لحمد لله وحده وصلاة وسلام عل ملا نبى عبد و بعد
সকলল প্রশংসা সেই মহান রাব্বুল আলামিনের জন্য যিনি আমাদের সঠিক দ্বীন বুঝার ও তার উপরর আমলল করার তৌফিক দান করেছেন
আলহামদুলিল্লাহ।অতপর দুরুদ সেই নবীর উপর আল্লাহুম্মা ছল্লি আলাইহ আল্লাহুম্মা বারিক আলাইহ
#আমি শুরুতেই এই বিষয়ে কিছু কথা বলব।
# আমি বলতে চাই যারা ভুগোল এবং কুরানে চাঁদ সম্পর্কিত আয়াত গুলো নিয়ে গবেষনা না করেই গালিগালাজ করে নিজের পক্ষবাদিতা করতে চাইছেন আমি মনে করি তাদের আল্লাহর প্রতি ভয় থাকা উচিত এই বিষয়ে আল্লহ বলেন,
এবং তাদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণ দান করেছিলাম দ্বীন সম্পর্কে, তাদের নিকট জ্ঞান আসবার পর তারা শুধু পরস্পর বিদ্বেষশতঃ বিরোধিতা করেছিল, তারা যে বিষয়ে মতবিরোধ করতো, অবশ্যই তোমার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে সে বিষয়ের ফায়সালা করে দিবেন। (সূরা জাসিয়াঃ১৭)
# আমাদের গুগোল কখনো বলে না যে নতুন চাঁদ পৃথিবীতে দুই অথবা তিনবার উঠে। মানুষের কাছে শুনে শুনে অনুমানের উপর ভিত্তি করে একটা বিষয়ের উপর মন্তব্য করা ঠিক নয়।
সময়কে বিশ্লেষন করলে আমরা সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন রাত, মাস ও বছর সময়ের এই ছয়টি স্তর খুজে পাই।সুর্য ও চাঁদ উল্লেখিত সকলল স্তর অথবা কোন না কোনো স্তরের নির্দেশক
আল্লাহ তা আলা বলেন -
الشمس ولقمر بحسبان
সুর্য ও চাঁদ উভয়ইই সময়ের হিসেব নির্দেশক ( আর রাহমান - ৫ আয়াত)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সুর্য ও চাঁদ উভয়ে একই ভাবে সময়ের উল্লিখিত নির্দেশক?
নাকি এক একটি এক এক ধরনের সময় নির্দেশক?
এ বিষয়ের গবেষনার ফলাফল হলো সুর্য সময়ের উল্লেখিত ৬ টি স্তরের প্রতিটির নির্দেশক। অর্থাৎ সুর্যের পরিভ্রমনের মাধ্যমে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন রাত, মাস ও বছরের হিসেব নির্ধারন কর হয়। পক্ষান্তরে চাঁদ শুরু ও শেষ হওয়ার মাধ্যমে শুধুমাত্র বছর ও মাসের হিসেব নির্ধারিত হয়। কিন্তু চাদের শুরু ও শেষ, পুর্নতা ও ক্ষয়ের সংগে সেকেন্ড মিনিট ঘন্টা এবং দিবা রাত্রি আগমনও প্রস্থানের কোনো সম্পর্ক নেই।পবিত্র কুরআন নিম্নোক্ত।আয়াতে এটাই প্রমান করে। আল্লাহ বলেন
هو لذي جعل الشمس ضيا ء والقمر نورا وقدره منازل لتعلمو عدد السنين والحساب)
