Saturday, February 29, 2020

আহলে কুরআন বিভ্রান্তির কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরের পোস্ট লিংক

কিতাব কাদের দেয়া হয় নবি নাকি রাসুলদের???
https://www.facebook.com/100027723123250/posts/508908146709952/?app=fbl

কে বেশি মর্যাদাবান মুমিন নাকি মুসলিম??

https://www.facebook.com/100027723123250/posts/318361742431261/?app=fbl

ছাক্ক শব্দ নিয়ে আহলে
 কোরআনদের মনগড়া অনুবাদের জবাব।
https://www.facebook.com/100027723123250/posts/314074922859943/?app=fbl

ইফতার কখন সন্ধ্যায় নাকি রাতে??
https://www.facebook.com/100027723123250/posts/291764351757667/?app=fbl

রমজানের রোযা সংখ্যা নিয়ে আমিরুল গংদের মিথ্যাচারের জবাব।
https://www.facebook.com/100027723123250/posts/282920465975389/?app=fbl

আমরা হাদিস মানতে বাধ্য.
https://www.facebook.com/100027723123250/posts/282338552700247/?app=fbl

হাদিস দিয়েই কি কোরআন পরিপূর্ন নাকি হাদিস কোরআনের সহায়ক???
https://www.facebook.com/100027723123250/posts/281649082769194/?app=fbl

নতুন কোন রাসুলের দাবি কোরআন কি প্রত্যাখান করে???
https://www.facebook.com/100027723123250/posts/281115852822517/?app=fbl

কোরআনে যাহা নাই তাহাই কি বাতিল?তাহাই কি অবিশ্বাস্য???
https://www.facebook.com/100027723123250/posts/276486273285475/?app=fbl

কাদিয়ানিদের অপব্যাক্ষার কবলে কোরআন।
https://www.facebook.com/notes/prince-shakil-khan/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%86%E0%A6%A8/244824723118297/?app=fbl

Tuesday, February 25, 2020

বাসর রাতে কি যৌনমিলন আবশ্যক? যদি তাই হয় তাহলে একজন অপরিচিতার সাথে তা কীভাবে সম্ভব?

👉 প্রশ্ন: বাসর রাতে কি যৌনমিলন আবশ্যক? যদি তাই হয় তাহলে একজন অপরিচিতার সাথে তা কীভাবে সম্ভব?
উত্তর:
বাসর রাতে যৌনমিলন করতেই হবে ইসলামে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সম্মত ও আগ্রহী হয় তাহলে সহবাস করবে, অন্যথায় বিরত থাকবে।
 বাসর রাতে করণীয়:
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একসাথে আগে পিছে দাঁড়িয়ে দু রাকআত নফল সালাত আদায় করবে, স্বামী নব বধূর কপালে হাত রেখে দুআ পাঠ করবে, তাকে দুধ বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে দিবে। তাপর পরস্পরে কথাবার্তা বলবে, পরিচিত হবে, স্ত্রীর মন থেকে ভয়ভীতি দূর করে একটা আন্তরিকতা ও ভালবাসা পূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
অত:পর যদি তারা উভয়ের মধ্যে যৌন মিলনে আগ্রহ সৃষ্টি হয় তাহলে দুআ পড়ে সহবাসে লিপ্ত হবে।
--------------------------------------
 বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর কপালে হাত রেখে এই দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত:
«اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَإِذَا اشْتَرَى بَعِيراً فَلْيَأْخُذْ بِذِرْوَةِ سَنَامِهِ وَلْيَقُلْ مِثْلَ ذَلِكَ».
(আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি)
“হে আল্লাহ, আমি এর যত কল্যাণ রয়েছে এবং যত কল্যাণ তার স্বভাবে আপনি দিয়েছেন তা চাই। আর এর যত অকল্যাণ রয়েছে এবং যত অকল্যাণ ওর স্বভাব-চরিত্রে আপনি রেখেছেন তা থেকে আপনার আশ্রয় চাই।”
(আবু দাঊদ-২/২৪৮, নং ২১৬০; ইবন মাজাহ্‌ ১/৬১৭, নং ১৯১৮। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/৩২৪)
 সহবাসের পূর্বে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জন্য নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়া সুন্নত :
” ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺟَﻨِّﺒْﻨَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ، ﻭَﺟَﻨِّﺐْ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﺘَﻨَﺎ ”
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা।
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তান হতে বাঁচান এবং আমাদেরকে যদি কোন সন্তান দেন তাকেও শয়তান হতে বাঁচান। [বুখারী হা/ ৬৩৮৮ ও মুসলিম হা/ ১৪৩৪)]
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব

Thursday, February 20, 2020

কেন খুব দরকার ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাবেন না?

কেন খুব দরকার ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাবেন না??


প্রথমেই গ্যাস্ট্রিক শব্দটা সম্পর্কে কনফিউশান দূর করি। গ্যাস্ট্রিক( gastric) বলতে মূলত stomach বা পাকস্থলী বুঝায়। আমাদের Hyperacidity বা gastritis বা gastric ulcer হলে আমরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে বলে থাকি।

কিন্তু আমাদের একটা প্রবণতা আছে,কিছু থেকে কিছু হলেই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাই। এই অভ্যাস অবশ্যই আমাদের বর্জন করতে হবে। কারণগুলি আলোচনা করলেই আমরা বুঝতে পারব কেন আমরা কারণে অকারণে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাবনা।

পাকস্থলীতে আল্লাহ ন্যাচারালি একটা এসিড দিয়েছেন, যেটা পাকস্থলীর কোষগুলি থেকেই তৈরি হয়- এর নাম হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl)। এটি বেশ স্ট্রং একটি এসিড। কিন্তু পাকস্থলীর ভেতরে এমনভাবে একটা প্রটেকটিভ লেয়ার আছে,যার জন্য সেটা পুড়ে যায়না। কিন্তু এই এসিডের দরকার কি?

➤প্রথমতঃ এসিডটি পাকস্থলীর পরিবেশটাকে এসিডিক করে রাখে,মানে pH খুবই কম থাকে; যেটা প্রোটিন জাতীয় খাবারের হজমের জন্য আবশ্যক। তার মানে এই এসিডিক পরিবেশ না থাকলে প্রোটিন হজম হবেনা।

➤দ্বিতীয়তঃ আমরা রাস্তার খাবার ও নানা আজেবাজে জিনিস খাই। একই খাবার খেয়ে আপনার হয়তো পেট খারাপ হল,কিন্তু আপনার বন্ধু দিব্যি ভাল আছে। কেন? কারণ খাবারের সাথে নানারকম জীবাণু আপনাদের শরীরে ঢুকছে। আপনার বন্ধুর পেটের এসিডিক পরিবেশের কারণে জীবাণুগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে,তাই তার কিছু হয়নি। কিন্তু আপনি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেয়ে আপনার এসিডের বারটা বাজিয়েছেন, তাই জীবাণুগুলি না মরে আপনার পেট খারাপ করে ফেলেছে।

➤তৃতীয়তঃ এই এসিডটি আয়রন শোষণের(absorption) জন্য বাধ্যতামূলক। আয়রণ ট্যাবলেট যতই খান,বা যতই কচু শাক,কলা ইত্যাদি খান- সেটা শরীরে শোষণ হবেনা,বের হয়ে যাবে। ফলে আপনি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগবেন। এটি ক্যালসিয়াম শোষণেও সাহায্য করে।

➤চতুর্থতঃ এটি হজমের জন্য দরকারী অন্যান্য আরও কিছু এনজাইমের secretion এ সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিকের ঔষধগুলি মূলত যেই এসিডটি ইতিমধ্যে বের হয়েছে তাকে নিউট্রিলাইজ করে(antacid) বা এসিডটিকে বের হতে বাধা দেয় বা তৈরী হতে দেয়না (omeprazole,ranitidine ইত্যাদি)।

