Thursday, March 31, 2022

ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ণিত হাদিসে রসুল সঃ এর নির্দেশ টি আসলে কি ছিল?

 #ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ণিত হাদিসে "রসুল সঃ এর নির্দেশ" টি আসলে কি ছিল???

আসুন এক হাদিসের ব্যাখ্যা অন্য হাদিস দিয়ে দেওয়ার সালাফ মানহাজ গ্রহন করি। মনগড়া ব্যাখ্যা দেওয়া থেকে বিরত থাকি।

#পোষ্টটি ধৈর্যের সাথে একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইল। সহি হাদিসের ভিত্তিতে রসুল সঃ এর নির্দেশটি কি ছিল স্বয়ং ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ণনা থেকেই দেখুনঃ

আশা করছি, এতদিনের ভুল ব্যখা থেকে উনারা বেড়িয়ে আসতে পারবেন।

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ»

[حكم الألباني] صحيح

নাসাঈ ২১২৪ঃ ইবনে আব্বাস রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রসূল সা. বলেছেন: চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর, আর চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ কর। আর যদি চাঁদ তোমাদের নিকট অস্পষ্ট হয় তাহলে মাস ৩০ দিন পূর্ণ কর। শেখ আলবানী হাদিসটি সহীহ বলেছেন। এটাই রসূলের নির্দেশ ছিল যা আরও বহু সংখক সাহাবী থেকেও বর্ণিত হাদিসে রয়েছে। 

এখানে দেখা যাচ্ছে ইবনে আব্বাস রা চাঁদ দেখেননি, তাই হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী মাস পূর্ণ করেছেন।

সম্ভবত সংবাদের হাদিসটি তার কাছ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। তবে এমন ঘটনা কিন্তু আরও সাহাবিদের মধ্যেও ঘটেছে। সালামের একটি হাদিস ওমর রাঃ জানতেন না, তাই আমল করেনি। কিন্তু ঐ হাদিসটি খুব অল্প বয়েস্ক সাহাবি আবু সাইদ খুদরি রাঃ জানতেন। 

মুজতাহিদগনের আরক অংশের মত, ইবনে আব্বাস রা কুরাইবের সংবাদ গ্রহন করেননি কারন সংবাদদাতা কুরাইব ছিলেন একজন, আর রসুল সঃ ২জন সাক্ষীর শর্ত দিয়েছেন। তারা নিম্নের দলিলটি উপাস্থাপন করছেনঃ

আব্দুর রহমান ইবনে জায়েদ রা থেকে বর্ণিত, " নিশ্চয়ই রসুল সঃ বলেছেন, যদি তোমাদের দুজন সাক্ষ্য দেয় যে, তারা চাঁদ দেখেছে তাহলে তোমরা সাওম (রোজা) ও ঈদ পালন কর" নাসাই, সহীহ, দারুস সালাম পাবলিকেশন্স ২১১৬ / ইঃ ফাঃ ২১২০।

#মোট কথা এই ২টি মতই রসুল সঃ এর হাদিস দ্বারা সমর্থিত। #দেশের শর্তটি রসুল সঃ এর কোন হাদিস দ্বারা সমর্থিত নয়, কাজেই এই মতটি বানোয়াট, কোন ক্রমেই গ্রহন যোগ্য নয়।

একটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেনঃ কোন সাহাবা রসুল সঃ কোন হাদিস গোপন করতে পারেন না। তাই রসুল সঃ এর "এইরূপ নির্দেশ" কোন না কোন হাদিসেই আছে, থাকতে বাধ্য। কিন্তু রসুল সঃ এর সমস্ত হাদিস ঘেঁটে দেশের কোন শর্ত তো দূরে থাক দেশ শব্দটিও খুজে পাওয়া যাবে না, কাজেই এইরূপ নির্দেশটি দেশের শর্ত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।


Wednesday, March 30, 2022

কুরাইবের হাদীছের সময়কালে চাঁদের বিষয়ে খলীফাহ 'উছমান (রাঃ)-এঁর সিদ্ধান্ত বা ফরমান কি ছিলো?

কুরাইবের হাদীছের সময়কালে চাঁদের বিষয়ে খলীফাহ 'উছমান (রাঃ)-এঁর সিদ্ধান্ত বা ফরমান কি ছিলো?


এবিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু আমরা বলতে পারবো না, কারণ ঐসময়ে 'উছমান (রাঃ) চাঁদ দেখার বিষয়ে কোনও রাষ্ট্রীয় ফরমান জারী করেছিলেন কিনা বা কোনও সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছিলেন কিনা - তা কোনও বর্ণনাতেই সুস্পষ্টভাবে আসে নি।

এছাড়া সেই সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বর্তমানের মত উন্নত ছিলো না বলেই প্রতীয়মান হয়, কেননা রমাদ্বানের শেষাংশে কুরাইব রাজধানী মদীনাহতে ফিরে আসার আগে ইবন 'আব্বাস (রাঃ)-সহ মদীনাহবাসীগণ শামে চাঁদ দেখার বিষয়ে অবগত হতে পেরেছিলেন বলে জানা যায় নি!!

