Sunday, July 14, 2019

হিন্দু ধর্মগ্রন্থে মুহাম্মাদ (স.)-কে মানার নির্দেশ

হিন্দু ধর্মগ্রন্থে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ও নবী মুহাম্মাদ (সা.)-কে মানার নির্দেশ
---------------------------------------------------------------------------
হিন্দুগ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরিচয় ও হিন্দু সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । 
যে জন্য যুগে যুগে বহু সত্য সন্ধানী শিক্ষিত হিন্দু ইসলাম গ্রহন করেন ।
কল্কি অবতারের (শেষ নবীর) নামঃ নরাশংস। 
পিতার নামঃ বিষ্ণুযশ । 
মাতার নামঃ সুমতি । 
জন্মস্থান : সম্ভল।
জন্মতারিখঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ ।
এবারউপরের পরিচয়টা যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর
সেটা দেখুন । 
নাম-সংস্কৃতেঃ নরাসংশ যার অর্থঃ প্রশংসিত 
(বেদঋগ্ বেদ ১-১৮-৯)
আরবীতেঃ মুহাম্মদ= অর্থঃ প্রশংসিত । 
(কুরআন ৪৮-২৯, ৩৩-৪০) এবং আহমদ শব্দ বেদঋগ্বেদে ৮-৬-১০ , ও কুরআনে ৬১-৬ ।
পিতার নামঃ সংস্কৃতেঃ বিষ্ণুযশ যার অর্থঃ প্রভুর দাশ , (শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরান ১-৩-২৫)
আরবীতেঃ আবদুল্লাহ= অর্থঃ প্রভুর দাশ
মাতার নামঃ সংস্কৃতেঃ সুমতি যার অর্থঃশান্তি 
(কল্কি পুরান ১-৪),
আরবীতেঃ আমিনা=অর্থঃ শান্তি ।
জন্মস্থানঃ সংস্কৃতেঃ সম্ভল, যার অর্থ শান্তির ঘর (শ্রীমদ্ভগবত মহাপুরান ১২-২-১৮) 
আরবীতেঃ দারুল আমান অর্থ শান্তির ঘর ।
মক্কাকে বালাদুল আমিন অঅর্থাৎ শান্তির শহরও বলা হয় । 
জন্ম তারিখঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ
জন্ম গ্রহণ করবেন । অর্থাৎ বৈশাখ মাসের (শুক্লপক্ষ) প্রথম অংশে ১২ তারিখে জন্ম গ্রহণ করবেন ।
(কল্কিপুরান ১-২-১৫)
বিক্রমী ক্যালেন্ডারে বৈশাখ মাসকে বসন্ত কাল বলে ।
আরবীতেঃ রবি অর্থ বসন্ত, আওয়াল অর্থ প্রথম অংশ । একত্রে রবিউল আওয়াল অর্থ বসন্তের প্রথম অংশ ।
দ্বাদশ অর্থ ১২ । প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী ১২ রবিউল আওয়ালে হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্ম গ্রহন করেছেন । 
★ এবার দেখুন ইসলাম গ্রহনের জন্য আদেশ! 
কল্কি অবতারের ২৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,
"লা ইলাহা হরতি পাপম ইলইলাহা পরম পাদম জন্ম
বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি ত জপি নাম মুহাম্মদ"
অঅর্থাৎ : আল্লাহ এর আশ্রয় ব্যতিত পাপ মুক্তির কোন উপায় নেই । আল্লাহর আশ্রয় প্রকৃত আশ্রয় । 
স্বর্গ পাওয়া, প্রভুর পরিচয় লাভ এবং ক্ষমা পেতে হলে
মুহাম্মদ সা.-কেই মানতে হবে ।
বৈকুন্ঠে জন্মলাভের আশা করলে তার আশ্রয় ব্যতিত অন্য কোন উপায় নেই ।
এজন্য মুহাম্মদ সাঃ এর প্রদর্শিত পথে অনুসন্ধান অপরিহার্য ।
(মোটকথা ইসলামে দিক্ষিত হতে হবে) 
★ এবার দেখুন হিন্দু শাস্ত্রে আল্লাহ , মুহাম্মদ , রাসূল শব্দ যোগে শ্লোক ।
"হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রবো, অল্লো, জ্যেষ্টং , পরমং , পূর্ণং , ব্রক্ষণং অল্লাম । অল্লো রসূল
মুহাম্মদ রকং বরস্য অল্লো- অল্লাম ।
আদাল্লং বুক মেকং অল্লা বুকংল্লান লিখাতকম ।" 
অর্থাৎ : অল্লোপণিষদ দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও
সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু । আল্লাহ পূর্ণ ব্রহ্ম , মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল ।
পরম বরণীয় আল্লাহই । তাঁর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই । আল্লাহ অক্ষয় , অব্যয় , স্বয়ম্ভু । 
এছাড়া আরো তথ্য আছে যা সত্য সন্ধানীদেরকে ইসলাম গ্রহনের জন্য আহ্বান করে । 
পরিতাপের বিষয় হল :
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা এগুলো সতর্কতার সাথে লুকিয়ে রাখেন । এমন কি পাঠ করা শ্রবণ করা পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করেছেন ।
যদি এগুলো সবার হাতের নাগালে হত অবিশ্যম্ভাবী ভাবে হিন্দু জাতি শুধু ইতিহাসে থাকত । তথ্য গুলো
সংগ্রহ করেছি শ্রী রমন কুমার রায় ।
পিতাঃ শ্রী পরেশ কুমার রায় ।
বর্তমান নাম মাহফুজূর রহমান এর বই থেকে যিনি ইতিপূর্বে এক ঠাকুরের
ছেলে হয়েও ঠাকুরের পদ পদতলে পিষ্ট করে কঠিন
ঈমানী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখন একজন গর্বিত মুসলিম । নিশ্চয় আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত
দ্বীন হচ্ছে ইসলাম ।
"ইয়া হাদী, ইয়া রাহীম"

