বাংলাদেশ সহ ভারত মহাদেশে সর্বপ্রথম ইসলাম এসেছে সাহাবীদের মাধ্যমে কোন তথাকথিত ওলী আউলিয়ার মাধ্যমে নয় ! সত্য জানতে পড়ুন..
উপমহাদেশে ইসলাম পীর আউলিয়ার হাত ধরে আসে নি। এসেছে সম্মানিত সাহাবায়ে রাসুলের (ﷺ) হাত ধরে। পরিতাপের ব্যাপার হলো, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পবিত্র মো'জেজা চন্দ্র দ্বিখন্ডনের ঘটনার ভারতীয় চাক্ষুস সাক্ষীগণ যাদের নাম ইতিহাসে জ্বল জ্বল করার কথা তাদেরকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্রই সফল হয়েছে।
৬২৯ খৃষ্টাব্দে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশাতেই ভারতীয় প্রথম ইসলাম গ্রহনকারী সাহাবী সম্রাট তাজউদ্দীন চেরামন পেরুমল রাঃ এর নির্দেশে আরেক বিখ্যাত সাহাবী মালেক বিন দীনার রাঃ সর্বপ্রথম কেরালার ত্রিসূর জেলায় মসজিদ নির্মাণ করেন।
তাজউদ্দীন নামটি ইসলাম গ্রহণের পর স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (ﷺ) দিয়েছিলেন। পরে তিনি সাহাবী মালেক বিন দীনার রাঃ এর বোন রাজিয়া রাঃ কে বিয়ে করে আরবের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা আরও প্রশস্ত করেন।
তাফসিরে মা’আরিফুল কোরআনেও সূরা ক্বমর এর ব্যাখ্যায় এই পূন্যাত্মা সাহাবীর ইসলাম ধর্ম গ্রহনের কথা উল্লেখ আছে। আরো বলা আছে যে, মালাবারের এই মহারাজা নিজে ডায়েরী লিখতেন। যেদিন রাসুলুল্লাহ সাঃ এর চন্দ্র-দ্বিখন্ডনের মু’জেজা সংগঠিত হয়, উনি সেইদিনের ঘটনা সবিস্তারে তারিখ সহ লিখে গেছেন। উনার রচিত সেই ডায়েরী এখনও সংরক্ষিত আছে।
তাঁর কথা হাদীসেও পাওয়া যায়। যেখানে তাঁকে মালিকুল হিন্দ তথা 'ভারতীয় মহারাজ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
عن أبي سعيد الخدري : أن ملك الهند أرسل إلى النبي صلى الله عليه وسلم هدية ، عبارة عن مخلل فيه شيء من الزنجبيل ، فوزّعه النبي صلى الله عليه وسلم على من حوله من الصحابة ، وقال أبو سعيد : وحصلت على شيء منه فأكلته
আবু সাঈদ খুদরী রাঃ হতে বর্নিত-
عن أبي سعيد الخدري : أن ملك الهند أرسل إلى النبي صلى الله عليه وسلم هدية ، عبارة عن مخلل فيه شيء من الزنجبيل ، فوزّعه النبي صلى الله عليه وسلم على من حوله من الصحابة ، وقال أبو سعيد : وحصلت على شيء منه فأكلته
আবু সাঈদ খুদরী রাঃ হতে বর্নিত-
"ভারতীয় মহারাজ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এক বয়াম আচার উপঢৌকন স্বরূপ পাঠালেন। যেখানে আদার মত কিছু ছিল। তারপর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীদের মাঝে এগুলো ভাগ করে দিলেন। আবু সাঈদ খুদরী রাঃ বলেন আমিও এক ভাগ পেয়েছিলাম এবং তা খেয়েছিলাম।"
[মুসতাদরাকে হাকেম, كتاب الأطعمة, ৪/১৫০]
লাল মনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামের মজেদের আড়া নামক জঙ্গলে ১৯৮৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল প্রাচীন একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ।
জঙ্গলটি খনন করে একটি ইট পাওয়া যায়। এতে কালেমা তায়্যিবা ও ৬৯ হিজরি লেখা রয়েছে। হিজরি ৬৯ অর্থ হলো ৬২০ খ্রিস্টাব্দ। রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ হতে জানা যায়, রাসূল (সা.)-এর মামা বিবি আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস (রা.) ৬২০-৬২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)। অনেকে অনুমান করেন যে, ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি আবু ওয়াক্কাস (রা.) নির্মাণ করেন।
জঙ্গলটি খনন করে একটি ইট পাওয়া যায়। এতে কালেমা তায়্যিবা ও ৬৯ হিজরি লেখা রয়েছে। হিজরি ৬৯ অর্থ হলো ৬২০ খ্রিস্টাব্দ। রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ হতে জানা যায়, রাসূল (সা.)-এর মামা বিবি আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস (রা.) ৬২০-৬২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)। অনেকে অনুমান করেন যে, ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি আবু ওয়াক্কাস (রা.) নির্মাণ করেন।
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও প্রাচীন এই মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট এবং পূর্ব- পশ্চিমে ১০ ফুট
মসজিদের ভিতরের পুরুত্ব সাড়ে ৪ ফুট। মসজিদে চার কোণে অষ্টকোণ বিশিষ্ট স্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের ধ্বংসাবশেষ হতে পাওয়া যায় গম্বুজ ও মিনারের চূড়া
(রংপুর জেলার ইতিহাস, পৃ. ১৬৪)।
মসজিদের ভিতরের পুরুত্ব সাড়ে ৪ ফুট। মসজিদে চার কোণে অষ্টকোণ বিশিষ্ট স্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের ধ্বংসাবশেষ হতে পাওয়া যায় গম্বুজ ও মিনারের চূড়া
(রংপুর জেলার ইতিহাস, পৃ. ১৬৪)।
মতিউর রহমান বসনীয়া রচিত রংপুরে দ্বিনী দাওয়াত গ্রন্থেও মসজিদের এ মসজিদের বিশদ বিবরণ রয়েছে।
লাল মনিরহাট জেলার এ প্রাচীন মসজিদ ও এর শিলালিপি দেখে আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, বখতিয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ের (১২০৩ খ্রি.) ছয়শ বছর আগেই বাংলা অঞ্চলে সাহাবী (রা.) দ্বারা ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল।
লাল মনিরহাট জেলার এ প্রাচীন মসজিদ ও এর শিলালিপি দেখে আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, বখতিয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ের (১২০৩ খ্রি.) ছয়শ বছর আগেই বাংলা অঞ্চলে সাহাবী (রা.) দ্বারা ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল।
এছাড়াও বহু সাহাবা উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের কাজ করেছেন। চট্টগ্রামেই দীর্ঘ নয় বছর সাহাবীদের একটি দল অবস্থান করেছিলেন বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়।
কোথায় আজ সাহাবায়ে কেরামগণের এসব মহতী অবদানের কথা? কেন মুসলমান এসব গৌরবগাঁথা ভুলতে বসেছে?
No comments:
Post a Comment