নবী (ﷺ) কি সোমবারে মিলাদুন্নবী পালন করার জন্য সিয়াম রাখতেন নাকি অন্য কিছুর জন্য সিয়াম রাখতেন??
পোস্ট পড়ুন...সত্য জানুন
যারা বলেন নবী (ﷺ) স্বয়ং মিলাদুন্নবী পালন করেছেন তারা নিচের হাদিসটি দলিল হিসেবে পেশ করেন!
৩৩. প্রতি মাসে তিন দিন, আরাফাতের দিন, আশুরার দিন, সোম ও বৃহস্পতিবার সাওম পালনের ফযীলত
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، رضى الله عنه أَنَّرَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الاِثْنَيْنِ فَقَالَ " فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ " .
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে সোমবারের সাওম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ঐদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং ঐদিন আমার উপর (কুরআন) নাযিল হয়েছে।
.
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা) (كتاب الصيام)
হাদিস নং ২৬২১
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে সোমবারের সাওম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ঐদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং ঐদিন আমার উপর (কুরআন) নাযিল হয়েছে।
.
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা) (كتاب الصيام)
হাদিস নং ২৬২১
আমি নীচে তিনটি হাদীছ পেশ করবো।
অতঃপর উপরোল্লিখিত হাদীছটির বিষয়ে
চূড়ান্ত ফায়ছালা দিবো। ইনশা আল্লাহ।
অতঃপর উপরোল্লিখিত হাদীছটির বিষয়ে
চূড়ান্ত ফায়ছালা দিবো। ইনশা আল্লাহ।
(১)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুধু সোমবারে ছওম রাখার কথা
বলেছেন তা কিন্তু নয়। বরং তিনি প্রতি সোম এবং বৃহস্পতিবার ছওম পালন করার কথা বলেছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুধু সোমবারে ছওম রাখার কথা
বলেছেন তা কিন্তু নয়। বরং তিনি প্রতি সোম এবং বৃহস্পতিবার ছওম পালন করার কথা বলেছেন।
যেমন-
আয়েশাহ রাঃ আনহা বলেছেন
, ﺃَﻥَّ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺇِﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺘَﺤَﺮَّﻯ ﺻِﻴَﺎﻡَ ﺍﻟِﺎﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺨَﻤِﻴﺲِ
নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সোম এবং বৃহস্পতিবারে ছওম রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।
.
(নাসাঈ হাদীছ-২৩৬০; ইবনে মাজাহ হাদীছ-১৭৩৯ইফাঃ)
আয়েশাহ রাঃ আনহা বলেছেন
, ﺃَﻥَّ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺇِﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺘَﺤَﺮَّﻯ ﺻِﻴَﺎﻡَ ﺍﻟِﺎﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺨَﻤِﻴﺲِ
নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সোম এবং বৃহস্পতিবারে ছওম রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।
.
(নাসাঈ হাদীছ-২৩৬০; ইবনে মাজাহ হাদীছ-১৭৩৯ইফাঃ)
(২)
রাসুল (ﷺ) বলেন,,
রাসুল (ﷺ) বলেন,,
تُعْرَضُ أَعْمَالُ النَّاسِ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّتَيْنِ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ فَيُغْفَرُ لِكُلِّ عَبْدٍ مُؤْمِنٍ إِلاَّ عَبْدًا بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءُ فَيُقَالُ اتْرُكُوا - أَوِ ارْكُوا - هَذَيْنِ حَتَّى يَفِيئَا " .
মানুষের আমলনামা সপ্তাহে দু'বার সোমবার ও বৃহস্পতিবার পেশ করা হয়। এরপর প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে ক্ষমা করা হয়। তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই এর সাথে তার শক্রতা আছে। তখন বলা হবে, এই দুজনকে রেখে দাও অথবা অবকাশ দাও যতক্ষন না তারা আপোষের দিকে প্রত্যাবর্তন করে।
.
সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ৬৩১৪
মানুষের আমলনামা সপ্তাহে দু'বার সোমবার ও বৃহস্পতিবার পেশ করা হয়। এরপর প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে ক্ষমা করা হয়। তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই এর সাথে তার শক্রতা আছে। তখন বলা হবে, এই দুজনকে রেখে দাও অথবা অবকাশ দাও যতক্ষন না তারা আপোষের দিকে প্রত্যাবর্তন করে।
.
সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ৬৩১৪
(৩)
রাসুল (ﷺ) বলেছেন,,
تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ "
প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমি ভালবাসি সায়িম অবস্থায় আমার আমলসমূহ পেশ করা হয়।
.
- তাখ্রীজুল মিশকাত ২০৫৬, তালীকুর রাগীব ৮৪/২, ইরওয়া ৯৪৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী] (তিরমিযী হাদীছ-৭৪৫ ইফাঃ ।
.
১ নং হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হ’ল যে, রাসূল (ﷺ)
কেবল সোম বারে ছওম রাখতে বলেছেন তা নয়। বরং
তিনি সোম এবং বৃহস্পতি- উভয় দিনেই রাখতে
উৎসাহ দিয়েছেন।
রাসুল (ﷺ) বলেছেন,,
تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ "
প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমি ভালবাসি সায়িম অবস্থায় আমার আমলসমূহ পেশ করা হয়।
.
- তাখ্রীজুল মিশকাত ২০৫৬, তালীকুর রাগীব ৮৪/২, ইরওয়া ৯৪৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী] (তিরমিযী হাদীছ-৭৪৫ ইফাঃ ।
.
১ নং হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হ’ল যে, রাসূল (ﷺ)
কেবল সোম বারে ছওম রাখতে বলেছেন তা নয়। বরং
তিনি সোম এবং বৃহস্পতি- উভয় দিনেই রাখতে
উৎসাহ দিয়েছেন।
২ এবং ৩ নম্বর হাদীছে
সোমবার এবং বৃহস্পতিবারে ছওম রাখার
ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। আর এই ফযীলত
বর্ণনা করেছেন স্বয়ং মুহাম্মাদ ( ﷺ)। তিনি
এখানে তার জন্মদিনের ফযিলতের কথা উল্লেখ
করেননি।
সোমবার এবং বৃহস্পতিবারে ছওম রাখার
ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। আর এই ফযীলত
বর্ণনা করেছেন স্বয়ং মুহাম্মাদ ( ﷺ)। তিনি
এখানে তার জন্মদিনের ফযিলতের কথা উল্লেখ
করেননি।
বলা হয়ে থাকে,
“এ মোবারক কথার মাধ্যমে হুযুর (ﷺ) তাঁর পবিত্র “বিলাদত” (শুভাগমন) শরীফের শুকরিয়ার্থে সোমবারে সিয়াম রাখার ফযীলতের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এতে হুযুর (দঃ) এর পক্ষ্য থেকে ঈদে
মিলাদুন্নবী উদযাপনের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।”
“এ মোবারক কথার মাধ্যমে হুযুর (ﷺ) তাঁর পবিত্র “বিলাদত” (শুভাগমন) শরীফের শুকরিয়ার্থে সোমবারে সিয়াম রাখার ফযীলতের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এতে হুযুর (দঃ) এর পক্ষ্য থেকে ঈদে
মিলাদুন্নবী উদযাপনের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।”
সম্মানিত পাঠক!
এটি এনাদের মনগড় দাবি। স্বয়ং নবী (ﷺ) এই দুদিনের সিয়ামের ফযীলত সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তিনি বেলাদাতের ফযীলত উল্লেখ করেন নি। আর এনারা নিজের তরফ থেকে বানোয়াট ব্যাখ্যা প্রচার করছেন।
এটি এনাদের মনগড় দাবি। স্বয়ং নবী (ﷺ) এই দুদিনের সিয়ামের ফযীলত সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তিনি বেলাদাতের ফযীলত উল্লেখ করেন নি। আর এনারা নিজের তরফ থেকে বানোয়াট ব্যাখ্যা প্রচার করছেন।
প্রশ্ন- তাহ’লে এই হাদীছ দ্বারা কি উদ্দেশ্য?