3 comments:

  1. https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=134310341724099&id=111293007359166

    ReplyDelete
  2. "হোতারমিন্দ্র হোতারমিন্দ্র মহাসুরিন্দ্রা
    অল্লো জ্যেষ্ঠাং শ্রেষ্ঠাং পরমং পুর্ণ ব্রাক্ষণ অল্লাম
    অল্লোরাসুলমহমদকং বরস্যে অল্লো অল্লাম
    আদহাল্লাহবকুমে ককম অল্লাবুক নিখাতকম"

    এই কথিত মন্ত্রটিতে নাকি বলা হয়েছে আল্লাহ ও নবী রাসুলকে মানার কথা!!

    এই মন্ত্রের রেফারেন্স চাইলে জ্ঞানপাপীরা কেউ বলে অল্লোপনিষদ,কেউ বলে কল্কি অবতার ও মোহাম্মদ সাহেব আবার কেউ বলে অথর্ববেদ!!

    জবাব,
    অথর্ববেদের শাকল্য উপনিষদ নামের কোন উপনিষদই নাই।
    অর্থববেদের উপনিষদ তিনটি,
    মুন্তক উপনিষদ,
    মান্ডুক্য উপনিষদ,
    প্রশ্ন উপনিষদ।

    অল্লোপনিষদ কোন হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ নয়।সম্রাট আকবর হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করতে, বিভ্রান্ত করতে ও তার প্রবর্তিত দীন-ই-এলাহী নামক ধর্মের প্রচার করতে এই বইটি লিখেছিলেন।বইটি কারা লিখেছিলো তা এই বইয়ের সংস্কৃত দেখেই বুঝা যায়।

    সম্রাট আকবরের পর হিন্দুদের বিভ্রান্ত করে ধর্মান্তরিত করতে হিন্দু ভুয়া পন্ডিতের নাম করে কাঁচাপাকা সংস্কৃত শব্দ অং,হোং,চোং ব্যবহার করে কল্কি অবতার ও মোহাম্মদ সাহেব বইটি লিখা হয়।

    “লা ইলহা হরতি পাপম ইল্ল ইলহা পরম পদম। জন্ম বৈকুণ্ঠর অপ ইনুতিত জপি নাম মোহাম্মদম।”

    এর রেফারেন্স বলা হয়,উত্তরায়ণ বেদ, অন কাহি, পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    এর মানে নাকি, লা ইলহা পাঠ করলে সব পাপ দূর হয়।স্বর্গ লাভ হয়।স্বর্গ পেতে হলে মুহাম্মদকে অনুসরণ করতে হবে।

    জবাব- সংস্কৃত ভাষার নমুনা দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে বাকি নেই এই ষড়যন্ত্র!!!!
    হা,হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্রের আরেক অস্ত্র এটি। আর বর্তমানের বোকা হিন্দুরা তো জানেই না বেদ কয়টা!!!

