প্রশ্নঃ মিলাদ কিয়াম বিদআত হলে আগেতো কুরআনে হরকত ছিলোনা পরে যোগ করা হয় তাহলে এটাও তো বিদআত তাই নয় কি??
উত্তরঃ বিদআত কাকে বলে?? ৯০% লোকই সঠিকভাবে জানেনা!!
তাই একটু সবাই ভাল করে জেনে নিন।
নিজের ভাষায় সহজ ও সাবলিল ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি যাতে সহজে বুঝতে পারেন। বিদআতের নিম্ন সংগা অনুযায়ী সব কিছু মিলিয়ে দেখবেন তাহলে বিদআত বিষয়ে কোন সংশয় থাকলে তা কেটে যাবে ইংশাআল্লহ।
#বিদআতঃ
বিদআত শব্দের অর্থ নতুন সৃষ্টি/তৈরি। বিদআত এর আভিধানিক অর্থ নতুন কোন কিছু সৃষ্টি করা যা রসুল সঃ এর যুগে ছিলনা।
এই অর্থে ইঞ্জিন চালিত গাড়ি, বিমান, কম্পিউটার, ঘড়ি ইত্যাদি সব কিছুই বিদআত। কিন্তু ইসলামি পরিভাষায় বিদআত বলতে এরকম সব কিছুকেই বুঝায় না। এখানে এটা ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
#ইসলামি পরিভাষায় বিদআত এর সংগা:
বিদআত বলতে শরিয়তের মধ্যে বা দীনের মধ্যে সওয়াবের/ নেকির উদ্দেশ্যে এমন কোন বাড়তি নতুন আমল সৃষ্টি / উদ্ভাবন করা যা রসুলে সঃ এর যুগে ছিলনা বা রসুল সঃ এর কোন অনুমতি দেন নাই এমন কোন আমলকে বুঝায়।
উদাহরণস্বরূপ : মিলাদ-কিয়াম করা যা রসুল সঃ এর যুগে ছিলনা কিন্তু পরবর্তীতে মানুষ এগুলো দীনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় বা নেকির উদ্দেশ্যে আমল করা শুরু করে তাই এটি ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় স্পষ্ট বিদআত।
পক্ষান্তরে,, গাড়ি, বিমান, ঘড়ি ইত্যাদি মানুষ তৈরি করে বা তাতে ভ্রমণ করে বা ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত সুবিধার্থে অর্থাৎ এর মাধ্যমে সোয়াব / নেকি লাভের উদ্দেশ্য থাকেনা। তাই এটি ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় বিদআত নয়।
★উক্ত প্রশ্নে বললেন যে, কুরআনে পূর্বে কোন হরকত ছিলোনা। এখন যেহেতু হরকত সংযুক্ত করা হয়েছে সেহেতু এটা বিদআত নয় কি??
এক্ষেত্রে প্রথমেই বলবো যে আমার দেওয়া বিদআত এর সঙ্গাটা আবার একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন। ইসলামিক পরিভাষায় বিদআত হতে হলে অবশ্যই তা এমন কোন নতুন আমল হতে হবে যা সওয়াব বা নেকির উদ্দেশ্যে করা হয়।
কুরআনে যে হরকত সংযুক্ত করা হয়েছে তা মানুষের সুবিধার জন্য যুক্ত করা হয়েছে যাতে অনারব মুসলিমরা সহজে আরবি ভাষা আয়ত্ত করতে পারে। যেমন বর্তমানে কিছু নতুন সিস্টেমে ছাপানো কুরআন পাওয়া যায় যাতে কিছু নতুন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে গুন্নাহ মাদ এগুলোকে বুঝানো হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সহজে কুরআন বিশুদ্ধ ভাবে তিলাওয়াত করা যায়।
এখন প্রশ্ন হলো এটা কি আদৌ বিদআত?
হ্যা আভিধানিক অর্থে এটা নতুন সৃষ্টি তাই বিদআত। কিন্তু ইসলামিক শরিয়তে বিদআত হতে হলে এটা অবশ্যই বারতি নেকির উদ্দেশ্যে হতে হবে। এক্ষেত্রে যখন কুরআনে কোন হরকত ছিলোনা তখন যদি তা থেকে "আলিফ লাম মিম" পাঠ করা হতো তাহলে এর বিনিময়ে নিশ্চয়ই ১০+১০+১০=৩০ নেকি পাওয়া যেত তাই নয় কি?
