অনেকে মনের আশা পূরণ হতে / দুয়া কবুল হতে আমল খুঁজেন।
কোথাও কোন আমল পেলেই করা শুরু করেন। তা যত কঠিন ই হোক না কেন!
অথচ এটা ভাবেন না যে আল্লাহ ও তার রাসূল এ ব্যাপারে কি বলেছেন। ইচ্ছা /চাওয়া পূরণ হতে মূলত কি করা উচিত। দোয়া কবুল হতে আল্লাহ কোন কঠিন কিছুই করতে বলেন নি।
অথচ এটা ভাবেন না যে আল্লাহ ও তার রাসূল এ ব্যাপারে কি বলেছেন। ইচ্ছা /চাওয়া পূরণ হতে মূলত কি করা উচিত। দোয়া কবুল হতে আল্লাহ কোন কঠিন কিছুই করতে বলেন নি।
তিনি জাস্ট দোয়া করতে বলেছেন....
খাস দিলে চাইতে বলেছেন....
খাস দিলে চাইতে বলেছেন....
দেখুন আল্লাহ কুরআনে কি বলেছেন...
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। (আল-মুমিন : ৬০)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। (আল-মুমিন : ৬০)
#অর্থাৎ আমার কাছে চাও আমি তোমাদের চাওয়া পূরন করব....
আমার কাছে সমস্যার কথা বলো আমি সমাধান করব। আমার কাছে বিপদ হতে মুক্তি চাও আমি বিপদ দূর করে দিব। আমার কাছে বিচার দাও আমি বিচার করব....
আমার কাছে সমস্যার কথা বলো আমি সমাধান করব। আমার কাছে বিপদ হতে মুক্তি চাও আমি বিপদ দূর করে দিব। আমার কাছে বিচার দাও আমি বিচার করব....
#এমন কি কোন নির্দিষ্ট টাইমে/নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে/নির্দিষ্ট স্থানে চাওয়ার শর্ত ও দেন নি....
বরং যখনি হোক যেভাবেই হোক তার কাছে চাইতে বলেছেন, তাকে ডাকতে বলেছেন। এখন আমি আপনি কেন ভাববো যে জাস্ট দোয়া করলেই উনি তা কবুল করবেন না! খুঁজে খুঁজে কঠিন আমল না করলে হবেনা।
বরং যখনি হোক যেভাবেই হোক তার কাছে চাইতে বলেছেন, তাকে ডাকতে বলেছেন। এখন আমি আপনি কেন ভাববো যে জাস্ট দোয়া করলেই উনি তা কবুল করবেন না! খুঁজে খুঁজে কঠিন আমল না করলে হবেনা।
সলাত পড়ার সুযোগ না থাকাকালীন দোয়া করলে কবুল হবেনা!
সলাতে সেজদায় দোয়া করতে না পারলে হবেনা!
সলাত পড়ে দোয়া করতে না পারলে হবেনা!
যেখানে উনি নিজেই এসব কিছুর শর্ত ছাড়াই ডাকে সাড়া দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
সলাতে সেজদায় দোয়া করতে না পারলে হবেনা!
সলাত পড়ে দোয়া করতে না পারলে হবেনা!
যেখানে উনি নিজেই এসব কিছুর শর্ত ছাড়াই ডাকে সাড়া দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
#দোয়ার গুরুত্ব কত বেশি তা ই জানি না আমরা। দেখুন আল্লাহর রসূল কি বলেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :
দুআ-ই হল ইবাদত। (আবু দাউদ/১৪৭৯, তিরমিজী/২৯৬৯ সহীহ হাদিস)
দুআ-ই হল ইবাদত। (আবু দাউদ/১৪৭৯, তিরমিজী/২৯৬৯ সহীহ হাদিস)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন :
আল্লাহর কাছে দুআর চেয়ে সম্মানিত কোনো ইবাদত নেই। (তিরমিযি, হাদিস নং ৩৩৭০ হাসান হাদিস)
আল্লাহর কাছে দুআর চেয়ে সম্মানিত কোনো ইবাদত নেই। (তিরমিযি, হাদিস নং ৩৩৭০ হাসান হাদিস)
#বৈধ কোন কিছু পেতে/ কোন কিছু হতে দোয়ার উপ্রে কিছু নেই...
আমার এটা সব সময় মনে হয়....