(তিনি আল্লাহ যিনি সুর্যকে করেছেন প্রখরতা পুর্ন আলো আর চাদকে করেছেন স্নিগ্ধময় আলো। আর চাদের জন্য নির্ধারন করেছেন অনেক গুলো মানজিল।(২৯ দিনে ২৯ টি উদয় ও অন্তস্থল) যাতে তোমরা জানতে পার বছরের সংখা ও হিসাব) সুরা ইউনুস - ৫
অত্র আয়াতে বছর কথাটা উল্লেখ্য থাকলেও মাস কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ্য না করে বরং তাকে حسا ب
শব্দে রুপকভাবে উল্লেখ্য করা হয়েছে। কারন চান্দ্র বছর হয় সুনির্দিষ্ট ১২ টি চান্দ্র মাস অথবা ৩৫৪ দিনের সমন্বয়ে। এতে কম বেশী হয় না। কিন্ত চান্দ্র মাস গুলো সুনির্দিষ্ট সংখক দিন নিয়ে গঠিত নয়।বরং কোনো চন্দ্র মাস ২৯ দিনে আবার কোনো।মাস।৩০ দিনে। অন্যদিকে এবছর যে চন্দ্রমাসটি ৩০ দিনে হবে, আগামী বছর সে মাসটি।৩০ দিনে হতে পারে নাও হতে পারে। এ কারনে মহাবিজ্ঞ মহান রাব্বুল আলামিন অত্র আয়াতে চন্দ্র মাসকে شهرবা মাস না বলে حسابবলে উল্লেক্ষ্য করেছেন। অতএব পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে প্রমানিত যে চাঁদ শুধুমাত্র মাস ও বছরের সময় নির্দেশক। পক্ষান্তরে সুর্যের সংগে সম্পর্কিত সময়ের প্রথম ৪টি।স্তর সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, ও।দিন রাত স্থানীয়ভাবে স্থানীয় মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
আমরা প্রায়ই বলে থাকি যে তাহলে সৌদিতে এখন এইটা করছে তাহলে।তুমি ও ঐটা কর। এটা অজ্ঞতা বশত আমরা বলে থাকি। এর জন্যই উপরোক্ত আলোচনা।
## আমি আপনাদের চাঁদ যে সারা পৃথিবীতে নতুন চাঁদ একবারই উঠে তার একটা সমীকরন দেব যারা ভুগোল সম্পর্কে সামান্য ধারনা আছে তারাই কেবল বুঝবেন।
## পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ১ডিগ্রি পথ অতিক্রমে সময়ের ব্যবধান ৪ মিনিট।
তাহলে আমরা হিসাব করে দেখি -
# হিসাব করার আগে ই বলে নেই যে পৃথিবীর ভৌগলিক দৃষ্টিকোন থেকে সূর্য উদয়ের দেশ হিশেবে জাপানকে বলা হয়ে থাকে - আর অন্য দিকে পশ্চিম প্রান্তে সুর্যাস্ত বিপরীত মেরুর অন্তস্থল হলো দক্ষিন পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগর। এই উদয় ও অস্তাচলের সময়ের ব্যবধান ১২ ঘন্টা। সুতরাং এর অবস্থানগত দুরুত ১৮০ ডিগ্রি। তাই আমরা ১৮০ ডিগ্রির হিসাব করবো।
# ১ ডিগ্রি অতিক্রমে পৃথিবীর সময় ৪ মিনিট
১৮০ " " " " ( ১৮০' * 4) minute= 720 minute অথবা ১২ ঘন্টা।
এটাকে ঘন্টায় আনলে( ৭২০/৬০) = ১২ ঘন্টা
এটা হল পৃথিবীর হিসাব এবার আসুন চাদের হিসাব। প্রথম দিনের চাঁদ কি মধ্যপ্রাচ্য অন্য কোনো স্থানে দেখা সম্ভব কিনা?
