এক ভাইয়ের কমেন্টঃ (সারাবিশ্বে একইদিনে ঈদ ছিয়াম পালন সম্ভব নয় যদি পৃথিবীতে শুধু একজন খলিফা থাকে তবুও)
:
তার ব্যাখ্যাঃ
মনে করুন পুরো বিশ্বে ইসলামি শরীয়াহ কায়েম হয়ে গেছে। কোথাও কোন কাটাতারের বেড়া নেই।
এখন মনে করুন আজ শুক্রবার ২৯শে শাবান। পৃথিবীর কোন এক শহরে মাগ্রিবের সময়ে আকাশে রমজানের নতুন চাঁদ দেখা গেল। এবং খলিফার পক্ষ থেকে ঘোষণা এল শনিবার থেকে পুরো মুসলিম বিশ্বে রমজানের রোজা রাখা হবে। এই ঘোষণাটি যখন দেয়া হল তখন পৃথিবীর কোন এক শহরে শনিবার সকাল ৮ টা বাজে। অর্থাৎ তারা কিন্তু শনিবার থেকে তাদের রোজা শুরু করতে পারছেনা। কারণ রোজা রাখার শর্ত হল সুবহে সাদিকের আগে রোজার নিয়ত করা। কাজেই পৃথিবীর সব মুসলিম চাইলেই একদিনে রোজা রাখতে পারবেনা। অনুরুপ ভাবে একইদিনে ঈদও করা সম্ভব নয়। আশা করছি বুঝাতে পারলাম।
:
:
#আমার_জবাবঃ
ভাই আপনি খুব সুন্দর যুক্রি উপস্থাপন করেছেন & আপনার যুক্তি বুঝেছি তবে আপনার যুক্তিটা অবাস্তব ও অপ্রাসঙ্গিক ও অবৈজ্ঞানিক।
মহান আল্লহ এই বিশ্বকে সুশৃঙ্খলভাবে বানিয়েছেন। এটাই সৃস্টিকর্তার বিশেষ গুণ ও মহিমা।
সর্বপ্রথম পৃথিবীতে নতুন দিনের সূর্য উদয় হয় জাপানে। এরপর আস্তে পুরো পৃথিবীতে।
আর নতুন চাঁদ খালি চোখে সর্বপ্রথম দৃশ্যমান হয় মধ্যপ্রাচ্যে। প্রতি বছর এরকমটাই হয়৷ তাই আপনি ইচ্ছা মতো যেকোন একটা স্থানকে ধরে নিয়ে হিসাব কসলে তা বাস্তবতার উপর হবেনা। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের সর্বোচ্চ পার্থক্য ১২ ঘন্টার বেশি হবার কথা নয় ২৪ ঘন্টার হিসেবে।
মধ্য প্রাচ্য পৃথিবীর মিডিলে অবস্থিত। সুতরাং মধ্য প্রাচ্যে আগে চাঁদ দেখা গেলে সেটা সর্বোচ্চ ৬/৭ ঘন্টা আগে অথবা পরে ধরে নিলে সারা বিশ্বে একই চাদের সংবাদে ঈদ ছিয়াম পালন সম্ভব।
যেমন সৌদিতে যদি ৭ টায় চাঁদ দেখা যায়। এটা পশ্চিমের দেশের জন্য কোন প্রতিবন্ধকতা নয় কারন তাদের এখনো সন্ধ্যাই হয়নি। সমস্যা হলো পূর্বের দেশ নিয়ে। এখন জাপান হলো সবচেয়ে পূর্বের দেশ। সৌদি থেকে জাপানের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৬ ঘন্টা।
এখন, ৭+৬= জাপানে তখন রাত ১টা যখন সৌদিতে রাত ৭ টা।
এই সময়ে খবর পেলে খুব সুন্দরভাবেই তারাবিহ ও সাহরি ছিয়াম সবই সম্ভব অনায়সে। যদি আরো ১ ঘন্টা বারতি ধরা হয় তাহলেও খুব সুন্দরভাবেই সবকিছু করা সম্ভব। আশাকরি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি বিষয়টি।
No comments:
Post a Comment