ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠّٓﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ (যাঝাকাল্লহুখইরন)-এর অর্থ কি আপনি জানেন?
.
ﻋﻦ ﺃﺳﺎﻣﺔ ﺑﻦ ﺯﻳﺪ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣَﻦْ ﺻُﻨِﻊَ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻣَﻌْﺮُﻭﻑٌ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟِﻔَﺎﻋِﻠِﻪِ : ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ . ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﺑْﻠَﻎَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺜَّﻨَﺎﺀِ ) .
ﺭﻭﺍﻩ ” ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ” ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ﻓﻲ ” ﺍﻟﺴﻨﻦ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ ”
উসামা ইবনে যায়েদ রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত; রসূলুল্লহ সঃ বলেছেনঃ
ﺭﻭﺍﻩ ” ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ” ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ﻓﻲ ” ﺍﻟﺴﻨﻦ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ ”
উসামা ইবনে যায়েদ রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত; রসূলুল্লহ সঃ বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি কিছু উপকার করে এবং এর (উপকারের) জবাবে সে যেন উপকারীকে
বলে ' যাঝাকাল্লহুখইরন '[আল্লহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন],(তাহলে) সে পুরোপুরি তার প্রশংসা ও প্রতিবদল দিতে পারল।
►বুখারী,হাঃ৩৩৬;তিরমিযী,হাঃ২০৩৫; যখন কেউ ' জাযাক আল্লাহু খাইরান ' [বুখারী,হাঃ ৩৩৬; তিরমিযী,হাঃ২০৩৫] - বলে এর জবাবেঃ 'ওয়া আনতুম ফা জাযাকুম আল্লাহ খাইরান ' (এবং আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন) [সহীহ ইবনে হিব্বান,হাঃ৬২৩১;সহীহ তাহক্বীক আলবানী] বলতে হয়।ইবনে হিববান, হাদীস : ৩৪১৩- সহীহসুনানে আবু দাউদ ১৬৭২, নাসায়ী- ২৫৬৬ ;আল আদাবুল মুফরাদ লিলবুখারী ২১৬- সহীহ।
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ” ﺇِﺫَﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﻟِﺄَﺧِﻴﻪِ : ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ، ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﺑْﻠَﻎَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺜَّﻨَﺎﺀِ ”
ﻗﺎﻝ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻣَﺎ ﻟَﻪُ ﻓِﻲ ﻗَﻮْﻟِﻪِ ﻟِﺄَﺧِﻴﻪِ : ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ، ﻟَﺄَﻛْﺜَﺮَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺑَﻌْﻀُﻜُﻢْ ﻟِﺒَﻌْﺾٍ . ( ﺍﻟﻤﺼﻨﻒ ﻻﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ )
শুধু যাঝাকাল্লহ/যাজাকাল্লাহ বলার দ্বারা না সুন্নাহ আদায় হয়, না দুয়া পূর্ণাংগ হয়। কারণ যাঝাকাল্লহ এর অর্থ হচ্ছে "আল্লহ আপনাকে বিনিময় দান করুন"! এতে কল্যাণ এর অর্থ স্পষ্ট নয়। হতে পারে কল্যাণ কামনা করে দুয়া অথবা অকল্যাণ। সুতরাং অসম্পূর্ণ দুয়া না করে উচিত পূর্ণ দুয়াটা করা। "যাঝাকাল্লহুখইরন "
.
