Friday, November 8, 2019

ঈদেমিলাদুন্নবী নামকরণ কে করেছে?

আল্লাহ বা রাসুল (ﷺ) #ঈদে_মিলাদুন্নবী""র নামকরণ করেননি ! প্রবৃত্তি পূজারী, পথভ্রষ্টরা এবং তাদের বাপ দাদারা এই নামকরণ করেছে !

সত্য হল এভাবেই মানুষ পথভ্রষ্ট হয় !!

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,,

مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ  اِلَّاۤ  اَسۡمَآءً سَمَّیۡتُمُوۡہَاۤ  اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ مَّاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ  بِہَا مِنۡ سُلۡطٰنٍ ؕ اِنِ الۡحُکۡمُ  اِلَّا لِلّٰہِ ؕ اَمَرَ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّاۤ اِیَّاہُ ؕ ذٰلِکَ الدِّیۡنُ الۡقَیِّمُ  وَ لٰکِنَّ  اَکۡثَرَ  النَّاسِ لَا  یَعۡلَمُوۡنَ

‘তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে নিছক কতগুলো নামের ইবাদাত করছ, যাদের নামকরণ তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষরা করেছ, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ প্রমাণ নাযিল করেননি। বিধান একমাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, ‘তাঁকে ছাড়া আর কারো ইবাদাত করো না’। এটিই সঠিক দীন, কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না’।

ইউসুফ /৪০

মানুষ তার নিজ খেয়াল খুশি বা প্রবৃত্তির অনুসরন ও পেটের কারনেই পথভ্রষ্ট হয়!!
.
আবু বারযাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
صحيح) عَنْ أَبِي بَرْزَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  قَالَ إِنَّ مِمَّا أَخْشَى عَلَيْكُمْ شَهَوَاتِ الْغَيِّ فِي بُطُونِكُمْ وَفُرُوجِكُمْ وَمُضِلَّاتِ الْهَوَى. رواه أحمد والبزار والطبراني
.
তিনি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর যা আশংকা করছি তা হচ্ছে, পেটের ব্যাপারে এবং যৌনাঙ্গের বিষয়ে লোভে পড়ে পথভ্রষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করে পথভ্রষ্ট হওয়া।

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমদ, ত্বাবরানী ও বাযযার)
.
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব, হাদিস নং ৫২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

কুরআনুল কারীমের অনেক জায়গায় আল্লাহ তা‘আলা প্রবৃত্তির অনুসরণ করাকে তিরস্কার করেছেন।এদেরকে মুশরিক হিসেবে মহান আল্লাহ সাব্যস্ত করেছেন,,

তিনি বলেন,,
أَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلٰهَهُ هَوَاهُ أَفَأَنْتَ تَكُوْنُ عَلَيْهِ وَكِيْلًا
‘তুমি কি তাকে দেখ না, যে তার প্রবৃত্তিকে ইলাহরুপে গ্রহণ করেছে? তুমি কি তার যিম্মাদার হবে?’
 (ফুরক্বান ২৫/৪৩)।

ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, শরীআত বিরোধী প্রবৃত্তিও এক প্রকার মূর্তি, যার পূজা করা হয়। তিনি এর প্রমাণ স্বরূপ এই আয়াত তেলাওয়াত করেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন
,‏أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَهَهُ هَوَاهُ وَأَضَلَّهُ اللهُ عَلَى عِلْمٍ وَخَتَمَ عَلَى سَمْعِهِ وَقَلْبِهِ وَجَعَلَ عَلَى بَصَرِهِ غِشَاوَةً فَمَنْ يَهْدِيهِ مِنْ بَعْدِ اللهِ أَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ-

তুমি কি তার প্রতি লক্ষ্য করেছ, যে তার খেয়াল-খুশীকে স্বীয় উপাস্য স্থির করেছে। আল্লাহ জেনে শুনে তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তার কান ও অন্তরে মোহর এঁটে দিয়েছেন এবং তার চোখের উপর রেখেছেন পর্দা। আল্লাহর পর কে তাকে পথ প্রদর্শন করবে? তোমরা কি চিন্তা-ভাবনা কর না (জাছিয়া ৪৫/২৩)।

তাছাড়াও প্রবৃত্তিপূজারীরা নিজেরা পথভ্রষ্ট হয় এবং অন্যদেরকেও বিপথগামী করে।

 মহান আল্লাহ বলেন,
وَإِنَّ كَثِيْرًا لَيُضِلُّوْنَ بِأَهْوَائِهِمْ بِغَيْرِ عِلْمٍ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِالْمُعْتَدِيْنَ-
এবং নিশ্চয়ই অনেকেই অজ্ঞানতাবশতঃ নিজেদের খেয়াল-খুশী/ প্রবৃত্তির দ্বারা অন্যকে পথভ্রষ্ট করে। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সীমা লংঘনকারীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।
(আনআম ৬/১১৯)।
.
আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আমাদের হৃদয় দিয়েছেন যাতে আমরা ভাল মন্দ, সত্য মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণ করতে পারি। চোখ দিয়েছেন যেন কোরআন সুন্নাহ দেখে সত্য খুজে বের করতে পারি।

নাহলে আমাদের আর চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে কোনই পার্থক্য থাকবে না। আমরা তখন পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হতে বাধ্য।

কিন্তু এরপরও যদি আমরা আমাদের বিবেক চিন্তা কাজে না লাগাই তাহলে আমাদের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করছে লেলিহান ভয়ংকর আগুন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,,
وَ لَقَدۡ ذَرَاۡنَا لِجَہَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ ۫ۖ  لَہُمۡ قُلُوۡبٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اٰذَانٌ لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ

আর আমি তো বহু জ্বিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি; তাদের হৃদয় আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না, তাদের চক্ষু আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা দর্শন করে না এবং তাদের কর্ণ আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা শ্রবণ করে না। এরা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়; বরং তা অপেক্ষাও অধিক বিভ্রান্ত! তারাই হল উদাসীন।
আরাফ/১৭৯

আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ না করে আল্লাহর কোরআন ও রাসুলের (ﷺ) সুন্নাত অনুসরণ করে জান্নাতের পথে অগ্রসর হওয়া!

ফলো.. সুন্নাহ...

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...