Thursday, May 9, 2019

তারাবীর নামাজ কত রাকাত 8/10/20

প্রশ্নঃ তারাবীর নামাজ কত রাকাত, ৮/১০ /২০???


উত্তরঃ আবূ সালামা (রাঃ)
‘আয়িশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, রামাযান মাসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নামাজের বৈশিষ্ট্য কি বা ধরন কেমন ছিল? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রামাযান মাসে ও অন্যান্য সময়ে (রাতের বেলা) এগার রাক’আত নামাযের বেশি আদায় করতেন না। তিনি চার রাক’আত করে মোট আট রাক’আত আদায় করতেন। এর সৌন্দর্য এবং দৈর্ঘ্য সম্পর্কে তুমি আমাকে আর প্রশ্ন কর না। অতঃপর তিনি তিন রাক’আত নামায আদায় করতেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর আদায়ের পূর্বে ঘুমান? তিনি বললেন. হে ‘আয়িশাহ্! আমার চক্ষু দুটি ঘুমায় কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না।

সহীহ্। সালাতুত্ তারাবীহ্, সহীহ্ আবু দাঊদ-(১২১২), বুখারী ও মুসলিম।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ فَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ ‏ "‏ قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ)

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে (তারাবীহ) সলাত আদায় করলে লোকেরাও তাঁর সাথে সলাত আদায় করলো। পরবর্তী রাতেও তিনি সলাত আদায় করেন এবং তাতে অনেক লোকের সমাগম হয়। অতঃপর পরবর্তী (তৃতীয়) রাতেও লোকজন সমবেত হলো, কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  বেরিয়ে তাদের কাছে এলেন না। অতঃপর ভোর হলে তিনি বললেনঃ তোমরা কি করেছো আমি তা দেখেছি। তবে তোমাদের উপর ফারয করে দেয়া হতে পারে, এ আশংকায় আমি তোমাদের কছে আসিনি। এটি রমযান  মাসের ঘটনা।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৩৭৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ، إِلَى الْمَسْجِدِ، فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ يُصَلِّي الرَّجُلُ لِنَفْسِهِ، وَيُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلاَتِهِ الرَّهْطُ فَقَالَ عُمَرُ إِنِّي أَرَى لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلاَءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ لَكَانَ أَمْثَلَ‏.‏ ثُمَّ عَزَمَ فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ قَارِئِهِمْ، قَالَ عُمَرُ نِعْمَ الْبِدْعَةُ هَذِهِ، وَالَّتِي يَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنَ الَّتِي يَقُومُونَ‏.‏ يُرِيدُ آخِرَ اللَّيْلِ، وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلَهُ‏.‏

‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আবদ আল-ক্বারী (রহঃ)

তিনি বলেন, আমি রমযানের এক রাতে ‘উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)- এর সাথে মসজিদে নাবাবীতে গিয়ে দেখি যে, লোকেরা এলোমেলোভাবে জামা’আতে বিভক্ত। কেউ একাকী সালাত আদায় করছে আবার কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করছে এবং ইকতেদা করে একদল লোক সালাত আদায় করছে। ‘উমর (রাঃ) বললেন, আমি মনে করি যে, এই লোকদের যদি আমি একজন ক্বারীর (ইমামের) পিছনে জমা করে দেই, তবে তা উত্তম হবে। এরপর তিনি ‘উবাই ইব্‌নু ‘কাব (রাঃ)- এর পিছনে সকলকে জমা করে দিলেন। পরে আর এক রাতে আমি তাঁর [‘উমর (রাঃ)] সাথে বের হই। তখন লোকেরা তাদের ইমামের সাথে সালাত আদায় করছিল। ‘উমর (রাঃ) বললেন, কত না সুন্দর এই নতুন ব্যবস্থা! তোমরা রাতের যে অংশে ঘুমিয়ে থাক তা রাতের ঐ অংশ অপেক্ষা উত্তম যে অংশে তোমরা সালাত আদায় কর, এর দ্বারা তিনি শেষ রাত বুঝিয়েছেন, কেননা তখন রাতের প্রথমভাগে লোকেরা সালাত আদায় করত।
(বুখারী ২০১০)


অধিকাংশ হাদিস গুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে রমজানের রাতের নামাজ দীর্ঘ সমায় লাগিয়ে গভির রাতে ১১ রাকাত  পড়া সুন্নত বেতের নামাজ সহ।

কিন্তু কেউ যদি তথাকথিত তারাবী অর্থ রাতের প্রথম দিকে ,  ২০ বা এর চেয়েও বেশি বা কম অাদায় করে তাহলে সে তা অাদায় করতে পারে, যতি সে জামাকে অাদায় করে।

অাশা করি উত্তরটি পেয়েছেন??

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...