণে কি কুরআন নাযিলের রাত আলাদা হতে পারে?
.
উদয়স্থলের ভিন্নতার কারণে কি কুরআন নাযিলের রাত আলাদা হতে পারে? কুরআন তো এক রাতেই নাযিল হয়েছিল।
.
নিকটবর্তী দূরবর্তী বিবেচনার কারণে কি প্রধান শয়তানকে পরপর দুইদিন দুইবার বাঁধা হয়?
.
একই উদয়স্থল মনে করে যে এলাকায় রোযা আগে শুরু হলো সেই এলাকা থেকে সিয়াম (রোজা) শুরু করে ভিন্ন উদয়স্থল মনে করে যে এলাকায় পরেরদিন রোজা শুরু হলো সেই এলাকায় গিয়ে ঈদ করলে অন্যদের সিয়াম ২৯ টি হলে তার সিয়াম ৩০ এবং অন্যদের সিয়াম ৩০ টি হলে তার সিয়াম ৩১ টি হয়ে যাবে। আবার যে এলাকায় পরেরদিন সিয়াম শুরু হলো সেই এলাকা থেকে সিয়াম শুরু করে যে এলাকায় সিয়াম আগে শুরু হলো সেই এলাকায় গিয়ে ঈদ করলে অন্যদের সিয়াম ২৯ টি হলে তার সিয়াম ২৮ টি হয়ে যাবে এবং অন্যদের সিয়াম ৩০ টি হলে তার সিয়াম ২৯ টি হয়ে যাবে। অথচ রাসূল ﷺ এর হাদীস অনুযায়ী মাস ২৯ অথবা ৩০। ২৮ ও ৩১ সিয়াম ইসলামে নাই।
.
সুতরাং উদয় স্থলের ভিন্নতা অনুযায়ী আমল করলে এসকল সমস্যা দেখা দেয়।
.
উপরন্তু রাসূল ﷺ এর ক্বওলী ও ফেলী হাদীসে এমন কোন শর্ত পাওয়া যায় না যে একই উদয় স্থলের সংবাদ গ্রহণযোগ্য, ভিন্ন উদয় স্থলের সংবাদ গ্রহণযোগ্য নয়, এই রকম কোনো শর্ত রাসূল সঃ এর ক্বওলী ও ফেলী হাদীসে পাওয়া যায়না।
.
রসূল ﷺ তো চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে শুধু একই উদয়স্থলের সংবাদ গ্রহণ করা যাবে কিংবা ভিন্ন উদয়স্থলের চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণ করা যাবেনা এমন শর্ত দেন নি, আমরাও দেই না।
.
(3) যারা বলেন নিকটবর্তী এলাকায় চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণযোগ্য দূরবর্তী এলাকায় নয় তাদেরকে প্রশ্ন, দূরত্ব কতটুকু হলে সংবাদ গহণযোগ্য হবে আর কতটুকু হলে গ্রহণযোগ্য হবেনা কুরআন হাদীস অনুযায়ী জানতে চাই।
.
সেই দূরত্ব মাপা শুরু করবেন কোন পয়েন্ট থেকে? যেমন বাইতুল মোকাররমে চাঁদ দেখা গেল, আবার কাঁচপুর ব্রীজের কাছেও চাঁদ দখা গেল আবার স্মৃতি সৌধ থেকেও দেখা গেল। তাহলে সেই দূরত্ব মাপা শুরু করবেন কোন পয়েন্ট থেকে?
.
তাছাড়া পৃথিবীর সকল দেশই ক্রমান্বয়ে একের পর এক নিকটবর্তী দেশ। উদাহরণ স্বরূপ মরক্কোতে চাঁদ দেখা প্রমানিত হলে তার নিকটবর্তী সীমান্ত সংলগ্ন দেশ আলজেরিয়া, স্পেন, মৌরিতানিয়া, আবার তাদের নিকটবর্তী সীমান্ত সংলগ্ন অন্যান্য দেশ। এভাবে সারা পৃথিবীর দেশগুলোই ক্রমান্বয়ে একের পর এক নিকটবর্তী।
.
সেই কথিত নিকটবর্তী এলাকার শেষ সীমা এবং দূরবর্তী এলাকার শুরু যেখানে, উভয়ের সীমান্ত এলাকার মানুষ কি সিয়াম (রোজা) করবে নাকি ঈদ করবে দলীল সহ জানতে চাই। এই সীমান্তের দুইপাশে একই বার একই দিন। এতে কি একই দিনে সিয়াম (রোজা) ও ঈদ উভয়টির আমল করা হচ্ছেনা? অথচ ঈদের দিন সিয়াম (রোজা) রাখা হারাম।
.
নিকটবর্তী দূরবর্তী বিবেচনার কারণে কি কুরআন নাযিলের রাত আলাদা হতে পারে? কুরআন তো এক রাতেই নাযিল হয়েছিল।
.
নিকটবর্তী দূরবর্তী বিবেচনার কারণে কি প্রধান শয়তানকে পরপর দুইদিন দুইবার বাঁধা হয়?
.
নিকটবর্তী কিংবা একই উদয়স্থল মনে করে যে এলাকায় রোযা আগে শুরু হলো সেই এলাকা থেকে সিয়াম শুরু করে দূরবর্তী কিংবা ভিন্ন উদয়স্থল মনে করে যে এলাকায় পরেরদিন সিয়াম শুরু হলো সেই এলাকায় গিয়ে ঈদ করলে অন্যদের সিয়াম ২৯ টি হলে তার সিয়াম ৩০ এবং অন্যদের সিয়াম ৩০ টি হলে তার সিয়াম ৩১ টি হয়ে যাবে। আবার যে এলাকায় পরেরদিন সিয়াম শুরু হলো সেই এলাকা থেকে সিয়াম শুরু করে যে এলাকায় সিয়াম আগে শুরু হলো সেই এলাকায় গিয়ে ঈদ করলে অন্যদের সিয়াম ২৯ টি হলে তার সিয়াম ২৮ টি হয়ে যাবে এবং অন্যদের সিয়াম ৩০ টি হলে তার সিয়াম ২৯ টি হয়ে যাবে। অথচ রাসূল সঃ এর হাদীস অনুযায়ী মাস ২৯ অথবা ৩০। ২৮ ও ৩১ সিয়াম ইসলামে নাই।
.
সুতরাং নিকটবর্তী দূরবর্তী অনুযায়ী আমল করলে এসকল সমস্যা দেখা দেয়।
.
উপরন্তু রাসূল সঃ এর ক্বওলী ও ফেলী হাদীসে এমন কোন শর্ত পাওয়া যায় না যে শুধু নিকটবর্তী অঞ্চলের সাক্ষ্যই গ্রহণযোগ্য কিংবা দূরবর্তী অঞ্চলের সাক্ষ্যই গ্রহণযোগ্য নয়, এই রকম কোনো শর্ত রাসূল ﷺএর ক্বওলী ও ফেলী হাদীসে পাওয়া যায়না।
.
রসূল ﷺ তো চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে শুধু নিকটবর্তী এলাকার সংবাদ গ্রহণ করা যাবে কিংবা দূরবর্তী এলাকার চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণ করা যাবেনা এমন শর্ত দেন নি, আমরাও দেই না।
.
