ঈদে মিলাদুন্নবীর (ﷺ) বিধান ও তা পালনে পুরুষ্কার!!
" সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী " এটা মানুষের মনগড়া বানানো !! এই ঈদের বিধান না আল্লাহর দেওয়া আর না রাসুলের (ﷺ)!!
.
🍁
নবীর (ﷺ) জন্মদিনকে সকল ঈদের সেরা ঈদ কে বানালো? এর বিধান কি আল্লাহ দিয়েছেন?
এর জন্য আল্লাহ বা রাসুলের (ﷺ) পক্ষ থেকে কোন প্রমাণ আছে কি?
.
🍁
নবীর (ﷺ) জন্মদিনকে সকল ঈদের সেরা ঈদ কে বানালো? এর বিধান কি আল্লাহ দিয়েছেন?
এর জন্য আল্লাহ বা রাসুলের (ﷺ) পক্ষ থেকে কোন প্রমাণ আছে কি?
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,,
.
مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اِلَّاۤ اَسۡمَآءً سَمَّیۡتُمُوۡہَاۤ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ مَّاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ بِہَا مِنۡ سُلۡطٰنٍ ؕ اِنِ الۡحُکۡمُ اِلَّا لِلّٰہِ ؕ اَمَرَ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّاۤ اِیَّاہُ ؕ ذٰلِکَ الدِّیۡنُ الۡقَیِّمُ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
তাঁকে ছেড়ে তোমরা শুধু কতগুলো নামের ইবাদাত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ; এগুলোর কোন প্রমাণ আল্লাহ্ পাঠাননি। বিধান দেয়ার অধিকার শুধু মাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন শুধু তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত না করতে, এটাই শাশ্বত দ্বীন কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটা জানে না।
ইউসুফ/৪০
.
مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اِلَّاۤ اَسۡمَآءً سَمَّیۡتُمُوۡہَاۤ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ مَّاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ بِہَا مِنۡ سُلۡطٰنٍ ؕ اِنِ الۡحُکۡمُ اِلَّا لِلّٰہِ ؕ اَمَرَ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّاۤ اِیَّاہُ ؕ ذٰلِکَ الدِّیۡنُ الۡقَیِّمُ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
তাঁকে ছেড়ে তোমরা শুধু কতগুলো নামের ইবাদাত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ; এগুলোর কোন প্রমাণ আল্লাহ্ পাঠাননি। বিধান দেয়ার অধিকার শুধু মাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন শুধু তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত না করতে, এটাই শাশ্বত দ্বীন কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটা জানে না।
ইউসুফ/৪০
রাসুলকেও (ﷺ) আল্লাহ একমাত্র শরিয়তের উপরই রেখেছিলেন,এবং রাসুলও (ﷺ) আল্লাহর বিধানের অনুসরণ করতেন,,
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,
﴿ ثُمَّ جَعَلۡنَٰكَ عَلَىٰ شَرِيعَةٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡرِ فَٱتَّبِعۡهَا وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَ ٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَ ١٨ ﴾ [الجاثية: ١٨]
তারপর আমি তোমাকে দীনের এক বিশেষ বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। সুতরাং তুমি তার অনুসরণ কর এবং যারা জানে না তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না।
{সূরা আল-জাছিয়া, আয়াত : ১৮}
.
কিছু মানুষ বিধান প্রদানে আল্লাহর সাথে শরীক করে!
আল্লাহ বলেন,, আথচ আল্লাহ তার অনুমতি দেননি!
তিনি বলেন,,
﴿ أَمۡ لَهُمۡ شُرَكَٰٓؤُاْ شَرَعُواْ لَهُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمۡ يَأۡذَنۢ بِهِ ٱللَّهُۚ وَلَوۡلَا كَلِمَةُ ٱلۡفَصۡلِ لَقُضِيَ بَيۡنَهُمۡۗ وَإِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٢١ ﴾ [الشورى: ٢١]
তাদের কি এমন শরীক আছে, যারা তাদের জন্যে সে বিধি-বিধান প্রবর্তন করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি ? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ব্যাপারে ফয়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয় যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
{সূরা আশ-শূরা, আয়াত : ২১}
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,
﴿ ثُمَّ جَعَلۡنَٰكَ عَلَىٰ شَرِيعَةٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡرِ فَٱتَّبِعۡهَا وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَ ٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَ ١٨ ﴾ [الجاثية: ١٨]
তারপর আমি তোমাকে দীনের এক বিশেষ বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। সুতরাং তুমি তার অনুসরণ কর এবং যারা জানে না তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না।
{সূরা আল-জাছিয়া, আয়াত : ১৮}
.
কিছু মানুষ বিধান প্রদানে আল্লাহর সাথে শরীক করে!
আল্লাহ বলেন,, আথচ আল্লাহ তার অনুমতি দেননি!
তিনি বলেন,,
﴿ أَمۡ لَهُمۡ شُرَكَٰٓؤُاْ شَرَعُواْ لَهُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمۡ يَأۡذَنۢ بِهِ ٱللَّهُۚ وَلَوۡلَا كَلِمَةُ ٱلۡفَصۡلِ لَقُضِيَ بَيۡنَهُمۡۗ وَإِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٢١ ﴾ [الشورى: ٢١]
তাদের কি এমন শরীক আছে, যারা তাদের জন্যে সে বিধি-বিধান প্রবর্তন করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি ? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ব্যাপারে ফয়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয় যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
{সূরা আশ-শূরা, আয়াত : ২১}
আদেশ-নিষেধ প্রদানেও আল্লাহ একক; তাঁর কোনো শরীক নেই।
আল্লাহ বলেন,
﴿أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٥٤ ﴾ [الاعراف: ٥٤]
জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই, সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কতই না বরকতময়!