তারমানে সামান্য কারণে ঔষধ খেলে আপনি খাবারের সাথে জীবাণুকে শরীরে ঢুকতে দিচ্ছেন, প্রোটিনকে ঠিকমতো হজম হতে দিচ্ছেন না ফলে সেটা আপনার শরীরের কোনো কাজে লাগছেনা, আয়রন আর ক্যালসিয়াম কে শোষণ (absorption) এ বাধা দিচ্ছেন এবং হজমে সহায়ক অন্যান্য এনজাইম গুলিকেও ঠিকমতো বের হতে দিচ্ছেন না।

ফলে আপনার শরীর দূর্বল হয়ে পড়বে,অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যাবেন,রক্তাল্পতা দেখা দিবে,শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিবে-আরও নানান সমস্যা হবে।

আমি বেশ কয়েকজন রোগীকে দেখেছি,যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়ার ফলে অন্য তেমন কোনো রোগ না থাকার পরেও তাদের হিমোগ্লোবিন ৮ এ নেমে এসেছে।

তবে যারা অনেকদিন ধরে নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেয়ে আসছেন,তারা এটা হুট করে বন্ধ করবেন না। তাহলে বেশি সমস্যা হবে এসিডিটির। ধীরে ধীরে কমাতে হবে,তাহলে ইন শা আল্লাহ সমস্যা কম হবে।

⏬গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ এড়াতে করণীয়ঃ
১) সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
২) রোজা রাখা ছাড়া পেট বেশিক্ষণ খালি রাখবেন না,দুই-তিন ঘন্টা পরপর একটি বিস্কুট বা একমুঠ মুড়ি হলেও খান।
৩) প্রচুর পানি খান
৪) নিয়মিত ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন।
৫)খাওয়ার পর সাথে সাথে শুবেন না। খাওয়ার কমপক্ষে ৩০মিনিট পরে শুবেন।
৬) সকালে ভারী খাবার খাবেন,এবং রাতের খাওয়া ৮-৯ টার মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করবেন। এরপরে ফল বা সালাদ খান।
৭)একবারে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করবেন,পেট কিছুটা খালি রেখে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
৮) ধুমপান,পান-জর্দার অভ্যাস থাকলে বাদ দিন।
৯) অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
১০) অতিরিক্ত চা-কফি খাবেন না। দিনে সর্বোচ্চ ২কাপ।
১১) লবণ,তেল জাতীয় খাবার কম খান।

উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো কেউ সঠিকভাবে পালন করতে পারলে তার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়ার দরকার প্রায় পড়বেই না। সাথে সাথে প্রেশার,ডায়াবেটিস, হৃদরোগের সম্ভাবনাও একেবারেই কমে যাবে। তাই সব জানার পর আপনিই সিদ্ধান্ত নিবেন পরবর্তী দিনগুলোতে আপনি কেমন থাকতে চান।

আপনাদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। cld.

কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধের নাম ও ব্যবহার বিধি

🔽প্যারাসিটামল Paracetamol
জ্বরের জন্য প্রথমে একটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জ্বর বাড়লে (<১০৩F) বা ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তার দেখান। তবে পেটে ব্যাথা, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের অন্য কোন উপসর্গ দেখলে প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
🔽ট্রামাডল Tramadol
কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই ট্রামাডল পেইনকিলার হিসেবে নেয়া যায়; এমনকি অ্যাসমা রোগীরাও এটি নিতে পারবেন।
টাইমোনিয়াম সালফেট Tiemonium sulphate
যেকোন প্রকার পেটে ব্যাথার ক্ষেত্রে বিশেষ করে পিরিয়ডের প্রথম কয়েক দিনের ব্যাথার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ওষুধ।
🔽এসোমিপ্রাযল/ওমিপ্রাযল Esomeprazole/Omeprazole
অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন সময় বুক জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়; বিশেষ করে ভরপেট খাওয়ার পর। এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল পাকস্থলীতে অ্যাসিড গঠন কমিয়ে বুক জ্বলা কমাতে সাহায্য করে। অনেক সময় গ্যাসের জন্য অনেকটা হার্ট অ্যাটাকের মত বুকে ব্যাথা হয়, এজন্য ৩০ মিনিটের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করুন। (আরও জানতে দেখুন হৃদরোগের লক্ষণ এবং বুকে ব্যথা)
🔽অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন Aluminum hydroxide suspension
বুক জ্বলা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ২ চামচ করে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন খেতে পারেন। সাস্পেনশন্টি ফ্রিজে রাখতে পারবেন এবং ঠাণ্ডা খেলেই বেশি আরাম পাবেন। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হতে পারে, এতে চিন্তার কিছু নেই।
🔽ওরস্যালাইনOral Rehydration Saline
ডায়রিয়ার সময় খুব সহজেই শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। প্রত্যেকবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনতিবিলম্বে ডাক্তার দেখান যদি। আপনার ডায়রিয়ার সাথে জ্বরও হয়।২ দিনের বেশি সময় ডায়রিয়া থাকে মুখ শুকিয়ে গিয়ে পিপাসা লাগে খুব কম অথবা একেবারেই পেশাব না হলে প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা হলে পায়খানার সাথে রক্ত গেলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ (hypertension) থাকলে ওরস্যালাইন খাওয়ার আগে রক্তচাপ মেপে নেয়া ভাল।
🔽ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটিডিন Fexofenadine/Rupatadine
এই অ্যান্টিহিস্টামিনগুলো তুলনামুলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের অ্যালারজিক রাইনিটিস (ধুলা, পরাগ, তেলাপোকা ইত্যাদির সংস্পর্শে আসলে হাঁচি হওয়া) আছে তারা রাতে একবার ফেক্সোফেনাডিন বা রুপাটিডিন নিলে হাঁচি ও নাক থেকে পানি পড়ার উপশম হবে।
🔽সিল্ভার সালফাডিয়াযিন Silver sulfadiazine
হালকা পুড়ে গেলে প্রথমে পোড়া জায়গাটি কলের পানির নিচে ধরুন। পানি শুকিয়ে গেলে যত্ন সহকারে পোড়া জায়গায় সিলভার সালফাডিয়াযিন অয়ন্টমেন্ট দিন। ফোসকা পড়লে সেটা উঠানোর চেষ্টা করবেন না। তবে বেশি পুড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন।
🔽পভিডন-আয়োডিন মলম Povidone-iodine ointment
হালকা রক্তপাত সহ ছোটখাটো কাটা-ছেড়ার ক্ষেত্রে ক্ষতটি শুকনা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেলে কাটা জায়গায় পভিডন-আয়োডিন অয়ন্টমেন্ট দিন। এসবক্ষেত্রে স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার না করাই ভাল। আপনি যদি কোন প্রকার ব্লাড থিনার (যেসব ওষুধের কারণে রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়) নিয়ে থাকেন অথবা অনেক বেশি কেটে গেলে বা প্রচুর রক্তপাত হলে আপনার ডাক্তারের সাহায্য লাগতে পারে।
🔽অ্যাসপিরিন Aspirin
আকস্মিক বুকে ব্যথা এবং পরবর্তীতে বাম হাত, চোয়াল বা গলার বাম দিকে ব্যথা হওয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের যেকোন লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ২/৩ টি বেবি অ্যাসপিরিন খেয়ে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
উল্লিখিত কোন ওষুধে আপনার অ্যালারজি থাকলে সেটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এবং গর্ভাবস্থার সময় অনেক ওষুধই খাওয়া যায় না, এ বিষয়ে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। (ডাঃ রোকসানা ইয়াসমিন) 

