স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেরকম হওয়া উচিতঃ
১।আল্লাহ পাক তিনি একজন স্ত্রী দিয়েছেন, সেজন্য স্বামীকে শুকরিয়া করা উচিত। অনুরূপ স্ত্রীর ক্ষেত্রেও তা করা উচিত।
২।স্বামীদের উচিত সময় ও সুযোগ বুঝে স্ত্রীর সাথে মুহব্বত ও ভালোবাসা মিশ্রিত কথা বার্তা বলা।স্ত্রীর ভালো গুনাবলীর কথাগুলো উল্লেখ করা। স্ত্রীর জন্যও অনুরূপ করা।
৩।স্ত্রী যদি কোনো নেককাজ করতে চায়, সে ক্ষেত্রে তাকে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করার কোশেশ করা এবং উৎসাহ দেয়া। আর স্ত্রীরও উচিত সেক্ষেত্রে স্বামীকে সহযোগিতা করা, উৎসাহ দেয়া।
৪।এমন অনেক স্বামী রয়েছে- যারা বাইরে ভালো খাবার খেয়ে থাকে এবং বাসায় এসে সট স্ত্রীকে আজ এমন এমন খেয়েছি। মূলত,স্বামীদের উচিত স্ত্রীর জন্য নিজে যা খাবে তা আনার চেষ্টা করা।
৫। স্ত্রী ভালো কোনো কথা বা পরামর্শ দিলে, স্বামীদের উচিত- তা গুরুত্ব দেয়া। স্বামী এমন রয়েছে যারা স্ত্রীর কোনো কথা-বার্তা বা পরামর্শকে গুরুত্ব দেয় না এবং তারা এমনও বলে- মেয়ে মানুষ এত কি বুঝবা? এতে স্ত্রীর মন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
৬। সুযোগ-সুবিধা বুঝে স্ত্রীর উচিত স্বামীকে নিজহাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো এবং মাঝে মাঝে পরস্পর পরস্পরকে হাদিয়া করা।
৭। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি কোনো কারণে মনমালিন্য দেখা দেয়, বা ফিতনা-ফাসাদ হয় সেক্ষেত্রে স্ত্রীর উচিত স্বামী রেগে গেলে স্ত্রীকে চুপ থাকা। আর স্ত্রী যদি অভিমান করে স্বামীর উচিত স্ত্রীর রাগ ভাঙ্গানো।
৮।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম স্বামী যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। আমি আমার স্ত্রীদের সঙ্গে সবার চাইতে ভাল ব্যবহার করি।
৯।স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দুহাত বাড়িয়ে দিন।
No comments:
Post a Comment