{সূরা আল-আরাফ, আয়াত : ৫৪}
আল্লাহ বলেন,
﴿أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٥٤ ﴾ [الاعراف: ٥٤]
জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই, সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কতই না বরকতময়!
{সূরা আল-আরাফ, আয়াত : ৫৪}
এখন যদি কোন ব্যাক্তি মনে করে আল্লাহ ও রাসুল (ﷺ) ছাড়াও কেউ বিধান দিতে পারে তাহলে সে নিচের আয়াত অস্বীকারকারি!
وَّ لَا یُشۡرِکُ فِیۡ حُکۡمِہٖۤ اَحَدًا
তিনি (আল্লাহ) তার হুকুম তথা বিধিবিধান দেওয়াতে কাউকে অংশীদার করেন না!
কাহফ//
وَّ لَا یُشۡرِکُ فِیۡ حُکۡمِہٖۤ اَحَدًا
তিনি (আল্লাহ) তার হুকুম তথা বিধিবিধান দেওয়াতে কাউকে অংশীদার করেন না!
কাহফ//
🍁 এরপরও যদি কেউ মনগড়া বিধান প্রবর্তন করে তাহলে কি হবে?
.
প্রথমত ঐ ব্যাক্তি সুস্পষ্ট পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে,,
وَ مَا کَانَ لِمُؤۡمِنٍ وَّ لَا مُؤۡمِنَۃٍ اِذَا قَضَی اللّٰہُ وَ رَسُوۡلُہٗۤ اَمۡرًا اَنۡ یَّکُوۡنَ لَہُمُ الۡخِیَرَۃُ مِنۡ اَمۡرِہِمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیۡنًا
আর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ের ফায়সালা দিলে কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে বিষয়ে তাদের কোন (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার সংগত নয়। আর যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হলো।
আহযাব/৩৬
.
প্রথমত ঐ ব্যাক্তি সুস্পষ্ট পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে,,
وَ مَا کَانَ لِمُؤۡمِنٍ وَّ لَا مُؤۡمِنَۃٍ اِذَا قَضَی اللّٰہُ وَ رَسُوۡلُہٗۤ اَمۡرًا اَنۡ یَّکُوۡنَ لَہُمُ الۡخِیَرَۃُ مِنۡ اَمۡرِہِمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیۡنًا
আর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ের ফায়সালা দিলে কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে বিষয়ে তাদের কোন (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার সংগত নয়। আর যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হলো।
আহযাব/৩৬
যেহেতু ঈদুল ফিতর,ঈদুল আদ্বহা, শুক্রবার, আরাফার দিন,আইয়্যামে তাশরীকে ঈদ হিসেবে আল্লাহ ও রাসুল (ﷺ) ফয়সালা দিয়েছেন! কিন্তু সে ব্যাক্তি আল্লাহ ও রাসুলের (ﷺ) ফরসালা না মেনে নতুন আরেক ঈদের ফয়সালা দিল!
দ্বিতীয়ত, সে ঈমানদার থাকতে পারবে না!
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ثُمَّ لَمۡ یَرۡتَابُوۡا
তারাই তো মুমিন, যারা আল্লাহ্ ও তঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি।
হুজরাত ১৫
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ثُمَّ لَمۡ یَرۡتَابُوۡا
তারাই তো মুমিন, যারা আল্লাহ্ ও তঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি।
হুজরাত ১৫
কারন সে এই বলে সন্দেহ করেছে যে, আল্লাহ ও রাসুল (ﷺ) যা নির্ধারণ করেছেন তার চেয়েও ভাল ও সওয়াব হল ঈদে মিলাদুন্নবী!
তৃতীয়ত ঐ ব্যাক্তি কাফির হয়ে যাবে
قُلۡ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ ۚ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡکٰفِرِیۡنَ
বলুন, তোমরা আল্লাহ্ ও রাসূলের আনুগত্য কর। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফেরদেরকে পছন্দ করেন না।
আল ইমরান/৩২
قُلۡ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ ۚ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡکٰفِرِیۡنَ
বলুন, তোমরা আল্লাহ্ ও রাসূলের আনুগত্য কর। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফেরদেরকে পছন্দ করেন না।
আল ইমরান/৩২
কারন, ঈদ হিসেবে যে দিনগুলি আল্লাহ ও রাসুল (ﷺ) নির্ধারণ করেছেন সে এই নির্দেশনার ক্ষেত্রে আল্লাহ ও রাসুলের (ﷺ) আনুগত্য না তা অস্বীকার করে নতুন আরেক ঈদ বানিয়ে ফেলল!
চতুর্থত সেই ব্যাক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে!
কারন, আল্লাহ ও রাসুল (ﷺ) যেসব ঈদের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে ব্যাক্তি সেই সীমা অতিক্রম করে নতুন আরেক ঈদের প্রবর্তন করেছে!
কারন, আল্লাহ ও রাসুল (ﷺ) যেসব ঈদের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে ব্যাক্তি সেই সীমা অতিক্রম করে নতুন আরেক ঈদের প্রবর্তন করেছে!
وَ مَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ یَتَعَدَّ حُدُوۡدَہٗ یُدۡخِلۡہُ نَارًا خَالِدًا فِیۡہَا ۪ وَ لَہٗ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ
আর কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হলো এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা লংঘন করলো তিনি তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন; সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে এবং তার জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
নিসা/১৪
আর কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হলো এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা লংঘন করলো তিনি তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন; সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে এবং তার জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
নিসা/১৪
আমরা যেন আমাদের কোরআন সুন্নাহ ফলো করে প্রকৃত মুসলিম ও ঈমানদার হতে পারি!
আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন
No comments:
Post a Comment