★ ইসলাম বা দেশের জন্য কেউ প্রাণ দিলেই তাকে শহীদ ঘোষণা করতে হবে এই লাইসেন্স আপনাদের কে দিয়েছে??
★ কোন বিশেষ ব্যক্তি বা নেতাকে হত্যা করলেই সে শহীদ হয়ে যায় এটা কোথায় পাইছেন??
★ কাউকে শহীদ ঘোষণা দেওয়ার ক্ষমতা বা অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে??
.
কিছু ইসলামী দল ও ইসলামী দলের বাইরের অন্যান্য দলের অনেক নেতা কর্মী তাদের বেশিরভাগ মৃত নেতার নামের আগে শহীদ শব্দ যোগ করে নেতাদেরকে জান্নাতি বানিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন! আজকাল অনেক তথাকথিত মুসলিম তো চেতনার জোশে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টানদের পর্যন্ত শহীদ বলতেও দ্বিধা করছেন না!!
.
খুব জানতে ইচ্ছে করে,
শহীদ শব্দের ডিগনিটি ও ওয়েট কি আপনারা বুঝেন?
শহীদ সম্পর্কে আপনাদের নূন্যতম স্বচ্ছ ধারনাটুকুও কি আছে?
.
ওহী আসা তো এখন বন্ধ !!
তাহলে কিভাবে এত সার্টেনলি আপনারা নিজেদের নেতাদের জান্নাতের সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছেন??
.
কি করে আপনাদের বুঝাই!
শহীদ তিতুমীর, শহীদে বালাকোট, শহীদ ইসমাইল শাহ দেহলভী,শহীদ জিয়া, শহীদ নিজামী, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা এভাবে নির্দিষ্ট করে শহীদ বলার অধিকার আল্লাহ ছাড়া বর্তমানে কোন মানুষের নেই! !
.
কে শহীদ আর কে জাহান্নামী তা গায়েবী বিষয়। যার সঠিক জ্ঞান একমাত্র আল্লাহরই রয়েছে। কোন সাধারণ মানুষ দুরে থাক নবী রাসুলগণেরও সে অধিকার ছিল না। কুরআন ও হাদীস দ্বারা যারা প্রমানিত তাদের ছাড়া অন্য কাউকে নির্দিষ্ট করে শহীদ বা জাহান্নামী বলা জায়েজ নেই। তা সুস্পষ্টভাবে হারাম ও শিরক।
.
কোনাে জীবিত বা মৃত ব্যাক্তি চাই সে বড় ইমাম, মুজাহিদ, মুত্তাকী, আলেম, ওলী, পীর, ফকির, দরবেশ হােক না কেন তাঁকে নিশ্চিতভাবে শহীদ বা জান্নাতী বলা যাবে না। একমাত্র আল্লাহ ব্যাতিত আর কেউ জানে না যে, মৃত ব্যাক্তি আরামের ঘুম ঘুমাচ্ছে নাকি শাস্তি ভােগ করছে।
.
দলিলঃ ১
আল্লাহ বলেনঃ
ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُمْ مِنَ الْعِلْمِ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اهْتَدَىٰ '
'তাদের জ্ঞানের দৌড় এই পর্যন্ত। তোমার রাব্বই ভাল জানেন কে তাঁর পথ হতে বিচ্যুত; তিনিই ভাল জানেন কে হেদায়েতপ্রাপ্ত ।
সুরা নাজম, আয়াত ৩০
.
দলিলঃ ২
প্রখ্যাত মহিলা সাহাবী উম্মুল আলা রাঃ বলেন,
.
فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ، فَشَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللَّهُ. فَقَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللَّهَ أَكْرَمَهُ ". فَقُلْتُ لاَ أَدْرِي بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَّا عُثْمَانُ فَقَدْ جَاءَهُ ـ وَاللَّهِ ـ الْيَقِينُ وَإِنِّي لأَرْجُو لَهُ الْخَيْرَ، وَاللَّهِ مَا أَدْرِي وَأَنَا رَسُولُ اللَّهِ مَا يُفْعَلُ بِي ". قَالَتْ فَوَاللَّهِ لاَ أُزَكِّي أَحَدًا بَعْدَهُ أَبَدًا
আমি (উসমান ইবনু মাযউনকে লক্ষ্য করে) বললাম, হে আবূ সায়িব! তোমার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। তোমার সম্পর্কে আমার সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ তোমাকে অবশ্যই সম্মানিত করেছেন।
নাবী (ﷺ) তাকে বললেন, তোমাকে কে জানাল যে, আল্লাহ তাকে মর্যাদা দান করেছেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি জানি না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম। উসমানের কাছে তো মৃত্যু এসে গেছে, আমি তো তার জন্য কল্যাণের আশা করি।
আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্ত্বেও জানিনা তার সাথে কি আচরণ করা হবে। তিনি (উম্মুল আলা) বলেন, আল্লাহর কসম, একথার পরে কখনো আমি কাউকে পূত পবিত্র বর্ণনা করি না।
.
