** #লাইলাতুল_মিরাজ_কি ??
** #কোনদিন??
**#এ_দিনের_বিশেষ_কোন_আমল_রয়েছে_কি ??
#যে রাতে মহান আল্লহ পাকের ডাকে সাড়া দিয়ে রসূলুল্লাহ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) প্রথমে বুরাক ও পরে রফরফ নামক বাহনের মাধ্যমে সাত আসমানের উপর পরিভ্রমণ করে মহান আল্লহর সাক্ষাত পেয়েছিলেন,, আখিরাতের অনেক অজানা জিনিস স্বচক্ষে দেখেছিলেন , সেই রাত-ই লাইলাতুল মিরাজ নামে পরিচিত। #লাইলাতুল মিরাজ নিঃসন্দেহে সত্য তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই . .
#মি’রাজ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ রসূলে কারীম (ছঃ) হাতীমে কা’বা অথবা হাজরে আসওয়াদ বা কৃষ্ণপাথরের নিকটে কোথাও শয়নাবস্থায় ছিলেন । হযরত জিবরাঈল (আঃ) এসে তাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করেন এবং ঈমানে পরিপূর্ণ একখানা স্বর্ণ পাত্রে ধৌত করে পূর্ববৎ ঠিক করে দিলেন । অতঃপর গর্ধবের চেয়ে বড় খচ্চরের চেয়ে ছোট একটি উজ্জ্বল শ্বেত বর্ণের সওয়ারী যাকে ‘বোরাক’ বলা হয় সওয়ারী হিসেবে উপস্থিত হল, যার গতিবেগ ছিল দৃষ্টি সীমা রেখার বাইরে । এতে আরোহন করে রসূলুল্লাহ (ছঃ) অগ্রসর হলেন । রসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেন, পথে এক বৃদ্ধার সাথে আমার দেখা হল, আর একটি বস্তু আমাকে ঝুঁকে ডাকছিল এবং আর একটি জীব আমাকে সালাম দিল । রাস্তার তিন জায়গায় আমাকে নামায পড়ানো হয়েছেঃ ১ম, মাদীনায় এবং বলা হয়, এটি আপনার হিজরতগাহ বা প্রবাস স্থান, ২য় সীনাই পর্বতে এবং বলা হয় যে, এটি হযরত মূসা (আঃ) ও আল্লহর কথোপকথনের স্থান; ৩য় বাইতুল মুকাদ্দাসে এবং বলা হয় যে, এখানে হযরত ঈসা (আঃ) ভূমিষ্ট হয়েছিলেন । অতঃপর বাইতুল মুকাদ্দাসের সে পাথরের ছিদ্রের সাথে আমার বোরাক বাঁধা হল, যেখানে নবীদের সওয়ারী বাঁধা হত । তারপর আযান দেয়া হল, আর জিবরাঈল (আঃ) নবী কারীম (ছঃ)-কে ইমাম বানালেন এবং সমস্ত নবী তাঁর (ছঃ) পেছনে নামায পড়লেন । সেখান থেকে তাঁকে ১ম আসমানে আরোহণ করানো হল, অতঃপর ২য়, ৩য় ও ৪র্থ আসমানে তদ্রুপ সপ্তম আসমান পর্যন্ত নেয়া হল এবং প্রত্যেক আসমানের দরজা খোলার সময় জিজ্ঞেস করা হত । “কে এবং তোমার সঙ্গে কে? ” উত্তরে বলা হত “জিবরাঈল এবং আমার সঙ্গী হযরত মুহাম্মদ (ছঃ) । ” তিনি সপ্তম আসমানে বায়তুল মামূরের প্রাচীরে হেলান দেয়া অবস্থায় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কেও দেখতে পান এবং অন্যান্য আসমানসমূহেও অন্যান্য নবীদের সাথেও তার সাক্ষাৎ হয় । রসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেন, আমি বাইতুল মামূলে নামায আদায় করেছি; এটি সেই পবিত্র স্থান যেখানে দৈনিক সত্তর হাজার ফেরেশতা তওয়াফ করেন যারা পুনরায় তওয়াফ করার সুযোগ পান না। *[সুবহান'আল্লহ]*
**#শবে_মিরাজ_বা_লাইলা¬তুল_মিরাজ_কোনদিন ?
উত্তরঃ #২৭ রজব এ যে লাইলাতুল মিরাজ সংঘটিত হয়েছে তা নির্ভরযোগ্য কোন হাদিসগ্রন্থ দ্বারা #প্রমানিত_নয় । #কেননা মিরাজের ঘটনা কোন মাসে , কোন দিনে কোন তারিখে ঘটেছে এর নির্ভরযোগ্য কোন #দলীল নেই। কোনো কোনো বইয়ে লিখা আছে যে, মিরাজের ঘটনা রজবের ২৭ তারিখ সংঘটিত হয়েছে। এ কথাটি ইতিহাসের একটি বর্ণণার ভিত্তিতে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে । যার সূত্র #সহীহ_নয় । নির্ভরযোগ্য সূত্রে শুধু এটা উল্লেখ আছে, যে মিরাজের ঘটনা হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে সংঘটিত হয়েছে ।