এখন কেউ যদি হরকতসহ কুরআন থেকে এই সেইম আয়াত পাঠ করে তাহলে কি ৩০ নেকি পাওয়া যাবে নাকি এর চেয়ে কম বেশি পাওয়া যাবে??
নিশ্চয়ই না। ৩০ নেকিই পাওয়া যাবে। আবার কেউ যদি বর্তমানের সদ্য বের হওয়া সাংকেতিক চিহ্ন বিশিষ্ট কুরআন থেকে একই জিনিস পাঠ করে সেক্ষেত্রেও সেইম নেকি পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, আমরা কেউই কিন্তু এমনটা মনে করিনা যে, হরকত বিশিষ্ট কুরআন ও হরকত ছাড়া কুরআন পাঠ করলে কম বেশি নেকি পাওয়া যাবে! আমরা সবাই জানি ও মানি যে একই নেকি পাওয়া যাবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে মানুষ এক্সট্রা সওয়াব বা নেকির উদ্দেশ্যে হরকত বিশিষ্ট কুরআন পাঠ করে না বরং তার বুঝার ও পাঠের সুবিধার্থে হরকত বিশিষ্ট কুরআন পাঠ করে থাকে তাই এটা কখনই ইসলামিক শরিয়তে বিদআত নয়।
#আল্লহ বলেনঃ
ওহে মুমিনগন! তোমরা আল্লহ ও তার রসুলের আগে বেড়ে যেওনা, আল্লহকে ভয় করো, আল্লহ সর্বোশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (হুজুরত:১)
আল্লহর আনুগত্য করো, রসুলের আনুগত্য করো & তোমাদের #আমল সমুহ বিনষ্ট করোনা। (মুহাম্মাদ:৩৩)
[বিঃদ্রঃ আল্লহ কেন বললেন যে আমল সমুহ নষ্ট করোনা??? একটু ভাবুন, ভাল করে চিন্তা করুন]
আল্লহ রসুল সঃ এর মাধ্যমে দীন ইসলামকে ১০০% পরিপুর্ন করে দিয়েছেন। এর ভিতরে কোন কিছু ঢুকবেওনা আর বাদও পরবেনা। আশাকরি সংক্ষেপে বুঝাতে পেরেছি।যাঝাকুমুল্লহুখইরন
উত্তরঃ বিদআত কাকে বলে?? ৯০% লোকই সঠিকভাবে জানেনা!!
তাই একটু সবাই ভাল করে জেনে নিন।
নিজের ভাষায় সহজ ও সাবলিল ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি যাতে সহজে বুঝতে পারেন। বিদআতের নিম্ন সংগা অনুযায়ী সব কিছু মিলিয়ে দেখবেন তাহলে বিদআত বিষয়ে কোন সংশয় থাকলে তা কেটে যাবে ইংশাআল্লহ।
#বিদআতঃ
বিদআত শব্দের অর্থ নতুন সৃষ্টি/তৈরি। বিদআত এর আভিধানিক অর্থ নতুন কোন কিছু সৃষ্টি করা যা রসুল সঃ এর যুগে ছিলনা।
এই অর্থে ইঞ্জিন চালিত গাড়ি, বিমান, কম্পিউটার, ঘড়ি ইত্যাদি সব কিছুই বিদআত। কিন্তু ইসলামি পরিভাষায় বিদআত বলতে এরকম সব কিছুকেই বুঝায় না। এখানে এটা ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
#ইসলামি পরিভাষায় বিদআত এর সংগা:
বিদআত বলতে শরিয়তের মধ্যে বা দীনের মধ্যে সওয়াবের/ নেকির উদ্দেশ্যে এমন কোন বাড়তি নতুন আমল সৃষ্টি / উদ্ভাবন করা যা রসুলে সঃ এর যুগে ছিলনা বা রসুল সঃ এর কোন অনুমতি দেন নাই এমন কোন আমলকে বুঝায়।
উদাহরণস্বরূপ : মিলাদ-কিয়াম করা যা রসুল সঃ এর যুগে ছিলনা কিন্তু পরবর্তীতে মানুষ এগুলো দীনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় বা নেকির উদ্দেশ্যে আমল করা শুরু করে তাই এটি ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় স্পষ্ট বিদআত।
পক্ষান্তরে,, গাড়ি, বিমান, ঘড়ি ইত্যাদি মানুষ তৈরি করে বা তাতে ভ্রমণ করে বা ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত সুবিধার্থে অর্থাৎ এর মাধ্যমে সোয়াব / নেকি লাভের উদ্দেশ্য থাকেনা। তাই এটি ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় বিদআত নয়।
★উক্ত প্রশ্নে বললেন যে, কুরআনে পূর্বে কোন হরকত ছিলোনা। এখন যেহেতু হরকত সংযুক্ত করা হয়েছে সেহেতু এটা বিদআত নয় কি??
