Thursday, July 18, 2019

প্রচলিত কালিমা আর হাদিস সম্মত কালিমা

“লা-ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লহ”
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ
[তথ্যসূত্রঃ বুখারী-হাঃ নঃ ০৭, মুসলিম-হাঃ নঃ ০১, তিরমিযী-হাঃ নঃ ২৬১০ ইঃফাঃ]
নিশ্চয়ই আল্লহর সাথে অংশ স্থাপন করলে আল্লহ তাকে ক্ষমা করবেন না। [৪/নিসা-আয়াত নঃ ৪৮]।
সত্য পাবার পর অধিকাংশ ছিলে সত্য ত্যাগকারী/ঘৃনা পোষনকারী।[৪৩/যুখরূফ-আয়াত নঃ ৭৮]।
“অধিকাংশ মানুষ আল্লহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরীক।[১২/ইউসুফ-আয়াত নঃ ১০৬]।
“ধ্বংস হোক যারা শুধু অনুমানের উপর ভিত্তি করে। [৫১/যারিয়াত-আয়াত নঃ ১০]।
“তোমরা মিথ্যা দিয়ে সত্যকে পোশাক পড়িয়ে দিও না এবং সত্যকে জেনে বুঝে লুকিয়েও রেখো না।[২/বাকারা-
আয়াত নঃ ৪২]।
তারা নিজেদের (পাপের) বোঝার সাথে আরও বোঝা বহন করবে, কিয়ামতের দিন তাদের অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে যত মিথ্যা তারা উদ্ভাবন করেছে। [২৯/আনকাবুত-আয়াত নঃ ১৩]।
হে মুর্খের দল, তোমরা কি আমাকে আল্লহ ছাড়া অন্য কারো গোলামী বরন করে নিতে বলছো?[৩৯/ঝুমার-আয়াত নঃ ৬৪]
“হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, আল্লহকে ভয় কর এবং সত্য কথা বল। তিনি তোমাদের কর্মকান্ড শুধরে দিবেন এবং গুনাহ সমুহ মাফ করে দিবেন। যে ব্যক্তি আল্লহ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে, সে অবশ্যই মহাসাফল্য লাভ করবে। [৩৩/আহযাব-আয়াত নঃ ৭০,৭১]।
ইসলাম ধর্মের ঈমানের বাক্য “লা-ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লহ”। ইহা নাবী মুহাম্মাদ (স) এবং তাঁর সাহাবারা পড়েছেন।
দেখুনঃ বুখারী ইফা(ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদীস নং ৭, ২৪, ৫১, ৮৭, ১৩০, ৪৪৮, ৪৯৮, ১২৮৫, ১৪০৯, ২০২৩,
২৩২২।
মুসলিম ইফা(ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদীস নং ০১, ২৩, ২৪, ২৯, ৩৬, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৯, ৫৫, ৫৬।
তিরমিযী ইফা(ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদীস নং ২৬১০, ২৬১২, ২৬৩৯।
কিন্তু “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ” ইহা কোথায় আছে???
ইহা কি নাবী মুহাম্মাদ (স) এবং তাঁর সাহাবারা আসলেই পড়েছেন??
ইহা কি কুরআন ও সুন্নাহ(সহীহ হাদীস) এর কোথাও আছে?
যদি কুরআন ও সুন্নাহ(সহীহ হাদীস) এর কোথাও না থাকে তাহলে ইহা পড়া কি ঠিক হবে? 
আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী, মুয়াত্তা মালেক, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ তে ইসলামের ৫টি ভিত্তির ৪টি সলাত, যাকাত, সাওম, হ্বজ সবই আছে। কিন্তু ১ম ভিত্তি “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ” একবারও নাই!!! এসব গ্রন্থের প্রত্যেকটিতে বর্নিত আছে, নাবী মুহাম্মদ (স) “লা-ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লহ” এর সাক্ষ্য দিতে আদেশ করেছেন। আর এটাই হচ্ছে ইসলামের ১ম ভিত্তি।
কুরআনে "আল্লহু ওয়া রসুলুহু" প্রায় একশত বার আছে। কিন্তু ওয়া বাদদিয়ে ;আল্লহু রসুলুহু (নাউযুবিল্লাহ) একবারও নেই।
“ওয়াআন্না” বাদ দিয়ে “আল্লাহ মুহাম্মাদ” পাশাপাশি অর্থাৎ “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ”
এরকম কোন কথা নাবী মুহাম্মাদ (স) এর সুন্নাহ(সহীহ হাদীস) এ খুঁজে আমি পাই নাই।
উল্লেখ্য যে, আমরা শির্ক হিসেবে লা ইলাহা ইল্লাল্লহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লহ বলিনা। আর আল্লহ অন্তর দেখে বিচার করেন। কেউ প্রচলিত কালিমা পাঠ করলে তাতে শির্ক ও গুনাহ হবেনা ইংশা আল্লহ। তাছাড়া এর হাদিসও আছে। তবে আমাদের উচিত একেবারে সহিহ হাদিসসম্মত বিশুদ্ধ কালিমা পাঠ করা। 

জ্ঞাতব্য যে, এই ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতানৈক্য আছে। অনেক আলিমের মতে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ" বলায় কোন সমস্যা নেই বরং এটা হাদিস সম্মত এরূপ বলে থাকেন তারা। বায়হাকির একটা হাদিসে এই কালিমা উল্লেখ আছে। সুতরাং এই অবস্থায় আমাদের উচিত হবে ওয়া আন্না যুক্ত করে বিশুদ্ধ কালিমা পাঠ করা তবে কেউ যদি ওয়া আন্না বাদ দিয়ে কালিমা পাঠ করে তাকে নিষেধ করা যাবেনা। বরং ওটাও জায়েজ তবে অধিক উত্তম হবে ওয়া আন্না যুক্ত করে পড়া। আশাকরি বুঝতে পারছেন । এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার অন্য একটি পোস্ট দেখে নিতে পারেন লিংকঃ https://kmarifin.blogspot.com/2019/07/blog-post_21.html

হে আল্লহ, আমাদেরকে কুরআন ও সুন্নাহ(সহীহ হাদীস) আলোকে চলার তৌফিক দান করুন। শিরক ও বিদয়াত থেকে রক্ষা করুন। আমাদেরকে সত্য প্রচার করার তৌফিক দান করুন।
“…. আল্লহ যাকে চান তাকে হেদায়েত দান করেন ….।" [২৮/কাসাস-আয়াত নঃ ৫৬]।
সুবহানআল্লহ। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লহ।

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...