(হারাম/অন্যায় কিছু হতে বা পেতে দোয়া করা যাবেনা।
ইচ্ছা /চাওয়া জায়েজ কিছু হতে হবে)
(হারাম/অন্যায় কিছু হতে বা পেতে দোয়া করা যাবেনা।
ইচ্ছা /চাওয়া জায়েজ কিছু হতে হবে)
#দোয়ার ব্যাপারে আরো কিছু বলি
দোয়া কবুল হতে দুইটা কাজ হতে বিরত থাকতে হবে।
১- উদাসীন অন্তর নিয়ে দোয়া করা।
অর্থাৎ মুখে দোয়া করলেও মনে মনে দোয়ার প্রতি পূর্ন মনোযোগ নেই বরং উদাস হয়ে শুধু মুখে দোয়া আওড়ানো।
এভাবে দোয়া করার মানে নেই।
অর্থাৎ মুখে দোয়া করলেও মনে মনে দোয়ার প্রতি পূর্ন মনোযোগ নেই বরং উদাস হয়ে শুধু মুখে দোয়া আওড়ানো।
এভাবে দোয়া করার মানে নেই।
হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
কবূলের দৃঢ় প্রত্যয় রেখে তোমরা আল্লাহর কাছে দু’আ করবে। জেনে রাখ উদাসীন ও অমনোযোগী মনের দু’আ আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন না।
(তিরমিযি,নং ৩৪৭৯,হাসান)
কবূলের দৃঢ় প্রত্যয় রেখে তোমরা আল্লাহর কাছে দু’আ করবে। জেনে রাখ উদাসীন ও অমনোযোগী মনের দু’আ আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন না।
(তিরমিযি,নং ৩৪৭৯,হাসান)
২- দোয়া কবুল হতে দেরী হলে নিরাশ হয়ে যাওয়া।
এবং বলা যে আল্লাহ আমার তো দোয়া তো কবুল করলেন না। আমার দোয়া কবুল হয়না!!
এই অভ্যাস অনেকের ই আছে অথচ এরুপ করা মোটেই ঠিক না।
এবং বলা যে আল্লাহ আমার তো দোয়া তো কবুল করলেন না। আমার দোয়া কবুল হয়না!!
এই অভ্যাস অনেকের ই আছে অথচ এরুপ করা মোটেই ঠিক না।
হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দু‘আ কবূল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে (আর তা হলো) সে বলে যে, আমি দু‘আ করলাম। কিন্তু আমার দু‘আ তো কবূল হলো না। (বুখারী,নং ৬৩৪০)
আমার যে চাওয়া পূর্ন হয়নি এখনো তার জন্য আমি কখনো ভাবিনা যে আমার দোয়া কবুল হয়নি।
বরং আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে দোয়া কবুল হয়েছে।
যা চেয়েছি তা এক দিন না একদিন পাবোই।
আর তা না হলে অন্য কিছু দিবেন আল্লাহ।
নিরাশ হবার কি কিছু আছে.....
মনে হয়না
বরং আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে দোয়া কবুল হয়েছে।
যা চেয়েছি তা এক দিন না একদিন পাবোই।
আর তা না হলে অন্য কিছু দিবেন আল্লাহ।
নিরাশ হবার কি কিছু আছে.....
মনে হয়না
#যেভাবে দোয়া করা উচিত
তা হলো_
১) দোয়া কবুল হতে দরকার হলো অনেক ভরসার সাথে দোয়া কবুল হবেই এমন দৃঢ় আশা নিয়ে দোয়া করা।
এবং দোয়ার শুরু শেষ এ আল্লাহর প্রশংসা করা রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠ করা তো আছেই।
আমি খারাপ, গুনাহগার তাই দোয়া কবুল হবে নাকি! দোয়া করার সময় এসব ভেবে চিন্তিত না হয়ে আল্লাহর কাছে চেয়েছি তিনি ফিরিয়ে দিবেন ই না এমন আশা নিয়ে দোয়া করতে হবে।
তা হলো_
১) দোয়া কবুল হতে দরকার হলো অনেক ভরসার সাথে দোয়া কবুল হবেই এমন দৃঢ় আশা নিয়ে দোয়া করা।
এবং দোয়ার শুরু শেষ এ আল্লাহর প্রশংসা করা রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠ করা তো আছেই।
আমি খারাপ, গুনাহগার তাই দোয়া কবুল হবে নাকি! দোয়া করার সময় এসব ভেবে চিন্তিত না হয়ে আল্লাহর কাছে চেয়েছি তিনি ফিরিয়ে দিবেন ই না এমন আশা নিয়ে দোয়া করতে হবে।
আল্লাহ ফিরিয়ে দিবেন না এই ধারনা নিয়ে দোয়া করলে তিনি ফিরিয়ে দেন ও না....