এক্ষেত্রে প্রথমেই বলবো যে আমার দেওয়া বিদআত এর সঙ্গাটা আবার একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন। ইসলামিক পরিভাষায় বিদআত হতে হলে অবশ্যই তা এমন কোন নতুন আমল হতে হবে যা সওয়াব বা নেকির উদ্দেশ্যে করা হয়।
কুরআনে যে হরকত সংযুক্ত করা হয়েছে তা মানুষের সুবিধার জন্য যুক্ত করা হয়েছে যাতে অনারব মুসলিমরা সহজে আরবি ভাষা আয়ত্ত করতে পারে। যেমন বর্তমানে কিছু নতুন সিস্টেমে ছাপানো কুরআন পাওয়া যায় যাতে কিছু নতুন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে গুন্নাহ মাদ এগুলোকে বুঝানো হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সহজে কুরআন বিশুদ্ধ ভাবে তিলাওয়াত করা যায়।
এখন প্রশ্ন হলো এটা কি আদৌ বিদআত?
হ্যা আভিধানিক অর্থে এটা নতুন সৃষ্টি তাই বিদআত। কিন্তু ইসলামিক শরিয়তে বিদআত হতে হলে এটা অবশ্যই বারতি নেকির উদ্দেশ্যে হতে হবে। এক্ষেত্রে যখন কুরআনে কোন হরকত ছিলোনা তখন যদি তা থেকে "আলিফ লাম মিম" পাঠ করা হতো তাহলে এর বিনিময়ে নিশ্চয়ই ১০+১০+১০=৩০ নেকি পাওয়া যেত তাই নয় কি?
এখন কেউ যদি হরকতসহ কুরআন থেকে এই সেইম আয়াত পাঠ করে তাহলে কি ৩০ নেকি পাওয়া যাবে নাকি এর চেয়ে কম বেশি পাওয়া যাবে??
নিশ্চয়ই না। ৩০ নেকিই পাওয়া যাবে। আবার কেউ যদি বর্তমানের সদ্য বের হওয়া সাংকেতিক চিহ্ন বিশিষ্ট কুরআন থেকে একই জিনিস পাঠ করে সেক্ষেত্রেও সেইম নেকি পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, আমরা কেউই কিন্তু এমনটা মনে করিনা যে, হরকত বিশিষ্ট কুরআন ও হরকত ছাড়া কুরআন পাঠ করলে কম বেশি নেকি পাওয়া যাবে! আমরা সবাই জানি ও মানি যে একই নেকি পাওয়া যাবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে মানুষ এক্সট্রা সওয়াব বা নেকির উদ্দেশ্যে হরকত বিশিষ্ট কুরআন পাঠ করে না বরং তার বুঝার ও পাঠের সুবিধার্থে হরকত বিশিষ্ট কুরআন পাঠ করে থাকে তাই এটা কখনই ইসলামিক শরিয়তে বিদআত নয়।
#আল্লহ বলেনঃ
ওহে মুমিনগন! তোমরা আল্লহ ও তার রসুলের আগে বেড়ে যেওনা, আল্লহকে ভয় করো, আল্লহ সর্বোশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (হুজুরত:১)
আল্লহর আনুগত্য করো, রসুলের আনুগত্য করো & তোমাদের #আমল সমুহ বিনষ্ট করোনা। (মুহাম্মাদ:৩৩)
[বিঃদ্রঃ আল্লহ কেন বললেন যে আমল সমুহ নষ্ট করোনা??? একটু ভাবুন, ভাল করে চিন্তা করুন]
আল্লহ রসুল সঃ এর মাধ্যমে দীন ইসলামকে ১০০% পরিপুর্ন করে দিয়েছেন। এর ভিতরে কোন কিছু ঢুকবেওনা আর বাদও পরবেনা। আশাকরি সংক্ষেপে বুঝাতে পেরেছি।যাঝাকুমুল্লহুখইরন
No comments:
Post a Comment