নবী (ﷺ) ও সাহাবীগন রাঃ শবে মিরাজ পালন করেননি তাহলে আপনি কেন করছেন?
.
জ্ঞানহীন ও দ্বীন এর ব্যপারে গাফেল কিছু নামধারি
মাওলানাদের ফতোয়ার ভিত্তিতে আমাদের সমাজের মুসলীমদের মেরাজ উপলক্ষে সারা রাত
নফল নামাজ এবং দিনে রোজা রাখতে দেখা যায়।
অথচ তাঁদের কাছে এর প্রমানে কোন দলিল নেই।
তাঁদের দলিল হলো বিদ’আতি বই-পুস্তক!
.
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে-
নফল সালাত পড়া, নফল রোজা রাখা এগুলো কি
বিদ’আত?
নফল ইবাদতের আবার দলিল লাগবে কেন?
ঐ দিন এই সকল নফল ইবাদত করা যাবে না তার
দলিল কোথায়?
.
→আপনার কথা সত্য, কিন্তু উদ্দেশ্য খারাপ।
.
এগুলো সব শয়তানের শয়তানী যুক্তি! সমাজে বিদ’আত এই ভাবেই প্রতিষ্ঠা পায়।
এক বিদআতি বিদআতের পক্ষে সাফাই গাইতে যেয়ে বলে আমরা তো ভাল কাজই করছি জবাবে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন,,
وَكَمْ مِنْ مُرِيدٍ لِلْخَيْرِ لَنْ يُصِيبَهُ
অনেক মানুষেরই উদ্দেশ্য ভালো হয়, তবে সে ভালো পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।
সুনান দারেমি,,, ২১০
কোন কিছুকে যখন ইবাদত বলবেন তখন অবশ্যই তার দলিল লাগবে।
.
নবী (ﷺ) বলেন,
الْبَيِّنَةُ عَلَى الْمُدَّعِي
যে কোন ব্যাপারে দাবীদারকে দলীল পেশ করতে হবে।
.
(তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৭৬৯, হাদীছ ছহীহ)।
.
রাসূল (ﷺ) বলেন,
مَنِ ادَّعَى مَا لَيْسَ لَهُ فَلَيْسَ مِنَّا وَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
যে ব্যক্তি এমন কিছুর দাবী করে যা তার নয় অথবা তার অবগতিতে নেই, তাহ’লে সে আমার শরী‘আতের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সে তার বাসস্থান জাহান্নামে করে নেয়’
(মুসলিম, মিশকাত হা/৩৭৬৫)
.
দলিলবিহীন আমল করলে তা কখনও আল্লাহ গ্রহন করবেন না; বরং বিদ’আত করার কারনে আপনি কঠিন গুনাহগার হবেন।
.
আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,
নবী করীম (ﷺ) বলেছেন,
.
مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا، فَهْوَ رَدٌّ ‘
.
যে কেউ এমন কোন আমল করল, যে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশ নেই তা বাতিল ।
.
আর দলিল হলো কোরআন ও সহীহ হাদিস।
.
দেখুন!,
রাসুল (ﷺ) কিন্তু মেরাজের পরের দিন-ই
ইন্তিকাল করেন নাই; পরের বছরও ইন্তিকাল করেন নাই, তিনি বেঁচে ছিলেন আরও প্রায় ১১/১২ বছর! এই ১১/১২ বছর তিনি কোনদিন মেরাজের রাত উপলক্ষে ১২ রাক’আত সালাত আদায় করেছেন অথবা নফল রোজা রেখেছেন এর প্রমানে ১টি সহীহ হাদীসও পৃথিবীতে নেই।
.
রাসুল (ﷺ) যেই দিনকে কোন ইবাদতের উপলক্ষ
বানানেল না, সেই দিবসকে আপনি কোন ইবাদতের
উপলক্ষ বানাবেন কি করে?
.
আপনি কি রাসুল (ﷺ) থেকে শরীয়ত বেশী বুঝে গেছেন?
অথবা আপনি মনে করেন যে, রাসুল (ﷺ) এই ইবাদত করার কথা তাঁর উম্মতদের বলতে ভুলে গেছেন! [নাউযুবিল্লাহ]?
.
রাসুল (ﷺ) এর মৃত্যূর পর তার সাহাবী, তাবেঈ, তাবে- তাবেঈন থেকেও এদিনকে উপলক্ষ করে কোন ইবাদত করার প্রমান পাওয়া যায় না; অথচ সকল ভাল কাজে তারা ছিলেন আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগামী!
.
সুতরাং শবে মেরাজ পালন করা দ্বীনের মধ্যে সৃষ্ট
বিদ’আতের অর্ন্তভূক্ত।
.
বিদআত করার আগে মনে রাখবেন ..
যে কেউ বিদআত করবে বিদআতিকে সাহায্য করবে তার কোন ফরয নফল ইবাদত কবুল হবেনা! তার উপর আল্লাহ ও ফেরেশতাদের লানত!
.
আলী রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
.
রাসুল (ﷺ) বলেছেন...
فَمَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا، أَوْ آوَى مُحْدِثًا، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ
যে কেউ দ্বীনের ব্যাপারে বিদআত উদ্ভাবন করে কিংবা কোন বিদআতীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ তাআলা ফিরিশতা ও সকল মানুষের লানত। তা কোন ফরয কিংবা নফল ইবাদত কবূল হবে না।
.
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৫
.
বিখ্যাত মুহাদ্দিস হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন,
لم يرد في فضل شهر رجب، ولا في صيامه، ولا في صيام شيء منه، - معين، ولا في قيام ليلة مخصوصة فيه - حديث صحيح يصلح للحجة، وقد سبقني إلى الجزم بذلك الإمام أبو إسماعيل الهروي الحافظ، رويناه عنه بإسناد صحيح، وكذلك رويناه عن غيره،
অর্থাৎ রজব মাসের মর্যাদা, সে মাসে রোজা রাখা এবং সে মাসের বিশেষ কোনো রাতের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে দলীলযোগ্য কোনো সহিহ হাদিস নেই। আমার পূর্বে দৃঢ়তার সাথে এমনটা বলেছেন হাফেজ ইমাম আবু ইসমাইল আল হারাওয়ী। আমরা তাঁর থেকে সহিহ সনদে এমনটা বর্ণনা করেছি। এমনভাবে অন্য থেকেও এমনটা বর্ণিত হয়েছে।
( তাবয়িনুল আজাব বিমা ওয়ারাদা ফি শরহি রজব, পৃষ্ঠা নং ২, মাকতাবাতুশ শামেলা।)
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী এখানে স্পষ্ট বলেছেন যে, রজব মাসের কোন রাতের বিশেষ নামাজের ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। শবে মেরাজ যেহেতু আমাদের দেশে ২৭ তারিখে পালন করা হয়, সুতরাং এ রাতের বিশেষ নামাজ সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
আল্লামা ইববে রজব হাম্ভলি রহ. বলেন,
ومن أحكام رجب ما ورد فيه من الصلاة والزكاة والصيام والإعتمار فأما الصلاة فلم يصح في شهر رجب صلاة مخصوصة تختص به
অর্থাৎ রজব মাসের বিশেষ কোন নামাজ সহিহভাবে প্রমাণিত নয়।
(লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা নং ১৬৪, দারুল হাদীস কাহেরা।)
আসুন এই বিদ’আত থেকে
নিজে বাঁচি ও পরিবার পরিজনকে বাঁচাই। আল্লাহ
আমাদের বিদ’আত ছেড়ে সারা জীবন সহিশুদ্ধ আমল করার তৌফিক দিন।
আমিন...!
.
জ্ঞানহীন ও দ্বীন এর ব্যপারে গাফেল কিছু নামধারি
মাওলানাদের ফতোয়ার ভিত্তিতে আমাদের সমাজের মুসলীমদের মেরাজ উপলক্ষে সারা রাত
নফল নামাজ এবং দিনে রোজা রাখতে দেখা যায়।
অথচ তাঁদের কাছে এর প্রমানে কোন দলিল নেই।
তাঁদের দলিল হলো বিদ’আতি বই-পুস্তক!
.
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে-
নফল সালাত পড়া, নফল রোজা রাখা এগুলো কি
বিদ’আত?
নফল ইবাদতের আবার দলিল লাগবে কেন?
ঐ দিন এই সকল নফল ইবাদত করা যাবে না তার
দলিল কোথায়?
.
→আপনার কথা সত্য, কিন্তু উদ্দেশ্য খারাপ।
.
এগুলো সব শয়তানের শয়তানী যুক্তি! সমাজে বিদ’আত এই ভাবেই প্রতিষ্ঠা পায়।
এক বিদআতি বিদআতের পক্ষে সাফাই গাইতে যেয়ে বলে আমরা তো ভাল কাজই করছি জবাবে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন,,
وَكَمْ مِنْ مُرِيدٍ لِلْخَيْرِ لَنْ يُصِيبَهُ
অনেক মানুষেরই উদ্দেশ্য ভালো হয়, তবে সে ভালো পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।
সুনান দারেমি,,, ২১০
কোন কিছুকে যখন ইবাদত বলবেন তখন অবশ্যই তার দলিল লাগবে।
.
নবী (ﷺ) বলেন,
الْبَيِّنَةُ عَلَى الْمُدَّعِي
যে কোন ব্যাপারে দাবীদারকে দলীল পেশ করতে হবে।
.
(তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৭৬৯, হাদীছ ছহীহ)।
.
রাসূল (ﷺ) বলেন,
مَنِ ادَّعَى مَا لَيْسَ لَهُ فَلَيْسَ مِنَّا وَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
যে ব্যক্তি এমন কিছুর দাবী করে যা তার নয় অথবা তার অবগতিতে নেই, তাহ’লে সে আমার শরী‘আতের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সে তার বাসস্থান জাহান্নামে করে নেয়’
(মুসলিম, মিশকাত হা/৩৭৬৫)
.
দলিলবিহীন আমল করলে তা কখনও আল্লাহ গ্রহন করবেন না; বরং বিদ’আত করার কারনে আপনি কঠিন গুনাহগার হবেন।
.
আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,
নবী করীম (ﷺ) বলেছেন,
.
مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا، فَهْوَ رَدٌّ ‘
.
যে কেউ এমন কোন আমল করল, যে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশ নেই তা বাতিল ।
.
আর দলিল হলো কোরআন ও সহীহ হাদিস।
.
দেখুন!,
রাসুল (ﷺ) কিন্তু মেরাজের পরের দিন-ই
ইন্তিকাল করেন নাই; পরের বছরও ইন্তিকাল করেন নাই, তিনি বেঁচে ছিলেন আরও প্রায় ১১/১২ বছর! এই ১১/১২ বছর তিনি কোনদিন মেরাজের রাত উপলক্ষে ১২ রাক’আত সালাত আদায় করেছেন অথবা নফল রোজা রেখেছেন এর প্রমানে ১টি সহীহ হাদীসও পৃথিবীতে নেই।
.
রাসুল (ﷺ) যেই দিনকে কোন ইবাদতের উপলক্ষ
বানানেল না, সেই দিবসকে আপনি কোন ইবাদতের
উপলক্ষ বানাবেন কি করে?
.
আপনি কি রাসুল (ﷺ) থেকে শরীয়ত বেশী বুঝে গেছেন?
অথবা আপনি মনে করেন যে, রাসুল (ﷺ) এই ইবাদত করার কথা তাঁর উম্মতদের বলতে ভুলে গেছেন! [নাউযুবিল্লাহ]?
.
রাসুল (ﷺ) এর মৃত্যূর পর তার সাহাবী, তাবেঈ, তাবে- তাবেঈন থেকেও এদিনকে উপলক্ষ করে কোন ইবাদত করার প্রমান পাওয়া যায় না; অথচ সকল ভাল কাজে তারা ছিলেন আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগামী!
.
সুতরাং শবে মেরাজ পালন করা দ্বীনের মধ্যে সৃষ্ট
বিদ’আতের অর্ন্তভূক্ত।
.
বিদআত করার আগে মনে রাখবেন ..
যে কেউ বিদআত করবে বিদআতিকে সাহায্য করবে তার কোন ফরয নফল ইবাদত কবুল হবেনা! তার উপর আল্লাহ ও ফেরেশতাদের লানত!
.
আলী রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
.
রাসুল (ﷺ) বলেছেন...
فَمَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا، أَوْ آوَى مُحْدِثًا، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ
যে কেউ দ্বীনের ব্যাপারে বিদআত উদ্ভাবন করে কিংবা কোন বিদআতীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ তাআলা ফিরিশতা ও সকল মানুষের লানত। তা কোন ফরয কিংবা নফল ইবাদত কবূল হবে না।
.
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৫
.
বিখ্যাত মুহাদ্দিস হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন,
لم يرد في فضل شهر رجب، ولا في صيامه، ولا في صيام شيء منه، - معين، ولا في قيام ليلة مخصوصة فيه - حديث صحيح يصلح للحجة، وقد سبقني إلى الجزم بذلك الإمام أبو إسماعيل الهروي الحافظ، رويناه عنه بإسناد صحيح، وكذلك رويناه عن غيره،
অর্থাৎ রজব মাসের মর্যাদা, সে মাসে রোজা রাখা এবং সে মাসের বিশেষ কোনো রাতের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে দলীলযোগ্য কোনো সহিহ হাদিস নেই। আমার পূর্বে দৃঢ়তার সাথে এমনটা বলেছেন হাফেজ ইমাম আবু ইসমাইল আল হারাওয়ী। আমরা তাঁর থেকে সহিহ সনদে এমনটা বর্ণনা করেছি। এমনভাবে অন্য থেকেও এমনটা বর্ণিত হয়েছে।
( তাবয়িনুল আজাব বিমা ওয়ারাদা ফি শরহি রজব, পৃষ্ঠা নং ২, মাকতাবাতুশ শামেলা।)
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী এখানে স্পষ্ট বলেছেন যে, রজব মাসের কোন রাতের বিশেষ নামাজের ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। শবে মেরাজ যেহেতু আমাদের দেশে ২৭ তারিখে পালন করা হয়, সুতরাং এ রাতের বিশেষ নামাজ সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
আল্লামা ইববে রজব হাম্ভলি রহ. বলেন,
ومن أحكام رجب ما ورد فيه من الصلاة والزكاة والصيام والإعتمار فأما الصلاة فلم يصح في شهر رجب صلاة مخصوصة تختص به
অর্থাৎ রজব মাসের বিশেষ কোন নামাজ সহিহভাবে প্রমাণিত নয়।
(লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা নং ১৬৪, দারুল হাদীস কাহেরা।)
আসুন এই বিদ’আত থেকে
নিজে বাঁচি ও পরিবার পরিজনকে বাঁচাই। আল্লাহ
আমাদের বিদ’আত ছেড়ে সারা জীবন সহিশুদ্ধ আমল করার তৌফিক দিন।
আমিন...!
No comments:
Post a Comment