#প্রশ্ন: কাশ্মীরে লোকজন অধিকাংশ সময় হুজুরদেরকে খতম পড়ার জন্য দাওয়াত করে আনে, খতম করার পর তাদেরকে খাওয়ায় এবং টাকা পয়সাও দেয়। এমন করা কি জায়েজ?
( #Note: এ বিষয়ে বিশ্বখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে কাশ্মীরের একজন বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। যার প্রশ্নের উত্তরে এ বিষয়ে শরীয়তের আলোকে নিজেদের মতামত জানান দেওবন্দের মুফতিরা। )
.
#উত্তর: প্রচলিত খতমে কুরআন পাঠকারীদের খাবার খাওয়ানো এবং টাকা পয়সা দেওয়া বিদআত ও নাজায়েজ। এভাবে কুরআন তেলাওয়াত করার দ্বারা না পাঠকারী কোনো সওয়াব পায় আর না মৃতব্যক্তিরা।
ফাতাওয়া শামীতে রয়েছে- অর্থ: তাজুশ শরিয়াহ হেদায়াতে লিখেন, বিনিময় নিয়ে কুরআন পড়ার দ্বারা কোনো সওয়াবই হয় না। না মৃতব্যক্তি সওয়াব পায়, আর না তেলাওয়াতকারী।
আল্লামা আইনী হেদায়ার ব্যাখ্যাগ্রন্থে লেখেন, দুনিয়া তলব করার কারণে তেলাওয়াতকারীকে এমন তেলাওয়াত থেকে বারণ করা হবে। এভাবে তেলাওয়াত করার বিনিময় দেওয়া হলে গ্রহীতা ও দাতা উভয়ে গুনাহগার হবে।
মোটকথা, আমাদের সময়ে বিনিময় গ্রহণ করে কুরআন তেলাওয়ার করার যে রেওয়াজ চালু হয়েছে তা জায়েজ নয়। কারণ, এর মধ্যে খতমের আয়োজনকারী বা তার আত্মীয়ের জন্য সওয়াব পাঠানো উদ্দেশ্য হয় এবং তেলাওয়াতকারী তেলাওয়াত করে টাকার জন্য।
টাকার জন্য তেলাওয়াত করায় তেলাওয়াতকারী নিজে কোনো সওয়াব না পেলে ভাড়া গ্রহণকারীকে সওয়াব দিবে কোত্থেকে?
বর্তমান সময়ে কুরআন তেলাওয়াত করার বিনিময় না দিলে সাধারণত কেউ তেলাওয়াত করবে না। কুরআনকে তারা উপার্জন এবং দুনিয়া কামানোর মাধ্যম বানিয়ে ফেলেছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। ইন্নালিল্লাহ। (ফাতাওয়া শামী ৬/৫৬)
.
দারুল উলুম দেওবন্দ, ফতোয়া নং: ১৮৩৬০১
No comments:
Post a Comment