# উত্তর হবে না।
এর কারন হলো চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করতে পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘুর্নন গতির তুলনায় ৪৯ মিনিট বেশি সময় লাগে। তাহলে আমরা চাদের সমীকরনটা দেখে নেই
# চন্দ্র মাসের প্রথম ১ তারিখ সুর্য ও চন্দ্র পুর্ব দিগন্তে একই সাথে উদয় হয় কিন্তু
অস্ত যাবার সময় ১৮০ ডিগ্রি অতিক্রম করে সুর্য। অস্ত যাওয়ার ৪৯ মিনিট পরে পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরে অস্ত যায়।
# সুতরাং সুর্যের লাগে ৭২০ মিনিট
তাহলে চাদের লাগে ৭২০+৪৯= ৭৬৯ মিনিট।
তাহলে ( ৭৬৯/১৮০ ') = ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড।
চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিনে ১ ডিগ্রি অতিক্রম করে ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড।
# এই হেসেবে আমরা দেখতে পাই যে।
প্রতি চন্দ্র মাসের পরিধু হচ্ছে ২৯ দিন ৬০ মিনিট /১ ঘন্টা। এভাবেই প্রতি সাড়ে ২৯ দিনে ২৪ ঘন্টা অতিক্রমে পরবর্তী চান্দ্র মাসের ১ তারিখ আবার সুর্যের সাথে উদয়ের সমান সময়ে উদিত হয়।
# এর জন্যই দেখা যায় যে ১ তারিখের চাঁদ সুর্য ডোবার পরেও ৪৯ মিনিট পশ্চিমাকাশে থাকে।
তো এক্ষেত্রে আমরা আবার একটা হিসাব করে দেখি
# চাঁদ আটলান্টিকের আকাশে দেখা যায় ৪৯ মিনিট সুর্য ডোবার পরেও।
তাহলে ৯০' ডিগ্রিতে আনলে চাঁদ দেখা যাবে ৪৯/২=২৪.৫ মিনিট /সাড়ে ২৪ মিনিট।।
# তাহলে আমরা দেখতে পাই মধ্য প্রাচ্যের ( ইয়েমেন, রিয়াদ, বাগদাদ) অবস্থান ৪৫ ডিগ্রি পুর্ব দ্রাঘিমাংশে হওয়ায় উদয় স্থল জাপান ও অস্ত স্থল আটলান্টিকের সংগে মধ্য প্রাচ্যের ভৌগলিক অবস্থানের ব্যবধান ৯০ ডিগ্রি।
যে কারনে মধ্য প্রাচ্যে যখন সুর্যাস্ত হওয়ার পরেও চন্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ মধ্য প্রাচ্যের আকাশে থাকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। ফলে চন্দ্র মাসের এক তারিখের চাঁদ সব সময় মধ্য প্রাচ্যেই দৃষ্টিগোচর হবে।
# এবং ক্রমান্ময়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ সমুহে সুর্যাস্তের পরে চাদের স্থায়িত আকাশে বাশী সময় থাকবে।
# কিন্তু মধ্য প্রাচ্যের থেকে পুর্বাঞ্চলীয় দেশসমূহ উদয়স্থলের নিকটবর্তী হওয়ার কারনে। সুর্যাস্তের পরে এখানকার ১ ম তারিখের চাদের স্থায়ীত কম সময় থাকে। এবং দিগন্ত আকাশে কম উচুতে থাকে বলেই উদয়স্থলের নিকটবর্তী দেশ পাকিস্তান,ভারত, বাংলাদেশ,চীন, জাপান, কখনই চান্দ্র মাসের এক তারিখের চাঁদ দেখা যাবে না। কারন ভৌগলিক ভাবে এইসব দেশ গুলোর অবস্থান-
১৭৫’ ডিগ্রি পুর্ব দ্রাঘিমাংশে আর এর জন্যই তাদের পশ্চিমাকাশে নতুন চাঁদ সুর্য অস্ত যাওয়ার পরে মাত্র
