Wednesday, February 19, 2020

আপনি কেন রক্ত দিবেন ?

#আপনি কেন রক্ত দিবেন ?

- প্রতি ৩ সেকেন্ডে একজনের রক্তের প্রয়োজন হয়।
- যাদের রক্তের দরকার হয় তাদের মধ্যে ২০%-ই শিশু।
- রক্ত দান করা ১০০% নিরাপদ।
- একজন ডোনারের এক পাইন্ট রক্ত তিন জন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।
- আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬০% মানুষ রক্ত দানে সক্ষম হলেও প্রকৃত পক্ষে দান করেন মাত্র ৪% মানুষ।
তাই আসুন, রক্ত দিয়ে অসহায় মানুষকে সহায়তা করার জন্য হাত বাড়াই..।

#আপনার দান করা রক্ত শুদ্ধতো ?

খালি চোখে আমরা অনেকেই অনেক সুস্থ থাকি । কিন্তু রক্তে বহন করে চলি অনেক রোগে জীবানু যা রক্তের মাধ্যমে চলে যেতে পারে অন্যের দেহে । তাই অন্যকে রক্ত দানের পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হওয়া উচিত আমাদের রক্ত শুদ্ধ কি না । আর নিজের শরীরের রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা একটা ভালো হাতিয়ার। স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্তবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি,এইডস, সিফিলিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা।

#রক্তদানের নুন্যতম যোগ্যতা:

আপনার বয়স যদি ১৮-৬০ বছরের মধ্যে হয়, ওজন যদি হয় কমপক্ষে ৪৮ কেজি এবং আপনি যদি সুস্থ থাকেন, তাহলেই আপনি প্রতি ৪ মাস পর পর রক্ত দিতে পারেন।

#রক্ত দান করে সুস্থ থাকুন:

রক্ত দান স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারি। নানান গবেষণার ফলে এটা এখন প্রমাণিত যে, রক্ত দেয়া স্বাস্থের জন্যে উপকারি শুধু নয়, রক্ত দিলে একজন মানুষ মুক্ত থাকতে পারেন বেশ কয়েকটি মারাত্মক রোগের ঝুঁকি থেকে:

#হৃদরোগ ও হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমে :

সিএনএন পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, রক্তে যদি লৌহের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনের পরিমাণ বেড়ে যায়, ধমনী ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ফলাফল হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি। নিয়মিত রক্ত দিলে দেহে এই লৌহের পরিমাণ কমে যা হৃদরোগের ঝুঁকিকেও কমিয়ে দেয় কার্যকরীভাবে।
ফ্লোরিডা ব্লাড সার্ভিসের এক জরিপে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত রক্ত দেন, তাদের হার্ট এটাকের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ৮৮ ভাগ কম এবং স্ট্রোকসহ অন্যান্য মারাত্মক হৃদরোগের ঝুঁকি ৩৩ ভাগ কম।

#ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে :

মিলার-কিস্টোন ব্লাড সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত রক্ত দিলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম বলে দেখা গেছে।

#প্রাণবন্ততা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি :

রক্তদান করার সাথে সাথে আমাদের শরীরের মধ্যে অবস্থিত বোন ম্যারো নতুন কণিকা তৈরির জন্যে উদ্দীপ্ত হয়। দান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়, আর লোহিত কণিকার ঘাটতি পূরণ হতে সময় লাগে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ। আর এই পুরো প্রক্রিয়া আসলে শরীরের সার্বিক সুস্থতা, প্রাণবন্ততা আর কর্মক্ষমতাকেই বাড়িয়ে দেয়।

#ইসলাম ধর্মে রক্তদান কি বৈধ ?

মানুষের দেহে রক্তের প্রয়োজনে রক্ত গ্রহনের যেমন বিকল্প নেই, তেমনি রক্তের চাহিদা পূরণের জন্য রক্ত বিক্রয় বৈধ নয়। তবে বিনা মূল্যে রক্ত না পেলে রোগীর জন্য রক্ত ক্রয় করা বৈধ, কিন্তু এতে বিক্রেতা গুনাহগার হবে। নাবী করিম (ছ.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক রোগের ওষুধ আছে। সুতরাং যখন রোগ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা হয়, তখন আল্লহর হুকুমে রোগী আরোগ্য লাভ করে।’ (মুসলিম)

বিপন্ন মানুষের মহামূল্যবান জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হয়েছে, ‘আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৩২)


তাই আসুন নিজে রক্ত দান করি অন্যকে রক্ত দানে উৎসাহিত করি।

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...