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ২৫০৮
অধ্যায়ঃ ৪৪/ শাহাদাত (كتاب الشهادات)
.
দলিলঃ ৩
রাসুল (ﷺ) বলেনঃ
" إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فِيمَا يَبْدُو لِلنَّاسِ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ . وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ النَّارِ فِيمَا يَبْدُو لِلنَّاسِ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ " .
কোন ব্যক্তি জনসাধারণের সামনে প্রকাশিত ‘আমালের বিবেচনায় জান্নাতীদের ‘আমালের ন্যায় ‘আমাল করবে; অথচ সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত। আর কোন ব্যক্তি জনসাধারণের সামনে প্রকাশিত ‘আমালের বিবেচনায় জাহান্নামীদের ‘আমালের ন্যায় ‘আমাল করবে, অথচ সে জান্নাতীদের অন্তর্ভূক্ত।
.
(ই.ফা. ৬৫০০, ই.সে. ৬৫৫১)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৬৩৪
.
এমন শত শত হাদিস আছে যেখানে আমাদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছেন যেন আমরা কারো বাহ্যিক আমল দেখে তাকে শহীদ বা জান্নাতি ঘোষণা না করি।
.
দলিলঃ ৪
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
.
، يَقُولُ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فُلاَنًا قَدِ اسْتُشْهِدَ . قَالَ " كَلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي النَّارِ بِعَبَاءَةٍ قَدْ غَلَّهَا قَالَ قُمْ يَا عَلِيُّ فَنَادِ إِنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ ثَلاَثًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
বলা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, অমুক ব্যক্তি শহীদ হয়ছে। তিনি বললেন, না, কখনো নয়। আমি তাকে গনীমতের মাল থেকে একটি আবা (এক ধরণের পোষাক) আত্মসাত করার কারণে আগুনে জ্বলতে দেখেছি। তিনি বললেন, হে আলী, দাঁড়াও এবং তিনবার করে ঘোষণা দাও জান্নাতে মু’মিন ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করবে না।
.
সূনান তিরমিজী (ইফাঃ) হাদিস নং ১৫৮০
.
দলিলঃ ৫
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন,
.
قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ أَقْبَلَ نَفَرٌ مِنْ صَحَابَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا فُلاَنٌ شَهِيدٌ فُلاَنٌ شَهِيدٌ حَتَّى مَرُّوا عَلَى رَجُلٍ فَقَالُوا فُلاَنٌ شَهِيدٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَلاَّ إِنِّي رَأَيْتُهُ فِي النَّارِ فِي بُرْدَةٍ غَلَّهَا أَوْ عَبَاءَةٍ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا ابْنَ الْخَطَّابِ اذْهَبْ فَنَادِ فِي النَّاسِ إِنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ " . قَالَ فَخَرَجْتُ فَنَادَيْتُ " أَلاَ إِنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ " .
খায়বারের যুদ্ধ শেষে নবী (ﷺ) এর একদল সাহাবী এসে বলতে লাগল, অমুক শহীদ, অমুক শহীদ। এভাবে কথাবার্তা চলছিল, অবশেষে এক ব্যাক্তি প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন যে, সেও শহীদ হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কখনই না। এ আমি তাকে জাহান্নামে দেখেছি, সে চাঁদর বা জোব্বার কারণে (যা সে ব্যাক্তি গনীমতের মাল থেকে আত্মসাৎ করেছিল)। তারপর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! যাও লোকদের মাঝে ঘোষণা করে দাও যে, জান্নাতে কেবলমাত্র প্রকৃত মুমিন ব্যাক্তিরাই প্রবেশ করবে। উমর ইবনু খাত্তাব বলেন, তারপর আমি বের হলাম এবং ঘোষণা করে দিলাম, “সাবধান! শুধু প্রকৃত মুমিনরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
.
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ২১০
অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان)
.