(তবে গুনাহ হতে সরে আসা তো অবশ্য ই জরুরি
আল্লাহর প্রিয় বান্দি হতে চাইবো না কেন!
জাহান্নাম হতে বাচতেঁ চাইবো না কেন!
নিজের ভালো তো নিজেকেই বুঝতে হবে)
(তবে গুনাহ হতে সরে আসা তো অবশ্য ই জরুরি
আল্লাহর প্রিয় বান্দি হতে চাইবো না কেন!
জাহান্নাম হতে বাচতেঁ চাইবো না কেন!
নিজের ভালো তো নিজেকেই বুঝতে হবে)
হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন এভাবে না বলেঃ “হে আল্লাহ! তুমি চাইলে আমাকে মাফ কর। হে আল্লাহ! তুমি চাইলে আমার প্রতি দয়া কর! বরং সে যেন পূর্ণ দৃঢ়তার সঙ্গে কামনা করে। কেননা আল্লাহ তা'আলার উপর জবরদস্তকারী কেউ নেই।
(তিরমিযি,নং ৩৪৯৭,সহীহ)
(তিরমিযি,নং ৩৪৯৭,সহীহ)
অপর হাদিসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী আমি আছি। আর যখন সে আমাকে ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দেই। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৭২২)
২) দোয়ার ক্ষেত্রে হাত তুলে দোয়া করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহর কাছে হাত পাতলে তিনি ফিরিয়ে দিবেন না আশা করাই যায়।
আল্লাহ তার দরবার হতে কাওকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না ।
আল্লাহর কাছে হাত পাতলে তিনি ফিরিয়ে দিবেন না আশা করাই যায়।
আল্লাহ তার দরবার হতে কাওকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না ।
হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক চিরঞ্জীব, দানশীল। তাঁর কোন বান্দা নিজের দু’ হাত তুলে তাঁর নিকট দোয়া করলে তিনি তার শূন্যহাত বা তাকে নিরাশ করে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।
( আবু দাউদ,১৩৩৭ নং হাদিস,সহীহ)
( আবু দাউদ,১৩৩৭ নং হাদিস,সহীহ)
#ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নত, নফল যে কোন নামাজ পড়ে হাত তুলে দোয়া করা যায়।
এম্নিতেও হাত তুলে দোয়া করা যায় যে কোন সময়।
উচিত হলো অজু করে কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা।
এম্নিতেও হাত তুলে দোয়া করা যায় যে কোন সময়।
উচিত হলো অজু করে কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা।
হাদিসে আছে (এক সাহাবীর জন্য দোয়া করতে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানি আনতে বললেন এবং ‘উযু করলেন। তারপর তাঁর দু’হাত উপরে তুলে তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তোমার প্রিয় বান্দা আবূ আমিরকে ক্ষমা করো। (বুখারী, নং ৪৩২৩)
৩) দোয়া কবুল হতে বিশেষভাবে দোয়া কবুল হবার টাইম গুলাতে দোয়া করা উচিত।
#রাতে দোয়া কবুল হবার সুযোগ বেশি রাতের যে কোন অংশে ঘুম হতে জাগলে যে কোন দোয়া করা যায়।
রাসূল সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
কোন ব্যক্তি রাতে ঘুম হতে জেগে এই দোয়া পড়ে
কোন ব্যক্তি রাতে ঘুম হতে জেগে এই দোয়া পড়ে
"_লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু- লা শারিইকা লাহু- লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা- কুল্লি শাইইং ক্কদিইর, ওয়া সুবহানাল্লহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা- ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াল্লহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা ক্কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ_"
তারপর যদি বলে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিন, বা অন্য দোয়া করে,তাইলে তা কবুল করা হয়।
(সহী বুখারী, ইঃফাঃ নং ১০৮৭)
(সহী বুখারী, ইঃফাঃ নং ১০৮৭)
রাতের সবচেয়ে পাওয়ারফুল টাইম হচ্ছে রাতের শেষ ভাগ...
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহ্ তা‘আলা প্রতি রাতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেনঃ কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছে এমন যে, আমার নিকট চাইবে? আমি তাকে তা দিব। কে আছে এমন আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারী, মুসলিম)
#তাহাজ্জুদ সলাত পড়ে দোয়া করলে খুব তাড়াতাড়ি ই দোয়া কবুল হয়।
মনের বৈধ ইচ্ছা/চাওয়া পূরন হতে অথবা বিপদ আপদ কস্ট হতে মুক্তি পেতে নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করা যথেষ্ট.....