Wednesday, February 19, 2020

মূখের দুর্গন্ধের কারন ও প্রতিরোধ

মুখে দুর্গন্ধ একটি প্রচলিত সমস্যা। বিভিন্ন কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়।এ সমস্যা কেন হয় এবং প্রতিরোধে কী করা যায়, এ বিষয়ে কথাবলেছেন ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের সহকারীঅধ্যাপক ডা. মাহমুদ আলম। ৫ নভেম্বর, এনটিভির স্বাস্থ্যপ্রতিদিনের ২১৯৬ পর্বে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন : মুখের দুর্গন্ধ তো রীতিমতো সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়মাঝেমধ্যে। যাঁর এই সমস্যা আছে, তিনি নিজেও খুব জটিলঅবস্থার ভেতর দিয়ে যান। মুখের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ কী?
উত্তর : আমরা অনেককেই দেখি, কথা বলতে গিয়ে মুখে রুমালচেপে যাচ্ছে। অথবা দেখা যাচ্ছে হাত দিয়ে ঢেকে কথা বলছে।অথবা কথা বলতেই চাইছে না, এমনই অবস্থা! কারণ, সে নিজেনিজেই আতঙ্কগ্রস্ত যে মুখে গন্ধ হচ্ছে বা শ্বাস-প্রশ্বাসে গন্ধআসছে। একে আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলিহেলিটোসিস। সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ না করা হলে দাঁতেক্যারিজ হয় বা দাঁতে গর্ত হয়ে যায়। এখানে অনেক সময় খাবার
জমে থাকে। এই খাবার জমে, পচে প্লাক সৃষ্টি করে এবং জিহ্বারওপরও এক ধরনের আবরণ পড়ে যায়। এতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।এ ছাড়া বেশ কিছু খাবারের কারণেও দুর্গন্ধ মুখে চলে আসে। যেমন—পেঁয়াজ, রসুন। এই গন্ধ বেশ কিছুক্ষণ থেকে যায়। আবার কেউ যদি
ধূমপান করে, সে ক্ষেত্রেও গন্ধটা রয়ে যায়। পান-সুপারি বাতামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হয়।
কিছু পদ্ধতিগত (সিস্টেমিক) অসুখের কারণেও মুখে সমস্যা হয়।
যেমন—রেসপিরেটরি ইউট্রাক্ট ইনফেকশন, ব্রঙ্কাইটিস বানিউমোনিয়া; সে ক্ষেত্রেও মুখে গন্ধ হতে পারে। আবারডায়াবেটিস থাকলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। লিভারের সমস্যাথাকলেও হতে পারে। এ ছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে,তাঁদেরও এটি হতে পারে। অনেক কারণ রয়েছে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার।
ডা. মাহমুদ আলম।
প্রশ্ন : কী কারণে মুখের দুর্গন্ধ হচ্ছে সেটি কি বোঝার উপায়আছে রোগীদের ক্ষেত্রে? নাকি কেবল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরকাছে গেলেই বোঝা যাবে?
উত্তর : বাইরে থেকে তো রোগী বুঝতে পারবেন না যে কী কারণেসমস্যাটি হচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক। অবশ্যই দন্ত চিকিৎসকেরকাছে আসতে হবে। তখনই জানা যাবে আসল কারণ।
প্রশ্ন : এ জাতীয় সমস্যা নিয়ে রোগীরা আপনাদের কাছে এলেপ্রথমে কী দেখেন?
উত্তর : দেখা গেল হয়তো ব্যক্তির মুখে অনেক প্লাক জমে আছে।সে ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করেনি। অথবা ভুলভাবে দাঁত ব্রাশেরকারণেও এ সমস্যা হয়ে যায়। খাবার জমে থাকলে তো হবেই। এছাড়া যখন দেখা যায়, স্থানীয় (লোকাল) কোনো কারণ নেই, তখন
পদ্ধতিগত রোগের কারণে হচ্ছে কি না, সেটি দেখতে হয়। প্রধানতদেখা যায়, স্থানীয় কারণগুলোই সব সময় বেশি থাকে রোগীরক্ষেত্রে।
প্রশ্ন : যে কারণেই সমস্যা হোক না কেন, সাধারণত চিকিৎসাকীভাবে শুরু করেন?
উত্তর : প্রথমেই আমরা স্কেলিং ও পলিশিং করি। এতে মুখকেপুরোপুরি পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। রোগীকে মাড়ি ম্যাসাজকরার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পর রোগীকে কিছুদিন পর আবারচেকআপ করতে আসার জন্য বলা হয়।প্রথমে স্কেলিং, পলিশিং ও জিহ্বা পরিষ্কার করতে বলা হয়তাকে। এসিডিটি থাকলে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসার কথা বলা হয়,ডায়াবেটিস থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেকসময় দেখা যায়, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মুখ শুষ্ক থেকে
যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা যেহেতু স্যালাইভা উৎপন্নকরতে পারে না, তাই এ দুর্গন্ধ চলে আসে।
প্রশ্ন : আপনি বলছিলেন স্কেলিং ও পলিশিংয়ের পরামর্শদেওয়ার কথা। এর পর কি আরো সমস্যা হতে পারে? আপনারা আরকী কী পরামর্শ দেন?
উত্তর : শুধু স্কেলিং বা পলিশিং নয়, আমরা সেখানে দেখিকোনো গর্ত আছে কি না। যেখানে খাদ্যকণা আটকে থাকছে, অথচসে বের করতে পারছে না। তাই এ রকম হলে আমরা গর্তটি ঠিককরার চেষ্টা করি।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, আক্কেল দাঁতের সমস্যা।অনেকের আঁকাবাঁকা দাঁত থাকে। যতই চেষ্টা করুক, ময়লা বাখাবারের কণা বের করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে যদি দেখিআক্কেল দাঁত অস্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে, তখন বলি এটি তুলেফেলেন, যেহেতু আক্কেল দাঁতের তেমন কোনো কাজ নেই। অনেকরোগী আবার শুনে ভয় পায়। বলে, কেন আমি দাঁত ফেলে দেব? তখন
তাদের বলা হয়, যেহেতু দাঁতটির কোনো কাজ নেই, এখানেখাদ্যকণা আটকে মুখে আরো বেশি দুর্গন্ধ হতে পারে।
প্রশ্ন : মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে সব সময় কী করণীয়?
উত্তর : প্রথম কথা হলো, সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে দিনেদুবার। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতেহবে এবং সকালে নাশতা খাওয়ার পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতেহবে। দাঁত ব্রাশের সঠিক পদ্ধতিও জানতে হবে; গুণগত মানেরপেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
প্রশ্ন : অনেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করছে।আবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করছে। এ বিষয়টি নিয়েএকটু দ্বিধা রয়েছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন?
উত্তর : আসলে সকালবেলা নাশতা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করাঠিক। কারণ, হয়তো রাতে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে গেল সে। এক্ষেত্রে তো আর কোনো খাবার কণা আটকে নেই; ব্যাকটেরিয়াআক্রমণের আশঙ্কা নেই। তবে দেখা যাচ্ছে, সকালে উঠে আবারদাঁত ব্রাশ করছে। যদি সকালে উঠে আবার ব্রাশ করে, তবে ধীরে
ধীরে দাঁত ক্ষয়ের দিকে চলে যাবে ভুল ব্রাশ করারজন্য। এ জন্যবলা হয়, সকালে অবশ্যই নাশতা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করবেন। এরপর অনেকটা সময় আর দাঁত ব্রাশের দরকার পড়ে না।আর যদি দেখা যায় দাঁতের ফাঁকের ময়লা বা খাদ্যকণা বের করতেপারছেন না, সে ক্ষেত্রে ডেন্টাল ফ্লস বা নাইলন সুতা সেটিব্যবহার করতে পারেন। অথবা টুথপিক ব্যবহার করতে পারে। একই
সঙ্গে মাড়ি ম্যাসাজ করতে হবে এবং মাউথওয়াশ ব্যবহার করতেহবে।
প্রশ্ন : নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : মাউথওয়াশ দুর্গন্ধ রোধে ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনরোধে রক্ষা করবে। তবে টানা তিন মাসের বেশি মাউথওয়াশব্যবহার করা উচিত নয়।
প্রশ্ন : মাউথ ব্রেথনার বা ব্রেথ ফেশনার বলে কিছু পণ্য রয়েছেবাজারে। মুখের দুর্গন্ধ রোধে এগুলো কি ভালো ভূমিকা রাখতেপারে?
উত্তর : তেমন কার্যকর নয়। তবে হালকা সময়ের জন্য দুর্গন্ধ দূর করে।আরেকটি পরামর্শ হলো, সুগার ফ্রি চুইংগাম মুখে রাখা যেতেপারে। এতে মুখের দুর্গন্ধ কিছুটা হলেও কমে যায়।
প্রশ্ন : যদি এ জাতীয় সমস্যা বেশি দিন থাকে, তাহলে কী কীজটিলতা হতে পারে?
উত্তর : লোকাল ও সিস্টেমিক কারণে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়।যদি লোকাল কারণে প্লাক জমে যায়, তাহলে আগে আগে দাঁতপড়ে যাবে। প্লাক জমতে জমতে একপর্যায়ে স্টোন হবে বাক্যালকুলাস হবে। দাঁত থেকে মাড়ি ধীরে ধীরে সরে যাবে। সেক্ষেত্রে দাঁত নড়ে যাবে। প্লাক, ক্যালকুলাস এবং মুখে দুর্গন্ধএকটির সঙ্গে আরেকটি জড়িত।সিস্টেমিক রোগের বেলায় ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া—এসবেরক্ষেত্রে রোগীকে সাবধান থাকতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলেএকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদি শুষ্ক মুখ হয়, যেটি
জেরোস্টোমিয়া, এর সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।
প্রশ্ন : কী চিকিৎসা রয়েছে এ ক্ষেত্রে?
উত্তর : স্যালাইভা বা লালা আরো বেশি তৈরি হতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা টকজাতীয় খাবারও অনেক সময় পরামর্শ দিয়েথাকি। এ ছাড়া ওষুধ থাকে, কৃত্রিম স্যালাইভা থাকে—এগুলো দেওয়া হয়।
প্রশ্ন : ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মুখে কীভাবে যত্ন নিতে হবে?
উত্তর : প্রথমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীকে সুগার ফ্রি
সবকিছু খেতে বলি। সুগার ফ্রি খাদ্য না খেলে মুখে গন্ধটা হয়।

