🌴🌴 খেলাফত এবং রাজতন্ত্রের যে স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ধারণা সাহাবায়ে কেরামগণ পোষণ করতেন, হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ) তা ব্যক্ত করেন নিন্মোক্ত ভাষায়ঃ
*******************************
এমারাত (অর্থাৎ খেলাফত) হচ্ছে তাই, যা প্রতিষ্ঠা করতে পরামর্শ নেয়া হয়েছে, আর তরবারীর জোরে যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা হচ্ছে রাজতন্ত্র। [তাবকাতে ইবনে সাআদ, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা- ১১৩।]
🌴🌴 হযরত উমর (রাঃ) বলেনঃ
মুসলমানদের পরামর্শ ছাড়া যে ব্যক্তি তার নিজের বা অন্য কারো নেতৃত্বের (এমারত) প্রতি আহবান জানায়, তাকে হত্যা না করা তোমাদের জন্য হালাল নয়।
[কানযুল ওম্মাল, ৫ম খন্ড, হাদীস নং-২৫৭৭]
***হযরত ওমর (রাঃ)- এর এ উক্তির তাৎপর্য এই যে, ইসলামী রাষ্ট্রে কোন ব্যক্তির জোর-পূর্বক চেপে বসার চেষ্টা করা এক মারাত্মক অপরাধ, তা বরদাস্ত করা উম্মাতের উচিত নয়।]
🌴🌴 এখন কোন ব্যক্তি যদি মুসলমানদের পরামর্শ ব্যতিরেকে কারো হাতে বায়আত করে তাহলে সে এবং যার বায়আত করা হবে- উভয়েই নিজেকে মৃত্যুর হাতে সোপর্দ করবে।
[বুখারী, কিতাবুল মোহরেবীন, অধ্যায়-১৬। মুসনাদে আহমাদ, ১ম খণ্ড, হাদীস নম্বর- ৩৯১। তৃতীয় সংস্করণ, দারুল মাআরেফ, মিসর ১৯৪৯]
🌴🌴 মুসনাদে আহমাদের বর্ণনায় হযরত ওমর (রাঃ)- এর শব্দগুলো ছিল এইঃ মুসলমানদের পরামর্শ ব্যতীত যে ব্যক্তি কোন আমীরের হাতে বায়আত করে, তার কোন বায়আত নেই; এবং যার হাতে বায়আত করে, তারও কোন বায়আত নেই। অপর এক বর্ণনায় হযরত ওমর (রাঃ)-এর এ বাক্যও দেখা যায়- পরামর্শ ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে এমারাত দেয়া হলে তা কবুল করা তার জন্য হালাল নয়। – (ইবনে হাযার, ফতহুলবারী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা- ১২৫, আল-মাতবায়াতুল খাইরিয়া, কায়রো, ১৩২৫ হিজরী।]
🌾🌾 অপর আলি রাঃ এক ভাষণে তিনি বলেনঃ যারা আল্লার বান্দাদেরকে নিজেদের গোলাপে পরিণত করার জন্য এবং স্বৈরাচারী শাসক হবার জন্য তোমাদের সাথে লড়ছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তোমরা প্রস্তুত হও। [তাবারী, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা- ৫৯। ইবনুল আসীর, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা- ১৭২।]
🌾🌾 তাঁর নিজের ব্যাখ্যা করা এ পদ্ধতি অনুযায়ী হযরত ওমর (রাঃ) খেলাফতের ফায়সালা করার জন্য তাঁর ওফাতকালে একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করে বলেনঃ মুসলমানদের পরামর্শ ব্যতীত যে ব্যক্তি জোর করে আমীর হওয়ার চেষ্টা করবে, তাকে হত্যা করো। খেলাফত যাতে বংশানুক্রমিক পদাধিকারে পরিণত না হয়, সে জন্য তিনি খেলাফত লাভের যোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা থেকে নিজের ছেলের নাম সুস্পষ্টভাবে বাদ দিয়ে দেন। [আততাবারী, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা- ২৯২। ইবনুল আসীর, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৩৪-৩৫। ইদারাতুল তিবআতিল মুনীরিয়া, মিসর, ১৩৫৬ হিজরী। তাবাকাতে ইবনে সাআদ, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৩৪৪, বৈরুতে সংস্করণ ১৯৫৭। ফতহুল বারী, ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা- ৪৯।]
