যাঁরা বলেন দেশে দেশে চাঁদ দেখে চাঁন্দ্র মাস গনণা করতে হবে এবং **সৌদীর সঙ্গে মিল রেখে** চাদপুর বাসী না কি রোজা রাখে ঈদ করে। তারা সম্পুর্ন মিথ্যা প্রচারনা ও মাসআলা সমুহ গোপন করে আকাবিরদদের পুর্বের আমলকে আকড়িয়ে ধরছেন। তারা মুসলিম শরিফের কোরাইবের হাদিস দলিল দেন। এখন আমরা দেখবো আসলে আকাবির গণ কি বলেগেছেন।
সমগ্র বিশ্বে একই তারিখে রোযা ও ঈদ করার দলিল!
১) শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ তামামুল মিন্নাহ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেনঃ
নতুন চাঁদ উদিত হওয়ার সংবাদ যতটুকু পৌঁছবে ততটুকু তার আওতাভুক্ত হবে। তা কিছুতেই দূরত্বের কারণে কোন দেশ, মহাদেশ বা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না। [তামামুল মিন্নাহ ১/৩৯৮]
২) মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
এক শহরের চাঁদ দেখা অন্য সকল শহরবাসীদের জন্য গ্রহণীয় হবে। ঐ শহরগুলোর সঙ্গে চাঁদ দেখা শহরের যত দূরত্বই হোক না কেন। এমনকি সর্ব পশ্চিমের চাঁদ দেখার সংবাদ সর্ব পূর্বের মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে পৌঁছলে ঐ দিনই তাদের উপর সাওম (রোযা) রাখা ফরজ হবে। [বেহেশতি জেওর, খন্ড ১১, পৃষ্ঠা ৫১০]
৩) আল্লামা রশীদ আহমাদ গাংগুহী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
ফিকহের প্রতিষ্ঠিত মতানুসারে সাওম রাখা ও ঈদ করার ব্যাপারে চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। প্রাচ্যবাসীর (চাঁদ) দেখা দ্বারাই পাশ্চাত্যবাসীর উপর আমল জরুরি হবে। [ফাতওয়া-ই-রশিদিয়া, পৃষ্ঠা ৪৩৭]
৪) হানাফি মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব ফাতহুল কাদির এর ভাষ্য হলোঃ
যখন কোন শহরে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হবে, তখন সকল মানুষের উপর সাওম রাখা ফরজ হবে। ফিকহের প্রতিষ্ঠিত মাযহাব অনুযায়ী পাশ্চাত্যবাসীর চাঁদ দেখার দ্বারা প্রাচ্যবাসীর জন্য সাওম রাখা ফরজ হবে। [ফাতহুল কাদির, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ২১৯]
৫) মালেকি মাযহাবের বিখ্যাত ফিকহ গ্রন্থ আল মুগনী এর সিদ্ধান্ত হলোঃ
কোন এক দেশের মানুষ চাঁদ দেখলে সকল দেশের মানুষের জন্য সাওম রাখা জরুরি হবে। [আল মুগনী, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১০]
৬) আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী রাহঃ মারেফে মাদানিয়া ৩য় খন্ড ২৪ পৃষ্টায় লিখেন।
ইমাম আবু হনিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এবং জমহুর (প্রায় সকল) ইমামের দলিল হলো মহা নবী সাঃ এঁর বাণী, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ চাঁদ দেখে রোজা ভাঙ্গ। এর অর্থ এই নয় যে প্রত্যেেক (মুসলমান) চাঁদ দেখতে হবে। যতক্ষন পর্যন্ত প্রত্যেক মুসলমান চাঁদ না দেখবে ততক্ষণ পর্যন্ত রোজা ফরজ হবেনা। বরং এর অর্থ হলো চাঁদ দেখা প্রমানিত হলে সকলের উপর রোজা ফরজ হয়ে যায়। কেননা হাদিসে সম্বোধন সমস্হ উম্মতের জন্য ব্যাপক ভাবে প্রযোজ্য।
এ থেকে প্রমানিত হয় যে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সকলের (মুসলমান) উপর রোজা ফরজ হয়ে যাবে।
অতএব উদয়স্হলের ভিন্নতা নেতিবাচক হয়ে গেল।
৭) চার মাযহাবের সমন্বিত ফিকহ গ্রন্থ আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া এর ভাষ্যঃ
পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলে সকল স্থানেই উক্ত দেখার দ্বারা সাওম ফরয হবে। চাই চাঁদ নিকটবর্তী দেশে দেখা যাক বা দূরবর্তী দেশে দেখা যাক, এতে কোন পার্থক্য নেই। তবে চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে অন্যদের নিকট পৌঁছতে হবে। তিন ইমাম (তথা ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল) এর মতে চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয় (অর্থাৎ সর্বপ্রথম দেখা চাঁদের সংবাদ অনুযায়ী সর্বত্র আমল ফরজ হয়ে যাবে)। [আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৭১]
সমগ্র বিশ্বে একই তারিখে রোযা ও ঈদ করার দলিল!
১) শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ তামামুল মিন্নাহ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেনঃ
নতুন চাঁদ উদিত হওয়ার সংবাদ যতটুকু পৌঁছবে ততটুকু তার আওতাভুক্ত হবে। তা কিছুতেই দূরত্বের কারণে কোন দেশ, মহাদেশ বা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না। [তামামুল মিন্নাহ ১/৩৯৮]
২) মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
এক শহরের চাঁদ দেখা অন্য সকল শহরবাসীদের জন্য গ্রহণীয় হবে। ঐ শহরগুলোর সঙ্গে চাঁদ দেখা শহরের যত দূরত্বই হোক না কেন। এমনকি সর্ব পশ্চিমের চাঁদ দেখার সংবাদ সর্ব পূর্বের মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে পৌঁছলে ঐ দিনই তাদের উপর সাওম (রোযা) রাখা ফরজ হবে। [বেহেশতি জেওর, খন্ড ১১, পৃষ্ঠা ৫১০]
৩) আল্লামা রশীদ আহমাদ গাংগুহী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
ফিকহের প্রতিষ্ঠিত মতানুসারে সাওম রাখা ও ঈদ করার ব্যাপারে চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। প্রাচ্যবাসীর (চাঁদ) দেখা দ্বারাই পাশ্চাত্যবাসীর উপর আমল জরুরি হবে। [ফাতওয়া-ই-রশিদিয়া, পৃষ্ঠা ৪৩৭]
৪) হানাফি মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব ফাতহুল কাদির এর ভাষ্য হলোঃ
যখন কোন শহরে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হবে, তখন সকল মানুষের উপর সাওম রাখা ফরজ হবে। ফিকহের প্রতিষ্ঠিত মাযহাব অনুযায়ী পাশ্চাত্যবাসীর চাঁদ দেখার দ্বারা প্রাচ্যবাসীর জন্য সাওম রাখা ফরজ হবে। [ফাতহুল কাদির, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ২১৯]
৫) মালেকি মাযহাবের বিখ্যাত ফিকহ গ্রন্থ আল মুগনী এর সিদ্ধান্ত হলোঃ
কোন এক দেশের মানুষ চাঁদ দেখলে সকল দেশের মানুষের জন্য সাওম রাখা জরুরি হবে। [আল মুগনী, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১০]
৬) আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী রাহঃ মারেফে মাদানিয়া ৩য় খন্ড ২৪ পৃষ্টায় লিখেন।
ইমাম আবু হনিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এবং জমহুর (প্রায় সকল) ইমামের দলিল হলো মহা নবী সাঃ এঁর বাণী, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ চাঁদ দেখে রোজা ভাঙ্গ। এর অর্থ এই নয় যে প্রত্যেেক (মুসলমান) চাঁদ দেখতে হবে। যতক্ষন পর্যন্ত প্রত্যেক মুসলমান চাঁদ না দেখবে ততক্ষণ পর্যন্ত রোজা ফরজ হবেনা। বরং এর অর্থ হলো চাঁদ দেখা প্রমানিত হলে সকলের উপর রোজা ফরজ হয়ে যায়। কেননা হাদিসে সম্বোধন সমস্হ উম্মতের জন্য ব্যাপক ভাবে প্রযোজ্য।
এ থেকে প্রমানিত হয় যে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সকলের (মুসলমান) উপর রোজা ফরজ হয়ে যাবে।
অতএব উদয়স্হলের ভিন্নতা নেতিবাচক হয়ে গেল।
৭) চার মাযহাবের সমন্বিত ফিকহ গ্রন্থ আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া এর ভাষ্যঃ
পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলে সকল স্থানেই উক্ত দেখার দ্বারা সাওম ফরয হবে। চাই চাঁদ নিকটবর্তী দেশে দেখা যাক বা দূরবর্তী দেশে দেখা যাক, এতে কোন পার্থক্য নেই। তবে চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে অন্যদের নিকট পৌঁছতে হবে। তিন ইমাম (তথা ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল) এর মতে চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয় (অর্থাৎ সর্বপ্রথম দেখা চাঁদের সংবাদ অনুযায়ী সর্বত্র আমল ফরজ হয়ে যাবে)। [আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৭১]
No comments:
Post a Comment