মানব দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির পরিনতি

ক্যালসিয়াম মানব দেহের অন্যতম একটি উপাদান। এর গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা ক্যালসিয়ামকে জিবনের উৎস বলা হয়। গবেষণা বলছে শুধু ক্যালসিয়ামের অভাবে মানব দেহে ১০০-১২০ ধরনের রোগ হতে পারে।
আপনার কয়টা রোগ দরকার?
এখানে সবগুলো রোগের বর্ননা দেয়া সম্ভব না, তাই Calcium ঘাটতি জনিত প্রধান কয়েকটি সমস্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত পোস্ট লিখছি।
ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব ও অভাবজনিত প্রধান লক্ষণ সমূহ।
ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। শরীরে কোথাও কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ:
পেশী সংকোচন বা মাংসপেশির ব্যাথা।
হাড় ঘনত্ব কমে যাওয়া:
জয়েন্টে ব্যাথা:
শরীরের কাঠামো নষ্ট হওয়া,
নখের দৃঢ়তা কমে যাওয়া:
দাঁতের মাড়ির সমস্যা বা দাত ব্যথা:
মাসিক বা পিরিয়ড চলাকালীন সময় অস্বাভাবিক ব্যথা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
স্নায়ুবিক সমস্যা:
হার্ট দুর্বল হওয়া, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাতি:
শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তাকে হাইপোক্যালসেমিয়া বলে। এটি তখনই হয় যখন আমাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক থাকে না।
চিকিৎসকদের মতে, সুন্দর ত্বকের জন্য ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অনেক' তাই তারা ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে বলেন । তবে তারা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে নিজের থেকে কোন ঔষধ বা ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নিতে নিষেধ করেন। ডাক্তারদের পরামর্শ মোতাবেক পুষ্টিকর খাবারের সাথে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পড়তে থাকে। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম হাড়ে সঞ্চিত থাকে। বয়স বৃদ্ধি পেলে হাড় পাতলা হয়, হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এজন্য ক্যালসিয়াম জরুরী হয়ে দাঁড়ায়। ক্যালসিয়ামের উৎস সম্বলিত খাবার খেয়ে এর অভাব পুরো করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষুধার্থ থাকা ও অপুষ্টিতে ভোগা, হরমোন জনিত সমস্যা, অপ্রাপ্ত বয়সে বাচ্চা প্রসব, ক্যালসিয়াম শোষিত না হওয়া অর্থাৎ খাবারে যথাযথ ভিটামিন ও খনিজ থাকলেও তা শরীর কর্তৃক শোষণে ব্যর্থ হওয়া, ইত্যাদি কারণে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়।
ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ সমূহের সংক্ষিপ্ত বর্ননাঃ
পেশী সংকোচন:
শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকা ও পর্যাপ্ত পানি পান করার পরও যদি নিয়মিত মাংশপেশী সংকুচিত হয় অর্থাৎ খিঁচুনি ধরে তবে বুঝতে হবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে।
হাড় ঘনত্ব কমে যাওয়া:
বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের মিনারেলাইজেশন জরুরী হয়ে পড়ে। ক্যালসিয়াম কম হলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। অস্টিওপরোসিস বা হাড় ছিদ্র হয়ে যায়। ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়।
নখের দৃঢ়তা কমে যাওয়া:
নখ শক্ত বা দৃঢ়তা বৃদ্ধিতে ক্যালসিয়াম অত্যাবশ্যকীয়। যদি ক্যালসিয়াম কম হয় তবে নখ নরম, ভঙ্গুর ও দৃঢ়তাহীন হবে।
দাঁতের মাড়াতে সমস্যা বা দাত ব্যথা:
আমাদের শরীরের শতকরা ৯০ ভাগ ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ে জমা থাকে। যদি ক্যালসিয়াম কমে যায় তবে দাঁত ও হাড় ব্যথা করতে পারে।
মাসিক বা পিরিয়ড জনিত ব্যথা:
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে মহিলাদের মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা হয়। কারণ, মাংশপেশীর কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে ক্যালসিয়ামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া:
ক্যালসিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে জীবাণু বা প্যাথোজেন মোকাবেলা করার শক্তি কমে যায়।
স্নায়ুবিক সমস্যা:
ক্যালসিয়ামের অভাবে নানা ধরনের স্নায়ুবিক সমস্যা, মাথা ব্যথা হতে পারে। ডিপ্রেশন, ইনসোমনিয়া ও ডেমেনশিয়াও হতে পারে।
হার্ট দুর্বল, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি:
ক্যালিসিয়াম হৃদপিণ্ডের সঠিক কার্যচালনার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এটি কম হলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাবে। ক্যালসিয়াম হৃদপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে সহায়তা করে।
যদি লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। তিনি রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিবেন। ক্যালসিয়ামের অভাব মোকাবেলায় নিয়মিত ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার অথবা পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
লেখক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসাইন

বাধক ব্যাথা/কস্টরজ (DYSMENORRHOEA) তথা মাসিকের ব্যাথা

বাধক ব্যাথা/কস্টরজ (DYSMENORRHOEA)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
☆ বাধক ব্যাথা/কষ্টরজ কি? তরুণী কিংবা বিবাহিত/অবিবাহিত মহিলাদের এক পরিচিত নাম। মেয়েদের ঠিকমত ঋতু পরিস্কার না হলে এমনটি হয়।
মাসিক রক্তস্রাবের সময় নানাবিধ গোলযোগের কারনে,ডিম্বাশয়,কিংবা জরায়ুর বিভিন্ন অসুবিধায় এ ব্যাথার সৃষ্টি হয়।প্রতিমাসের মাসিকের সময় তলপেটের বাম বা ডান পাশে এবং কোমরে খুব ব্যাথা হয়।তাছাড়া জরায়ু পেশির বেশি সংকোচনের জন্যও এমনটি হতে পারে।ব্যাথার সাথে অল্প পরিমান রক্তও ভাংতে পারে
☆ লক্ষন সমুহঃ
** মাথা ভার ভার লাগা বা মাথা ব্যাথা থাকতে পারে।
** কারোও বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
** তলপেটের বাম/ডান বা উভয় পাশেই ব্যাথা হতে পারে।
** কারোও ব্যাথা তীব্র হতে পারে।
** কোমর ভার ভার লাগে।
** খাবারে অরুচি হয়।
☆ চিকিৎসাঃ
১।তলপেটের ব্যাথা কমানোর জন্য HYOSINE BUTYLE BROMIDE যুক্ত ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB_ hysomide,butapen,
মাত্র___ব্যাথা থাকলে ১+১+১ করে তিন দিন সেব্য।
২।পেটে গ্যাস হলে ESOMEPRAZOLE যুক্ত ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB_nexam/ Maxima -20/40mg,esoral-20/40mg.
মাত্র___ প্রত্যহ ১+০+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে সেব্য।
৩।মানসিক দুশ্চিন্তা বা ভয়,সংকোচ থাকলে Clonazepam যুক্ত ঔষধ খাওয়া ভালো।
যেমন___TAB_Clon / Leptic 0.5 mg
মাত্রা___ প্রত্যহ ০+০+১ করে মাসিক শেষ হওয়ার দিন পর্যন্ত।
৪।হরমনের গোলযোগের কারনেও,মাসিকের সময়ে তলপেট ব্যাথা হতে পারে।তাই মোটেও হেলাফেলা নয়। যদি বাধক ব্যাথা প্রতিমাসেই এমন হতে থাকে,তাহলে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবোধানে চিকিৎসা করাতে হবে।
☆ পথ্যঃ
# রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
# দ্রুত ব্যাথা কমানোর জন্য গরম পানি বোতলে ভরে তলপেট বা কোমরে সেক দেয়া ভালো।
# উষ্ণ ও গরম খাবার খাবে।
# পুস্টিকর ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবে।
☆ তলপেট বা কোমর ব্যাথা তীব্র হলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।
(কয়েক জন বোনের অনুরুধে লিখিত ~ ডাঃ হারুনুর রশিদ)

