সাহাবীদের কাছে সবচেয়ে খুশির দিন কোনটি ছিল, নবীর (ﷺ) জন্মদিন নাকি অন্য কোনদিন?
ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) পালনকারীরা যে ভন্ড ও মিথ্যুক তা জেনে নিন!!!
নিচের হাদিসটি ভাল করে লক্ষ্য করুন!! একজন সাহাবী রাঃ রাসুলকে (ﷺ) একটি প্রশ্ন করার পর রাসুল (ﷺ) জবাবে বলেন যে যাকে ভালবাসে সে তার সাথে কিয়ামতে অবস্থান করবে!!
এই হাদিসের রাবী প্রখ্যাত সাহাবী আনাস রাঃ বলেন এই কথা শুনার পর সাহাবীগণ রাঃ যত খুশি হন তারা ইসলাম গ্রহনের পর আর কখনও এত খুশি হননি! !
ভাই এখন প্রশ্ন হল সাহাবীগণ রাঃ ইসলাম গ্রহনের পর ৩০/৪০ বছর নবীর সঃ জন্মদিন পেয়েও কেন তারা আপনাদের মত ঐদিন খুশি উদযাপন ও জসনে জুলুস করলেন না??
কেন তারা নবীর (ﷺ) জন্মদিন থেকেও এই কথায় বেশি খুশি হয়েছিলেন? ?
তাহলে কি সাহাবীগণ রাঃ নবীর (ﷺ) জন্মদিন পেয়ে খুশি ছিলেন না??
যদি খুশি হয়েই থাকেন তাহলে কেন নবীর (ﷺ) জন্মদিনের চেয়ে ঐদিন সাহাবীগণ রাঃ বেশি খুশি হয়েছিলেন? ?
সাহাবীগণ রাঃ কি এই কয়েক বছরে রাসুলের (ﷺ) জন্মদিন পাননি??? পেয়ে থাকলে তো জীবনে সবচেয়ে বেশি খুশি উদযাপনের কথা বা খুশি হওয়ার কথা!! কিন্তুু আমরা দেখতে পাচ্ছি রাসুলের (ﷺ) জন্মদিন থেকে রাসুলের (ﷺ) এই কথাতেই সাহাবীগণ রাঃ সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলেন! ! কেন?
রাসুলের (ﷺ) ভালবাসায় শুকরিয়া স্বরুপ রাসুলের (ﷺ) জন্মদিনে যদি সবচেয়ে খুশি হয়ে ঈদ উদযাপন করাই নবী প্রেমিকের পরিচয় হয় তাহলে রাসুলের (ﷺ) জন্মদিনে সাহাবীরা শুকরিয়া স্বরুপ খুশি হয়ে ঈদ ও জসনে জুলুস কেন করলেন না?
তাহলে কি সাহাবীগণ রাঃ নবীকে (ﷺ) ভালবাসতেন না?
সাহাবীগণ রাঃ কি আপনাদের থেকে নবীকে (ﷺ) কম ভালবাসতেন?
সাহাবীগণ রাঃ কি আপনাদের থেকে নবীকে (ﷺ) কম ভালবাসতেন?
আছে কি কোন জবাব ???
দেখুন নিচের হাদিসটি…
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى قِيَامُ السَّاعَةِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصَّلاَةِ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ قِيَامِ السَّاعَةِ " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " مَا أَعْدَدْتَ لَهَا " قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا كَبِيرَ صَلاَةٍ وَلاَ صَوْمٍ إِلاَّ أَنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ وَأَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ " . فَمَا رَأَيْتُ فَرِحَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَ الإِسْلاَمِ فَرَحَهُمْ بِهَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) বলেন,,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট একজন লোক এসে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! কিয়ামাত কখন সংঘটিত হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দাঁড়িযে গেলেন। নামায সমাপ্তির পর তিনি প্রশ্ন করেন : কিয়ামাত সংঘটিত হওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! এই যে আমি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তুমি কিয়ামাতের জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছ? সে বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! আমি অবশ্য তেমন লম্বা (নাফল) নামাযও পড়িনি, রোযাও (নাফল) রাখিনি, তবে আমি নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে লোক যাকে ভালোবাসে, কিয়ামাত দিবসে সে তার সাথেই অবস্থান করবে। তুমিও যাকে ভালোবাস তার সাথেই অবস্থান করবে। বর্ণনাকারী বলেন, তারা এ কথায় এতই সন্তুষ্ট হলেন যে, ইসলাম গ্রহণের পর মুসলমানদের আর কোন বিষয়ে এত খুশি হতে দেখিনি।
সহীহ্ , রাওযুন নাযীর (১০৪), বুখারী, মুসলিম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৮৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৮৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবেগ দিয়ে ইসলাম চলেনা! ইসলাম চলে আল্লাহ ও রাসুলের (ﷺ) কথায়!!