জবাব : এই হাদীছ দ্বারা নবী (ﷺ)-এর নিজের
জন্মদিনের দিন সম্পর্কে অবহিত করাই হ’ল
মূল উদ্দেশ্য। আর তাকে কেবলমাত্র
সোমবারে সিয়াম রাখার ফযীলত সম্পর্কেও এই
হাদীছে জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
জন্মদিনের দিন সম্পর্কে অবহিত করাই হ’ল
মূল উদ্দেশ্য। আর তাকে কেবলমাত্র
সোমবারে সিয়াম রাখার ফযীলত সম্পর্কেও এই
হাদীছে জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
আসুন আমরা
হাদীছটি আরবীসহ পাঠ করি
কাতাদাহ আনছারী রাঃ বলেন,,
হাদীছটি আরবীসহ পাঠ করি
কাতাদাহ আনছারী রাঃ বলেন,,
قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ قَالَ " ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ وَيَوْمٌ بُعِثْتُ أَوْ أُنْزِلَ عَلَىَّ فِيهِ
রাসুলকে (ﷺ) সোমবারের ছওম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হ’ল। তিনি বললেন, এটি ঐ দিন যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি। এবং ঐ দিনই আমাকে নবুআত দান করা হয়েছে কিংবা আমার উপর কুরআন নাযিল করা হয়েছে।
.
(মুসলিম হা/২৬১৮ইফাঃ)
রাসুলকে (ﷺ) সোমবারের ছওম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হ’ল। তিনি বললেন, এটি ঐ দিন যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি। এবং ঐ দিনই আমাকে নবুআত দান করা হয়েছে কিংবা আমার উপর কুরআন নাযিল করা হয়েছে।
.
(মুসলিম হা/২৬১৮ইফাঃ)
হাদীছের ভাষ্য দ্বারা অনুধাবন হয় যে, এখানে তিনি প্রশ্নের জবাবে বিবৃতি দিয়েছেন মাত্র। কোন মীলাদ
নামক বানোয়াট আমল করতে বলেননি।
নামক বানোয়াট আমল করতে বলেননি।
তাছাড়াও ক্বাতাদা (রাঃ) বর্ণিত এই হাদীছটি আবূ দাউদেও রয়েছে। সেখানে সোমবার এবং বৃহস্পতিবার - উভয়ই দিনের কথাই আছে।
.
গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৮/ সওম (كتاب الصوم )
হাদিস নং ২৪১৮
.
গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৮/ সওম (كتاب الصوم )
হাদিস নং ২৪১৮
আবূ কাতাদা (রাঃ) পূর্বোক্ত হাদীসের বর্ণনা করেছেন। এরপর তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন,
قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ صَوْمَ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمِ الْخَمِيسِ قَالَ " فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ الْقُرْآنُ " .
ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম রাখা সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বলেন, এ দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিন আমার উপর কুরআন সর্বপ্রথম নাযিল হয়।
.
সোমবার না হয় রাসূলের (ﷺ) জন্মদিন। কিন্তু
বৃহস্পতিবার কেন তিনি ছওম রাখতে উৎসাহ
দিলেন? এ দু’টি দিনেই কি জন্মগ্রহণ করেছেন
সেজন্য ছওম রাখতে বলেছেন? নাকি অন্য
কারণে ছওম রাখতে বলেছেন?
.
পাঠক!
