২০ রাক'আত তারাবীহর (ক্বিয়ামে রমাদ্বান) ব্যাপারে ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহর বর্ণনাটি শায!
.......
.......
🔳শায এর পারিভাষিক অর্থ:
"أن الشاذ ما رواه المقبول مخالفا لما رواه من هو أولى منه"
"কোন গ্রহণযোগ্য রাবী কর্তৃক তার থেকে অধিক শক্তিশালী রাবীর বিপরীত হাদিস রিওয়ায়াত করাকে শায বলা হয়।"
"কোন গ্রহণযোগ্য রাবী কর্তৃক তার থেকে অধিক শক্তিশালী রাবীর বিপরীত হাদিস রিওয়ায়াত করাকে শায বলা হয়।"
(তাইসীরু মুছত্বলাহুল হাদিস লিত ত্বহহান, পৃ:১২০; হাদিসের পরিভাষা, পৃ:১০৮)
.
অর্থাৎ, কোন সিক্বাহ রাবী তার থেকে অধিক সিক্বাহ রাবীর বিপরীত রিওয়ায়াত করলে, সেটা শায বলে গণ্য হবে।
..
.
অর্থাৎ, কোন সিক্বাহ রাবী তার থেকে অধিক সিক্বাহ রাবীর বিপরীত রিওয়ায়াত করলে, সেটা শায বলে গণ্য হবে।
..
🔳 হুকুমঃ
শায হাদিস হচ্ছে মারদূদ (প্রত্যাখ্যানযোগ্য)। তার বিপরীত মাহফুয হাদিস হচ্ছে মাক্ববুল (গ্রহণীয়)।
(তাইসীরু মুছত্বলাহুল হাদিস লিত ত্বহহান, পৃ:১২৪; হাদিসের পরিভাষা, পৃ:১০৯)
.
অর্থাৎ, যিনি কম সিক্বাহ রাবী তার হাদিস শায বিধায় তা মারদুদ (প্রত্যাখ্যানযোগ্য)। আর যিনি অধিক সিক্বাহ রাবী তার হাদিস মাহফুয বিধায় তা মাক্ববুল (গ্রহণযোগ্য)।
..
.
অর্থাৎ, যিনি কম সিক্বাহ রাবী তার হাদিস শায বিধায় তা মারদুদ (প্রত্যাখ্যানযোগ্য)। আর যিনি অধিক সিক্বাহ রাবী তার হাদিস মাহফুয বিধায় তা মাক্ববুল (গ্রহণযোগ্য)।
..
🍂 সায়িব ইবনে ইয়াযিদ থেকে 'মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ' এর বর্ণনা:
مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ قَالَ: أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيمًا الدَّارِيَّ أَنْ يَقُومَا لِلنَّاسِ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً قَالَ: وَقَدْ «كَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ بِالْمِئِينَ، حَتَّى كُنَّا نَعْتَمِدُ عَلَى الْعِصِيِّ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ، وَمَا كُنَّا نَنْصَرِفُ إِلَّا فِي فُرُوعِ الْفَجْرِ»
সায়িব ইবনে ইয়াযিদ রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত। 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু উবাই ইবনে কা'ব এবং তামীম আদ দারী (রাঃ)কে লোকদের নিয়ে ১১ রাক'আত সলাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দেন।"
[মুয়াত্ত্বা মালিক,ক্বিয়ামে রমাদ্বান অধ্যায়, ১/১১৫ (ফুয়াদ 'আব্দুল বাক্বী এর তাহক্বীক্বকৃত)]
.
.
মুতাবা'আত ১ঃ
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ থেকে ইসমাঈল ইবনে জা'ফার এর মুতাবি' বর্ণনা:
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ থেকে ইসমাঈল ইবনে জা'ফার এর মুতাবি' বর্ণনা:
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، ثنا إِسْمَاعِيلُ، حَدْثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْكِنْدِيُّ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ «أَنَّهُمْ كَانُوا يَقُومُونَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَءُونَ فِي الرَّكْعَةِ بِالْمِائَتَيْنِ حَتَّى إِنَّهُمْ لَيَعْتَمِدُونَ بِالْعِصِيِّ»
“অর্থাৎ, 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু এর জামানায় ১১ রাক'আত ক্বিয়াম আদায় করতেন,প্রতি রাক'আতে ২০০ আয়াত তিলাওয়াত হত।”
“অর্থাৎ, 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু এর জামানায় ১১ রাক'আত ক্বিয়াম আদায় করতেন,প্রতি রাক'আতে ২০০ আয়াত তিলাওয়াত হত।”
(আহাদিসু ইসমা'ঈল ইবনে জা'ফার, হা/৪৪০)
.