    আসলে উত্তরায়ণ বেদ নামে কোন বেদই নেই।
    হিন্দু ধর্মে বেদ চারটি।
    সামবেদ,
    ঋগ্বেদ,
    অথর্ববেদ,
    যজুর্বেদ।

    তো এখানে উত্তরায়ণ বেদ আসলো কোথা থেকে?? আর এই বিকৃত মন্ত্রইবা এলো কোথা থেকে??
    ধর্মজ্ঞানহীন হিন্দুদের বোকা বানিয়ে ধর্মান্তরিত করার জন্যই কি জঘন্য মিথ্যাচার!!!

    ReplyDelete
  3. বেদে নরাশংস শব্দটা থাকার ভিত্তিতে বেদে মুহাম্মদ সাঃ এর কথা বলা হয়েছে এটা বলা কতটা যৌক্তিক?

    পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের নামেরই অর্থ আছে। সেই হিসেবে আমার আপনার নামও বেদে পাওয়া যাবে। একবার কংগ্রেস দাবী করে বেদে নাকি সোনিয়া গান্ধীর নাম পাওয়া গেছে কারণ সোনিয়া অর্থ স্বর্ণ আর বেদে স্বর্ণের কথা বলা আছে।

    বিষ্ণুযশ অর্থ বিষ্ণুর গর্ব, যশ অর্থ গোলাম বা দাস নয় সেটা সবাই জানে। আর আবদুল্লাহ অর্থ আল্লাহর দাস, গোলাম বা বান্দা। অতএব ভুলভাল অর্থ দাঁড় করিয়ে হিন্দুদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

    সুমতি অর্থ সুন্দর মন, সু অর্থ সুন্দর আর মতি অর্থ মন। অর্থাৎ সুমতি অর্থ শান্তি নয়। সুমতির অর্থের সাথে আমেনার অর্থ মিলে না।

    শম্ভুল=শম্ভু+আলয়, অর্থ শিবের নিবাস। শম্ভুল অর্থ কোনোভাবেই শান্তির স্থান নয়। শম্ভুল গ্রামটি ভারতের উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত যেখানে কল্কি অবতারের মন্দিরও রয়েছে। অতএব শম্ভুল কোনোভাবেই মক্কা নয়।

    সবচেয়ে বড় কথা, কল্কি অবতার আসবেন কলিযুগের শেষে। কলিযুগ শুরু হয়েছিল খ্রীস্টপূর্ব ৩১০২ সালে, এই যুগের আয়ু মোট ৪,৩২,০০০ বছর। তার মানে কল্কি অবতার আসতে আরে ৪,২৭,০০০ বছর বাকি।

    কল্কি অবতার ছিলেন পিতামতার চতুর্থ সন্তান কিন্তু মুহাম্মদ সাঃ এর কোনো ভাইবোন ছিল না। কল্কি অবতারের জন্মের সময় তার পিতা জীবিত ছিলেন কিন্তু মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মের ছয়মাস আগেই তার পিতা মারা যান।

    নবী মুহাম্মদ এর প্রথম স্ত্রী খাদিজার গর্ভেই তার ৬ সন্তান হয় যার মাঝে দুই পুত্র এবং প্রথম পুত্র কাসিম ১ বছর বয়সেই মারা যায়।অপরদিকে কল্কি পুরাণ ১৩.৩৬ মতে কল্কি অবতারের সন্তান ২ টি,২ টি ই পুত্র সন্তান।তাঁদের নাম জয় এবং বিজয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী তারা অনেক বড় বীর এবং অনেক যুদ্ধে অংশ গ্রহন করবেন।
    কল্কি পুরান মতে কল্কি অবতারের এর স্ত্রী দুজন যার প্রথমজনের নাম হবে পদ্মাবতী এবং তিনি"সিংহল" এর অধিবাসী যা চতুর্দিকে একটি সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ।(কল্কিপুরান ৮.৩৯) অপরজনের নাম হবে রমা(৩২.৬) অপরদিকে নবী মুহম্মদের ১৩ জন স্ত্রী ছিলেন এবং তাদের সবাই আরব অঞ্চল এর অধিবাসী ছিলেন।আরব অঞ্চল বিশেষত মক্কা-মদিনা নিশ্চয় সমুদ্রবেষ্টিত কোন দ্বীপ নয়।

    ReplyDelete

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...