মানুষ মোটাতাজা করন প্রোজেক্ট

মানুষ মোটাতাজা করন প্রোজেক্ট ......
খুউব কাছের এক বান্ধবী প্রায় বলে ম্যাডাম দেখ না শরীরে তো হাড় ছাড়া কিছুই নাই। কি করব? মোটা হওয়ার ঔষধ কি খাব বল?
বলি বোন মোটা হওয়ার ঔষধ নাই। আর মোটাদের দুর্গতির গল্প বলি। ও দীর্ঘশ্বাস ফেলে 
এবার বাড়ি গিয়ে দেখি। ওর শরীরে এই ২৮ বছর বয়সে অবশেষে বসন্ত এসেছে! বেশ নাদুস নুদুস অবস্থা।
আমাকে দেখেই তো অবজ্ঞাভরা হাসি।
তুই ডাক্তার হয়েও ঔষধ জানিস না আর আমাদের ফার্মেসির ডাক্তার তো ঠিক ই ঔষধ জানে!
বললাম কলিকাল বলে কথা। ঔষধ খেয়ে মোটা হচ্ছে শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।
বুঝলাম কি ঔষধ খাচ্ছে তবুও জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিত হলাম।
ঔষুধের সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দিয়েও আমাদের দেশে চিকিৎসা চলে যাকে বলা যায় মানুষ মোটাতাজা করন প্রোজেক্ট.....
প্রায় প্রত্যেক ঔষুধের ই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। কখনো কখনো সেগুলো খুব ভয়ংকর ধরনের হয়ে হয়ে থাকে। অনেকটা কুইনিন জ্বর সারাবে বটে কিন্তু কুইনিন সারাবে কে? প্রবচণ টির মত।
আপনি জানেন কি চিকিৎসক রা সাধারনত নিজেরা রোগী হিসেবে খুউব বাজে প্রকৃতির হয়ে থাকেন  কারন তারা নিজেদের ছোটখাটো রোগ নির্ণয়ে ও সবচেয়ে খারাপ রোগগুলোর লক্ষণ খুঁজে পান আর প্রত্যেক ঔষধেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো মাথায় ঘুরপাক করায় প্রচুর টেনশন করেন 😎
মনে আছে স্টেরয়েড নামক ঔষধটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পড়ার সময় A B C D...... বর্ণমালা দিয়ে মনে রাখতাম। এতগুলো সাইড ইফেক্ট ছিল যে প্রত্যেক বর্ণ দিয়ে ই একটা বা দুইটা সাইড ইফেক্ট পাওয়া যেত । তারমধ্যে একটা সাইড ইফেক্ট হচ্ছে কিডনির উপর মাতব্বরি করে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমায়। মুখটা সুন্দর দেখায় ডাক্তারি নাম মুন ফেস বাংলায় চান্দের লাহান মুখ 😘
আর যায় কোথায়? বাংগালী ফার্মেসী ওয়ালারা খবরটা জানার পর থেকে স্টেরয়েড এর বাজার আকাশে উঠে গেছে 😡
কিন্তু এই মাতব্বরি র ফল হয় খুব খারাপ। ফার্মেসিওয়ালারা এসব পড়ে নাই বলে দেদারসে দিতে পারে। ডাক্তার রা পারে না কারন তারা জানে ঐ হাইপারন্যাট্রেমিয়া হয়ে ফ্লুইড রিটেনশন ( পানি জমা) ছাড়াও হাইপোক্যালেমিয়া, মাসল উইকনেস, হাইপারটেনশন ( প্রেসারের রোগ), মেটাবলিক ইমব্যালান্স, পালমোনারি ইডিমা ( ফুসফুসে পানি জমা) , ডিইলেইড ঔন্ড হিলিং ( ক্ষত দেরিতে শুকানো) , আলসার ( পেটে ঘা) সহ আরো কত কত সমস্যা আছে এই স্টেরয়েড এর আর কিডনি বিকল হওয়া তো আছেই।
ওরে বললাম ব্রয়লার মুরগী চিনস?
হ কেন?
দেশী আর ব্রয়লারের পার্থক্য বুঝস?
হ?
চিকন অবস্থায় দেশী মুরগীর ছিলি আর বর্তমানে একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দিয়ে তোর চিকিৎসা চলছে বাকী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো দেখা দিতে শুরু করলে তুই ব্রয়লার হয়ে যাবি।
বুঝেছিস?
না। কি বলিস মাথা ঘুরতাসে 
বললাম আপাতত ফিড খা 😏
এবার আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। ইয়াবা গুরুদের পাশাপাশি এই মোটাতাজাকরন কারী গুরুদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো দরকার। নাহলে পাপী ইয়াবাখোরদের চেয়ে অনেক বেশী মানুষ স্টেরয়েড ( সবক্ষেত্রেই ইররেশনাল প্রেসক্রিপশন এর কারনে) এর কারনে মারা যাবে অথচ জানবেও না আসল পাপী কে?
(এই সিরিজ লেখা শুরু করেছি মানুষের সচেতনতার জন্য মেডিকেলীয় রেফারেন্সের জন্য নয়।। টপিক : মোটা হওয়ার জন্য স্টেরয়েড এর কুফল ) MBBS ডাক্তার ৫ বছর পড়েযা শিখতে পারেনি, ফার্মেসির দোকানদার গুলো তা পারে আফসোস, কিছু ভদ্র লোক গুগোল হতে নিয়ে তর্ক করে, তা আরও বড় আফসোস। (ডাক্তার বুবু থেকে আনীত)

হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কতিপয় কারণ ও আমাদের করণীয়

হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কতিপয় কারণ ও আমাদের করণীয়!
নাক দিয়ে রক্ত পড়া সমস্যাটি প্রায়শয়ই দেখা যায়। সাধারণত ৬০ শতাংশ মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি একটি সাধারণ সমস্যা হলেও অনেক সময় এটি জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নিই নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কতিপয় কারণ ও আমাদের করণীয় সম্পর্কে।
রক্ত পড়ার বিভিন্ন কারণ
যে কোনো বয়সের নারী অথবা পুরুষ এ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যাটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। শুধু যে নাক,কান,গলার সমস্যার কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে তাই নয় এছাড়াও শরীরের অন্য অনেক রোগের কারণেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কিছু কারণ নিম্নে দেওয়া হলো-
ক) কতিপয় সাধারণ কারণ
১। কারও উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যা থাকলে ।
২। কারও জন্ডিস বা লিভারের প্রদাহ যেমন লিভার সিরোসিসের মতো লিভারের অসুখ থাকলে।
৩। কারও রক্তনালিতে জন্মগত কোন ত্রুটি থাকলেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
৪। এছাড়া রক্তের বিভিন্ন রোগ, যেমন- অ্যানেমিয়া, হিমোফিলিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, পারপুরা ইত্যাদি থাকলেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
৫। মহিলাদের মাসিক এবং গর্ভাবস্থায় ও অনেকের এ সমস্যা হতে পারে।
৬। Aspirin জাতীয় ওষুধ সেবন করলেও অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
খ) অন্যান্য কারণ সমূহ
১। কোন কারণে আঘাত পেলে।
২। নাকে অপারেশন হলে।
৩। নাকের সর্দি, সাইনোসাইটিস ইত্যাদি সমস্যা হলে।
৪। নাকের মধ্যে ইনফেকশন যেমন- রাইনাইটিস থাকলে।
৫। নাকের ভিতর টিউমার থাকলে।
৬। নাকের মাঝখানের হাড় অতিরিক্ত বাঁকা হলে।
৭। নাকের মাঝখানের পর্দায় ছিদ্র থাকলে ইত্যাদি।
হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলে প্রাথমিক চিকিৎসায় করণীয় :
১। কারও নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত পড়া শুরু হলে তাঁর নাকে চাপ দিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে বসাতে হবে। তারপর বৃদ্ধাঙ্গুল ও প্রথম আঙুল দিয়ে নাকের দুই ছিদ্র জোরে বন্ধ করে দিতে হবে। তাকে বলতে হবে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে এবং আনুমানিক ১০ মিনিট এভাবে ধরে রাখতে হবে। এ সময় কোন অবস্থাতেই আঙ্গুল ছাড়া যাবেনা, প্রয়োজনে হলে আরও বেশিক্ষণ চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে।
২। সম্ভব হলে এ সময় তার কপালে, নাকের চারপাশে বরফ ধরে রাখুন। মুখের ভেতরে তালুর যে অংশ নাক বরাবর সেখানে বরফ চাপ দিয়ে ধরুন। এর ফলে রক্ত পড়া তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।
৩। আর যদি ১৫-২০ মিনিটের পরেও রক্ত পড়া বন্ধ না হয় তাহলে দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগে গিয়ে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখাতে হবে।
৪। যদি রোগীর অতিরিক্ত রক্তপাত হয় তাহলে তাকে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
চিকিৎসা:
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার চিকিৎসা করতে প্রথমে কী কারণে রক্ত পড়ছে সেটি কারণটি প্রথমে নির্ণয় করে তারপর রোগীকে চিকিৎসা দিতে হবে। নাকের সামনের দিক থেকে রক্তপাত হতে থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করা যায় তবে পেছন বা ভিতরের দিক থেকে রক্তপাত হলে অনেক ক্ষেত্রে তা বন্ধ করতে বেশ সময় লাগে। নাকের এন্ডোস্কোপির মাধ্যমেও অনেক সময় রক্তপাতের কারণ নির্ণয় করা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে দায়ী রক্তনালিগুলো বন্ধ করে চিকিৎসা করা হয়। নাকের কারণ ছাড়া অন্যান্য কোন শারীরিক কারণে রক্তপাত হলে সংশ্লিষ্ট রোগের চিকিৎসাও করাতে হবে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া প্রতিরোধে কিছু সাবধানতা:
১। নাক, কান, গলার রোগকে কখনো অবহেলা করা যাবেনা।
২। এছাড়া আগে থেকেই নিজের রক্তের গ্রুপ জেনে রাখুন যাতে জরুরী মুহূর্তে রক্ত দিতে হলে ঝামেলা না হয়।
৩। নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকলে শোয়া যাবেনা।
৪। অযথা নাকে হাত লাগানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
৫। নিজেদের ও শিশুদের নখ ছোট করে রাখতে হবে।
৬। শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ শীতকালে নাক যাতে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য নাকের সামনের দিকে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
রক্ত দেখলে একটু ভয় পায়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর সেটি যদি হয় নিজের নাক দিয়ে তাহলে তো কথাই নেই। সব বয়সের মানুষেরই নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। তাই অস্থির না হয়ে ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা উচিত।cld.

লিথাল ডোজ

"লিথাল ডোজ"
(Lethal Dose বা LD 50) বলে একটি মেডিকেল টার্ম আছে। যার মানে হচ্ছে কোন একটা পদার্থের সর্বনিম্ন যে পরিমাণ কোন প্রাণীর মৃত্যু ঘটাতে পারে।
বিশুদ্ধ পানির লিথাল ডোজ হলো ৬ লিটার।
এর মানে হচ্ছে আপনি যদি একসাথে ৬ লিটার পানি পান করেন আপনার মৃত্যু হতে পারে।
চিনির লিথাল ডোজ ২.৫ কেজি। অর্থাৎ একসাথে ২.৫ কেজি চিনি খেলে আমরা মারা যেতে পারি।
চকোলেট এর লিথাল ডোজ ২২ কেজি।
লবণের লিথাল ডোজ ২৫০ গ্রাম।
আপেল খাওয়া উপকারী, কিন্তু আপেলের বিচি খাওয়া শরীরের জন্য চরম বিপদ, আপেলের বিচি হলো বিষ। তাই আপেলের বিচি খাওয়া বাদ দিবেন।
এই পৃথিবীতে বিষাক্ত জিনিস বা পদার্থ হচ্ছে বটুলিনাম টক্সিন টাইপ এইচ
( Botulinum Toxin Type H)।
এটি এতই টক্সিক যে এই পদার্থের যদি ২ ন্যানোগ্রাম কারো রক্তে প্রবেশ করে তার মৃত্যু ঘটবে।
২ ন্যানোগ্রাম মানে হচ্ছে ১ গ্রাম এর ১০০ কোটি ভাগ এর ২ ভাগ।
অর্থাৎ বটুলিনাম টক্সিন টাইপ এইচ এর লিথাল ডোজ ২ ন্যানোগ্রাম।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৮কোটি।
এই ১৮কোটি মানুষের মৃত্যুর জন্য মাত্র ০.০৩৬ গ্রাম ই যথেষ্ট।
এই পৃথিবীর জনসংখ্যা এখন ৯০০ কোটি ছুঁইছুঁই করছে। অর্থাৎ এই পৃথিবী জনশূন্য করতে মাত্র ১৮ গাম বটুলিনাম টক্সিন টাইপ এইচ যথেষ্ট!
ভাবা যায়!!
এই টক্সিনটি তৈরি করে Closstridium botulinum নামে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া।
যে ব্যাকটেরিয়া খালি চোখে দেখাই যায়না তা কতটা ভয়ানক হতে পারে!! cld.

আপনি কেন রক্ত দিবেন ?

#আপনি কেন রক্ত দিবেন ?

- প্রতি ৩ সেকেন্ডে একজনের রক্তের প্রয়োজন হয়।
- যাদের রক্তের দরকার হয় তাদের মধ্যে ২০%-ই শিশু।
- রক্ত দান করা ১০০% নিরাপদ।
- একজন ডোনারের এক পাইন্ট রক্ত তিন জন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।
- আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬০% মানুষ রক্ত দানে সক্ষম হলেও প্রকৃত পক্ষে দান করেন মাত্র ৪% মানুষ।
তাই আসুন, রক্ত দিয়ে অসহায় মানুষকে সহায়তা করার জন্য হাত বাড়াই..।

#আপনার দান করা রক্ত শুদ্ধতো ?

