যারা নিজ দেশের চাঁদ অনুযায়ী রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন তাদের কাছে আমাদের প্রশ্নঃ
১| দেশের সীমানা কতটুকু হবে তা কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী পেশ করবেন?
২।আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী “সারা বিশ্বের সাথে একই সময়ে আমরা ইফতার, সাহরী ও
সলাত আদায় করি না”। এই জন্য আপনারা সারা বিশ্বের সাথে একই বারে/ দিনে ঈদ পালন করতে চান না। তাহলে আপনাদের নিকট আমাদের প্রশ্ন, ঢাকার মানুষের সাথে চট্টগ্রামের মানুষ একই সময়ে ইফতার, সাহরী ও সলাত আদায় করে না। তবে কেন ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই বারে/ দিনে সিয়াম এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই বারে/দিনে ঈদ পালন করেন???
৩।সূর্যের সময়ের হিসেবে উল্লেখিত দুই শহর অর্থ্যাৎ ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর ‘সূর্যের সময়ের পার্থক্য’ বজায় রেখে যদি আপনারা ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই বারে সিয়াম এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই বারে ঈদ পালন করতে পারেন, তবে কেন ‘সূর্যের সময়ের পার্থক্য’ বজায় রেখে সারা বিশ্বের সাথে একই বারে সিয়াম এবং সারা বিশ্বের সাথে একই বারে ঈদ পালন করতে পারেন না?
৪। চট্টগ্রামে বা পঞ্চগড়ে বা সিলেটে বা সাতক্ষীরায় চাঁদ দেখা গেলে এবং ঢাকায় চাঁদ না দেখা গেলে, ঢাকায় চাঁদ না দেখেও ঐসব এলাকার চাঁদ দেখার সংবাদ শুনে ঐসব এলাকার সাথে ঢাকায় একই বারে সিয়াম ও ঐসব এলাকার সাথে ঢাকায় একই বারে ঈদ করছেন, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখা গেলে এবং ঢাকায় চাঁদ না দেখা গেলে, মধ্যপ্রাচ্যের চাঁদ দেখার
সংবাদ শুনে ঢাকায় একই বারে সিয়াম এবং মধ্যপ্রাচ্যের চাঁদ দেখার সংবাদ শুনে ঢাকায় একই বারে ঈদ কেন করতে পারছেন না???
৫।যদি বলেন, ঢাকার সাথে মধ্যপ্রাচ্যের দূরত্ব, ঢাকার সাথে চট্টগাম বা পঞ্চগড় বা সিলেট বা সাতক্ষীরার দূরত্বের চেয়ে বেশি, তাহলে দূরত্ব সর্বোচ্চ কতদূর হলে একই বারে সিয়াম এবং দূরত্ব সর্বোচ্চ কতদূর হলে একই বারে ঈদ করা যাবে, তা দলিল সহ স্পষ্ট করে বলবেন কি??
৬। যদি বলেন, ঢাকার সাথে মধ্যপ্রাচ্যের সময়ের পার্থক্য, ঢাকার সাথে চট্টগাম বা পঞ্চগড় বা সিলেট বা সাতক্ষীরার সময়ের পার্থক্যের চেয়ে বেশি, তাহলে সময়ের পার্থক্য সর্বোচ্চ কতটুকু
হলে একই দিনে/ বারে সিয়াম এবং সময়ের পার্থক্য সর্বোচ্চ কতটুকু হলে একই দিনে/বারে ঈদ করা যাবে, তা দলিল সহ স্পষ্ট করে বলবেন কি??
৭।কেন মুসলিম বিশ্বে একই বারে শবে কদর পালিত হয়না?
শবে কদরের রাত কি একটা নাকি দুইটা?
৩০ পারা কুরআনএকত্রে যে রাতে নাযিল হয়েছিল সেটাই কদরের রাত। ৩০ পারা কুরআন কি মধ্যপ্রাচ্যে এক রাতে আর বাংলাদেশে তার পরের রাতে অর্থাৎ দুই রাতে নাযিল হয়েছে?