তবে এতটুকু নিশ্চিতভাবেই জানা যায় যে,

রাষ্ট্রপতি/খলীফাহ 'উছমান (রাঃ)-এঁর আগেই [অর্থাৎ,

রাজধানী/(দারুল খিলাফাহ) মদীনাহ শহরের আগেই] গভর্নর মু'আভিয়া (রাঃ) শামে চাঁদ দেখেছেন এবং স্বাওম শুরু করেছেন!

.

কাজেই যত দিক থেকেই প্রশ্ন করা হোক না-কেন কিংবা যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না-কেন, কুরাইবের হাদীছে থেকে পরিস্কারভাবে "একদেশে এক চাঁদ", কিংবা "এক-সরকারে এক চাঁদ" - এধরণের ধারণা/মতামত কিংবা 'আমল বাতিল বা নাকচ হয়ে যায়।

.

আল্লাহ সুমতি এবং সত্য জানার-বুঝার-মানার তৌফিক দিন - আমীন! cld.

ইবনে আব্বাস রঃ এর ইস্তিহাদ মুলক হাদিসের সময়কালে খলিফা কে ছিলেন?

"কুরাইবের হাদীছের সময়কালে 'উছমান (রাঃ) খলীফাহ ছিলেন" - এটার প্রমাণ কি?


হাদীছটির ভাষ্যতেই উল্লেখ আছে যে, কুরাইবকে শামে বা সিরিয়ায় পাঠিয়েছিলেন উম্ম ফাদ্বল বিনতুল হারিছ (রাঃ); আর তিনি 'উছমান (রাঃ)-এঁর খিলাফতকালে ইন্তিকাল করেছেন মর্মে ইবন 'হিব্বান (রহঃ) আছ-ছিক্বাত গ্রন্থে, ইবন মানজুয়াইহ / মানজুইয়্যাহ (রহঃ) রিজাল স্বহীহ মুসলিম গ্রন্থে, ইবন হাজার আসকালানী (রহঃ) আল-ইসাবাহ প্রভৃতি কিতাবে উল্লেখ করেছেন।

কাজেই ঘটনাটা অবশ্যই উম্ম ফাদ্বল (রাঃ)-এঁর জীবদ্দশা কালীন; কারণ মৃত্যুর পরে তো আর তিনি কুরাইবকে মদীনাহ থেকে শামে পাঠাতে পারতেন না!!

.

প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে ঘটনাটা আরও আগের, মানে 'উমার (রাঃ)-এঁর সময়ের কী-না?

এর উত্তর হচ্ছে,

ইবন 'আব্বাস (রাঃ) খলীফাহ 'উমার (রাঃ)-এঁর খিলাফতের শেষাংশে উঠতি 'আলীম হিসেবে প্রসিদ্ধি পেতে শুরু করেন; তিনি পুরোপুরি 'আলীম ও ফাক্বীহ হয়ে উঠেছিলেন 'উছমান (রাঃ)-এঁর খিলাফতকালে।

একারনে, কুরাইবের ঘটনাটি 'উমার (রাঃ)-এঁর সময়ের নহে, কেননা ইবন 'আব্বাস (রাঃ) তখনও পুরোপুরি মুজতাহিদ ফাক্বীহ ও 'আলীম হয়ে উঠেন নি।

.

সুতরাং, যারা মনে করে যে, কুরাইবের হাদীছটির সময়ে মু'আভিয়া (রাঃ) মুসলিম জাহানের খলীফাহ ছিলেন - তাদের ধারণাটি ভুল; আসলে মু'আভিয়া (রাঃ) ঐসময়ে শামের গভর্নর ছিলেন, আর খলীফাহ ছিলেন 'উছমান (রাঃ) এবং রাজধানী/(দারুল খিলাফাহ) ছিল মদীনাহতে! cld.

চন্দ্র দর্শনের হাদিসগুলোতে আসলে বালাদ শব্দ দ্বারা কোন অর্থটা বুঝানো হয়েছে দেশ নাকি শহর?

 بلد (বালাদ) অর্থ শহর, অঞ্চল এবং দেশও হয় তাহলে চন্দ্র দর্শনের ব্যাপারের হাদিসগুলোতে আসলে কোনটা বুঝানো হয়েছে? 