(4) যারা বলেন এক এলাকার চাঁদ দেখার সংবাদ অন্য এলাকায় প্রযোজ্য নয় তাদেরকে বলি সেই এলাকা বলতে কি গ্রাম নাকি ইউনিয়ন নাকি থানা নাকি উপজেলা নাকি জেলা নাকি বিভাগ নাকি প্রদেশ নাকি দেশ নাকি মহাদেশ বুঝায়? যদি জেলা হয় তবে সর্বশেষ যে জেলায় সংবাদ গ্রহনের কারণে ঈদ হলো আর পাশের জেলায় গ্রহণ না করার কারণে সিয়াম হলো এই দুই জেলার সীামান্ত অঞ্চলের মানুষ কি করবে? যদি দেশ হয় তবে সর্বশেষ যে দেশে সংবাদ গ্রহনের কারণে ঈদ হলো আর পাশের দেশে সংবাদ গ্রহণ না করার কারণে সিয়াম হলো এই দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ কি করবে? বৃটিশের দেওয়া হারাম জাতীয়তাবাদী সীমান্ত অনুযায়ী কেন মুসলিমদের রোযা ঈদের দিন আলাদা হবে?
.
২০২০ সালে পাকিস্তানে রবিবার ঈদুল ফিতর হয়েছে। ভারতে সোমবার ঈদুল ফিতর হয়েছে। অর্থাৎ একই দিনে একই বার (রবিবার) এ পাকিস্তানে ঈদুল ফিতর আর ভারতে সিয়াম (রোজা)। সীমান্ত ১৯৪৭ সালে বৃটিশরা যেখান দিয়ে দিয়েছে ঈদ সিয়ামও সেই কাঁটাতারের বেড়া অনুযায়ী শাসকের ঘোষণায় আলাদা হয়েছে!!
.
ধরুন ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝামাঝি কিছু মুসলমান অবস্থান করছে যারা ভারতের বা পাকিস্তানের নাগরিক নয়। তাহলে তারা রবিবার কি সিয়াম (রোজা) রাখবে নাকি ঈদ করবে? দলিল সহ জানতে চাই।
.
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ঈদের দিন সিয়াম (রোযা) রাখা হারাম। বৃটিশের দেওয়া হারাম জাতিয়তাবাদী সীমান্তের দুইপাশে পা দিয়ে দাঁড়ালে রবিবার সে সিয়াম (রোজা) রাখবে নাকি ঈদ করবে?
.
সীমান্ত বৃটিশরা যেখান দিয়ে দিয়েছে ঈদ রোজাও সেই কাঁটাতারের বেড়া অনুযায়ী শাসকের ঘোষণায় আলাদা হয়েছে। এই সীমান্ত যদি বৃটিশরা ৪৭ সালে না দিতো তাহলে কি সিয়াম (রোজা) করতে হতো নাকি ঈদ করতে হতো?
.
এখন যদি সীমান্ত মুছে দিয়ে একদেশ বানিয়ে দিলে কি সিয়াম (রোজা) করতে হবে নাকি ঈদ করতে হবে? দলিল সহ জানতে চাই।
.
পাক ভারত সীমান্তের দুইপাশে একই বার একই দিন। এতে কি একই দিনে সিয়াম ও ঈদ উভয়টির আমল করা হচ্ছেনা? অথচ ঈদের দিন সিয়াম রাখা হারাম।
.
আফগানিস্তান ও পাকিস্তান একেবারে পাশাপাশি অর্থাৎ একই ভূমি, মুসলিম জাতির ভূমি। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মাঝে এই কৃত্রিম বর্ডার আল্লাহ দেননি, রসূল ﷺ ও দেননি। তাহলে দুই দেশের আরাফার দিন কেন দুই দিনে হবে? দুই দেশের ঈদুল আযহা কেন দুই দিনে হবে?
.
অনেক বছরেই আফগানিস্তানে যেদিন ঈদ হচ্ছে পাকিস্তানে সেদিন সিয়াম (রোজা) রাখা হচ্ছে। সীমান্ত যেখান দিয়ে মানুষ দিয়েছে ঈদ সিয়ামও সেই কাঁটাতারের বেড়া অনুযায়ী শাসকের ঘোষণায় আলাদা হয়েছে। এই হারাম জাতীয়তাবাদী সীমান্ত যদি মানুষ না দিতো তাহলে কি উভয় দেশের ঈদের দিন ভিন্ন হতো?
.
আফগানিস্তানে যেদিন ঈদ আর পাকিস্তানে সিয়াম রোজা সেদিন মাঝখানের হারাম জাতিয়তাবাদী সীমান্তের দুইপাশে পা দিয়ে দাঁড়ালে কি রোজা রাখতে হবে নাকি ঈদ করতে হবে?
.
এ সীমান্ত মুছে দিয়ে একদেশ বানিয়ে দিলে কি সিয়াম করতে হবে নাকি ঈদ করতে হবে?
.
পাক আফগান সীমান্তের দুইপাশে একই বার একই দিন। এতে কি একই দিনে সিয়াম ও ঈদ উভয়টির আমল করা হচ্ছেনা? অথচ ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম।
.
কুরআন হাদীসে কোথায় আছে দেশের শর্ত? কুরআন হাদীসে কোথায় আছে নিজ দেশের হারাম জাতীয়তাবাদী সীমান্তের বাহিরের চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণযোগ্য নয়?
.
দেশের সীমা কতটুকু হবে, কুরআন হাদীস অনুযায়ী জানতে চাই।
.
এক শহরের চাঁদ দেখা অন্য শহরে গ্রহণযোগ্য বলেই মদীনাবাসী চাঁদ না দেখার পরও রাসূল সঃ অন্য শহর থেকে আসা সংবাদে সিয়াম ভেঙেছেন। আর শুধু দেশের কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরের চাঁদের সংবাদ গ্রহণ করা যাবে অথবা বর্ডারের বাইরের চাঁদের সংবাদ গ্রহণ করা যাবেনা, এ মর্মে কোন আয়াত বা হাদীস নেই।
.
বৃটিশের দেয়া জাতিয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার একপাশে লাইলাতুল ক্বদর একরাতে আর অপর পাশে লাইলাতুল ক্বদর তার পরের রাতে, এটা হতে পারেনা। কারণ কুরআন তো দুই রাতে নাযিল হয়নি, বরং একরাতেই হয়েছে। তেমনি জাতিয়তাবাদী বর্ডারের একপাশে প্রধান শয়তানকে যেদিন বাঁধা হয়, অপরপাশে তার পরের দিন বাঁধা হয়, এটাও হতে পারেনা। তেমনিভাবে জাতিয়তাবাদী সীমান্তের একপাশে যেদিন ঈদ, অন্যপাশে সেদিন সিয়াম (রোজা) এটাও গ্রহণযোগ্য নয়। ঈদের দিন সিয়াম (রোজা) রাখা হারাম।
.
মুসলমানদের ভূমি একটাই। হারাম জাতিয়তাবাদী বর্ডার দিয়ে একক মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করা হারাম। চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে রসূল ﷺ দেশের সীমারেখার কোন শর্ত দেননি আমরাও দেই না।