"যাঝা" শব্দের অর্থ প্রতিদান/বিনিময়। আর "খইর" অর্থ কল্যাণ/উত্তম। বাক্যের অর্থ- আল্লহ আপনার উত্তম প্রতিদান দান করুন। সারমর্ম হচ্ছে, আমি আল্লহর কাছে দুয়া করছি, যেন আল্হ আপনাকে অধিক কল্যাণ দান করেন।
কোন এক রেওয়ায়েতে সাহাবাদের কারো থেকে এমন দেখেছিলাম 'জযা ঝাকাল্লহুল খইর'... তবে "আল খইর'' এর বদলে নাকেরাহ রাখাই ভালো। অর্থাৎ যাঝাকাল্লহুখইরন। কারণ "খইরন'' বললে ব্যাপক অর্থ বোঝায়। একবার শায়খ বিন বাজ রহ. কে কেও বলেছিল
''যাঝাকাল্লহু আলফা খইর"! (এক হাজার কল্যাণ দান করুন) তিনি বললেন "ইয়া আখী! যাঝাকাল্লহু আলফা খইর" না বলে "যাঝাকাল্লহুখইরন" ই বলো।
কারণ নাকেরাহ ব্যাপক অর্থ নির্দেশ করে। সুতরাং তোমার এক হাজার কল্যাণ এর চেয়ে "খইরন" বললে মিলিয়ন, বিলিয়ন কল্যাণকেও শামিল করবে। তুমি সংখ্যা উল্লেখ করে এটাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছ। অথচ আল্লহর প্রতিদান তো অসীম!
{বিঃদ্রঃ যাঝাক আল্লহু খইরন -এর পরিবর্তে '' যাঝাক/জাযাক '' বা '' জাযাকাল্লাহ '' বলা ঠিক নয়;আর এর উত্তর 'ওয়া ইয়াকুম ' বলাও সহীহ হাদিস সম্মত নয়;}
( যাঝাক আল্লহু খইরন/ যাঝাকাল্লহুখইরন ) প্রশ্ন হল, এই বাক্যটির অর্থ কি?
আসুন জেনে নেই বাক্যটির অর্থ। এর বেশ সুন্দর কয়েকটি অর্থ রয়েছে।
{বিঃদ্রঃ যাঝাক আল্লহু খইরন -এর পরিবর্তে '' যাঝাক/জাযাক '' বা '' জাযাকাল্লাহ '' বলা ঠিক নয়;আর এর উত্তর 'ওয়া ইয়াকুম ' বলাও সহীহ হাদিস সম্মত নয়;}
( যাঝাক আল্লহু খইরন/ যাঝাকাল্লহুখইরন ) প্রশ্ন হল, এই বাক্যটির অর্থ কি?
আসুন জেনে নেই বাক্যটির অর্থ। এর বেশ সুন্দর কয়েকটি অর্থ রয়েছে।
১।ﺧﻴﺮ ( খইর) শব্দটি সে সমস্ত বিষয় বুঝায় যা আল্লহর নিকট প্রিয়।তাই “খইর” শব্দের মাধ্যমে আপনার জন্য সবরকমের কল্যাণ কামনা করা হল। .
২।“যাঝাকাল্লহুখইরন” অর্থঃ আল্লহ আপনাকে জান্নাত এবং জান্নাতে তাঁর দিদার দ্বারা সৌভাগ্যবান করুন।
৩।“যাঝাকাল্লহুখইরন” অর্থঃ আল্লহ আপনাকে কাফিরদের স্থান জাহান্নাম থেকে হেফাজত করুন। .
৪।“যাঝাকাল্লহুখইরন” অর্থঃ আল্লহ যেন আপনাকে সিরাতে মুস্তাক্বিম তথা সরল পথে পরিচালিত করেন।
৫।“যাঝাকাল্লহুখইরন” অর্থঃ আল্লহ যেন আপনার উপর কোন অভিশপ্ত শয়তানকে চাপিয়ে না দেন।
৬।“যাঝাকাল্লহুখইরন” অর্থঃ আল্লহ যেন আপনার রিজিকের মধ্যে বরকত দান করেন। .
৭।“যাঝাকাল্লহুখইরন” অর্থঃ শেষ দিবস পর্যন্ত আল্লহ যেন আপনাকে মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহারকারী করেন।
৮।“যাঝাকাল্লহুখইরন” অর্থঃ আল্লহ যেন আপনাকে রাসূলের সুন্নাতের অনুসারী করেন। .