৩ মিনিট। যা চাঁদ দেখার জন্য যথেষ্ট নয় এছারাও চাঁদ দিগন্ত আকাশে একেবারে নিচে থাকবে।যার জন্য প্রথম দিনের চাঁদ পুর্বাঞ্চলীয় দেশ গুলোতে দেখা অসম্ভব।
এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যায় শুধু ভৌগলিক ভাবে।
সকলল প্রশংসা সেই মহান রাব্বুল আলামিনের জন্য যিনি আমাদের সঠিক দ্বীন বুঝার ও তার উপরর আমলল করার তৌফিক দান করেছেন
আলহামদুলিল্লাহ।অতপর দুরুদ সেই নবীর উপর আল্লাহুম্মা ছল্লি আলাইহ আল্লাহুম্মা বারিক আলাইহ
#আমি শুরুতেই এই বিষয়ে কিছু কথা বলব।
# আমি বলতে চাই যারা ভুগোল এবং কুরানে চাঁদ সম্পর্কিত আয়াত গুলো নিয়ে গবেষনা না করেই গালিগালাজ করে নিজের পক্ষবাদিতা করতে চাইছেন আমি মনে করি তাদের আল্লাহর প্রতি ভয় থাকা উচিত এই বিষয়ে আল্লহ বলেন,
এবং তাদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণ দান করেছিলাম দ্বীন সম্পর্কে, তাদের নিকট জ্ঞান আসবার পর তারা শুধু পরস্পর বিদ্বেষশতঃ বিরোধিতা করেছিল, তারা যে বিষয়ে মতবিরোধ করতো, অবশ্যই তোমার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে সে বিষয়ের ফায়সালা করে দিবেন। (সূরা জাসিয়াঃ১৭)
# আমাদের গুগোল কখনো বলে না যে নতুন চাঁদ পৃথিবীতে দুই অথবা তিনবার উঠে। মানুষের কাছে শুনে শুনে অনুমানের উপর ভিত্তি করে একটা বিষয়ের উপর মন্তব্য করা ঠিক নয়।
সময়কে বিশ্লেষন করলে আমরা সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন রাত, মাস ও বছর সময়ের এই ছয়টি স্তর খুজে পাই।সুর্য ও চাঁদ উল্লেখিত সকলল স্তর অথবা কোন না কোনো স্তরের নির্দেশক
আল্লাহ তা আলা বলেন -
الشمس ولقمر بحسبان
সুর্য ও চাঁদ উভয়ইই সময়ের হিসেব নির্দেশক ( আর রাহমান - ৫ আয়াত)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সুর্য ও চাঁদ উভয়ে একই ভাবে সময়ের উল্লিখিত নির্দেশক?
নাকি এক একটি এক এক ধরনের সময় নির্দেশক?
এ বিষয়ের গবেষনার ফলাফল হলো সুর্য সময়ের উল্লেখিত ৬ টি স্তরের প্রতিটির নির্দেশক। অর্থাৎ সুর্যের পরিভ্রমনের মাধ্যমে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন রাত, মাস ও বছরের হিসেব নির্ধারন কর হয়। পক্ষান্তরে চাঁদ শুরু ও শেষ হওয়ার মাধ্যমে শুধুমাত্র বছর ও মাসের হিসেব নির্ধারিত হয়। কিন্তু চাদের শুরু ও শেষ, পুর্নতা ও ক্ষয়ের সংগে সেকেন্ড মিনিট ঘন্টা এবং দিবা রাত্রি আগমনও প্রস্থানের কোনো সম্পর্ক নেই।পবিত্র কুরআন নিম্নোক্ত।আয়াতে এটাই প্রমান করে। আল্লাহ বলেন