Friday, April 16, 2021

একইদিনে ঈদ ছিয়াম পালন সম্ভব নয় যদি পৃথিবীতে শুধু একজন খলিফা থাকে তবুও

এক ভাইয়ের কমেন্টঃ (সারাবিশ্বে একইদিনে ঈদ ছিয়াম পালন সম্ভব নয় যদি পৃথিবীতে শুধু একজন খলিফা থাকে তবুও) 

:

তার ব্যাখ্যাঃ

মনে করুন পুরো বিশ্বে ইসলামি শরীয়াহ কায়েম হয়ে গেছে। কোথাও কোন কাটাতারের বেড়া নেই। 

এখন মনে করুন আজ শুক্রবার ২৯শে শাবান। পৃথিবীর কোন এক শহরে মাগ্রিবের সময়ে আকাশে রমজানের নতুন চাঁদ দেখা গেল। এবং খলিফার পক্ষ থেকে ঘোষণা এল শনিবার থেকে পুরো মুসলিম বিশ্বে রমজানের রোজা রাখা হবে। এই ঘোষণাটি যখন দেয়া হল তখন পৃথিবীর কোন এক শহরে শনিবার সকাল ৮ টা বাজে। অর্থাৎ তারা কিন্তু শনিবার থেকে তাদের রোজা শুরু করতে পারছেনা। কারণ রোজা রাখার শর্ত হল সুবহে সাদিকের আগে রোজার নিয়ত করা। কাজেই পৃথিবীর সব মুসলিম চাইলেই একদিনে রোজা রাখতে পারবেনা। অনুরুপ ভাবে একইদিনে ঈদও করা সম্ভব নয়। আশা করছি বুঝাতে পারলাম।

:

:

#আমার_জবাবঃ

ভাই আপনি খুব সুন্দর যুক্রি উপস্থাপন করেছেন & আপনার যুক্তি বুঝেছি তবে আপনার যুক্তিটা অবাস্তব ও অপ্রাসঙ্গিক ও অবৈজ্ঞানিক। 

মহান আল্লহ এই বিশ্বকে সুশৃঙ্খলভাবে বানিয়েছেন। এটাই সৃস্টিকর্তার বিশেষ গুণ ও মহিমা। 

সর্বপ্রথম পৃথিবীতে নতুন দিনের সূর্য উদয় হয় জাপানে। এরপর আস্তে পুরো পৃথিবীতে। 

আর নতুন চাঁদ খালি চোখে সর্বপ্রথম দৃশ্যমান হয় মধ্যপ্রাচ্যে। প্রতি বছর এরকমটাই হয়৷ তাই আপনি ইচ্ছা মতো যেকোন একটা স্থানকে ধরে নিয়ে হিসাব কসলে তা বাস্তবতার উপর হবেনা। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের সর্বোচ্চ পার্থক্য ১২ ঘন্টার বেশি হবার কথা নয় ২৪ ঘন্টার হিসেবে। 