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) অসংখ্য সাহাবীগণ যাদেরকে শহীদ হিসেবে জানতেন বা ঘোষণা করতেন পরবর্তীতে দেখা যায় সেসব সাহাবীদের ধারনাকে রাসুল (ﷺ) ভুল প্রমাণ করে দিয়ে কিয়ামত অবদি আসা লোকদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে ওহী ছাড়া কাউকে সুনির্দিষ্ট করে শহীদ বলার কোন অধিকার কোন সাহাবীরও ছিল না। তাহলে আমাদের এই অধিকার আসলো কোথা থেকে?
.
দলিলঃ ৬
সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
.
تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَالَ لَهُ نَاتِلُ أَهْلِ الشَّامِ أَيُّهَا الشَّيْخُ حَدِّثْنَا حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَوَّلَ النَّاسِ يُقْضَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَيْهِ رَجُلٌ اسْتُشْهِدَ فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهُ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ قَاتَلْتُ فِيكَ حَتَّى اسْتُشْهِدْتُ . قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ قَاتَلْتَ لأَنْ يُقَالَ جَرِيءٌ . فَقَدْ قِيلَ . ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ
একদা লোকজন যখন আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর নিকট থেকে বিদায় নিচ্ছিলো, তখন সিরিয়াবাসী নাতিল (রহঃ) বললেন, হে শায়খ! আপনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট থেকে শুনেছেন এমন একখানা হাদীস আমাদেরকে শুনান। তিনি বললেন, হ্যাঁ (শুনাবো)।
.
আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন একজন যে শহীদ হয়েছিল। তাঁকে হাযির করা হবে এবং আল্লাহ তাঁর নিয়ামত রাশির কথা তাকে বলবেন এবং সে তাঁর সবটাই চিনতে পারবে (এবং যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে।) তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ এর বিনিময়ে কি আমল করেছিলে? সে বলবে, আমি আপনার (সন্তুষ্টির) জন্য যুদ্ধ করেছি এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। তখন আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি বরং এ জন্যেই যুদ্ধ করেছিলে যাতে লোকে তোমাকে বলে তুমি বীর। তা তো বলা হয়েছে। এরপর নির্দেশ দেওয়া হবে। সে মতে তাকে উপুড় করে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
.
সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ৪৭৭০
.
পৃথিবীর লোকেরা সুনিশ্চিতভাবে যাদের শহীদ বলে জানতো তাদের অনেককেই আল্লাহ মহা ভয়ংকর বিচারের দিনে শুধু নিয়্যাতের কারনে টেনে হিচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
.
পরিশেষে বলব..
.
মরনের পূর্বে কে কি আমল করবে অথবা কার হৃদয়ে কি আছে তা বলা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। কারাে মৃত্যুর পর তাকে 'শহীদ হিসাবে জনসম্মুখে প্রচার করা একটা মহামারী আকার ধারন করেছে। ইসলাম প্রদত্ত এই মহা সম্মানিত উপাধিকে যথেচ্ছ ব্যাবহার করার প্রবনতায় আমরা সবাই কমবেশি আক্রান্ত।
.
সুতরাং হে আমার মুসলিম ভাই! আসুন আমরা কাউকে নির্দিষ্ট করে 'জান্নাতি 'জাহান্নামী বা 'শহীদ বলার ব্যাপারে সাবধান ও সতর্ক হই। আমরা সারা জীবন যদি কাউকে'শহীদ বলে সাক্ষ্য দেই আর সেই ব্যাক্তি যদি আল্লাহর কাছে'শহীদ বলে গণ্য না হন তাহলে আমার এই ঘােষণা তার কোন কাজে আসবে না।
অপরপক্ষে যে সত্যিকারের 'শহীদ, তাকে আমরা ঘােষণা দেই বা না দেই সে আল্লাহর কাছে'শহীদ হিসাবে যথাযােগ্য মর্যাদা পাবে।
.
এক্সটারনালি যদিও কাউকে দেখে আমরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বলি আহ! লোকটি কি লাকি! সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করছে!,কিন্তু ইনডীড আমরা কেউই তার অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে টোটালি অবগত নই।
.
দলিলঃ ৭
তাইই রাসুল (ﷺ) বলেন, ,
وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَنْ يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِهِ
অবশ্যই আল্লাহই অধিক জ্ঞাত কে তাঁর পথে জিহাদ করে।
.
বুখারী / ২৫৯৬
.
মহান আল্লাহ যেন আমাদেরকে হক জানার, বুঝার ও মেনে চলার তৌফীক দান করেন।
.