৯।“যাঝাকাল্লহুখইরন” অর্থঃ আল্লহ আপনাকে নেক সন্তান দান করুন। .
১০।“যাঝাকাল্লহুখইরন” আল্লহ আপনাকে সবরকম কল্যাণ দান করুন।
. . এর আরো অসংখ্য অর্থ রয়েছে।কেননা খইর (ﺧﻴﺮ)
আল্লহর নিকট অগুনিত। যা গণনা করা অসম্ভব। তবে আমরা বাক্যটির শাব্দিক অর্থ করি, “আল্লহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন” বলে।
"যাঝাকাল্লহু খইরন" এর উত্তরে কি বলবো ?
আল্লহর রসূল সঃ বলেছেন,
যদি কারো উপকার করে এবং এর জন্য সে যদি তাকে "যাঝাকাল্লহু খইরন" ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً )” বলে তাহলে সে যেনো তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো”
(বর্ণনায়ঃ আল-তিরমিযী,২০৩৫; শাইখ আলবানী সহীহ আল তিরমিযীতে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)।
যদি কারো উপকার করে এবং এর জন্য সে যদি তাকে "যাঝাকাল্লহু খইরন" ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً )” বলে তাহলে সে যেনো তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো”
(বর্ণনায়ঃ আল-তিরমিযী,২০৩৫; শাইখ আলবানী সহীহ আল তিরমিযীতে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)।
যেটা বলা সুন্নাহঃ পুরুষদের ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বলা "যাঝাকাল্লহু খইরন" ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً )” এবং মহিলাদের জন্য বলা "যাঝাকিল্লহু খইরন" ( ﺟَﺰَﺍﻙِ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮًﺍ )”
কিন্তু আমরা দেখি অনেকে শুধু বলে “জাযাকাল্লাহ” অথবা শুধু “জাযাক” অথবা শুধু “JZK”- এগুলো ব্যবহারের জন্য আমরা মোটেই পরামর্শ দিই না। কাজেই এগুলোর পরিবর্তে সুন্নাহের উপর আমল করা উচিত এবং সংক্ষেপ করাকে পরিহার করা উচিত। যারা "যাঝাকাল্লহু খইরন" বলে তাদের প্রতি সর্বোত্তম জবাব কোনটি?
উছাইদ ইবনে হাদাইর রদিয়াল্লহু’আনহু রছুলুল্লহ ছল্লাল্লহু’আলাইহিওয়াছল্লামকে বললেনঃ
“হে আল্লহর রসূল, যাঝাকাল্লহু খইরন!” তখন রসূল ছল্লাল্লহু’আলাইহিওয়াছল্লাম বললেনঃ “ওয়া আনতুম ফা-জাঝাকুমুল্লহু খইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)” (অর্থঃ তোমাদেরকেও আল্লহ উত্তম প্রতিদান দিন)
(শাইখ আলবানী আল-সহীহার ৩০৯৬ নং হাদিসে একে সহীহ বলেছেন, আল- তা’লিকাতুল হিসান আল সহীহ ইবনে হিব্বান ৬২৩১)
আরো দেখা যেতে পারেঃ
(নাসাই কুবরা ৮০২৪ ইবনে হিববান ৭২৭৭ মুসতাদরাক হাকিম ৪/৭৯)
হাদিসে এমন কোনো প্রমাণ নেই যেখানে নাবী সঃ “ওয়া ইয়াকুম (ﻭﺇﻳﺎﻛﻢ )” (অর্থঃ তোমার প্রতিও দয়া হোক) বলে জবাব দিয়েছেন। কাজেই সঠিক সুন্নাহর অনুসরণ করাই উত্তম—যার জবাব হলোঃ “ওয়া আনতুম ফা-যাঝাকুমুল্লহু খইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)”।
আল্লহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
আল্লহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
No comments:
Post a Comment