মধ্য প্রাচ্য পৃথিবীর মিডিলে অবস্থিত। সুতরাং মধ্য প্রাচ্যে আগে চাঁদ দেখা গেলে সেটা সর্বোচ্চ ৬/৭ ঘন্টা আগে অথবা পরে ধরে নিলে সারা বিশ্বে একই চাদের সংবাদে ঈদ ছিয়াম পালন সম্ভব।

যেমন সৌদিতে যদি ৭ টায় চাঁদ দেখা যায়। এটা পশ্চিমের দেশের জন্য কোন প্রতিবন্ধকতা নয় কারন তাদের এখনো সন্ধ্যাই হয়নি। সমস্যা হলো পূর্বের দেশ নিয়ে। এখন জাপান হলো সবচেয়ে পূর্বের দেশ। সৌদি থেকে জাপানের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৬ ঘন্টা।

এখন, ৭+৬= জাপানে তখন রাত ১টা যখন সৌদিতে রাত ৭ টা।

এই সময়ে খবর পেলে খুব সুন্দরভাবেই তারাবিহ ও সাহরি ছিয়াম সবই সম্ভব অনায়সে। যদি আরো ১ ঘন্টা বারতি ধরা হয় তাহলেও খুব সুন্দরভাবেই সবকিছু করা সম্ভব। আশাকরি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি বিষয়টি।

শেষ রাতে আল্লাহ প্রথম আকাশে নেমে আসেন তাহলে কোন দেশের শেষ রাতে?

 প্রশ্নঃ শেষ রাতে আল্লাহ প্রথম আকাশে নেমে আসেন তাহলে কোন দেশের শেষ রাতে? 

জবাব:

আল্লাহর অবতরন তো আল্লাহর সিফাত। আল্লাহর সিফাত আর বৃটিশের ভাগ করা সীমান্ত দিয়ে ছিয়াম ঈদের বিধান আলাদা করা দুটি বিষয় কি এক রকমের জিনিস হলো? আল্লাহর সিফাত নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিদআত পক্ষান্তরে ফিকাহ শাস্ত্রের ইমামগণ চাঁদ দেখা ও সিয়াম ঈদ সংক্রান্ত অনেক মত প্রদান করেছেন। সৌদির শেষ রাত আর বাংলাদেশের শেষ রাত যেমন পার্থক্য আছে, তেমনি বাংলাদেশেও শেষ রাত সব জায়গায় একই সময় হয় না কিন্তু বাংলাদেশে রোজা একই দিনে/বারে হয়। 


আল্লাহর সিফাত নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিৎ নয়। ইমাম মালিক ইবন আনাস, সুফিয়ান ইবন উআয়না, আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (র.) প্রমূখ ইমামদের থেকে এই ধরণের বক্তব্য বর্ণিত আছে। এই ধরণের হাদিসগুলো সম্পর্কে তাঁরা বলেন, “কী ধরণের?” - সে প্রশ্ন না তুলে যেভাবে উল্লিখিত হয়েছে সেভাবেই তা মেনে নাও। 


ইমাম আবু হানিফা (রহমাতুল্লহ আলাইহি) কে মহান আল্লাহর অবতরণ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি উত্তরে বলেন:


 ينزل بلا كيف 


“[মহান আল্লাহ] অবতরণ করেন, কোনোরূপ পদ্ধতি বা স্বরূপ ব্যতিরেকে।”


(তার কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল) 


সহীহ বুখারীতে সিফাত-সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহমাতুল্লহ আলাইহি) এর বক্তব্য উল্লেখ করেছেন ইবন রজব হাম্বলী (রহমাতুল্লহ আলাইহি) --


আমি আবু আব্দুল্লাহকে [আহমাদ বিন হাম্বল(র.)] বললাম, 


“আল্লাহ কি দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন?” 


তিনি বললেন, 


“হ্যাঁ”। 


আমি বললাম, 


“তাঁর অবতরণ কি ইলম (জ্ঞান) দিয়ে অথবা কী দিয়ে?” 


তিনি বললেন, 


“এই বিষয়ে চুপ করো। তোমার কী দরকার এ বিষয়ে? হাদিসে যেভাবে ‘কীভাবে’ বা সীমা ছাড়া বর্ণিত হয়েছে সেভাবে মেনে নাও। তবে কোন আছার বা হাদিস যদি বর্ণিত হয়, তাহলে ভিন্ন কথা। অথবা যদি কিতাবে বর্ণিত হয়। মহান আল্লাহ বলেন, “অতএব, আল্লাহর কোন সদৃশ সাব্যস্ত করো না।” (সুরা নাহল ১৬ : ৭৪) ” ” এর পরে ইবন রজব হাম্বলী(র.) উল্লেখ করেছেন, “ [আল্লাহর] ‘অবতরণ’ বিষয়ে যা বর্ণিত হয়েছে, তার উপর নড়াচড়া, স্থানান্তর, আরশ থেকে খালি হওয়া, না থাকা এ সকল কিছু সাব্যস্ত করা বিদআত। এ ব্যপারে গভীরে অনুসন্ধান করা কোনো প্রশংসনীয় কাজ নয়।”


(ইবন রজব হাম্বলী (রহমাতুল্লহ আলাইহি) এর বর্ণনা এ পর্যন্তই এখানে দেয়া হলো।)


ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম মালিক, ইমাম আবু হানীফা এবং সালাফগণ আল্লাহর সিফাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। কিন্তু চাঁদ এবং ঈদের ব্যপারে তারা ফাতওয়া দিয়েছেন।


‘আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া’ নামক গ্রন্থের ভাষ্য হচ্ছে-


“পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলে সকল স্থানেই উক্ত দেখার দ্বারা সিয়াম (রোযা) ফরয হবে । চাই চাঁদ নিকটবর্তী দেশে দেখা যাক বা দূরবর্তী দেশে দেখা যাক এতে কোন পার্থক্য নেই । তবে চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে অন্যদের নিকট পৌছতে হবে। তিন ইমাম তথা ইমাম আবু হানীফা রহমাতুল্লহ আলাইহি, ইমাম মালিক রহমাতুল্লহ আলাইহি এবং ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহমাতুল্লহ আলাইহি এর মতে চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। অর্থাৎ প্রথম দিনের দেখার দ্বারাই সর্বত্র আমল ফরয হয়ে যাবে”। (আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়ার উদ্ধৃতি এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল)


(উদ্ধৃতি এপর্যন্তই খানে দেয়া হলো।)

[(আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া, খন্ড-১, পৃঃ-৪৪৩) অথবা (আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া, খন্ড-১, পৃঃ-৮৭১)]


আল্লাহর সিফাত আর বৃটিশের ভাগ করা সীমান্ত দিয়ে সিয়াম ঈদের বিধান আলাদা করা দুটি বিষয় কখনো তুলনীয় নয়। বৃটিশের দেয়া জাতিয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার একপাশে লাইলাতুল ক্বদর একরাতে আর অপর পাশে লাইলাতুল ক্বদর তার পরের রাতে, এটা হতে পারেনা। কারণ কুরআন তো দুই রাতে নাযিল হয়নি, বরং একরাতেই হয়েছে। তেমনি জাতিয়তাবাদী বর্ডারের একপাশে প্রধান শয়তানকে যেদিন বাঁধা হয়, অপরপাশে তার পরের দিন বাঁধা হয়, এটাও হতে পারেনা। তেমনিভাবে জাতিয়তাবাদী সীমান্তের একপাশে যেদিন ঈদ, অন্যপাশে সেদিন ছিয়াম (রোজা) এটাও গ্রহণযোগ্য নয়। ঈদের দিন ছিয়াম (রোজা) রাখা হারাম।


মুসলিমদের ভূমি একটাই। হারাম জাতিয়তাবাদী বর্ডার দিয়ে একক মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করা হারাম। চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে রসূল ﷺ দেশের সীমারেখার কোন শর্ত দেননি আমরাও দেই না।

Wednesday, April 14, 2021

বিষয়টি সৌদির সাথে অর্থাৎ সৌদির জাতীয়তাবাদী বর্ডারের সাথে শর্তযুক্ত নয়

 ♦♦বিষয়টি সৌদির সাথে অর্থাৎ সৌদির জাতীয়তাবাদী বর্ডারের সাথে শর্তযুক্ত নয়।

পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকেই প্রথম চাঁদ উঠার ও দেখার নির্ভরযোগ্য শরীয়তসম্মত সংবাদ পাওয়া যাবে সেই সংবাদে চাঁদের তারিখ নির্ভর সকল ইবাদাত পালনীয় হবে।

4️⃣ ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় জেদ্দায় রমজানের নতুন চাঁদ খালি চোখে দেখা না গেলেও মঙ্গলবার সিয়াম (রোজা) শুরু হয়েছে বলেছেন আঃ কাদির মোল্লা। দেখুন 

https://www.moonsighting.com/1442rmd.html 

3️⃣ ২০২০ সালের ১৯ ই অগাস্ট বুধবার সন্ধ্যায় সৌদিতে মুহাররমের নতুন চাঁদ খালি চোখে দেখা না গেলেও বৃহস্পতিবার ০১ ই  মুহাররম, ১৪৪২ হিজরী শুরু হয়েছে। দেখুন https://www.moonsighting.com/1442muh.html

2️⃣ ২২ ই মে ২০২০ শুক্রবার সৌদি চাঁদের সংবাদ প্রচার করলেও তা ভূল হতো এবং অনুসরণীয় হতোনা। কারণ সেদিন আমাবস্যা ছিল।

২০২০ সালের এপ্রিলের ২৩ তারিখ বৃহ: বার সন্ধ্যায় জেদ্দায় খালি চোখে চাঁদ দেখা যায়নি বলেছেন আঃ কাদির মোল্লা। কিন্তু সৌদিতে শুক্রবার রোজা শুরু হয়েছে। দেখুন https://www.moonsighting.com/1441rmd.html 

1️⃣ ২০১৯ সালে ৩রা জুন সোমবার সন্ধ্যায় সৌদির সীমানার মধ্যে খালি চোখে চাঁদ না দেখা গেলেও মঙ্গলবার ঈদ হয়েছে। দেখুন https://www.moonsighting.com/1440shw.html

চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে রসূল সঃ দেশের সীমারেখার কোন শর্ত দেননি আমরাও দেই না।

Tuesday, April 13, 2021

জাতীয়তাবাদের সরূপ

 ২০২০ সালে পৃথিবীর ১৯৫ টি দেশের মধ্যে ১৮৯ টি এবং OIC এর সদস্য ৫৭ টি মুসলিম দেশের মধ্যে বাংলাদেশ বাদে বাকি ৫৬ টি দেশ পৃথিবীর আকাশে নতুন চাঁদ দেখে সারাবিশ্বে একই দিনে একই বারে একই তারিখে ঈদ পালন করেছে। 


পাকিস্তানও একই দিনে ঈদ পালন করেছিলো। ৫০ বছর পিছনে গেলে এই দেশও পাকিস্তানের অংশ ছিলো আর তা যদি বহাল থাকতো বর্তমানেও তাহলে বাংলাদেশেও ২০২০ সালে একই দিনে ঈদ হতো!!


এখন প্রশ্ন হলো, ইসলামের বিধান কি মানুষ সৃষ্ট দেশ ভাগ হওয়ার সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে যায়??


বাংলাদেশ থেকে ভাগ হয়ে চট্টগ্রাম যদি আলাদা রাষ্ট্র গঠন করে তাহলে কি তাদেরও আলাদা আলাদা চাঁদ দেখতে হবে? 