বিঃদ্রঃ
যারা দেশ ও দ্বীনের জন্য জীবন দেন আমরা তাদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে শহীদের মর্যাদা দান করেন।
★ কোন বিশেষ ব্যক্তি বা নেতাকে হত্যা করলেই সে শহীদ হয়ে যায় এটা কোথায় পাইছেন??
★ কাউকে শহীদ ঘোষণা দেওয়ার ক্ষমতা বা অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে??
.
কিছু ইসলামী দল ও ইসলামী দলের বাইরের অন্যান্য দলের অনেক নেতা কর্মী তাদের বেশিরভাগ মৃত নেতার নামের আগে শহীদ শব্দ যোগ করে নেতাদেরকে জান্নাতি বানিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন! আজকাল অনেক তথাকথিত মুসলিম তো চেতনার জোশে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টানদের পর্যন্ত শহীদ বলতেও দ্বিধা করছেন না!!
.
খুব জানতে ইচ্ছে করে,
শহীদ শব্দের ডিগনিটি ও ওয়েট কি আপনারা বুঝেন?
শহীদ সম্পর্কে আপনাদের নূন্যতম স্বচ্ছ ধারনাটুকুও কি আছে?
.
ওহী আসা তো এখন বন্ধ !!
তাহলে কিভাবে এত সার্টেনলি আপনারা নিজেদের নেতাদের জান্নাতের সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছেন??
.
কি করে আপনাদের বুঝাই!
শহীদ তিতুমীর, শহীদে বালাকোট, শহীদ ইসমাইল শাহ দেহলভী,শহীদ জিয়া, শহীদ নিজামী, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা এভাবে নির্দিষ্ট করে শহীদ বলার অধিকার আল্লাহ ছাড়া বর্তমানে কোন মানুষের নেই! !
.
কে শহীদ আর কে জাহান্নামী তা গায়েবী বিষয়। যার সঠিক জ্ঞান একমাত্র আল্লাহরই রয়েছে। কোন সাধারণ মানুষ দুরে থাক নবী রাসুলগণেরও সে অধিকার ছিল না। কুরআন ও হাদীস দ্বারা যারা প্রমানিত তাদের ছাড়া অন্য কাউকে নির্দিষ্ট করে শহীদ বা জাহান্নামী বলা জায়েজ নেই। তা সুস্পষ্টভাবে হারাম ও শিরক।
.
কোনাে জীবিত বা মৃত ব্যাক্তি চাই সে বড় ইমাম, মুজাহিদ, মুত্তাকী, আলেম, ওলী, পীর, ফকির, দরবেশ হােক না কেন তাঁকে নিশ্চিতভাবে শহীদ বা জান্নাতী বলা যাবে না। একমাত্র আল্লাহ ব্যাতিত আর কেউ জানে না যে, মৃত ব্যাক্তি আরামের ঘুম ঘুমাচ্ছে নাকি শাস্তি ভােগ করছে।
.
দলিলঃ ১
আল্লাহ বলেনঃ
ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُمْ مِنَ الْعِلْمِ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اهْتَدَىٰ '
'তাদের জ্ঞানের দৌড় এই পর্যন্ত। তোমার রাব্বই ভাল জানেন কে তাঁর পথ হতে বিচ্যুত; তিনিই ভাল জানেন কে হেদায়েতপ্রাপ্ত ।
সুরা নাজম, আয়াত ৩০
.
দলিলঃ ২
প্রখ্যাত মহিলা সাহাবী উম্মুল আলা রাঃ বলেন,
.
فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ، فَشَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللَّهُ. فَقَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللَّهَ أَكْرَمَهُ ". فَقُلْتُ لاَ أَدْرِي بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَّا عُثْمَانُ فَقَدْ جَاءَهُ ـ وَاللَّهِ ـ الْيَقِينُ وَإِنِّي لأَرْجُو لَهُ الْخَيْرَ، وَاللَّهِ مَا أَدْرِي وَأَنَا رَسُولُ اللَّهِ مَا يُفْعَلُ بِي ". قَالَتْ فَوَاللَّهِ لاَ أُزَكِّي أَحَدًا بَعْدَهُ أَبَدًا
আমি (উসমান ইবনু মাযউনকে লক্ষ্য করে) বললাম, হে আবূ সায়িব! তোমার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। তোমার সম্পর্কে আমার সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ তোমাকে অবশ্যই সম্মানিত করেছেন।
নাবী (ﷺ) তাকে বললেন, তোমাকে কে জানাল যে, আল্লাহ তাকে মর্যাদা দান করেছেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি জানি না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম। উসমানের কাছে তো মৃত্যু এসে গেছে, আমি তো তার জন্য কল্যাণের আশা করি।
আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্ত্বেও জানিনা তার সাথে কি আচরণ করা হবে। তিনি (উম্মুল আলা) বলেন, আল্লাহর কসম, একথার পরে কখনো আমি কাউকে পূত পবিত্র বর্ণনা করি না।
.
