ইবনু আব্বাস( রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে,,রসুল( সাঃ) রমজান মাসে ২০ রাকাত সলাত আদায় করতেন এবং বিতর পড়তেন( বায়হাকির আস-সুনানুল কুবরা হা/৪৬১৫,,২য় খন্ড পৃঃ ৬৯৮,,তাবারানী,আল- মুজামুল কাবীর ৩/১৪৮ পৃঃ)
(১) তাহকিকঃ- হাদীসটি যঈফ,,বর্ননাটির একটিই মাত্র সূত্র,,যা কয়েকটি গ্রন্হে বর্নিত হয়েছে,,এর সনদে আবু শায়বাহ ইবরাহীম ইবনে উসমান নামক রাবী রয়েছে,,সে মুহাদ্দিসদের ঐক্যমতে যঈফ,অনেকে তাকে মিথ্যুকও বলেছেন,,শায়েখ আলবানী তার কিতাবে বলেন এ হাদীসটি জাল( সিলসিলাতুল আহাদীছিয যঈফাহ ওয়াল মাওযু'আহ,হা/৫৬০,২য় খন্ড,,রিয়ায মাকতাবাতুল মা' আরিফ,১৪০৮ হিঃ),,ইমাম বায়হাকি আস- সুনানুল কুবরা গ্রন্হে এ হাদীসটি বর্ননা করার পর মন্তব্য করেন,আবু শায়বাহ হাদীসটি একক ভাবে বর্ননা করেছেন,,সে যঈফ রাবী( বায়হাকির আস- সুনানুল কুবরা, হা/৪৬১৫,,২/৬৯৮ পৃঃ),,হানাফি মাযহাবের প্রসিদ্ধ গ্রন্হ** হেদায়ার** ভাষ্যকার,,আল্লামা ইবনুল হুমাম হানাফি উক্ত হাদীস সম্পর্কে বলেন,,মুহাদ্দিসগনের ঐক্যমত্য যঈফ স্বীকৃত রাবী ইবরাহীম ইবনে ওসমান থাকার কারনে হাদীসটি যঈফ,,যিনি ইমাম আবু বকর ইবনে আবি শায়বার দাদা,,এছাড়াও এটি সহিহ হাদীসের বিরোধী( ইবনুল হুমাম,ফৎহুল ক্বাদীর শরহে হেদায়াহ ১ম খন্ড,,পাকিস্তান আল মাকতাবাতুল হাবীবিয়াহ,তাবি,,পৃঃ ৪০৭),,হানাফি পন্ডিত যায়লাঈ উক্ত বর্ননা সম্পর্কে বলেন,,ইবরাহীম ইবনু ওসমানের কারনে হাদীসটি ত্রুটিপূর্ন,,সে সর্বসম্মতিত্রুমে যঈফ,,ইবনে আদী তার * কামেল* গ্রন্হে এই হাদীসকে দুর্বল বলেছেন---( নাছবুর রাইয়াহ লি আহাদীছিল হেদায়াহ ২য় খন্ড,,রিয়ায আল মাকতাবাতুল ইসলামিয়াহ,,১৯৭৩ খৃঃ/১৩৯৩ হিঃ,,১৫৩ পৃঃ),, ছহিহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্হ উমদাতুল কারী প্রণেতা বদরুদ্দীন আইনী হানাফি উক্ত রাবী সম্পর্কে বলেন,,ইবনু আবি শায়বাহকে ইমাম শুবাহ মিথ্যুক বলেছেন এবং ইমাম আহমদ,,ইবনু মাঈন,ইমাম বুখারী,নাসাঈ( রহঃ) সহ অন্যান্যা মুহাদ্দিসগন তাকে যঈফ বলেছেন( উমদাতুল কারী শরহে ছহীহুল বুখারী,,পাকিস্তান আল মাকতাবাতুর রশীদীয়াহ,১৪০৬ হিঃ,,১১/১২৮ পৃঃ),, মোল্লা আলী কারী হানাফি এ বর্ননাকে যঈফ বলেছেন( আলি ইবনু সুলতান মুহাম্মাদ আল ক্বারী,,মিরক্বাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ,,ঢাকা,রশীদীয়াহ লাইব্রেরী,তাবি,,৩য় খন্ড, ১৯৪ পৃঃ),,আল্লামা যাহাবি আবু শায়বাকে মুনকার রাবী বলেছেন( মিজানুল ইতিদাল,১/৪৭-৪৮ পৃঃ,রাবী নং, ১৪৫),, ইমাম মিযযী তার তাহযীব গ্রন্হে আবু শায়বাহকে মুনকার হাদীস বর্ননাকারী আখ্যায়িত করে দৃষ্টান্ত স্বরুপ ২০ রাকাতের বর্ননাটি পেশ করেছেন,,অতঃপর বলেন,,ইমাম আহমদ,ইবনু মাঈন,বুখারী,নাসাঈ,আবু হাতিম রাযী,ইবনু আদী,,আবু দাউদ এবং তিরমিজী হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন( জালালুদ্দিন সুয়ুতীর,আল হাবি লিল ফতওয়া( বৈরুত আল মাকাতাবতুল আছারিয়াহ,১৯৯০/১৪১১),১/৫৩৮ পৃঃ,,আল মাছাবীহ ফি ছলাতীত তারাবীহ অংশে),,ইবনে হাজার উক্ত রাবী সম্পর্কে বলেন,,সে হাদীসের পরিত্যক্ত রাবী( তাকরীবুত তাহযীব,রাবী নং ২১৫),,এবং তিনি এ হাদীসের সনদ যঈফ বলেছেন( ফতহুল বারী,৪/৩১৯ পৃঃ,হা/২০১৩ এর আলোচনা দ্রঃ),,হায়ছামী বলেন হাদীসটি অত্যন্ত যঈফ( আল ফাতাওয়াউল কুবরা,১/১৯৫ পৃঃ,দ্রঃ ছলাতুত তারাবীহ,পৃঃ ২০)
No comments:
Post a Comment