নিজের দেশের কাটা তারের বেড়ার মধ্যে চাঁদ দেখলেই সেটা গ্রহনযোগ্য আর তাঁর বাহিরে দেখলে তা গ্রহনযোগ্য নয় এই বিধান কোথায় পেয়েছেন?? 

কুরআন হাদিসের কোন দলিল আছে কি??  


আপনার এই নীতি যে জাতীয়তাবাদী নীতি এটা কি একবারও ভেবেছেন কখনো??


রছুল (ছঃ) বলেন, 

“সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয় যে জাতিয়তাবাদের দিকে আহবান করে, জাতিয়তাবাদের জন্য যুদ্ধ করে বা জাতিয়তাবাদের জন্য মারা যায়”। [আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১২১]


রছুল (ছঃ) আরও বলেন,

“যে আসাবিয়্যার (অর্থাৎ জাতীয়তাবাদের) জাহেলী আহবানের দিকে মানুষকে ডাকে সে যেন তার পিতার লজ্জাস্থান কামড়ে ধরে পড়ে আছে (তাকে ছাড়তে চাইছে না) । (এরপর রছুল ছঃ বলেন) এবং একথাটি লুকিয়ে রেখোনা (অর্থাৎ বলার ক্ষেত্রে কোনো লজ্জা বা অস্বস্তি বোধ করোনা)”।  [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২১২৩৩]

 

আল্লহ আমাদের সঠিক বুঝার ও মান্য করার তৌফিক দান করুন।

বাংলাদেশি আলিমদের দ্বিমুখি নীতি

 ঐ আলেম ও অন্ধ অনুসারীগণ কি এই আয়াতের আমল করে⁉️

.

সূরা আল বাকারহ ২:১৮৭  ...আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায় 

.

নাকি ঘড়ি দেখে সাহরি করেন ⁉️

.

অথচ এরাই আবার বাপদাদার অন্ধ অনুসরণ টিকিয়ে রাখতে ও তর্কে জয়ী হওয়ার জন্য নিজে চাঁদ দেখে আমল করার কথা বলে!! 

(যদিও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে)

২০২০ সালে বাংলাদেশ ছাড়া OIC ভুক্ত ৫৭ দেশের মধ্যে ৫৬ দেশই একই দিনে ঈদ পালন করেছে

আপনি কি জানেন যে, 

২০২০ সালে পৃথিবীর ১৯৫ টি দেশের মধ্যে ১৮৯ টি এবং OIC এর সদস্য ৫৭ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ বাদে বাকি ৫৬ টি দেশ পৃথিবীর আকাশে নতুন চাঁদ দেখে সারাবিশ্বে একই দিনে একই বারে একই তারিখে সিয়াম ও ঈদ পালন করেছে। 

এরপরেও কিছু অন্ধ অনুসারী যারা বাপ-দাদার সুত্রে বিশ্বাসী ও জাতীয়তাবাদিতার বেড়াজালে আটকা প্রাণীরা বলে বেড়ায় যে, গ্লোবাল মুনের অনুসারীর চেয়ে নাকি তারা সংখ্যায় বেশি!! 

https://cutt.ly/eveGoeL

সংবাদ লিংক


New history; Eid to be celebrated on same day globally this year

Idaily-bangladesh.com

Published: 11:57 20 July 2020   Updated: 12:13 20 July 2020


The new moon of the holy month of Jilhaj will be sighted on Tuesday in the sky of Bangladesh like other countries of the world, predicted the astronomers. This is going to create a new history. Eid al-Adha of this year is likely to be celebrated on the same day worldwide. 

The astronomy researchers said that this year an opportunity to end the years-long debate over whether to start fasting or celebrate Eid on the same day in all Muslim countries has come.

According to MoonSighting.com, the moon of the month of Jilhaj will not be visible from anywhere in the world on July 20. However, it will be clearly visible from most countries of the world on July 21. The western countries from Bangladesh will sight the moon with the naked eye. Besides, if the sky is clear, the moon can be seen clearly from Bangladesh and its neighbouring countries. 

Astronomer and researcher Dr Syed Jilani Mahbubur Rahman said, "Analyzing the position and age of the moon in other years, it appears that the moon will be sighted in Bangladesh this year."

He added that some scholars believed that Eid in Bangladesh will be celebrated on the day after Saudi Arabia. The concept is totally wrong because it has no documents. According to the scientific chart, July 30 and 31 are the day of Hajj and the holy Eid-ul-Adha respectively.

According to the Hijri Calendar, 189 out of 195 countries in the world started Ramadan and celebrated Eid-ul-Fitr on the same date this year. Similarly, out of the 57 OIC members, 56 countries except Bangladesh observed Ramadan and Eid on the same day

রছুল ছঃ এর যুগে তো প্রযুক্তি ছিলো না তাহলে কেন আপনারা এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই ঈদ ছিয়াম পালনের কথা বলছেন?

রছুল ছঃ এর যুগে তো প্রযুক্তি ছিলো না তাহলে কেন আপনারা এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই ঈদ ছিয়াম পালনের কথা বলছেন? 


উটের যুগে বা ঘোড়ার যুগে একদিনে সর্বোচ্চ ৪৮ মাইল পর্যন্ত যাওয়া যেত। আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামতো প্রায় ১৬৪ মাইল। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর যুগে এই ১৬৪ মাইল পথ অতিক্রম করতে প্রায় ৪ দিন লেগে যেত। 

আবার টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার দুরত্ব প্রায় ১০০০ কিমি এক্ষেত্রে কতদিন লাগতে পারে হিসাব করেন?  


এত দূরত্ত্বে কেন আপনি প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদের সংবাদ পৌঁছাচ্ছেন? 