.
মুতাবা'আত ২ঃ
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ থেকে ইয়াহইয়া ইবনু সা'ঈদ আল ক্বাত্ত্বান এর মুতাবি' বর্ননা:
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ থেকে ইয়াহইয়া ইবনু সা'ঈদ আল ক্বাত্ত্বান এর মুতাবি' বর্ননা:
ثنا أَبُو بَكْرٍ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، أَنَّ السَّائِبَ أَخْبَرَهُ: «أَنَّ عُمَرَ جَمَعَ النَّاسَ عَلَى أُبَيٍّ وَتَمِيمٍ فَكَانَا يُصَلِّيَانِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَآنِ بِالْمِئِينَ» يَعْنِي فِي رَمَضَانَ
'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু, উবাই এবং তামীম আদ দারী (রাঃ)কে সাথে নিয়ে লোকদের সাথে রমাদ্বানে ১১ রাক'আত ক্বিয়াম আদায় করতেন,প্রতি রাক'আতে ২০০ আয়াত তিলাওয়াত হত।”
(মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ,হা/৭৬৭১)
.
(মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ,হা/৭৬৭১)
.
মুতাবা'আত ৩ঃ
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ থেকে ইসমাঈল ইবনে উমাইয়্যাহ এর মুতাবি' বর্ণনা:
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ থেকে ইসমাঈল ইবনে উমাইয়্যাহ এর মুতাবি' বর্ণনা:
حدثنا يوسف بن سعيد، ثنا حجاج، عن ابن جريج، حدثني إسماعيل بن أمية أن محمد بن يوسف بن أخت السائب بن يزيد .......
(ফাওয়ায়িদ আবূ বাকর আল নিসাবূরী,হা/১৬)
.
.
ক্বুতাবাইহ ইবনে সা'ঈদ কর্তৃক মালিক ইবনে আনাস থেকে বর্ণনা:
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ قَالَ: " أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيمًا الدَّارِيَّ أَنْ يَقُومَا، لِلنَّاسِ، بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً قَالَ: فَكَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ الْمِائَتَيْنِ حَتَّى كُنَّا نَعْتَمِدُ عَلَى الْعِصِيِّ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ، وَمَا كُنَّا نَنْصَرِفُ إِلَّا فِي فُرُوعِ الْفَجْرِ "
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ قَالَ: " أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيمًا الدَّارِيَّ أَنْ يَقُومَا، لِلنَّاسِ، بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً قَالَ: فَكَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ الْمِائَتَيْنِ حَتَّى كُنَّا نَعْتَمِدُ عَلَى الْعِصِيِّ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ، وَمَا كُنَّا نَنْصَرِفُ إِلَّا فِي فُرُوعِ الْفَجْرِ "
(আস সিয়াম লিল ফিরইয়াবী,হা/১৭৪)
.
.
🔲 সানাদের বিশ্লেষণ:
সাহাবী সায়িব ইবনে ইয়াযিদ (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) থেকে বর্ণনা করেন মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ থেকে তাবি' করেন মালিক ইবনু আনাস,ইয়াহইয়া ইবনু সা'ঈদ আল ক্বাত্ত্বান,ইসমাঈল ইবনে জা'ফার।
১.'মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ আল কানদী আল আ'রাজ'। তিনি সিক্বাহ,সাবত,ইমাম,শাইখ। তিনি সায়িব ইবনে ইয়াযিদ রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু এর ভাগনে ছিলেন।
🎓ইমাম ইয়াহইয়া ইবনু সা'ঈদ আল ক্বাত্ত্বান তার প্রশংসা করেছেন এবং বলেন, তিনি সাবিত (অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য,অটল)।
(আল জারহ ওয়াত তা'দীল, ৮/১১৯)
(আল জারহ ওয়াত তা'দীল, ৮/১১৯)
🎓 হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, তিনি সিক্বাহ সাবত (অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য,অটল)।
(তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬৪১৪)
.
*তা'দীলের প্রথম স্তর হচ্ছে সিক্বাহ সাবত (ثقةٌ ثَبْتٌ)। অর্থাৎ সিক্বাহ সাবত (অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য) রাবী সিক্বাহ (নির্ভরযোগ্য) রাবীর চেয়েও অধিক সিক্বাহ (অধিক নির্ভরযোগ্য)।
.
(তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬৪১৪)
.