খালি চোখে আমরা অনেকেই অনেক সুস্থ থাকি । কিন্তু রক্তে বহন করে চলি অনেক রোগে জীবানু যা রক্তের মাধ্যমে চলে যেতে পারে অন্যের দেহে । তাই অন্যকে রক্ত দানের পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হওয়া উচিত আমাদের রক্ত শুদ্ধ কি না । আর নিজের শরীরের রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা একটা ভালো হাতিয়ার। স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্তবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি,এইডস, সিফিলিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা।

#রক্তদানের নুন্যতম যোগ্যতা:

আপনার বয়স যদি ১৮-৬০ বছরের মধ্যে হয়, ওজন যদি হয় কমপক্ষে ৪৮ কেজি এবং আপনি যদি সুস্থ থাকেন, তাহলেই আপনি প্রতি ৪ মাস পর পর রক্ত দিতে পারেন।

#রক্ত দান করে সুস্থ থাকুন:

রক্ত দান স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারি। নানান গবেষণার ফলে এটা এখন প্রমাণিত যে, রক্ত দেয়া স্বাস্থের জন্যে উপকারি শুধু নয়, রক্ত দিলে একজন মানুষ মুক্ত থাকতে পারেন বেশ কয়েকটি মারাত্মক রোগের ঝুঁকি থেকে:

#হৃদরোগ ও হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমে :

সিএনএন পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, রক্তে যদি লৌহের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনের পরিমাণ বেড়ে যায়, ধমনী ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ফলাফল হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি। নিয়মিত রক্ত দিলে দেহে এই লৌহের পরিমাণ কমে যা হৃদরোগের ঝুঁকিকেও কমিয়ে দেয় কার্যকরীভাবে।
ফ্লোরিডা ব্লাড সার্ভিসের এক জরিপে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত রক্ত দেন, তাদের হার্ট এটাকের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ৮৮ ভাগ কম এবং স্ট্রোকসহ অন্যান্য মারাত্মক হৃদরোগের ঝুঁকি ৩৩ ভাগ কম।

#ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে :

মিলার-কিস্টোন ব্লাড সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত রক্ত দিলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম বলে দেখা গেছে।

#প্রাণবন্ততা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি :

রক্তদান করার সাথে সাথে আমাদের শরীরের মধ্যে অবস্থিত বোন ম্যারো নতুন কণিকা তৈরির জন্যে উদ্দীপ্ত হয়। দান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়, আর লোহিত কণিকার ঘাটতি পূরণ হতে সময় লাগে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ। আর এই পুরো প্রক্রিয়া আসলে শরীরের সার্বিক সুস্থতা, প্রাণবন্ততা আর কর্মক্ষমতাকেই বাড়িয়ে দেয়।

#ইসলাম ধর্মে রক্তদান কি বৈধ ?

মানুষের দেহে রক্তের প্রয়োজনে রক্ত গ্রহনের যেমন বিকল্প নেই, তেমনি রক্তের চাহিদা পূরণের জন্য রক্ত বিক্রয় বৈধ নয়। তবে বিনা মূল্যে রক্ত না পেলে রোগীর জন্য রক্ত ক্রয় করা বৈধ, কিন্তু এতে বিক্রেতা গুনাহগার হবে। নাবী করিম (ছ.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক রোগের ওষুধ আছে। সুতরাং যখন রোগ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা হয়, তখন আল্লহর হুকুমে রোগী আরোগ্য লাভ করে।’ (মুসলিম)

বিপন্ন মানুষের মহামূল্যবান জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হয়েছে, ‘আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৩২)


তাই আসুন নিজে রক্ত দান করি অন্যকে রক্ত দানে উৎসাহিত করি।

দীর্ঘদিনের অল্প অল্প জ্বর

দীর্ঘদিনের অল্প অল্প জ্বর;
রোগীকে সময় দেন, বিস্তারিত জানেন, তারপর ঔষধ দেন। রোগীর করণীয় ডাক্তারের কাছে আপনার বিস্তারিত সমস্যার কথা বলুন, বহু রোগী আছে ডাক্তারের কাছে গেলে সমস্যার কথা ভুলে যাই।
দরকার হলে কাগজে নোট করে দিবেন।
ডাক্তার আপনার কথা অনুযায়ী অনেক সময় রোগ সনাক্ত করেন, ডাক্তারের কাছে কোন কথা গোপন রাখবেন না দয়া করে।
মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ৯৮.৪ ডিগ্রি। যখন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় তখন তাকে জ্বর (Fever) বলে। অল্প অল্প জ্বর বলতে যখন শরীরের তাপমাত্রা থার্মোমিটারে ৯৯ থেকে ১০১ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। বিভিন্ন কারণে শরীরে দীর্ঘদিন অল্প অল্প জ্বর থাকতে পারে তা হলোঃ যক্ষ্মা (TB) লিম্ফোমা (Lymphoma) কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া এইচআইভি ইনফেকশন (HIV) শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোঁড়া যেমন- ফুসফুসে ফোঁড়া, লিভারের ফোঁড়া কানেকটিভ টিস্যু রোগ যেমন- রিউমাটিয়েড আর্থ্রাটিস, SLE. থাইরয়েড রোগ (যেমন- Hyperthyroidism)) কৃত্রিম জ্বর (Factitious Fever). ওষুধজনিত কারণে জ্বর, আরও অন্যান্য কারণে যেমন-ফুসফুস ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, কিডনি ক্যান্সার।
দীর্ঘদিন জ্বর থাকলে তার অন্তর্নিহিত কারণ জানার জন্য রোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত ইতিহাস জেনে নিতে হবে যে, এ জ্বর কখন আসে, কীভাবে আসে (কাঁপিয়ে না আপনা আপনি) কীভাবে জ্বর চলে যায় (ঘাম দিয়ে, না এমনি চলে যায়, না জ্বর কমার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে হয়)।
দিনের কোন ভাগে বেশি জ্বর থাকে, জ্বরের সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ আছে কিনা- যেমন দীর্ঘদিনের অল্প অল্প জ্বর, বিকালের দিকে আসে, রাতে থাকে, সকালে কমে যায়, ঘাম দিয়ে জ্বর ভালো হয়ে যায়, সঙ্গে ৩ সপ্তাহের বেশি কাশি থাকে, কখনো কখনো কাশির সঙ্গে রক্ত যায়, শরীরের ওজন কমে যায়, খাবারে অরুচি, যক্ষ্মা রোগীর সঙ্গে বসবাসের ইতিহাস থাকে, তাহলে সন্দেহ করা হয় তার যক্ষ্মা হয়েছে।
দীর্ঘদিনের জ্বরের সঙ্গে রাতে শরীর ঘামানোর ইতিহাস, ক্ষুধামন্দা, শরীরে চুলকানি, জন্ডিসের ইতিহাস, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গ্লান্ড ফুলে যাওয়ার ইতিহাস থাকলে লিম্ফোমা (Lymphoma) সন্দেহ করা হয়।
অল্প অল্প জ্বরের সঙ্গে ডান দিকের উপরের পেটে ব্যথা, মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা, পরীক্ষা করে যদি জন্ডিস ও লিভার বড় পাওয়া যায় তাহলে সন্দেহ করা হয় লিভারে ফোঁড়া হয়েছে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, ঘাম দিয়ে জ্বর কমা, সবসময় দুর্গন্ধযুক্ত হলুদ রংয়ের কাশি থাকলে
সন্দেহ করা হয় ফুসফুসে ফোঁড়া হয়। cld.