রছুলুল্লহ (ছঃ) এর যুগেতো এত দূরে কখনই এক অঞ্চলের চাঁদের খবর অন্য অঞ্চলে পৌঁছানো সম্ভব ছিলো না। এভাবে যদি আপনি চিন্তা করেন তাহলে আপনি সমাধান অবশ্যই পেয়ে যাবেন। যদি বলেন, চট্টগ্রামতো আমাদের দেশের অন্তর্ভূক্ত তাহলে ভাই আপনি বলুনতো দেশের সীমানা নির্ধারণ কি আল্লহ্ এবং তাঁর রছুল (ছঃ) করে থাকেন? 

নিশ্চয়ই না। বরং মানুষ নিজেরাই করে থাকে এক সময় এই বাংলাদেশ ভারতের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। পরবর্তীতে পাকিস্তানের অংশ হয় এরপরে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে দেশের সীমানা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ নামক রাস্ট্র তৈরি হয়। 


তাই এখন যদি চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে স্বাধীন হয়ে যায় তাহলে কি চট্টগ্রামের জন্য আলাদা চাঁদ কমিটি গঠিত হবে? নিশ্চয়ই এই ধরণের অযৌক্তিক মন্তব্য আপনি করবেন না।


অতএব, দেশের সীমানা দেখা শারী’আহ্’র বিধান নয়। বরং নতুন চাঁদের সংবাদ যতদূর সম্ভব প্রচার করতে হবে এবং যে অঞ্চল পর্যন্ত নতুন চাঁদ উদয়ের সংবাদ পৌঁছাবে ততদূর পর্যন্ত ঐ নতুন চাঁদের হিসাবটি গণ্য হবে।

Thursday, April 8, 2021

স্বামী-স্ত্রী, বিয়ে এবং দাম্পত্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ~শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী হাফিঃ

 স্বামী-স্ত্রী, বিয়ে এবং দাম্পত্য বিষয়ক লিংক-১

(৩০টি লিংক)

 ▬▬▬❂◍▬▬▬

১. পাত্রী নির্বাচনের সঠিক মানদণ্ড

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/907257549693791

২. পাত্র নির্বাচনের মানদণ্ড কী?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/689618094791072

৩. দাম্পত্য জীবনে মধুর সম্পর্ক এবং ভালবাসা ​বিনিময়ের অভাবনীয় মর্যাদা​

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1155168078236069

৪. স্বামী-স্ত্রী মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত ও অন্যতম নিদর্শন। সুতরাং এ ব্যাপারে যত্নশীল হোন:

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/584508058635410

৫. নবদম্পতির মাঝে মিল-মোহাব্বত সৃষ্টির ১০ উপায়

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/740115226408025

৬. স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের আবশ্যকতা এবং পদ্ধতি

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/584316645321218

৭. স্বামীর আনুগত্য করার আবশ্যকতা এবং তার অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়ার বিধান

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/738353666584181

৮. প্রশ্ন: স্বামীর আনুগত্য  আমরা কীভাবে করবো? কী কী কাজ করলে স্বামীর আনুগত্য করা হবে?

https://m.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/565174303902119

৯. প্রশ্ন: বিয়ের পরে একটা মেয়ে কতটুকু স্বাধীনভাবে চলতে পারবে?

https://m.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/980150599071152

১০. স্বামীর অনুমতি ছাড়া রক্ত দান করার বিধান

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1165917473827796

১১. স্বামী-স্ত্রী: কে কোন পাশে হাঁটবে, বসবে বা ঘুমাবে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1172735533145990

১২. প্রশ্ন: স্বামী যদি স্ত্রীকে দ্বীনের জ্ঞার্নাজনে নিষেধ করে তাহলে কী করণীয়?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/654349128317969

১৩. স্বামীর আনুগত্য এবং তার সীমা

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/460248137728070/

১৪. প্রশ্ন: আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত স্বামীর আনুগত্য করা আবশ্যক কি?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/395489474203937

১৫. স্ত্রীর জন্য কি স্বামীর অসম্মতিতে তার নিকটে না থেকে তার শশুর-শাশুড়ির খেদমতের উদ্দেশ্যে তাদের কাছে থাকা ঠিক হবে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/577687735984109

১৬. আজানের সময় আজানের জবাব আগে না কি স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া আগে? সহবাসের সময় আজানের জবাব দেয়া যাবে কি?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/765299643889583

১৭. আমার স্বামীর অক্ষমতার দরুন আমি আমার দেবরের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। এতে কি আমার জন্য আমার স্বামী হারাম হয়ে গেছে? এখন আমার কী করণীয়?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1122309534855257

১৮. স্বামীর ইবাদত-বন্দেগিতে অনীহা এবং খারাপ আচরণে স্ত্রী যখন চরম বিরক্ত ও বীতশ্রদ্ধ....​

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/596393254113557

১৯. যে স্ত্রীর স্বামী বিদেশে থাকে তার জন্য ১০টি দিকনির্দেশনা

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1096286367457574

২০. স্বামী-স্ত্রী কত দিন আলাদা থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1056548651431346

২১. বিবাহ বিচ্ছেদের কয়েকটি কারণ: বাঁচতে হলে জানতে হবে

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1044643955955149

২২. দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা বৃদ্ধির কয়েকটি সহজ উপায়:

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/826449774441236

২৩. বাসর রাতের বিশেষ নামায ও দুআ

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/629559724130243

২৪. প্রশ্ন: বাসর রাতে কি যৌনমিলন আবশ্যক? যদি তাই হয় তাহলে একজন অপরিচিতার সাথে তা কীভাবে সম্ভব?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/899641537122059

২৫. স্বামী-স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে নিয়ে জামাআতে সালাত আদায় করার পদ্ধতি

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/613329995753216

২৬. নির্জনে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পর্দা কতটুকু?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/767108803708667