**#এদিনের_বিশেষ_কোন_আম¬ল_রয়েছে_কি ??
উত্তরঃ #এ_দিনের বিশেষ_কোন_আমল_নেই . . যেহেতু দিনও নির্দিষ্ট নেই!! #সুতরাং ২৭ রজব মিরাজের সওম (রোযা) রাখা , বারো রাকাত নফল নামাজ পড়া. . অত্যন্ত সওয়াব মনে করে আমল করা #বিদাআত, কারণ তা নবীজি ও সাহাবায়ের আমল থেকে প্রমাণিত নয়।
#আর, এই ব্যপারে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন কর্ম/ইবাদত করলো, যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (অর্থাৎ আল্লহতায়ালার নিকটে কবুল হবে না।) (সহীহ মুসলিম-৪৩৮৫)
অনেক আলেমগণ বলেছেন যে, #মিরাজের রাতটি নিঃসন্দেহে একটি বরকতময় রাত ছিল। কিন্তু এই রাতে যেহেতু বিশেষ কোন আমল বা ইবাদাত উম্মতের জন্য #বিধিবদ্ধ হয়নি তাই এর দিন তারিখ সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষিত থাকেনি ।
Reference :
[আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ ও শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়াহ ৮/১৮-১৯, আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া , ইমাম ইবনে কাসির ২/৪৭১, ইমাম ইবনে রজব ১৩৪, আল্লামা মুহাম্মদ তাকী ওসমানি, ১/৪৬-৪৮]
পবিত্র সেই রাতেই আল্লহপাক আমাদের #৫_ওয়াক্ত_নামাজ উপহার দিয়েছেন ,
আল্লহ আমাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ সহীহ শুদ্ধভাবে কায়েম করার তৌফিক দিন. . . (আমীন )
এবং আল্লহতালা আমাদের প্রত্যেকেই সঠিক জানা, বুঝা এবং গ্রহণযোগ্য সহিহ আমল করার তৌফিক দান করুন ; ((আমিন, ছুম্মা আমিন।))
** #কোনদিন??
**#এ_দিনের_বিশেষ_কোন_আমল_রয়েছে_কি ??
#যে রাতে মহান আল্লহ পাকের ডাকে সাড়া দিয়ে রসূলুল্লাহ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) প্রথমে বুরাক ও পরে রফরফ নামক বাহনের মাধ্যমে সাত আসমানের উপর পরিভ্রমণ করে মহান আল্লহর সাক্ষাত পেয়েছিলেন,, আখিরাতের অনেক অজানা জিনিস স্বচক্ষে দেখেছিলেন , সেই রাত-ই লাইলাতুল মিরাজ নামে পরিচিত। #লাইলাতুল মিরাজ নিঃসন্দেহে সত্য তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই . .
#মি’রাজ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ রসূলে কারীম (ছঃ) হাতীমে কা’বা অথবা হাজরে আসওয়াদ বা কৃষ্ণপাথরের নিকটে কোথাও শয়নাবস্থায় ছিলেন । হযরত জিবরাঈল (আঃ) এসে তাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করেন এবং ঈমানে পরিপূর্ণ একখানা স্বর্ণ পাত্রে ধৌত করে পূর্ববৎ ঠিক করে দিলেন । অতঃপর গর্ধবের চেয়ে বড় খচ্চরের চেয়ে ছোট একটি উজ্জ্বল শ্বেত বর্ণের সওয়ারী যাকে ‘বোরাক’ বলা হয় সওয়ারী হিসেবে উপস্থিত হল, যার গতিবেগ ছিল দৃষ্টি সীমা রেখার বাইরে । এতে আরোহন করে রসূলুল্লাহ (ছঃ) অগ্রসর হলেন । রসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেন, পথে এক বৃদ্ধার সাথে আমার দেখা হল, আর একটি বস্তু আমাকে ঝুঁকে ডাকছিল এবং আর একটি জীব আমাকে সালাম দিল । রাস্তার তিন জায়গায় আমাকে নামায পড়ানো হয়েছেঃ ১ম, মাদীনায় এবং বলা হয়, এটি আপনার হিজরতগাহ বা প্রবাস স্থান, ২য় সীনাই পর্বতে এবং বলা হয় যে, এটি হযরত মূসা (আঃ) ও আল্লহর কথোপকথনের স্থান; ৩য় বাইতুল মুকাদ্দাসে এবং বলা হয় যে, এখানে হযরত ঈসা (আঃ) ভূমিষ্ট হয়েছিলেন । অতঃপর বাইতুল মুকাদ্দাসের সে