*তা'দীলের প্রথম স্তর হচ্ছে সিক্বাহ সাবত (ثقةٌ ثَبْتٌ)। অর্থাৎ সিক্বাহ সাবত (অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য) রাবী সিক্বাহ (নির্ভরযোগ্য) রাবীর চেয়েও অধিক সিক্বাহ (অধিক নির্ভরযোগ্য)।
.
২.মালিক ইবনু আনাস।
ইমাম মালিককে সবাই চিনারই কথা। মদিনার সবচেয়ে বড় 'আলিম ছিলেন। মুতক্বিনীনদের সর্দার,বড় মুতাসাব্বিত।যার প্রশংসা অত্যধিক।
.
ইমাম মালিককে সবাই চিনারই কথা। মদিনার সবচেয়ে বড় 'আলিম ছিলেন। মুতক্বিনীনদের সর্দার,বড় মুতাসাব্বিত।যার প্রশংসা অত্যধিক।
.
৩.ইয়াহইয়া ইবনু সা'ঈদ আল ক্বাত্ত্বান।
ইমাম ইয়াহইয়া ইবনু সা'ঈদকেও সবার চিনারই কথা। ইমামুল কাবীর,আমিরুল মু'মিনীন ফিল হাদিস,মুতক্বীন হাফিয। যার প্রশংসা অত্যধিক।
.
ইমাম ইয়াহইয়া ইবনু সা'ঈদকেও সবার চিনারই কথা। ইমামুল কাবীর,আমিরুল মু'মিনীন ফিল হাদিস,মুতক্বীন হাফিয। যার প্রশংসা অত্যধিক।
.
৪. ইসমা'ঈল ইবনে জা'ফার আল আনসারী। তিনি সিক্বাহ সাবত,হাফিয,ইমাম ছিলেন।
🎓হাফিয ইবনু হাজার 'আসক্বালানী বলেন, তিনি ثقةٌ ثَبْتٌ (অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য)।
(তাক্বরীবুত তাহযীব,রাবী নং ৪৩১)
(তাক্বরীবুত তাহযীব,রাবী নং ৪৩১)
৫.ইসমাঈল ইবনু উমাইয়্যাহ। তিনি সিক্বাহ, সাবত,হাফিয,ইমাম।
🎓হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, তিনি ثقةٌ ثَبْتٌ (অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য)।
(তাক্বরীবুত তাহযীব,রাবী নং ৪২৫)
(তাক্বরীবুত তাহযীব,রাবী নং ৪২৫)
৬.মালিক ইবনু আনাস থেকে বর্ণনা করেন ক্বুতাইবাহ ইবনে সা'ঈদ। তিনি সিক্বাহ সাবত,ইমাম,হাফিয।
..
..
💠 সায়িব ইবনে ইয়াযিদ থেকে ১১ রাকা'আত ক্বিয়ামে রমাদ্বান এর ব্যাপারে বর্ণনাকারীগণ সকলেই সিক্বাহ সাবত,তাদের প্রশংসা অত্যধিক।
সায়িব ইবনে ইয়াযিদ থেকে ১১ রাকা'আত ক্বিয়ামে রমাদ্বান এর হাদিস বিশুদ্ধ, প্রমাণিত।
....
সায়িব ইবনে ইয়াযিদ থেকে ১১ রাকা'আত ক্বিয়ামে রমাদ্বান এর হাদিস বিশুদ্ধ, প্রমাণিত।
....
🍂 পক্ষান্তরে, সায়িব ইবনে ইয়াযিদ থেকে ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ এর বর্ণনা:
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، أنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: «كَانُوا يَقُومُونَ عَلَى عَهْدِ عُمَرَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ بِعِشْرِينَ رَكْعَةً، وَإِنْ كَانُوا لَيَقْرَءُونَ بِالْمِئِينَ مِنَ الْقُرْآنِ»
ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ, সায়িব ইবনে ইয়াযিদ (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) থেকে বর্ণনা করেন, সায়িব ইবনে ইয়াযিদ (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) বলেন, ''উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) এর জামানায় তারা রমাদ্বান মাসে বিশ রাক'আত সলাত আদায় করতেন।"
ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ, সায়িব ইবনে ইয়াযিদ (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) থেকে বর্ণনা করেন, সায়িব ইবনে ইয়াযিদ (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) বলেন, ''উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) এর জামানায় তারা রমাদ্বান মাসে বিশ রাক'আত সলাত আদায় করতেন।"
(মুসনাদে ইবনুল জা'দ, হা/২৮২৫; আস সিয়াম লিল ফিরইয়াবী,হা/১৭৬)
🔲 সানাদের বিশ্লেষণ:
১.ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ। পুরো নাম হচ্ছে 'ইয়াযিদ ইবনে 'আব্দুল্লাহ ইবনে খুসাইফাহ আল কিনদী।
🎓হাফিয ইবনু হাজার 'আসক্বালানী বলেন, তিনি 'ثقة (নির্ভরযোগ্য)'।
(তাক্বরীবুত তাহযীব,রাবী নং ৭৭৩৮)
(তাক্বরীবুত তাহযীব,রাবী নং ৭৭৩৮)
*তা'দীলের ২য় স্তর হচ্ছে সিক্বাহ।
.