Pregnancy test

#Pregnancy test:
জানতে হলে পড়তে হবে,
অনেক সময় দেখা যায় অবিবাহিত মেয়ের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেছে। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার বললো প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিয়ে আসুন । এমতাবস্থায় প্রথমে হয়তো রোগীর লোক বলবে রোগী অবিবাহিত। এখনও বিয়ে হয়নি, বাচ্চা কিভাবে হবে ডাক্তার তখন জোর দিয়ে বলবে আগে টেস্ট করে নিয়ে আসুন তারপর রোগী দেখবো, না হলে দেখবোনা। রোগী যাবে টেস্ট করাতে। এবার দেখা গেলো রোগী প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ। বাড়ির লোক অবাক, রোগী অজ্ঞান।
তখন স্বাভাবিক ভাবেই রোগীর বক্তব্য থাকবে,
আমি কিছু করিনি। রোগীর লোকের বক্তব্য, কিছু করিসনি তো বাচ্চা কোথা থেকে এলো। রোগী কে তার মা বাবা মারবে এটাই সাভাবিক।
ডাক্তারের কাছে রোগী কাঁদতে কাঁদতে বলবে, বিশ্বাস করেন ডাক্তার সাহেব আমি কিছুই করিনি। বাচ্চা কোথা থেকে এলো আমি জানিনা।
রোগীর লোক যদি জীন বিশ্বাসী হয় তবে বলে দেবে জীনের বাচ্চা ওটা কিন্তু ডাক্তারের কেরামতি এখনও বাকি আছে।ডাক্তার তখন আলট্রাসনোগ্রাফির সাহায্য নেবে।
আলট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা যাবে রোগী প্রেগনেন্ট না। রোগীর তল পেটে কোন ফেটাস নেই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে রোগীর পেটে বাচ্চা নেই কিন্তু প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ আসলো কেন।
এটা যে স্ট্রিপ দিয়ে টেস্ট করা হয় সেই স্ট্রিপ আসলে বাচ্চা ডিটেকটর না।
একজন মহিলা যখন বাচ্চা কনসিভ করে তার ৬ দিনের মধ্যে human chorionic gonadotropin (HCG) নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয় দেহ থেকে যা ইউরিন এর মাধ্যনে দেহ থেকে বের হয়। হরমনটি মূলত syncytiotrophoblast (প্লাসেন্টা অংশ) রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু এই একই হরমোন অনেক টিউমার যেমন : Seminoma, choriocarcinoma, germ cell tumors, hydatidiform mole formation, teratoma with elements of choriocarcinoma, and islet cell tumor এর কারণেও নি:সৃত হতে পারে। তখন তো প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ দেখাবে।
এইরকম পরিস্থিতিতে প্রথমেই অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেই। আত্মহত্যা করা বা অন্য কিছু ঘটানোর আগে সিউর হোন। আপনি নিজে সতর্ক হোন আর আশেপাশের মানুষকেও সতর্ক করুন। তাহলে হয়তো একটা প্রাণ বাঁচতে পারে। কে জানে এমন কিছু ঘটনা আপনার আশেপাশেই ঘটছে কিনা ।।
আমার কাজ হচ্ছে সঠিক টা আপনাদের কে জানিয়ে দেওয়া। মেয়েদের গার্জিয়ান হিসেবে আপনাদের কাজ সঠিক টি জেনে তার পর রোগী কে কিছু বলা। না জেনে রোগী কে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিবেন না। রোগী মরলে আপনার মেয়ে যাবে, আর সারাজীবন আপনি কান্না কাটি করবেন। আফসোস আপনার আর সঠিক টি জানা হবে না।
শেয়া করে কপি করে মানুষ কে জানানোও আমাদের সকলের কাজ। একটি ভুল হতে জীবন বাঁচান। আপনি ও আপনার পরিবার কে লজ্জার হাত হতে ও বাঁচান। cld.

গর্ভবতী মহিলার বিপদচিহ্ন কি কি??

গর্ভবতী মহিলার বিপদচিহ্ন কি কি??
আসুন জেনে নিই।




১) মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত
২)তীব্র মাথা ব্যথা
৩) অতিমাত্রায় বমি ও বমি বমি ভাব
৪) চোখে ঝাপসা দেখা
৫) বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া
৬) খিঁচুনি
এর কোন এক বা একাধিক চিহ্ন গর্ভবতী মায়ের থাকলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
বর্তমান সময়ে বেবীদের বেশী যে সমস্যাটা হয়, সেটা হল নিউমনিয়া। শিশুর নিউমোনিয়া কত প্রকার ও কি কি? কেন হয়?নিউমোনিয়ার ঝুকি কাদের বেশি থাকে?
→ ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগ নিউমোনিয়া। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়।
বাংলাদেশে তো বটেই, বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। যেসব শিশু নিউমোনিয়ায় ভোগার ঝুঁকিতে থাকে তারা হলোঃ
প্রিম্যাচিউর শিশু—অকালজাত, স্বল্পজন্ম, ওজন কম যাদের।
শিশুকে যদি বুকের শালদুধ ও প্রথম ছয় মাস শুধু বুকের দুধ না খাইয়ে ফিডারে বোতলে করে ফর্মুলা খাওয়ানো হয়।
অপুষ্টিজনিত শিশু।
ভিটামিন-এর অভাবজনিত সংকট।
ঘিঞ্জি অস্বাস্থ্যকর আলো-বাতাসহীন, ধূমপায়ী পরিবেশে থাকা শিশু প্রভৃতি।
তবে এর বাইরে শিশুর যত্নের অনেক ভুলেও অন্য রকম নিউমোনিয়ার শিকার হতে পারে শিশুরা। যেমন—
অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়াঃ- শিশুদের পাকস্থলীর সাইজ বেশ ছোট থাকে। অথচ তাকে পেটভরা অবস্থায় খেতে না চাইলেও জোরজবরদস্তি করে খাওয়ানো হয়।
এতে শিশুর তীব্র বমি হয়, সে খাবার উগরে দেয়। এতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস জালিকা ও ফুসফুসে চলে যেতে পারে। তখন অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়ার লক্ষণ হিসেবে দ্রুত শ্বাস, কাশ ও জ্বর দেখা যায়। বিশ্বব্যাপী এই নিউমোনিয়ায় মৃত্যুহার প্রায় ২৫ শতাংশ।
হাইড্রোকার্বন নিউমোনিয়াঃ শিশু যদি কার্নিস অয়েল, কেরোসিন, গ্যাসোলিন এসব দুর্ঘটনাবশত খেয়ে ফেলে, তবে তার কিয়দংশ ফুসফুসে চলে যেতে পারে, বিশেষত সে যদি এর পরবর্তী সময় বমি করে বা তাকে বমি করানো হয়, এতেই তৈরি হয় মারাত্মক নিউমোনিয়া।
লিপয়েড নিউমোনিয়াঃ সর্দি-কাশি হলে শিশুর নাকে-মুখে অনেকে তেল যেমন পেট্রোলিয়াম জেলি, সরিষার তেল, কডলিভার অয়েল, অ্যানিমেল অয়েল (ঘি) দেন এসব তৈলাক্ত পদার্থ সামান্য পরিমাণেও যদি ফুসফুসে পৌঁছে তবে সংকট তৈরি হতে পারে।
অন্যান্য নিউমোনিয়াঃ বেবি পাউডারের দানাগুলো এত হালকা, তা ব্যবহারের সময় শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস সূক্ষ্ম পথে প্রবাহিত হয়ে ভেতরে চলে যায়। এতে সে শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্টে ভোগে। ট্যালকম পাউডারের এক বিশেষ উপাদান পরবর্তী সময় ফুসফুসে ক্যান্সার তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
কখন শিশুকে ডাক্তার দেখানো জরুরীঃ
বুকে গড় গড় শব্দ হলে।
নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় শিশুর পেট ভেতরে ঢুকে গেলে।
মিনিটে ৪০ বারের বেশি শ্বাস নিলে।
নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাক ফুলে উঠলে।
মুখ ও ঠোঁটের চারপাশ নীল হলে, সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর থাকলে।
বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হলে। এ অবস্থায় সাধারণত শিশুর বুকের যেদিকে ব্যথা করে সেদিকটা ধরে থাকে। এবং যেদিকে ব্যথা সেদিকেই পাশ ফিরে শুয়ে থাকে। হাঁটু মুড়ে, হাঁটুকে বুকের কাছে এনে পাশ ফিরে থাকে।
ঘন ঘন শুকনো কাশি হলে। কাশি হতে থাকলেও কফ বের করতে না পারলে।
সব সময় মনে একটা অস্বস্তি, দুশ্চিন্তার মতো ভাব থাকলে।
→ কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিতঃ
শিশুকে জোরজবরদস্তি করে খাওয়ানো উচিত নয়। শিশু তার ‘পেটভরা অবস্থা’ বড়দের চেয়ে আগেভাগে বুঝতে পারে। ভরপেট খাওয়ানোর পর শিশুকে ডান কাত করে শোওয়ানো উচিত—তাতে তার পাকস্থলী খানিকটা নিচের দিকে থাকে।
খাওয়ানোর পর উগরানো কমাতে শিশুর মাথার নিচে বালিশ দিয়ে মাথার দিক উঁচু করে রাখা ভালো।
শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংকট বাড়লে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত, যাতে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ ও অন্যান্য চিকিৎসা সম্পন্ন হয়। (সংগৃহীত) 

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...