هو لذي جعل الشمس ضيا ء والقمر نورا وقدره منازل لتعلمو عدد السنين والحساب)
(তিনি আল্লাহ যিনি সুর্যকে করেছেন প্রখরতা পুর্ন আলো আর চাদকে করেছেন স্নিগ্ধময় আলো। আর চাদের জন্য নির্ধারন করেছেন অনেক গুলো মানজিল।(২৯ দিনে ২৯ টি উদয় ও অন্তস্থল) যাতে তোমরা জানতে পার বছরের সংখা ও হিসাব) সুরা ইউনুস - ৫
অত্র আয়াতে বছর কথাটা উল্লেখ্য থাকলেও মাস কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ্য না করে বরং তাকে حسا ب
শব্দে রুপকভাবে উল্লেখ্য করা হয়েছে। কারন চান্দ্র বছর হয় সুনির্দিষ্ট ১২ টি চান্দ্র মাস অথবা ৩৫৪ দিনের সমন্বয়ে। এতে কম বেশী হয় না। কিন্ত চান্দ্র মাস গুলো সুনির্দিষ্ট সংখক দিন নিয়ে গঠিত নয়।বরং কোনো চন্দ্র মাস ২৯ দিনে আবার কোনো।মাস।৩০ দিনে। অন্যদিকে এবছর যে চন্দ্রমাসটি ৩০ দিনে হবে, আগামী বছর সে মাসটি।৩০ দিনে হতে পারে নাও হতে পারে। এ কারনে মহাবিজ্ঞ মহান রাব্বুল আলামিন অত্র আয়াতে চন্দ্র মাসকে شهرবা মাস না বলে حسابবলে উল্লেক্ষ্য করেছেন। অতএব পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে প্রমানিত যে চাঁদ শুধুমাত্র মাস ও বছরের সময় নির্দেশক। পক্ষান্তরে সুর্যের সংগে সম্পর্কিত সময়ের প্রথম ৪টি।স্তর সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, ও।দিন রাত স্থানীয়ভাবে স্থানীয় মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
আমরা প্রায়ই বলে থাকি যে তাহলে সৌদিতে এখন এইটা করছে তাহলে।তুমি ও ঐটা কর। এটা অজ্ঞতা বশত আমরা বলে থাকি। এর জন্যই উপরোক্ত আলোচনা।
## আমি আপনাদের চাঁদ যে সারা পৃথিবীতে নতুন চাঁদ একবারই উঠে তার একটা সমীকরন দেব যারা ভুগোল সম্পর্কে সামান্য ধারনা আছে তারাই কেবল বুঝবেন।
## পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ১ডিগ্রি পথ অতিক্রমে সময়ের ব্যবধান ৪ মিনিট।
তাহলে আমরা হিসাব করে দেখি -
# হিসাব করার আগে ই বলে নেই যে পৃথিবীর ভৌগলিক দৃষ্টিকোন থেকে সূর্য উদয়ের দেশ হিশেবে জাপানকে বলা হয়ে থাকে - আর অন্য দিকে পশ্চিম প্রান্তে সুর্যাস্ত বিপরীত মেরুর অন্তস্থল হলো দক্ষিন পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগর। এই উদয় ও অস্তাচলের সময়ের ব্যবধান ১২ ঘন্টা। সুতরাং এর অবস্থানগত দুরুত ১৮০ ডিগ্রি। তাই আমরা ১৮০ ডিগ্রির হিসাব করবো।
# ১ ডিগ্রি অতিক্রমে পৃথিবীর সময় ৪ মিনিট
১৮০ " " " " ( ১৮০' * 4) minute= 720 minute অথবা ১২ ঘন্টা।
এটাকে ঘন্টায় আনলে( ৭২০/৬০) = ১২ ঘন্টা
এটা হল পৃথিবীর হিসাব এবার আসুন চাদের হিসাব। প্রথম দিনের চাঁদ কি মধ্যপ্রাচ্য অন্য কোনো স্থানে দেখা সম্ভব কিনা?
