জীন যদি আগুনের তৈরী হয় তাহলে আমাদের দেহে তাপ লাগেনা কেন?আমরা পুড়ে যাই না কেন?
এইরকম প্রশ্নের উত্তরে বলবো যে মানুষ তো মূলত মাটির তৈরি। আমাদের শরীরে পানি লাগলে কি আমরা কাদাঁয় পরিণত হই, আমরা কি গলে যাই ? আমাদের গায়ে মাটির সবগুলো উপাদান রয়েছে। তবুও আমরা ভিন্ন অবস্থায় আছি। মানুষ কোন বস্তুকে স্পশ করলে কাদাঁ লাগেনা যেমন ভাবে তেমনি ভাবে জিন আমাদের পাশে থাকলেও আমরা তাপ অনুভব করতে পারবোনা।?
হিরা ভাংলে কয়লা পাওয়া যায়..? -নাহ। কিন্তু হিরাতো কয়লা হতেই সৃষ্টি? মানুষের শরীরে মাটির উপদান আছে। এবং তা বৈজ্ঞানিকভাবে-ই প্রমানিত।
তদ্রুপ জিনেরা আগুনের উপদান হতে সৃষ্টি।
এইরকম বিজ্ঞানমনষ্করা বুঝতে পারেনা যে কোরানের ভাষায় জিনেরা ভিন্ন অবস্থায় আছে , এমন এক অবস্থা যেখান থেকে তারা আমাদেরকে পরিষ্কার দেখতে পারে কিন্তু আমরা তাদেরকে দেখতে পারিনা। বিজ্ঞানের ভাষায় একে ডাইমেনশন বলা হয়। ২ ডাইমেনশনের কোনো প্রাণী , তৃতীয় কিংবা চতুর্থ ডাইমেনশনের কারো উপস্থিতি অনুভব করতে পারে না।
এটা বিজ্ঞানসম্মত কথা আর জিনের বিষয়টি এর সাথে একদম মিলে যায়।
জ্বীনরা আমাদের দেখে কিন্তু আমরা দেখিনা
-
আল্লাহ বলেন,
হে বনী-আদম শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে; যেমন সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবস্থায় যে, তাদের পোশাক তাদের থেকে খুলিয়ে দিয়েছি-যাতে তাদেরকে লজ্জাস্থান দেখিয়ে দেয়। সে এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না। আমি শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, , যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না।
(সুরা আরাফঃ২৭)
আল্লাহ পৃথিবীসহ সব গ্রহ-নক্ষত্রকে শূণ্যের উপর ভাসিয়ে রেখেছেন। আপনি কি কোন দালান শূণ্যের উপর বানাতে পারবেন !আপনি বলুন,সব গ্রহ-নক্ষত্র কিভাবে শূণ্যের উপর ভাসছে। আল্লাহ সব গ্রহ-নক্ষত্রকে শূণ্যের উপর ভাসিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখেন। কাজেই আল্লাহ’র পক্ষে আগুনের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রন করাটা কোন কঠিন বিষয় নয়।
No comments:
Post a Comment