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ২৫০৮
অধ্যায়ঃ ৪৪/ শাহাদাত (كتاب الشهادات)
.
দলিলঃ ৩
রাসুল (ﷺ) বলেনঃ
" إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فِيمَا يَبْدُو لِلنَّاسِ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ . وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ النَّارِ فِيمَا يَبْدُو لِلنَّاسِ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ " .
কোন ব্যক্তি জনসাধারণের সামনে প্রকাশিত ‘আমালের বিবেচনায় জান্নাতীদের ‘আমালের ন্যায় ‘আমাল করবে; অথচ সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত। আর কোন ব্যক্তি জনসাধারণের সামনে প্রকাশিত ‘আমালের বিবেচনায় জাহান্নামীদের ‘আমালের ন্যায় ‘আমাল করবে, অথচ সে জান্নাতীদের অন্তর্ভূক্ত।
.
(ই.ফা. ৬৫০০, ই.সে. ৬৫৫১)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৬৩৪
.
এমন শত শত হাদিস আছে যেখানে আমাদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছেন যেন আমরা কারো বাহ্যিক আমল দেখে তাকে শহীদ বা জান্নাতি ঘোষণা না করি।
.
দলিলঃ ৪
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
.
، يَقُولُ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فُلاَنًا قَدِ اسْتُشْهِدَ . قَالَ " كَلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي النَّارِ بِعَبَاءَةٍ قَدْ غَلَّهَا قَالَ قُمْ يَا عَلِيُّ فَنَادِ إِنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ ثَلاَثًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
বলা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, অমুক ব্যক্তি শহীদ হয়ছে। তিনি বললেন, না, কখনো নয়। আমি তাকে গনীমতের মাল থেকে একটি আবা (এক ধরণের পোষাক) আত্মসাত করার কারণে আগুনে জ্বলতে দেখেছি। তিনি বললেন, হে আলী, দাঁড়াও এবং তিনবার করে ঘোষণা দাও জান্নাতে মু’মিন ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করবে না।
.
সূনান তিরমিজী (ইফাঃ) হাদিস নং ১৫৮০
.
দলিলঃ ৫
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন,
.
قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ أَقْبَلَ نَفَرٌ مِنْ صَحَابَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا فُلاَنٌ شَهِيدٌ فُلاَنٌ شَهِيدٌ حَتَّى مَرُّوا عَلَى رَجُلٍ فَقَالُوا فُلاَنٌ شَهِيدٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَلاَّ إِنِّي رَأَيْتُهُ فِي النَّارِ فِي بُرْدَةٍ غَلَّهَا أَوْ عَبَاءَةٍ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا ابْنَ الْخَطَّابِ اذْهَبْ فَنَادِ فِي النَّاسِ إِنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ " . قَالَ فَخَرَجْتُ فَنَادَيْتُ " أَلاَ إِنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ " .
খায়বারের যুদ্ধ শেষে নবী (ﷺ) এর একদল সাহাবী এসে বলতে লাগল, অমুক শহীদ, অমুক শহীদ। এভাবে কথাবার্তা চলছিল, অবশেষে এক ব্যাক্তি প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন যে, সেও শহীদ হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কখনই না। এ আমি তাকে জাহান্নামে দেখেছি, সে চাঁদর বা জোব্বার কারণে (যা সে ব্যাক্তি গনীমতের মাল থেকে আত্মসাৎ করেছিল)। তারপর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! যাও লোকদের মাঝে ঘোষণা করে দাও যে, জান্নাতে কেবলমাত্র প্রকৃত মুমিন ব্যাক্তিরাই প্রবেশ করবে। উমর ইবনু খাত্তাব বলেন, তারপর আমি বের হলাম এবং ঘোষণা করে দিলাম, “সাবধান! শুধু প্রকৃত মুমিনরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
.
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ২১০
অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان)
.