২৭. ইসলামের দৃষ্টিতে অন্ত:স্বত্বা স্ত্রীর সাথে সহবাস এবং তার খাওয়া-দাওয়া ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/728353367584211

২৮. স্বামীর সাথে এক বিছানায় শোয়া যাবে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1003626313390247

২৯. স্বামী বা মাহরাম পুরুষ ছাড়া মহিলাদের হজ্জ বা উমরা আদায়

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=716449942107887&id=235040300248856

৩০. স্ত্রীর অন্যায় ও পাপাচারে স্বামীর চুপ থাকা নাজায়েজ

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1179293479156862

 

স্বামী-স্ত্রী, বিয়ে এবং দাম্পত্য বিষয়ক লিংক-

(৩০টি লিংক)

 ▬▬▬❂◍▬▬▬

৩১. প্রশ্ন: মুশরিককে বিয়ে করে সন্তান হলে সে কি জারজ সন্তান হবে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/878066442612902

৩২. প্রশ্ন: পর্দানশীন মেয়ের সাথে কি প্রেম করা যাবে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/924294784656734

৩৩. কোনো পুরুষকে পছন্দ হলে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য দুআ করার বিধান এবং বিয়ের ক্ষেত্রে একজন পুরুষের মধ্যে কোন কোন বৈশিষ্ট দেখা জরুরি

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/679628285790053

৩৪. বাড়িতে স্বামী-সন্তানদের সামনে পর্দা এবং টয়লেট যাওয়ার সময় মাথায় কাপড় দেয়ার বিধান

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/657151451371070

৩৫. তার স্বামী বর্তমানে জেলে... প্রতিবেশী ছেলেরা খারাপ প্রস্তাব দেয়...

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/783662125386668

৩৬. বৃদ্ধ মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত পালনের মেয়াদ বিধি-বিধান

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/383852522034299

 ৩৭. কী কী কারণে স্ত্রীর জন্য তার স্বামীর নিকট খোলা  তালাক চওয়া বৈধ?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/595346487551567

৩৮. স্বামী যদি স্ত্রীকে তার ভাই-বোন, খালা, খালাতো বোন ইত্যাদি রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেয় তাহলে কি তা মানা আবশ্যক?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/579690119117204

৩৯. বদমেজাজি অহংকারী ব্যক্তির পরিণতি এবং এমন স্বামীর সাথে আচরণের ১৫টি কৌশল

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/770243190061895

৪০. ফেসবুক-ইউটিউবেস্বামী-স্ত্রীর ভিডিও আপলোড করার বিধান

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/716913538728194

৪১. স্বামী বা স্ত্রী মারা গেলে কি একে অপরকে দেখতে বা গোসল দিতে পারে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/571922399893976

৪২. স্বামী -স্ত্রী একত্রে কিভাবে জামাত করে সালাত আদায় করবে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/937240130028866

৪৩. স্ত্রীর উপর স্বামীর কর্তৃত্ব শাসন: কিভাবে কতটুকু? স্ত্রী অবাধ্য হলে স্বামীর করণীয়

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1173367909749419

৪৪. প্রশ্ন: স্ত্রী কে জান, কলিজা, পাখি ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা যাবে কি?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1152090295210514

৪৫. বিয়েতে আত্মীয়-অনাত্মীয়: কোনটি উত্তম? নিকটাত্মীয় মেয়েকে বিয়ে করলে সন্তানের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কি?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1151440211942189

৪৬. নিকটাত্মীয় বা স্বামীর মৃত্যুতে মহিলাদের শোক পালন করার বিধিবিধান:

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1144113362674874

৪৭. স্ত্রী সহবাসের পর তৎক্ষণাৎ গোসল এবং কিছু ভুল ধারণা

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/889884831431063

৪৮. প্রশ্ন: স্বামী যদি স্ত্রীর কাছে সুন্দর দেখানোর জন্যে দাড়ি শেভ করে তাহলে কি করা উচিৎ?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/884975108588702

৪৯. প্রশ্ন: স্ত্রী যদি গর্ভবতী থাকে তাহলে তার স্বামী কোন জানাজার সালাতে অংশ নিতে পারে না। কথাটা কতটুকু সঠিক?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/587066868379529

 ৫০. ইসলামের দৃষ্টিতে 'গোপন বিয়ে

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/742857852800429

৫১. স্বামী-স্ত্রীর বিনোদনের সময় কখন গোসল ফরয হয় আর কখন হয় না

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/588223221597227

৫২. স্বামী-স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে নিয়ে জামাআতে সালাত আদায় করার পদ্ধতি

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/613329995753216

৫৩. প্রশ্ন: বিবাহ পূর্ববর্তী কোন রিলেশনের কথা স্বামী /স্ত্রী কে জানানোর ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/401697670249784

৫৪. বিবাহ বিচ্ছেদের কয়েকটি কারণ: বাঁচতে হলে জানতে হবে

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1044643955955149

৫৫. স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/591082727977943

৫৬. স্বামীকে পরকীয়া থেকে রক্ষা করার উপায়

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/564442743975275

৫৭. প্রশ্ন: স্বামীর নাম ধরে ডাকা কি জায়েজ?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/898803643872515

৫৮. ‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত কথা কি হাদিস সম্মত?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/453732441712973

৫৯. এক মেয়েকে বিয়ে করার পর একটি বাচ্চাও ভূমিষ্ঠ হয়েছে। তারপর জানা গেছে সে তার দুধবোন!  ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান কি?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/869510290135184

৬০. প্রশ্ন: স্বামী যদি পাগল হয়ে যায় তাহলে স্ত্রী কি তালাক দিয়ে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে? না কি তালাক ছাড়াই তা বৈধ হবে?

https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/570467730039443

 ▬▬▬❂◍▬▬▬

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...