Saturday, May 4, 2019

সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ পালনের কিছু যুক্তি ও বিশ্লেষণ


বিশ্লেষণঃ

# কিয়ামত (পৃথিবী ধবংস) কী সারা বিশ্বে আলাদা আলাদা দিনে হবে!
সৌদির সঙ্গে আরবি তারিখ আলাদা ধরে নিয়েছে বাংলাদেশিরা!
# সৌদি থেকে বাংলাদেশের সময়ের দূরত্ব ৩ঘন্টা-
# সৌদি থেকে ইন্দোনেশিয়ার সময়ের দূরত্ব ৪ ঘন্টা-
#সৌদি থেকে মালয়েশিয়ার সময়ের দূরত্ব ৫ ঘন্টা
সৌদির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের পূর্বের দুটো দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সিয়াম, ঈদ পালন করছে কিন্তু বাংলাদেশের মুসলিমরা তা পারছে না, কেন! কী মাসয়ালা লুকিয়ে আছে বাংলার আলেম সাহেবদের মধ্যে!
মনে হয় বাংলাদেশের আলেমগন বেশী বুঝেন! ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার আলেমগন কম বুঝেন!
পুরো পৃথিবীর জমিন আল্লাহর! বর্ডার/সিমান্ত নামে ভাগ করা দেশ কাফেরদের আবিষ্কার! কেন! কী চক্রান্ত রয়েছে কাফেরদের!
কারণ একটাই মুসলিমদের মধ্যে ফাটল তৈরী করে বিভক্ত করে দুর্বল করা৷ আর আমরা তাতে পা দিয়ে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সেটাকে অন্য দেশ বলে আমরা তার উপর ভিত্তি করে সিয়াম রাখিনা বা ঈদ পালন করিনা।
# বাংলাদেশি মুসলিমরা
# সৌদির সাথে তালমিলেয়ে জুমা সালাত একই দিনেই আদায় করে।
Just সময়ের পার্থক্য ভেদে!!
# বাংলাদেশ জুমার সালাত আদায় করে সৌদির ৩ ঘন্টা পূর্বে-
# ইন্দোনেশিয়া ৪ ঘন্টা পূর্বে-
# মালয়েশিয়া ৫ ঘন্টা পূর্বে-
# পাকিস্তান ২ ঘন্টা পূর্বে-
# ওমান ১ ঘন্টা পূর্বে-
# কাতার ৩০ মিনিট পূর্বে-
সৌদির সাথে তালমিলিয়ে একই দিনে জুমার সালাত হয়!
কেন একই দিনে ঈদের সালাত সৌদির সাথে (সময়ের পার্থক্য করে) আদায় হয় না!
সৌদিতে বাংলাদেশের ৩ঘন্টা পর হওয়ার কথা! উলটো আমরা তাদের ২৪ ঘন্টা পর ঈদ করছি (অর্থাৎ আমাদের উচিত সময়ের ২৪+৩=২৭ ঘন্টা পরে)!
কেন করতে পারছি না! কী সমস্যা!

# হাদীস বলছে মহরম মাসের ১০ তারিখ কিয়ামত ঘটবে! আল্লাহর নবী( স) ভবিষ্যৎবানী করে গিয়েছেন এটা!
বাঙ্গালীদের যুক্তি অনুযায়ী সৌদিতে যেদিন মহরমের ১০ তারিখ, আমাদের এখানে মহরমের ৯ তারিখ! তাহলে, কিয়ামত কি সৌদি আরবের ১ দিন পর বাংলাদেশে সংগঠিত হবে!
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময় চাঁদ একদিন পর প্রকাশ পায়, যদিও আমাদের পার্শ্ববতী দেশ ভারতের অনেক এলাকাতেই একই দিনে চাঁদ দেখা যায়!
রাসুল সাঃ বলেছেন " যদি দুজন ব্যাক্তি চাঁদ দেখার সংবাদ দেয় তাহলে সিয়াম ও ঈদ করতে হবে"!
এখন আধুনিক যুগ, মূহুর্তেই পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে চাঁদ দেখার একাধিক খবর পাওয়া যায়! সুতরাং আমাদের এখন একই দিনে ঈদ ও সিয়াম রাখায় কোন সমস্যা নেই!

এখন একই দিনে ঈদ-সিয়াম না করলে কি হবে শুনুন-
ধরুন আজকে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেছে! তারা সিয়াম রাখলো, আর সেদিন আমরা সিয়ামরত থাকলাম না! ইচ্ছামতো পানাহার করলাম! ফরজ সিয়াম ভঙ্গ করার পাপে অভিযুক্ত হবো!
আবার যেদিন কোথাও ঈদ হচ্ছে (সৌদি) আমরা সেদিন সিয়ামরত! যেহেতু ঈদের দিন সিয়াম রাখা হারাম, আমরা একই দিনে সিয়াম-ঈদ না করায় ঈদের দিন সিয়াম পালন করে হারাম কাজ করছি!
আবার রাসুল সাঃ বলেছেন ২১শে রমজান থেকে ২৯ শে রমজানের বিজোড় রাত্রি গুলোতেই (২১,২৩,২৫,২৭,২৯) তোমরা লাইলাতুল কদরের খোজ করো, এই রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম! আচ্ছা যদি ধরে নেন সৌদিতে আজকে ২১ শে রমজান, আমাদের এখানে ২০শে রমজান (বস্তুত সেদিন ২১শে রমজান) তাহলে আমরা পরবর্তী রাত জেগে ইবাদাত করি (মানে ২২শে রমজানকে ২১ তারিখ মনে করে জেগে থাকি)! অনূরুপভাবে অন্য দিনগুলোতে ও এমন পার্থক্য করায় আমরা ২২,২৪,২৬,২৮, ৩০ শে রমজান শবে কদর মনে করে ইবাদাত করছি, অথচ তা ছিল বিজোড় রাত্রিতে!
আমরা তাহলে, সারাজীবন শবে কদর ভেবে যতই রাত জাগি এই তারিখ আলাদা ধরে নেয়ায় কখনোই শবে কদরের রহমত অর্জন করতে পারবো না সম্ভাবত!!

অতঃএব আলাদা দিনে সিয়াম-ঈদ পালন করা আমাদের ফরজ ইবাদাত ও আমলসমূহ ধ্বংস করার একটি পন্থা! তাই এখনই তাওবাহ করে এবছর থেকেই আমাদের সাবধান হয়ে যেতে হবে ইংশাআল্লহ! আল্লাহ্, আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুলোগুলো ক্ষমা করুন.......... আমিন!

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...