# উত্তর হবে না।
এর কারন হলো চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করতে পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘুর্নন গতির তুলনায় ৪৯ মিনিট বেশি সময় লাগে। তাহলে আমরা চাদের সমীকরনটা দেখে নেই
# চন্দ্র মাসের প্রথম ১ তারিখ সুর্য ও চন্দ্র পুর্ব দিগন্তে একই সাথে উদয় হয় কিন্তু
অস্ত যাবার সময় ১৮০ ডিগ্রি অতিক্রম করে সুর্য। অস্ত যাওয়ার ৪৯ মিনিট পরে পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরে অস্ত যায়।
# সুতরাং সুর্যের লাগে ৭২০ মিনিট
তাহলে চাদের লাগে ৭২০+৪৯= ৭৬৯ মিনিট।
তাহলে ( ৭৬৯/১৮০ ') = ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড।
চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিনে ১ ডিগ্রি অতিক্রম করে ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড।
# এই হেসেবে আমরা দেখতে পাই যে।
প্রতি চন্দ্র মাসের পরিধু হচ্ছে ২৯ দিন ৬০ মিনিট /১ ঘন্টা। এভাবেই প্রতি সাড়ে ২৯ দিনে ২৪ ঘন্টা অতিক্রমে পরবর্তী চান্দ্র মাসের ১ তারিখ আবার সুর্যের সাথে উদয়ের সমান সময়ে উদিত হয়।
# এর জন্যই দেখা যায় যে ১ তারিখের চাঁদ সুর্য ডোবার পরেও ৪৯ মিনিট পশ্চিমাকাশে থাকে।
তো এক্ষেত্রে আমরা আবার একটা হিসাব করে দেখি
# চাঁদ আটলান্টিকের আকাশে দেখা যায় ৪৯ মিনিট সুর্য ডোবার পরেও।
তাহলে ৯০' ডিগ্রিতে আনলে চাঁদ দেখা যাবে ৪৯/২=২৪.৫ মিনিট /সাড়ে ২৪ মিনিট।।
# তাহলে আমরা দেখতে পাই মধ্য প্রাচ্যের ( ইয়েমেন, রিয়াদ, বাগদাদ) অবস্থান ৪৫ ডিগ্রি পুর্ব দ্রাঘিমাংশে হওয়ায় উদয় স্থল জাপান ও অস্ত স্থল আটলান্টিকের সংগে মধ্য প্রাচ্যের ভৌগলিক অবস্থানের ব্যবধান ৯০ ডিগ্রি।
যে কারনে মধ্য প্রাচ্যে যখন সুর্যাস্ত হওয়ার পরেও চন্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ মধ্য প্রাচ্যের আকাশে থাকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। ফলে চন্দ্র মাসের এক তারিখের চাঁদ সব সময় মধ্য প্রাচ্যেই দৃষ্টিগোচর হবে।
# এবং ক্রমান্ময়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ সমুহে সুর্যাস্তের পরে চাদের স্থায়িত আকাশে বাশী সময় থাকবে।
# কিন্তু মধ্য প্রাচ্যের থেকে পুর্বাঞ্চলীয় দেশসমূহ উদয়স্থলের নিকটবর্তী হওয়ার কারনে। সুর্যাস্তের পরে এখানকার ১ ম তারিখের চাদের স্থায়ীত কম সময় থাকে। এবং দিগন্ত আকাশে কম উচুতে থাকে বলেই উদয়স্থলের নিকটবর্তী দেশ পাকিস্তান,ভারত, বাংলাদেশ,চীন, জাপান, কখনই চান্দ্র মাসের এক তারিখের চাঁদ দেখা যাবে না। কারন ভৌগলিক ভাবে এইসব দেশ গুলোর অবস্থান-
১৭৫’ ডিগ্রি পুর্ব দ্রাঘিমাংশে আর এর জন্যই তাদের পশ্চিমাকাশে নতুন চাঁদ সুর্য অস্ত যাওয়ার পরে মাত্র
৩ মিনিট। যা চাঁদ দেখার জন্য যথেষ্ট নয় এছারাও চাঁদ দিগন্ত আকাশে একেবারে নিচে থাকবে।যার জন্য প্রথম দিনের চাঁদ পুর্বাঞ্চলীয় দেশ গুলোতে দেখা অসম্ভব।
এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যায় শুধু ভৌগলিক ভাবে।
No comments:
Post a Comment