 بلد বালাদ শব্দের অনেক অর্থ হয়ঃ শহর, নগর, অঞ্চল, দেশ ইত্যাদি।

এর মধ্যে বাক্যের প্রয়োগ ভেদে কোথায় কোন অর্থে এসেছে তা বুঝে নিতে হয়।

.

যেহেতু কুরাইব ও ইবন 'আব্বাস (রাঃ)-এঁর হাদীছের সময়ে মদীনাহ ও সিরিয়া (শাম) একই সরকার/খলীফাহ উছমান (রাঃ)-এঁর শাসনাধীন একই দেশ/রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত (তবে আলাদা ২টি শহর) ছিলো, সেহেতু উক্ত হাদীছের প্রেক্ষিতে "বালাদ" শব্দের দেশ/রাষ্ট্র অর্থটি প্রযোজ্য হবেই না, বরং শহর অর্থে প্রয়োগ হবে।

.

ইবন 'আব্বাস (রাঃ)-এঁর হাদীছের প্রেক্ষিতে যদি "বালাদ" বলতে দেশ অর্থ নেওয়া হয়: তবে মদীনাহ ও শাম/সিরিয়া ততকালে একই দেশ/রাষ্ট্র-ভুক্ত ছিলো বিধায় উভয় স্থানেই একই চন্দ্র-দর্শন অনুযায়ী 'আমল হবার কথা ছিল; কিন্তু ইবন 'আব্বাস (রাঃ) তা করেন নি, ফলে প্রমাণ হয় যে, উক্ত কুরাইবের হাদীছের প্রেক্ষিতে "বালাদ" শব্দটি দেশ/রাষ্ট্র অর্থে ব্যবহৃত হয় নি।

.

অন্যদিকে, একই খলীফাহ/সরকার উছমান (রাঃ)-এঁর শাসনাধীন একই দেশ/রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়েও আলাদা আলাদা শহর হবার কারনে ইবন 'আব্বাস (রাঃ) শাম/সিরিয়ার চাঁদ দেখাকে মদীনায় গ্রহণ করেন নি, এর থেকে প্রমাণ হয় যে, কুরাইব ও ইবন 'আব্বাস (রাঃ)-এঁর হাদীছের প্রেক্ষিতে "বালাদ" শব্দটি শহর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

.

আশা করি এখন আরও ক্লিয়ার হয়েছে। cld. 

Tuesday, March 29, 2022

কুরাইবের হাদীছকে "মূল" মুহাদ্দিছীন যে অধ্যায়/অনুচ্ছেদে এনেছেন তার কিছু নমুনা

দেশভিত্তিক ঈদ পালনের একমাত্র দলিল অর্থাৎ কুরাইবের হাদীছকে "মূল" মুহাদ্দিছীন যে অধ্যায়/অনুচ্ছেদে এনেছেন তার কিছু নমুনা,

.

ইমাম আবূ দাউদ [রহঃ] হাদীছটিকে এই অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করেছেন,

سنن أبي داوود » كتاب الصيام » باب إذا رئي الهلال في بلد قبل الآخرين بليلة

"যখন কোনও শহরে অপরাপর (শহর)-এর আগের রাতে চাঁদ দেখা যায় (সে সম্পর্কিত) অনুচ্ছেদ।"

.

ইমাম তিরমিযী [রহঃ]-এঁর অনুচ্ছেদটির শিরোনাম,

جامع الترمذي » أبواب الصوم » باب ما جاء لكل أهل بلد رؤيتهم

"প্রত্যেক শহরের বাসিন্দাদের জন্য তাঁদের নিজস্ব (অর্থাৎ, নিজ নিজ) চন্দ্র-দর্শন সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে (সেপ্রসঙ্গে) অনুচ্ছেদ।"

.

ইমাম ইবন খুঝাইমাহ [রহঃ]-এঁর অনুচ্ছেদ হলো,

صحيح ابن خزيمة » كتاب الصوم » جماع أبواب الأهلة ووقت ابتداء صوم شهر رمضان » باب الدليل على أن الواجب على أهل كل بلدة صيام رمضان لرؤيتهم لا رؤية غيرهم

"অন্যদের চন্দ্র-দর্শনের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রতিটি শহরের অধিবাসীদের জন্য তাঁদের নিজস্ব (অর্থাৎ, স্ব স্ব) চাঁদ দেখা অনুযায়ী রমাদ্বানের স্বিয়াম (পালন) ওয়াজীব হওয়ার দলীল বিষয়ক অনুচ্ছেদ।"

.