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) অসংখ্য সাহাবীগণ যাদেরকে শহীদ হিসেবে জানতেন বা ঘোষণা করতেন পরবর্তীতে দেখা যায় সেসব সাহাবীদের ধারনাকে রাসুল (ﷺ) ভুল প্রমাণ করে দিয়ে কিয়ামত অবদি আসা লোকদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে ওহী ছাড়া কাউকে সুনির্দিষ্ট করে শহীদ বলার কোন অধিকার কোন সাহাবীরও ছিল না। তাহলে আমাদের এই অধিকার আসলো কোথা থেকে?
.
দলিলঃ ৬
সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
.
تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَالَ لَهُ نَاتِلُ أَهْلِ الشَّامِ أَيُّهَا الشَّيْخُ حَدِّثْنَا حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَوَّلَ النَّاسِ يُقْضَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَيْهِ رَجُلٌ اسْتُشْهِدَ فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهُ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ قَاتَلْتُ فِيكَ حَتَّى اسْتُشْهِدْتُ . قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ قَاتَلْتَ لأَنْ يُقَالَ جَرِيءٌ . فَقَدْ قِيلَ . ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ
একদা লোকজন যখন আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর নিকট থেকে বিদায় নিচ্ছিলো, তখন সিরিয়াবাসী নাতিল (রহঃ) বললেন, হে শায়খ! আপনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট থেকে শুনেছেন এমন একখানা হাদীস আমাদেরকে শুনান। তিনি বললেন, হ্যাঁ (শুনাবো)।
.
আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন একজন যে শহীদ হয়েছিল। তাঁকে হাযির করা হবে এবং আল্লাহ তাঁর নিয়ামত রাশির কথা তাকে বলবেন এবং সে তাঁর সবটাই চিনতে পারবে (এবং যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে।) তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ এর বিনিময়ে কি আমল করেছিলে? সে বলবে, আমি আপনার (সন্তুষ্টির) জন্য যুদ্ধ করেছি এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। তখন আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি বরং এ জন্যেই যুদ্ধ করেছিলে যাতে লোকে তোমাকে বলে তুমি বীর। তা তো বলা হয়েছে। এরপর নির্দেশ দেওয়া হবে। সে মতে তাকে উপুড় করে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
.
সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ৪৭৭০
.
পৃথিবীর লোকেরা সুনিশ্চিতভাবে যাদের শহীদ বলে জানতো তাদের অনেককেই আল্লাহ মহা ভয়ংকর বিচারের দিনে শুধু নিয়্যাতের কারনে টেনে হিচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
.
পরিশেষে বলব..
.
মরনের পূর্বে কে কি আমল করবে অথবা কার হৃদয়ে কি আছে তা বলা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। কারাে মৃত্যুর পর তাকে 'শহীদ হিসাবে জনসম্মুখে প্রচার করা একটা মহামারী আকার ধারন করেছে। ইসলাম প্রদত্ত এই মহা সম্মানিত উপাধিকে যথেচ্ছ ব্যাবহার করার প্রবনতায় আমরা সবাই কমবেশি আক্রান্ত।
.
সুতরাং হে আমার মুসলিম ভাই! আসুন আমরা কাউকে নির্দিষ্ট করে 'জান্নাতি 'জাহান্নামী বা 'শহীদ বলার ব্যাপারে সাবধান ও সতর্ক হই। আমরা সারা জীবন যদি কাউকে'শহীদ বলে সাক্ষ্য দেই আর সেই ব্যাক্তি যদি আল্লাহর কাছে'শহীদ বলে গণ্য না হন তাহলে আমার এই ঘােষণা তার কোন কাজে আসবে না।
অপরপক্ষে যে সত্যিকারের 'শহীদ, তাকে আমরা ঘােষণা দেই বা না দেই সে আল্লাহর কাছে'শহীদ হিসাবে যথাযােগ্য মর্যাদা পাবে।
.
এক্সটারনালি যদিও কাউকে দেখে আমরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বলি আহ! লোকটি কি লাকি! সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করছে!,কিন্তু ইনডীড আমরা কেউই তার অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে টোটালি অবগত নই।
.
দলিলঃ ৭
তাইই রাসুল (ﷺ) বলেন, ,
وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَنْ يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِهِ
অবশ্যই আল্লাহই অধিক জ্ঞাত কে তাঁর পথে জিহাদ করে।
.
বুখারী / ২৫৯৬
.
মহান আল্লাহ যেন আমাদেরকে হক জানার, বুঝার ও মেনে চলার তৌফীক দান করেন।
.
বিঃদ্রঃ
যারা দেশ ও দ্বীনের জন্য জীবন দেন আমরা তাদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে শহীদের মর্যাদা দান করেন।
No comments:
Post a Comment