.
তবে,
🎓ইমাম ইবনু হিব্বান বলেন তার ব্যাপারে বলেন, "তিনি তার মুখস্ত থেকে হাদিস বর্ণনার সময় প্রচুর বিভ্রান্তিতে পতিত হতেন"
"(وكان يهم كثيرا إذا حدث من حفظه)"
🎓ইমাম ইবনু হিব্বান বলেন তার ব্যাপারে বলেন, "তিনি তার মুখস্ত থেকে হাদিস বর্ণনার সময় প্রচুর বিভ্রান্তিতে পতিত হতেন"
"(وكان يهم كثيرا إذا حدث من حفظه)"
(মাশাহির আল 'উলামায়িল আমসার,রাবী নং ১০৬৬)
🎓ইমাম যাহাবী তার 'মিযানুল ই'তিদাল' গ্রন্থে বলেন, ইমাম আহমাদ বলেন, ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ 'মুনকারুল হাদিস'।
(মিযানুল ই'তিদাল, রাবী নং ৯৭১৫)
হাফিয ইবনু হাজার তার 'তাহযীতবুত তাহযীব' গ্রন্থে এবং হাফিয মিযযী তার 'তাহযীবুল কামাল' গ্রন্থে তা নক্বল করেন।
ওয়াল্লাহু আ'লাম।
..
হাফিয ইবনু হাজার তার 'তাহযীতবুত তাহযীব' গ্রন্থে এবং হাফিয মিযযী তার 'তাহযীবুল কামাল' গ্রন্থে তা নক্বল করেন।
ওয়াল্লাহু আ'লাম।
..
২.ইমাম আবূ বাকর আল নিসাবূরী তার 'আল ফাওয়ায়িদ' গ্রন্থে (হা/১৬),
حدثنا يوسف بن سعيد، ثنا حجاج، عن ابن جريج، حدثني إسماعيل بن أمية أن محمد بن يوسف ابن أخت السائب بن يزيد أخبره، أن السائب بن يزيد أخبره قال: جمع عمر بن الخطاب الناس على أبي بن كعب، وتميم الداري، فكانا يقومان بمائة في ركعة فما ينصرف حتى نرى أو نشك في فروع الفجر قال فكنا نقوم بأحد عشر.
قلت أو واحد وعشرين، قال: لقد سمع ذلك من ابن السائب بن يزيد -ابن خصيفة، فسألت يزيد بن خصيفة، فقال: حسبت أن السائب قال أحدى وعشرين.
قلت أو واحد وعشرين، قال: لقد سمع ذلك من ابن السائب بن يزيد -ابن خصيفة، فسألت يزيد بن خصيفة، فقال: حسبت أن السائب قال أحدى وعشرين.
এই সূত্রে ১১ রাক'আত ক্বিয়াম রমাদ্বানের হাদিস বর্ণনার করেন।
শেষে ইসমাঈল ইবনে উমাইয়্যাহ,মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফকে জিজ্ঞেস করেন নাকি ২১ রাক'আত?
তারপর ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহকে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন, "حسبت أن السائب قال: أحدى وعشرين"
শেষে ইসমাঈল ইবনে উমাইয়্যাহ,মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফকে জিজ্ঞেস করেন নাকি ২১ রাক'আত?