দোয়া কবুল হতে এর চেয়ে ভালো আমল নেই।
দোয়া কবুল হতে এর চেয়ে ভালো আমল নেই।
এছাড়া যে কোন প্রয়োজন পূরন হতে সলাতুল হাজত নামাজ পড়ে দোয়া করা যায়।হাজতের নামাজ পড়ে দোয়া করলে তা কবুল হয়।
#এর বাইরেও দোয়া কবুল হবার আরো অনেক টাইমের কথা হাদিসে বর্নিত আছে সেইসব টাইমে দোয়া করা যায়।
যেমন বৃস্টির সময়।
আযানের সময়।
কুরআন খতম করার পর।
জুমার দিনের শেষ অংশে।
বিশেষ করে সামনে সিয়াম আসছে
রমাদন দোয়া কবুল হবার মাস।
সায়িম/ রোজাদারদের দোয়া কবুল হয়।
ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়।
শবে কদরে কবুল হয়।
এমন আরো অনেক টাইম আছে যখন বিশেষভাবে দোয়া কবুল হয়।
যেমন বৃস্টির সময়।
আযানের সময়।
কুরআন খতম করার পর।
জুমার দিনের শেষ অংশে।
বিশেষ করে সামনে সিয়াম আসছে
রমাদন দোয়া কবুল হবার মাস।
সায়িম/ রোজাদারদের দোয়া কবুল হয়।
ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়।
শবে কদরে কবুল হয়।
এমন আরো অনেক টাইম আছে যখন বিশেষভাবে দোয়া কবুল হয়।
৪- যে কোন বিপদ আপদ এর সম্মুখীন হলে, সমস্যায় পতিত হলে সমস্যার কথা ভেবে
বেশি বেশি দোয়ায়ে ইউনুস পড়া উচিত হবে।
বেশি বেশি দোয়ায়ে ইউনুস পড়া উচিত হবে।
হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলার নাবী যুন-নূন ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে থাকাকালে যে দু'আ করেছিলেন তা হলঃ
'লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহা..নাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জো..লিমিইইন....
'লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহা..নাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জো..লিমিইইন....
অর্থাৎ তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নেই, তুমি অতি পবিত্র। আমি নিশ্চয় যালিমদের দলভুক্ত"- (সূরা আম্বিয়া ৮৭)।
যে কোন মুসলিম লোক কোন বিষয়ে কখনো এ দু'আ করলে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা তার দু'আ কবুল করেন। (তিরমিযি,নং ৩৫০৫,সহীহ)
#এখন অনেকেই বলবে যে এমন অনেক টাইমে দোয়া করেছি অনেক আশা নিয়ে দোয়া করেছি।
কই যা চেয়েছি তা তো পাইনি!!
কথা হলো দোয়া কবুল হবার মানে কি সেটা আগে বুঝতে হবে আমাদের। যা চাইবো তাই পাবো বা পেতেই হবে এমন ভাবনা নিয়ে থাকলে চলবেনা। কারন কিসে আমাদের ভালো আর কিসে মন্দ তা আমাদের চেয়ে আল্লাহ অনেক ভালো জানেন।
কই যা চেয়েছি তা তো পাইনি!!
