Friday, November 8, 2019

মীলাদুন্নবীর ইতিহাস

মীলাদ ও মীলাদুন্নবীর ইতিহাস

মীলাদুন্নবী তথা রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম উৎসব।
মীলাদ, শবে বরাত ও মীলাদুন্নবী কেন বিদআত?
রসুলুল্লাহ সঃ  মাক্কায় যে ঘরে ভূমিষ্ট হয়েছিলেন সেই ঘরটির যিয়ারত ও সেখানে দু'আ করার প্রথা সর্বপ্রথম চালু করেন বাদশাহ হারুনুর রশিদের মা খায়যুরান বিবি (মৃত্যু ১৭৩ হিজরী ৭৮৯ ঈসায়ী)।
 পরবর্তীকালে ১২ই রবিউল আউয়ালকে আল্লাহর নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস
ধরে নিয়ে তীর্থ যাত্রীগণ ঐ ঘরে এসে দুআ করা ছাড়াও বারকাতের আশায় ভূমিষ্ট হওয়ার স্থানটি স্পর্শ ও চুম্বন করতাে- (ইবনু জুবায়ের ১১৪, ৬৩ পৃঃ ও আল-বালুনী
৩৪ পৃঃ)।
এখানে ব্যক্তিগত যিয়ারত ছাড়াও একটি উৎসব অনুষ্ঠিত হতাে। তা ইবনু জুবাইরের (মৃত্যু ৬১৪ হিঃ) গ্রন্থের ১১৪ ও ১১৫ পৃষ্ঠায় প্রথম জানা যায়।
অতঃপর হিজরীয় চতুর্থ শতকে উবাইদ নামে এক ইয়াহুদী ইসলাম গ্রহণ করে। তার নাম রাখা হয় উবাইদুল্লাহ। তিনি নিজেকে ফাতিমাহ (রাঃ)-এর
সম্ভ্রান্ত বংশধর বলে দাবী করেন এবং মাহদী উপাধি ধারণ করেন। এরই প্রপৌত্র (পৌত্রের ছেলে) মুয়ি লিদীনিল্লাহ ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের জন্মবার্ষিকীর অনুকরণে ছয় রকম জন্মবার্ষিকী ইসলামে আমদানী করেন। এবং মিশরের ফাতিমী শিয়া শাসকরা মুসলিমদের মধ্যে জন্মবার্ষিকী পালনের রীতি চালু করেন। এই ফাতিমী শিয়া খিলাফতের প্রতিষ্ঠাতা আবু মুহাম্মাদ উবাইদুল্লাহ ইবনু মায়মূন প্রথমে ইয়াহুদী ছিলেন- (আল বিদায়াহ আননিহাইয়া একাদশ ১৭২ পৃষ্ঠা)।
কারাে মতে তিনি ছিলেন অগ্নিপূজারী- (মাকরিজীর আল খুজাত আল আসার ১ম খণ্ড ৪৮ পৃষ্ঠা)।
 ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, মিশরের ফিরআউন জন্মোৎসব পালন করতেন। (ফাতা-শুয়া নায়রিয়্যাহ ১ম খণ্ড, ১৯৯ পৃঃ)।
ফিরআউন ছিল ইয়াহুদী। তারপর ঐ ইয়াহুদী রীতি
খৃষ্টানদের মধ্যেও সংক্রামিত হয়। ফলে তারা তাদের নাৰী ঈসা (আঃ)-এর জন্মবার্ষিকী ক্রিসমাস ডে’ পালন করতে থাকে। মুসলিমদের মাঝে এই জন্মবার্ষিকী রীতি চালু হওয়ার একশ তিন বছর পর অর্থাৎ ৪৬৫ হিজরীতে আফজাল ইবনু আমীরুল জাইশ মিশরের ক্ষমতা দখল করে রসূল সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আলী (রাঃ), ফাতিমাহ (রাঃ), হাসান
(রাঃ), হােসেন (রাঃ)-এর নামে সহ প্রচলিত ছয়টি জন্মবার্ষিকী পালনের রীতি বাতিল করে দেন- (মিশরের মুফতী শায়খ মুহাম্মাদ রচিত আহসানউল কালাম ফী মাইয়্যাতা আল্লাকু বিস সুন্নাতি অল বিদআতী মিনাল আহকাম, ৪৪-৪৫ পৃষ্ঠা বরাতে তাম্মি উলিল আবসা-রা ইলা কামা সিদ্দিন আমা ফিল বিদায়ী মিনাল আখতার, ২৩০ পৃষ্ঠা)।
এরপর ত্রিশ বছর বন্ধ থাকার পর ফাতিমী শিয়া খলিফা আমির বি-আহকা- মিল্লা-হ পুনরায় এই প্রথা
চালু করেন। তখন থেকেই জন্মবার্ষিকী পালনের রীতি চালু হয়ে এখনও চলছে। (ঐ ২৩০-২৩১ পৃষ্ঠা ।

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...