তারপর ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহকে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন, "حسبت أن السائب قال: أحدى وعشرين"
“আমার মনে হয় সায়িব ইবনে ইয়াযিদ "২১ রাক'আত" বলেছেন।”
(আল ফাওয়ায়িদ লি আবূ বাকর আল নিসাবূরী,হা/১৬; স্বলাতুত তারাবীহ লিল আলবানী,১/৫৮)
এরপর শাইখ আলবানী বলেন,
فقوله في هذه الرواية " أحد وعشرين " على خلاف الرواية السابقة: " عشرين وقوله في هذه " حسبت " أي ظننت دليل على اضطراب ابن خصيفة في رواية هذا العدد وإنه كان يريوه على الظن لا على القطع لأنه لم يكن قد حفظه جيدا فهذا وحده كاف لإسقاط الاحتجاج بهذا العدد فكيف إذا اقترن به مخالفته لمن هو أحفظ منه كما في الوجه الأول؟
এই বর্ণনার "একুশ" রাক'আতের বর্ণনাটি পূর্বের "বিশ" রাক'আত এর বর্ণনার বিপরীত। তারপর "আমার মনে হয়/আমার ধারনা" এই কথাটি ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহর ইযত্বিরাব (গণ্ডগোল) এর প্রমাণ বহন করে। সে অকাট্যভাবে নয়, বরং ধারণা থেকে বর্ণনা করেছেন। আর এই দিকটিই তার বর্ণনা বাতিল হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আর তা কেনই বা বাতিল হবেনা
যেখানে এমন ব্যক্তির বর্ণনার সাথে (মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ এর বর্ণনা) বৈপরীত্য যে কিনা তার চেয়েও অধিক হিফযকারী,যেমন প্রথম দিকে রয়েছে?
এই বর্ণনার "একুশ" রাক'আতের বর্ণনাটি পূর্বের "বিশ" রাক'আত এর বর্ণনার বিপরীত। তারপর "আমার মনে হয়/আমার ধারনা" এই কথাটি ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহর ইযত্বিরাব (গণ্ডগোল) এর প্রমাণ বহন করে। সে অকাট্যভাবে নয়, বরং ধারণা থেকে বর্ণনা করেছেন। আর এই দিকটিই তার বর্ণনা বাতিল হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আর তা কেনই বা বাতিল হবেনা
যেখানে এমন ব্যক্তির বর্ণনার সাথে (মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ এর বর্ণনা) বৈপরীত্য যে কিনা তার চেয়েও অধিক হিফযকারী,যেমন প্রথম দিকে রয়েছে?
(সলাতুত তারাবীহ,১/৫৯)
.
.
তারপর শাইখ আলবানী আরো বলেন, মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ হচ্ছেন সায়িব ইবনে ইয়াযিদ (রাঃ) এর ভাগনে। তাই সায়িব ইবনে ইয়াযিদ (রাঃ) এর বর্ণনা সম্পর্কে অন্যান্যদের চেয়ে সেই বেশি জ্ঞাত,অধিক হিফযকারী।
(সলাতুত তারাবীহ,১/৫৯)
...
(সলাতুত তারাবীহ,১/৫৯)
...
💠ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ হচ্ছেন সিক্বাহ রাবী। তবে তিনি হিফয থেকে হাদিস বর্ণনার সময় ভ্রান্তিতে পতিত হতেন। উদাহরণ হল- উপরের হাদিসটি। উনি বলেন, “আমার মনে হয়/আমার ধারনা সায়িব ইবনে ইয়াযিদ বলেছেন "২১ রাক'আত" এর কথা।”
অথচ হাদিসের কিতাবে আছে "২০ রাক'আত" এর কথা।
অর্থাৎ,ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ তারাবীহর রাক'আত সংখ্যার ব্যাপারে এই হাদিসটি ঠিকভাবে মুখস্ত করতে পারে নি।
..
অথচ হাদিসের কিতাবে আছে "২০ রাক'আত" এর কথা।
অর্থাৎ,ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ তারাবীহর রাক'আত সংখ্যার ব্যাপারে এই হাদিসটি ঠিকভাবে মুখস্ত করতে পারে নি।
..
🏛পরিশেষে বলব, মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ হচ্ছেন সিক্বাহ সাবত রাবী। আর ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফা সিক্বাহ রাবী।
অধিক সিক্বাহ রাবী 'মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ' এর হাদিস বর্ণনার বিপরীতে হাদিস বর্ণনা করায় ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহর বর্ণনাটি শায। পাশাপাশি ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহর বর্ণনায় গড়মিল রয়েছে।
..
তাই ২০ রাক'আত এর ব্যাপারে ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ এর বর্ণনাটি শায,গ্রহণযোগ্য নয়।
অধিক সিক্বাহ রাবী 'মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ' এর হাদিস বর্ণনার বিপরীতে হাদিস বর্ণনা করায় ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহর বর্ণনাটি শায। পাশাপাশি ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহর বর্ণনায় গড়মিল রয়েছে।
..
তাই ২০ রাক'আত এর ব্যাপারে ইয়াযিদ ইবনে খুসাইফাহ এর বর্ণনাটি শায,গ্রহণযোগ্য নয়।
No comments:
Post a Comment