আপনারাইতিমধ্যেই অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, মূলত সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আমলকে উর্দ্ধে
উঠানো হয় তাই এই দুটি দিনে ছওম রাখা উত্তম। যেন ফেরেশতাগণ আমাদের আমলকে ছওমরত অবস্থায় পেীছাতে পারেন। এখানে জন্মদিন -এর কারণে ছওম রাখতে বলা হয়নি।
.
(৪) ইমাম নববী এই হাদীছটির চমৎকার
ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। কিন্তু কোথাও
তিনি বেলাদাত বা মীলাদ শব্দটি লেখেননি।
এতে বুঝা যায় যে, এই হাদীছ দ্বারা নবী
ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
বেলাদাত-এর উপলক্ষ্যে মীলাদ করা বুঝান
নি (দেখুন : ইমাম নববী রচিত শরহে ছহীহ
মুসলিম ৮/৫২)।
.
সারাংশ হ’ল, মুসলিমের উপরোক্ত হাদীছ দ্বারা বিলাদাতের ফযীলতের কথা বলে মীলাদ করার প্রতি ইশারা করা হ’ল বর্তমান সময়ের বানানো ব্যাখ্যা। যার কোন অস্তিত্ব চার মাযহাবের ইমামদের যুগেও ছিল না। যদি থাকতো তবে তারা অবশ্যই এই হাদীছ দ্বারা মীলাদ করার দলীল দিতেন। কিন্তু তারা তা করেন নি।
.
আপনারা হয়তো অনেকেই মনে করতে পারেন যে, আমি নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা করছি! আসলে কিন্তু তা নয়। বরং আমার ব্যাখ্যার সমর্থনে অবশ্যই একটি সহিহ হাদিস রয়েছে।
এই হাদিস থেকেই আমরা প্রকৃত সমাধান পেয়ে যাব ইনশাআল্লাহ!
.
আমরা একটি হাদিস পেয়েছি যেখানে সাহাবীগণও রাঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম রাখতেন!
.
এখন প্রশ্ন হল সাহাবীগণ রাঃ কি নবীর (ﷺ) জন্মদিন তথা মিলাদ উপলক্ষে সোমবারে সাওম পালন করতেন নাকি অন্য কোন উদ্যেশ্যে? ?
.
সাহাবীগণ রাঃ কি মিলাদুন্নবী পালন করার জন্য সাওম পালন করতেন নাকি অন্য কোন উদ্যেশ্যে? ?
.
নিচের হাদিস টি দেখুন!
ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম রাখা সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বলেন, এ দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিন আমার উপর কুরআন সর্বপ্রথম নাযিল হয়।
.
সোমবার না হয় রাসূলের (ﷺ) জন্মদিন। কিন্তু
বৃহস্পতিবার কেন তিনি ছওম রাখতে উৎসাহ
দিলেন? এ দু’টি দিনেই কি জন্মগ্রহণ করেছেন
সেজন্য ছওম রাখতে বলেছেন? নাকি অন্য
কারণে ছওম রাখতে বলেছেন?
.
পাঠক!
আপনারাইতিমধ্যেই অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, মূলত সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আমলকে উর্দ্ধে
উঠানো হয় তাই এই দুটি দিনে ছওম রাখা উত্তম। যেন ফেরেশতাগণ আমাদের আমলকে ছওমরত অবস্থায় পেীছাতে পারেন। এখানে জন্মদিন -এর কারণে ছওম রাখতে বলা হয়নি।
.
(৪) ইমাম নববী এই হাদীছটির চমৎকার
ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। কিন্তু কোথাও
তিনি বেলাদাত বা মীলাদ শব্দটি লেখেননি।
এতে বুঝা যায় যে, এই হাদীছ দ্বারা নবী
ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
বেলাদাত-এর উপলক্ষ্যে মীলাদ করা বুঝান
নি (দেখুন : ইমাম নববী রচিত শরহে ছহীহ
মুসলিম ৮/৫২)।
.