কথা হলো দোয়া কবুল হবার মানে কি সেটা আগে বুঝতে হবে আমাদের। যা চাইবো তাই পাবো বা পেতেই হবে এমন ভাবনা নিয়ে থাকলে চলবেনা। কারন কিসে আমাদের ভালো আর কিসে মন্দ তা আমাদের চেয়ে আল্লাহ অনেক ভালো জানেন।
হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :
যখন কোনো মুমিন ব্যক্তি দুআ করে, যে দুআতে কোনো পাপ থাকে না ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় থাকে না, তাহলে আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোনো এক পদ্ধতিতে তার দুআ অবশ্যই কবুল করে নেন। যে দুআ সে করেছে হুবহু সেভাবে তা কবুল করেন অথবা তার দুআর প্রতিদান আখেরাতের জন্য সংরক্ষণ করেন কিংবা এ দুআর মাধ্যমে তার ওপর আগত কোনো বিপদ তিনি দূর করে দেন। এ কথা শুনে সাহাবিগণ বললেন, আমরা তাহলে অধিক পরিমাণে দুআ করতে থাকবো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তোমরা যত প্রার্থনাই করবে আল্লাহ তার চেয়ে অনেক বেশি কবুল করতে পারেন।
(ইমাম বুখারীর : আল-আদাবুল মুফরাদ ও আহমদ)
যখন কোনো মুমিন ব্যক্তি দুআ করে, যে দুআতে কোনো পাপ থাকে না ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় থাকে না, তাহলে আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোনো এক পদ্ধতিতে তার দুআ অবশ্যই কবুল করে নেন। যে দুআ সে করেছে হুবহু সেভাবে তা কবুল করেন অথবা তার দুআর প্রতিদান আখেরাতের জন্য সংরক্ষণ করেন কিংবা এ দুআর মাধ্যমে তার ওপর আগত কোনো বিপদ তিনি দূর করে দেন। এ কথা শুনে সাহাবিগণ বললেন, আমরা তাহলে অধিক পরিমাণে দুআ করতে থাকবো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তোমরা যত প্রার্থনাই করবে আল্লাহ তার চেয়ে অনেক বেশি কবুল করতে পারেন।
(ইমাম বুখারীর : আল-আদাবুল মুফরাদ ও আহমদ)
অপর হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
পৃথিবীর বক্ষে যে মুসলিম লোকই আল্লাহ তা'আলার নিকটে কোন কিছুর জন্য দু'আ করে, অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা তাকে তা দান করেন কিংবা তার হতে একই রকম পরিমাণ ক্ষতি সরিয়ে দেন, যতক্ষণ না সে পাপে জড়িত হওয়ার জন্য অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দু'আ করে।
সমবেত ব্যক্তিদের একজন বলল, তাহলে আমরা অত্যধিক দুআ করতে পারি।
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা তার চাইতেও বেশী কবুলকারী। (তিরমিযি,নং ৩৫৭৩,হাসান)
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা তার চাইতেও বেশী কবুলকারী। (তিরমিযি,নং ৩৫৭৩,হাসান)
#এ দুই হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কোনো মুসলিম ব্যক্তির দুআ কখনো বৃথা যায় না। তা কবুল হয়। কিন্তু তা কবুল হবার মানে যা চাওয়া হয়েছে তাই পাওয়া না।
#ভাবুন আপনি যা চাইছেন তার চেয়ে উত্তম কিছু যদি তিনি দেন তাইলে তা কি ভালো না?
আপনি যা চাইছেন তা আপনার জন্য কল্যান কর না হলে তা না দেওয়াই কি ভালো না?
আপনি যা চাইছেন তার বদলে সামনে থাকা বড় কোন বিপদ যদি আল্লাহ হটিয়ে দেন তাইলে তা কি ভালো না?
আমরা নিজেদের ভালো কি সেটাই না বুঝে অনেক কিছু ভেবে বসে থাকি। আল্লাহ আমাদের খারাপ চাইবেন না তা আমরা কেন ভুলে যাই।
আল্লাহ অনেক দয়ালু...
তিনি আমাদের প্রিয়জনদের চেয়ে অনেক বেশি ভালো বাসেন আমাদের। চাওয়ার পরেও তিনি যা দিবেন না তাতে নিশ্চয় কোন না কোন হেকমত আছে, আমাদের কল্যান আছে। এটা আমাদের বুঝে না আসতেই পারে।
জাস্ট এটা বুঝতে হবে যে আল্লাহ ন্যায়বিচারক। তিনি অবশ্য ই আমার ভালো চান। তাই তার উপর পূর্ন আস্থা ভরসা রাখতে হবে এবং তার অনুগত্য করতে হবে। যে যত বেশি দ্বীনদার হতে পারে সে তত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করতে পারে......
আমরা নিজেদের ভালো কি সেটাই না বুঝে অনেক কিছু ভেবে বসে থাকি। আল্লাহ আমাদের খারাপ চাইবেন না তা আমরা কেন ভুলে যাই।
আল্লাহ অনেক দয়ালু...
তিনি আমাদের প্রিয়জনদের চেয়ে অনেক বেশি ভালো বাসেন আমাদের। চাওয়ার পরেও তিনি যা দিবেন না তাতে নিশ্চয় কোন না কোন হেকমত আছে, আমাদের কল্যান আছে। এটা আমাদের বুঝে না আসতেই পারে।
জাস্ট এটা বুঝতে হবে যে আল্লাহ ন্যায়বিচারক। তিনি অবশ্য ই আমার ভালো চান। তাই তার উপর পূর্ন আস্থা ভরসা রাখতে হবে এবং তার অনুগত্য করতে হবে। যে যত বেশি দ্বীনদার হতে পারে সে তত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করতে পারে......
وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ
যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন।
(আত তালাক্ক -৩)
যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন।
(আত তালাক্ক -৩)
No comments:
Post a Comment