যাইহোক নিচের হাদিসটি একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করুন!! আপনারা রাসুল (ﷺ) কে না পেয়েই আনন্দ মিছিল করছেন, জসনে জুলুস করছেন পেট ভরে মুরগ পোলাও খাচ্ছেন! অথচ যে সাহাবীগণ রাঃ সরাসরি রাসুলের (ﷺ) জন্মদি পেয়েছেন সরাসরি রাসুলকে (ﷺ) পেয়েছেন শুধু পাওয়া নয় স্বয়ং রাসুল সঃ তাদের প্রশ্ন করলেন কিছু মানুষ পেয়ে খুশি আর তোমরা স্বয়ং আমি নবীকে (ﷺ) পেয়ে খুশি! হে সাহাবীগণ রাঃ তোমরা কি আমাকে পেয়ে খুশি নও?? সাহাবীগণ রাঃ বললেন অবশ্যই আল্লাহর রসুল (ﷺ) !!
যে সাহাবীগণ রাঃ নবীকে (ﷺ) নবীকে পেয়ে খুশি হলেন সেই সাহাবীগণ রাঃ কেন নবীকে (ﷺ) পেয়ে সকল ঈদের সেরা ঈদ বানিয়ে কোন ঈদ করলেন না? কেন তারা জসনে জুলুস করলেন না??
নাকি বলবেন আপনাদের চেয়ে সাহাবীগণ রাঃ নবীকে (ﷺ) বেশি ভালবাসতেন না??
আর
যখন সাহাবীগণ রাঃ নবীকে পেয়ে খুশি হলেন তখন কেন নবীই (ﷺ) বা তাদের ঈদ ও জসনে জুলুস করতে বললেন না???
আর
যখন সাহাবীগণ রাঃ নবীকে পেয়ে খুশি হলেন তখন কেন নবীই (ﷺ) বা তাদের ঈদ ও জসনে জুলুস করতে বললেন না???
হাদিসটি পড়ে আশা করি জবাব দিবেন
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاسًا مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ " هَلُمَّ هَلْ فِيكُمْ أَحَدٌ مِنْ غَيْرِكُمْ " . قَالُوا لاَ إِلاَّ ابْنَ أُخْتٍ لَنَا . فَقَالَ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ ابْنَ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ قُرَيْشًا حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِجَاهِلِيَّةٍ وَمُصِيبَةٍ وَإِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أَجْبُرَهُمْ وَأَتَأَلَّفَهُمْ أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَرْجِعَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا وَتَرْجِعُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى بُيُوتِكُمْ " . قَالُوا بَلَى . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا وَسَلَكَتِ الأَنْصَارُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ أَوْ شِعْبَهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আনসারদের কিছু সংখ্যক লোককে একত্রিত করে বললেনঃ তোমাদের মাঝে আনসারদের ব্যতীত অপর কেউ আছে কি? তারা বললেন, না, তবে আমাদের এক ভাগ্নে আছে। তিনি বললেনঃ সম্প্রদায়ের ভাগ্নে তাদের অন্তর্ভূক্ত। তারপর তিনি বললেনঃ সবেমাত্র কুরাইশরা জাহিলিয়াত ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছে এবং তারা বিপদে পতিত। তাই তাদের ভগ্নহৃদয়ে আমি কিছুটা সহানুভূতির ছোয়া লাগাতে চাই এবং তাদের মনজয় করতে চাই (কিছু অতিরিক্ত সম্পদ দিয়ে) । তোমরা কি খুশি নও যে, লোকেরা দুনিয়া (মাল) নিয়ে বাড়ি ফিরবে আর তোমরা আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)-কে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরবে? তারা বললেন, হ্যাঁ। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি লোকেরা কোন গিরিপথ বা গিরিখাদ পার করে এবং আনসাররা যদি অন্য কোন গিরিসংকট বা গিরিখাদে চলে, তবে আমি আনসারদের গিরিসংকট বা গিরিখাদেই একসঙ্গে চলব।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৭৭৬), রাওযুন্ নাযীর (৯৬১), বুখারী ও মুসলিম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৯০১হাদিসের মান: সহিহ হাদিস.
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৯০১হাদিসের মান: সহিহ হাদিস.
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ওও সুন্নী নাম দিয়ে আর কত ভন্ডামী করবে এরা?
No comments:
Post a Comment