পাথরের ছিদ্রের সাথে আমার বোরাক বাঁধা হল, যেখানে নবীদের সওয়ারী বাঁধা হত । তারপর আযান দেয়া হল, আর জিবরাঈল (আঃ) নবী কারীম (ছঃ)-কে ইমাম বানালেন এবং সমস্ত নবী তাঁর (ছঃ) পেছনে নামায পড়লেন । সেখান থেকে তাঁকে ১ম আসমানে আরোহণ করানো হল, অতঃপর ২য়, ৩য় ও ৪র্থ আসমানে তদ্রুপ সপ্তম আসমান পর্যন্ত নেয়া হল এবং প্রত্যেক আসমানের দরজা খোলার সময় জিজ্ঞেস করা হত । “কে এবং তোমার সঙ্গে কে? ” উত্তরে বলা হত “জিবরাঈল এবং আমার সঙ্গী হযরত মুহাম্মদ (ছঃ) । ” তিনি সপ্তম আসমানে বায়তুল মামূরের প্রাচীরে হেলান দেয়া অবস্থায় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কেও দেখতে পান এবং অন্যান্য আসমানসমূহেও অন্যান্য নবীদের সাথেও তার সাক্ষাৎ হয় । রসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেন, আমি বাইতুল মামূলে নামায আদায় করেছি; এটি সেই পবিত্র স্থান যেখানে দৈনিক সত্তর হাজার ফেরেশতা তওয়াফ করেন যারা পুনরায় তওয়াফ করার সুযোগ পান না। *[সুবহান'আল্লহ]*
**#শবে_মিরাজ_বা_লাইলা¬তুল_মিরাজ_কোনদিন ?
উত্তরঃ #২৭ রজব এ যে লাইলাতুল মিরাজ সংঘটিত হয়েছে তা নির্ভরযোগ্য কোন হাদিসগ্রন্থ দ্বারা #প্রমানিত_নয় । #কেননা মিরাজের ঘটনা কোন মাসে , কোন দিনে কোন তারিখে ঘটেছে এর নির্ভরযোগ্য কোন #দলীল নেই। কোনো কোনো বইয়ে লিখা আছে যে, মিরাজের ঘটনা রজবের ২৭ তারিখ সংঘটিত হয়েছে। এ কথাটি ইতিহাসের একটি বর্ণণার ভিত্তিতে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে । যার সূত্র #সহীহ_নয় । নির্ভরযোগ্য সূত্রে শুধু এটা উল্লেখ আছে, যে মিরাজের ঘটনা হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে সংঘটিত হয়েছে ।
**#এদিনের_বিশেষ_কোন_আম¬ল_রয়েছে_কি ??
উত্তরঃ #এ_দিনের বিশেষ_কোন_আমল_নেই . . যেহেতু দিনও নির্দিষ্ট নেই!! #সুতরাং ২৭ রজব মিরাজের সওম (রোযা) রাখা , বারো রাকাত নফল নামাজ পড়া. . অত্যন্ত সওয়াব মনে করে আমল করা #বিদাআত, কারণ তা নবীজি ও সাহাবায়ের আমল থেকে প্রমাণিত নয়।
#আর, এই ব্যপারে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন কর্ম/ইবাদত করলো, যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (অর্থাৎ আল্লহতায়ালার নিকটে কবুল হবে না।) (সহীহ মুসলিম-৪৩৮৫)
অনেক আলেমগণ বলেছেন যে, #মিরাজের রাতটি নিঃসন্দেহে একটি বরকতময় রাত ছিল। কিন্তু এই রাতে যেহেতু বিশেষ কোন আমল বা ইবাদাত উম্মতের জন্য #বিধিবদ্ধ হয়নি তাই এর দিন তারিখ সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষিত থাকেনি ।
Reference :
[আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ ও শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়াহ ৮/১৮-১৯, আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া , ইমাম ইবনে কাসির ২/৪৭১, ইমাম ইবনে রজব ১৩৪, আল্লামা মুহাম্মদ তাকী ওসমানি, ১/৪৬-৪৮]
পবিত্র সেই রাতেই আল্লহপাক আমাদের #৫_ওয়াক্ত_নামাজ উপহার দিয়েছেন ,
আল্লহ আমাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ সহীহ শুদ্ধভাবে কায়েম করার তৌফিক দিন. . . (আমীন )
এবং আল্লহতালা আমাদের প্রত্যেকেই সঠিক জানা, বুঝা এবং গ্রহণযোগ্য সহিহ আমল করার তৌফিক দান করুন ; ((আমিন, ছুম্মা আমিন।))
No comments:
Post a Comment