সারাংশ হ’ল, মুসলিমের উপরোক্ত হাদীছ দ্বারা বিলাদাতের ফযীলতের কথা বলে মীলাদ করার প্রতি ইশারা করা হ’ল বর্তমান সময়ের বানানো ব্যাখ্যা। যার কোন অস্তিত্ব চার মাযহাবের ইমামদের যুগেও ছিল না। যদি থাকতো তবে তারা অবশ্যই এই হাদীছ দ্বারা মীলাদ করার দলীল দিতেন। কিন্তু তারা তা করেন নি।
.
আপনারা হয়তো অনেকেই মনে করতে পারেন যে, আমি নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা করছি! আসলে কিন্তু তা নয়। বরং আমার ব্যাখ্যার সমর্থনে অবশ্যই একটি সহিহ হাদিস রয়েছে।
এই হাদিস থেকেই আমরা প্রকৃত সমাধান পেয়ে যাব ইনশাআল্লাহ!
.
আমরা একটি হাদিস পেয়েছি যেখানে সাহাবীগণও রাঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম রাখতেন!
.
এখন প্রশ্ন হল সাহাবীগণ রাঃ কি নবীর (ﷺ) জন্মদিন তথা মিলাদ উপলক্ষে সোমবারে সাওম পালন করতেন নাকি অন্য কোন উদ্যেশ্যে? ?
.
সাহাবীগণ রাঃ কি মিলাদুন্নবী পালন করার জন্য সাওম পালন করতেন নাকি অন্য কোন উদ্যেশ্যে? ?
.
নিচের হাদিস টি দেখুন!
باب فِي صَوْمِ الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ مَوْلَى، قُدَامَةَ بْنِ مَظْعُونٍ عَنْ مَوْلَى، أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ انْطَلَقَ مَعَ أُسَامَةَ إِلَى وَادِي الْقُرَى فِي طَلَبِ مَالٍ لَهُ فَكَانَ يَصُومُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ فَقَالَ لَهُ مَوْلاَهُ لِمَ تَصُومُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ وَأَنْتَ شَيْخٌ كَبِيرٌ فَقَالَ إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ وَسُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " إِنَّ أَعْمَالَ الْعِبَادِ تُعْرَضُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي الْحَكَمِ .
মূসা ইবন ইসমাঈল .......... উসামা ইবন যায়দের রাঃ আযাদকৃত গোলাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তিনি উসামার সাথে কুবা নামক উপত্যকায় তাঁর মালের জন্য গমন করেন। তিনি (উসামা) সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম রাখেন। তাঁর আযাদকৃত গোলাম তাঁকে বলে, আপনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার কেন সিয়াম রাখেন অথচ আপনি একজন অতি বৃদ্ধ ব্যক্তি। তিনি বলেন, নবী ( ﷺ) সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ মানুষের আমলসমূহ সেমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহ সমীপে পেশ করা হয়।
গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৮/ সওম (كتاب الصوم )
হাদিস নম্বরঃ ২৪২৮
হাদিসের মানঃ সহিহ
অধ্যায়ঃ ৮/ সওম (كتاب الصوم )
হাদিস নম্বরঃ ২৪২৮
হাদিসের মানঃ সহিহ
সুবহানাল্লাহ! সাহাবীদের রাঃ আমল থেকেই সমাধান পাওয়া গেল যে সোমবারে আমলনামা পৌছানো হয় বিধায় সাহাবীগণ রাঃ সাওম পালন করতেন! মিলাদুন্নববী উপলক্ষে তারা সাওম পালন করতেন না!!
এতে প্রমাণিত হয়ে গেল যে নবী (ﷺ) সোমবারে সিয়াম রাখতেন যেন উনার আমলনামা সায়িম/রোযাদার হিসেবে আল্লাহর দরবারে পৌছানো হয়! অর্থাৎ নবী (ﷺ) মিলাদুন্নবীর কারনে সোমবারে সিয়াম রাখতেন না!!
No comments:
Post a Comment