*******************************
এমারাত (অর্থাৎ খেলাফত) হচ্ছে তাই, যা প্রতিষ্ঠা করতে পরামর্শ নেয়া হয়েছে, আর তরবারীর জোরে যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা হচ্ছে রাজতন্ত্র। [তাবকাতে ইবনে সাআদ, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা- ১১৩।]
🌴🌴 হযরত উমর (রাঃ) বলেনঃ
মুসলমানদের পরামর্শ ছাড়া যে ব্যক্তি তার নিজের বা অন্য কারো নেতৃত্বের (এমারত) প্রতি আহবান জানায়, তাকে হত্যা না করা তোমাদের জন্য হালাল নয়।
[কানযুল ওম্মাল, ৫ম খন্ড, হাদীস নং-২৫৭৭]
***হযরত ওমর (রাঃ)- এর এ উক্তির তাৎপর্য এই যে, ইসলামী রাষ্ট্রে কোন ব্যক্তির জোর-পূর্বক চেপে বসার চেষ্টা করা এক মারাত্মক অপরাধ, তা বরদাস্ত করা উম্মাতের উচিত নয়।]
🌴🌴 এখন কোন ব্যক্তি যদি মুসলমানদের পরামর্শ ব্যতিরেকে কারো হাতে বায়আত করে তাহলে সে এবং যার বায়আত করা হবে- উভয়েই নিজেকে মৃত্যুর হাতে সোপর্দ করবে।
[বুখারী, কিতাবুল মোহরেবীন, অধ্যায়-১৬। মুসনাদে আহমাদ, ১ম খণ্ড, হাদীস নম্বর- ৩৯১। তৃতীয় সংস্করণ, দারুল মাআরেফ, মিসর ১৯৪৯]
🌴🌴 মুসনাদে আহমাদের বর্ণনায় হযরত ওমর (রাঃ)- এর শব্দগুলো ছিল এইঃ মুসলমানদের পরামর্শ ব্যতীত যে ব্যক্তি কোন আমীরের হাতে বায়আত করে, তার কোন বায়আত নেই; এবং যার হাতে বায়আত করে, তারও কোন বায়আত নেই। অপর এক বর্ণনায় হযরত ওমর (রাঃ)-এর এ বাক্যও দেখা যায়- পরামর্শ ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে এমারাত দেয়া হলে তা কবুল করা তার জন্য হালাল নয়। – (ইবনে হাযার, ফতহুলবারী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা- ১২৫, আল-মাতবায়াতুল খাইরিয়া, কায়রো, ১৩২৫ হিজরী।]
🌾🌾 অপর আলি রাঃ এক ভাষণে তিনি বলেনঃ যারা আল্লার বান্দাদেরকে নিজেদের গোলাপে পরিণত করার জন্য এবং স্বৈরাচারী শাসক হবার জন্য তোমাদের সাথে লড়ছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তোমরা প্রস্তুত হও। [তাবারী, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা- ৫৯। ইবনুল আসীর, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা- ১৭২।]
🌾🌾 তাঁর নিজের ব্যাখ্যা করা এ পদ্ধতি অনুযায়ী হযরত ওমর (রাঃ) খেলাফতের ফায়সালা করার জন্য তাঁর ওফাতকালে একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করে বলেনঃ মুসলমানদের পরামর্শ ব্যতীত যে ব্যক্তি জোর করে আমীর হওয়ার চেষ্টা করবে, তাকে হত্যা করো। খেলাফত যাতে বংশানুক্রমিক পদাধিকারে পরিণত না হয়, সে জন্য তিনি খেলাফত লাভের যোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা থেকে নিজের ছেলের নাম সুস্পষ্টভাবে বাদ দিয়ে দেন। [আততাবারী, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা- ২৯২। ইবনুল আসীর, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৩৪-৩৫। ইদারাতুল তিবআতিল মুনীরিয়া, মিসর, ১৩৫৬ হিজরী। তাবাকাতে ইবনে সাআদ, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৩৪৪, বৈরুতে সংস্করণ ১৯৫৭। ফতহুল বারী, ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা- ৪৯।]
No comments:
Post a Comment