চাঁদের বিষয়ে পূর্বের সালাফদের কেউ দেশের শর্ত দেয়নি।
আসলে দেওয়া সম্ভবও ছিলো না।
৩০০ বছর আগে পৃথিবীতে মাত্র দুটি মুসলিম দেশ ছিলো।
তাই তখনকার ভিন্ন ভিন্ন দিনে সওম ঈদ করার পক্ষের আলিমরা চাঁদের মাতলা অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিক সওম ঈদ করার কথা বলতেন, দেশ কথাটা তারা বলতেন না।
মুসলিমদের এই দুটি রাস্ট্র ভেঙ্গে অনেক গুলি রাষ্ট্র হওয়ার পরে নিকট অতিতের ভিন্ন ভিন্ন দিনে সওম ঈদ করার পক্ষের আলিমরা চাঁদের মাতলা অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিক সওম ঈদ করার ফতোয়া বলে সাথে দেশ শব্দটি যুক্ত করতে শুরু করে। তারা মাতলা এবং অঞ্চলকে দেশের মধ্যে নিয়ে আসে কিন্তু তাদের দেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা বলে দেশ নয় চাঁদের মাতলা অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিক করতে হবে। এভাবেই তারা আস্তে আস্তে চাঁদের মাতলাকে দেশে সিমানাতে আবদ্ধকরে ফেলে।
দেশ ও রাষ্ট্রপ্রধানের ঘোষনা কত আগে কে প্রথম বলেছে জানি না তবে ৫/৬ বছর আগে দেশের এক বড় আলিম দেশ শব্দটিকে বাদ দিয়ে সরকারে ঘোষনা কথা বলে, তার এই কথার পক্ষে একটি হাদিসের রেফারেন্স দেয় (যদিও হাদিসগুলি সব কটি প্রায় সকল মুহিাদ্দিসদের কাছে দ্বইফ) এই লেকচারের পরে দেশের শীর্ষ কিছু আলিম একই ভাবে এটার পক্ষে বলতে শুরু করে রাতা রাতি বিষয়টা পপুলার হয়ে যায় আর এখন এক মাত্র দলিল এটাই।
তারা ভেবে দেখে না কুরাইব রাঃ হাদিসে ইবনে আব্বাস রাঃ রাষ্ট্রপ্রধানে ঘোষনা মানে নি।
তারা ভেবে দেখে না, ঐ হাদিস সহী ধরলেও এখন পৃথিবীতে সেই ইমাম (ইসলামিক রাষ্ট্র প্রধান) আর নেই, আর এটা কুরাইব রাঃ হাদিস, চাঁদ দেখার ও শুনার সব গুলি সহী হাদিস বিরোধী।
রাষ্ট্র প্রধানের ঘোষনা যদি জরুরী হতো তাহলে ৩০০বছর আগে এই পৃথিবীর এত বড় দুটি ইসলামিক রাস্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধানের ঘোষনা কি করে সব স্থানে পৌছাতো। আর তখন কার মুসলিম রাস্ট্রপ্রধান কি চাঁদ দেখে দেশের সব স্থানে দূত পাঠাতের, খবর পৌছানোর জন্য ?? ১০০ বছর আগে (এই বাংলাদেশ এখন যতটুকু) এখানেওতো রাস্ট্র প্রধানের খবর সমস্ত স্তানে না পৌছানোর কারনে দুই দিন সওম ঈদ হয়েছে। মোট কথা খবরা খবরের জন্য উন্নত প্রযুক্তি সর্ব স্থানে না আসা প্রযন্ত সরকারে ঘোষনা ফলো করা কখনই সম্ভব হয় নাই।
তাই এগুলি দিয়ে সহী হাদিসের বিপরিতে আমল করা সঠিক মনে করি না।
বাঁকি আল্লাহ আলম। cld.
No comments:
Post a Comment