Sunday, December 1, 2019

শিফা বা রোগ মুক্তির সূরা গুলো কি কি?

*শিফা (রোগমুক্তি) এর সূরাগুলো কী কী?*
➖➖➖➖➖➖
প্রশ্ন: কুরআনকে তো শিফা বলা হয়। তাহলে কোন কোন আয়াত শিফার জন্য তা কি নির্দিষ্ট আছে? আর মানসিক সমস্যার জন্য নাকি ইয়াসীন সুরা পড়তে হয়- এটা কি সহিহ?

উত্তর:
কুরআনের মধ্যে অবশ্যই রোগমুক্তি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ۙ
 “আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।” (সূরা আলে ইসরা/বনী  ইসরাঈল: ৮২)
 তাই মানুষের বিভিন্ন ধরণের রোগ-ব্যাধী, মানসিক সমস্যা, দুশ্চিন্তা, যাদু-টোনা, জিন আক্রমন ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যার জন্য কুরআনের আয়াত পড়ে ফুঁ দিলে সমস্যার সমাধান হয়। এটি সুপ্রমাণিত ও পরীক্ষিত।
তবে কুরআনের নির্দিষ্ট কোন আয়াত বা সূরাকে আয়াতুশ শিফা বলতে হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস থেকে তার পক্ষে প্রমাণ থাকতে হবে। দলীল ছাড়া বিশেষ কোন আয়াতকে শিফার আয়াত মনে করে ঝাড়ফুঁক করা বৈধ হবে না।
হাদীস দ্বারা ছয়টি সূরা রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক) এবং রোগ মুক্তির সূরা হিসেবে সুপ্রমাণিত। সেগুলো হল:
১) সূরা ফাতিহা
২) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত)
৩) সূরা বাকারর শেষ দুটি আয়াত।
৪) সূরাতুল ইখলাস
৫) সূরাতুল ফালাক
৬) সূরাতুন নাস।
উৎস: kalemtayeb ওয়েব সাইট)

মানসিক সমস্যার জন্য ইয়াসীন সুরা পড়ার কথা আমার জানা মতে সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। আল্লাহ্ আলাম।

✒✒✒✒✒
*উত্তর প্রদানে:*
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল,সৌদি আরব

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...