ইমাম আবূ নু'আইম আল-আস্ববাহানী [রহঃ] হাদীছটিকে যে অনুচ্ছেদে এনেছেন,

المسند المستخرج على صحيح مسلم لأبي نعيم الأصبهاني » كتاب الصيام » باب من قال لكل قوم رؤيتهم

"যে বলে, প্রত্যেক ক্বওম (সম্প্রদায় / গোষ্ঠী / জাতি-এর জন্য (তাঁদের) নিজস্ব (অর্থাৎ, নিজ নিজ) চন্দ্র-দর্শন – (এবিষয়ের) অনুচ্ছেদ।"

.

ইমাম বাইহাক্বী [রহঃ] (৩৮৪–৪৫৮ হি:)-এঁর অনুচ্ছেদের শিরোনাম হলো,

السنن الكبرى للبيهقي » كتاب الصيام » باب الهلال يرى في بلد، ولا يرى في آخر

"(স্ব স্ব) শহরের চাঁদ দেখার, এবং অন্য / ভিন্ন (শহর)-এর (চাঁদ) না-দেখার অনুচ্ছেদ।"

.

.

এছাড়া ইমাম মুসলিম (রহঃ) নিজে কোনও শিরোনামযুক্ত অনুচ্ছেদে বিন্যস্ত না-করলেও পরবর্তীতে ইমাম নাওওয়াভী [রহঃ] কুরাইবের হাদীছটির জন্য স্বহীহ মুসলিম-এ অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এই ভাষায়,

صحيح مسلم » كتاب الصيام » باب بيان أن لكل بلد رؤيتهم وأنهم إذا رأوا الهلال ببلد لا يثبت حكمه لما بعد عنهم

*[شرح صحيح مسلم للنووي]*

"প্রত্যেক শহরের অধিবাসীদের জন্য তাঁদের নিজস্ব (অর্থাৎ, স্ব স্ব) চন্দ্র-দর্শন আবশ্যক হওয়ার, এবং যদি তাঁরা নিজ শহরে চাঁদ দেখে থাকে তবে তাঁরা ব্যতীত অন্য শহরবাসীদের (চন্দ্র-দর্শনের) হুকুম তাঁদের উপরে প্রযুক্ত না-হওয়ার বিবরণ সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ।"

.

.

-এই হলো ইবন 'আব্বাস (রাঃ) ও কুরাইবের হাদীছ বর্ণনায় মুহাদ্দিছীনের শিরোনাম – ইমাম আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন খুজাইমাহ, ইমাম আবূ নু'আইম আল-আস্ববাহানী, ইমাম বাইহাক্বী, ইমাম নাওওয়াভী (রহঃ) প্রমুখগণের বুঝের প্রতিফলন।

.

قال أبو عيسى:

"حديث ابن عباس حديث حسن صحيح غريب؛ والعمل على هذا الحديث عند أهل العلم أن لكل أهل بلد رؤيتهم".

দ্বিতীয়োক্ত অনুচ্ছেদে ইবন 'আব্বাস (রাঃ) ও কুরাইবের হাদীছটি বর্ণনা করতঃ সেটাকে 'হাসান স্বহীহ গারীব বলে উল্লেখের পরে ইমাম তিরমিযী (রহঃ) আরও বলেছেন,

«والعمل على هذا الحديث عند أهل العلم أن لكل أهل بلد رؤيتهم»

“আহলুল 'ইলম-এঁর (তথা, 'আলীমগণের / জ্ঞানীদের) নিকটে (বা, মতে) এই হাদীছের উপর 'আমল হলো, প্রত্যেক শহরের অধিবাসীর জন্য নিশ্চয় তাঁদের চাঁদ দেখা (প্রযোজ্য)।"

.

.

এছাড়াও ইমাম আহ্‌মাদ, ইসমা'ঈল বিন জা'ফর, আবূ দাউদ (অন্যত্র), নাসাঈ, ত্বা'হাভী, দারাক্বুত্বনী, বাইহাক্বী (অন্যত্র), ইবনু আব্দিল বার, ইবন 'আসাকির, ইবনুজ জাওঝী, ক্বুরত্বুবী (রহঃ) প্রমুখ হাদীছটি সংকলন করেছেন, কিন্তু একে রাষ্ট্র-ভিত্তিক, বা দেশ-ভিত্তিক, কিংবা সরকার-ভিত্তিক চন্দ্র-দর্শনের সাথে সম্পর্কিত করেন নি।

.

বস্তুত একজন পূর্ববর্তী মুহাদ্দিছ থেকেও কুরাইবের হাদীছকে

"প্রত্যেক রাষ্ট্রবাসীর/দেশবাসীর (কিংবা) স্ব স্ব রাষ্ট্রের/দেশের চাঁদ (কিংবা সরকারী চাঁদ) দেখা"

–এরকম শিরোনামের অধীনে আনতে আমি দেখতে পাই নি - (ওয়াল্লাহু তা'আলা আ'লাম)!

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...