৮। বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পরে রোজা, ঈদ করলে এই অবস্হা হয়: বাংলাদেশ থেকে কেউ সিয়াম শুরু করে রমযান মাসের যে কোন দিন মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে সেখানে ঈদ করলে তার রোযা ২৮ বা ২৯ টি হয় অর্থাৎ অন্যদের চেয়ে একটি কম হয়, আবার মধ্যপ্রাচ্য থেকে কেউ সিয়াম শুরু করে রমযান মাসের যে কোন দিন বাংলাদেশে এসে ঈদ করলে তার সিয়াম ৩০ বা ৩১ টি হয় অর্থাৎ অন্যদের চেয়ে একটি বেশি হয়। অথচ ২৮ বা ৩১ রোজার বিধান ইসলামে নাই। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে আরবী মাস ২৯-এর কম হবেনা এবং ৩০-এর বেশী হবেনা। এক্ষেত্রে সমাধান কি?? দলিল সহ জানতে চাই।
৯।অনেকেই বলেন সলাতের ওয়াক্ত মধ্যপ্রাচ্যে ও বাংলাদেশে এক নয় তাই পহেলা রমযান, শবে কদর, ঈদ ইত্যাদি মধ্যপ্রাচ্যে ও বাংলাদেশে একই বারে নয়। তাদেরকে বলি, সলাতের ওয়াক্ত এবং সেহরি ইফতার হয় সূর্য অনুযায়ী কিন্তু যে কোন আরবী মাস শুরু হয় চাঁদ অনুযায়ী এবং হেলা রমযান, ঈদও হয় চাঁদ অনুযায়ী। সূর্য ও চাঁদের হিসাব আলাদা। সলাতের ওয়াক্ত এবং সাহরি ইফতার কি চাঁদ অনুযায়ী হয়? আরবী মাসের শুরু, পহেলা রমযান, ঈদ এইগুলো কি সূর্য অনুযায়ী হয়?
১০।সময়ের পার্থক্য বজায় রেখে যদি সারা পৃথিবীতে জুম্মা একই দিনে/বারে (শুক্রবার) পড়া যায়
তবে পৃথিবীতে প্রথম নতুন চাঁদ উদয়ের গ্রহনযোগ্য সংবাদ অনুযায়ী সকল স্থানের ‘সূর্যের সময়ের পার্থক্য’ বজায় রেখে সারা পৃথিবীতে ঈদের সলাত কেন একই দিনে/বারে পড়া যাবে না?
তবে পৃথিবীতে প্রথম নতুন চাঁদ উদয়ের গ্রহনযোগ্য সংবাদ অনুযায়ী সকল স্থানের ‘সূর্যের সময়ের পার্থক্য’ বজায় রেখে সারা পৃথিবীতে ঈদের সলাত কেন একই দিনে/বারে পড়া যাবে না?
১১। রসূলুল্লহ সঃ বলেন যে, আরাফার দিনে সলাতের ব্যাপারে আমি আল্লহর উপর এ বিশ্বাস রাখি, ঐ দিনের সিয়ামের বিনিময়ে আল্লহ পাক রোযাদারের পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহ্ক্ষ মা্ফ করে দেন। (মুসলিম শরীফ, খন্ড-১, পৃঃ-৩৬৭) পবিত্র হাদীস ঘোষিত এ মহান পূন্য লাভের আশায় অগণিত মুসলিম নর- নারী বাংলাদেশের স্থানীয় ৯ জিল-হাজ্জ সিয়াম রাখেন। কিন্তু ঐ দিন মক্কা মোয়াজ্জেমা সহ সারা বিশ্বে ১০ বা ১১ জিল-হাজ্জ। অর্থাৎ কোন ভাবেই ঐ দিনটি আরাফার দিনতো নয়ই বরং কুরবানীর দিন বা তাশরীকের প্রথম দিন। যে দিন গুলোতে সিয়াম রাখা চার মাযহাবের সকল ইমাম ও আলেমের ঐক্যমতে হারাম। আরাফার দিন হচ্ছে সেটাই যেদিন হাজীগন আরাফার মাঠে থাকেন। তার পরদিন হাজীগন আরাফার মাঠে থাকেন না। তাহলে যেদিন হাজীগন আরাফার মাঠে থাকেন না সেদিন আরাফার দিন কিভাবে হয়?
১২। যদিও ঈদের দিন সিয়াম রাখা হারাম তবুও অনেক জায়গাতেই এমন বর্ডার/ দেশের সীমারেখা (মানুষের তৈরী, আল্লহর দেয়া নয়) আছে, যার একপাশে সিয়াম এবং অন্যপাশে ঈদ হচ্ছে একই দিনে, নিজ দেশের আকাশসীমায় আলাদা চাঁদ দেখার কারনে, তাহলে সেই বর্ডার এর মানুষ কি সিয়াম করবে নাকি ঈদ করবে??
ব্রিটিশের দেয়া বর্ডার অনুযায়ী কেন মুসলিমরা সিয়াম, ঈদ পালন করবে??
১৩। নিজ নিজ দেশের চাঁদ অনুযায়ী সিয়াম ও ঈদ পালন করতে হবে এর স্বপক্ষে আল্লহর কিতাব বা রসূল সঃ এর হাদিস থেকে দালিল পেশ করবেন। সেই দেশের সীমানা কতটুকু হবে সেটাও দলীল সহ জানাবেন। আমরা চাই দলিল, একই দিনে সিয়াম ও ঈদ পালণ করতে হবে না, এর
দলিল কি?
**** যারা একই দিনে সিয়াম ও ঈদ পালনের বিপক্ষে তারা উক্ত ১৩ টি প্রশ্নের যথাযথ দলিল ভিত্তিক উত্তর প্রদান করে আমাদের সাহায্য করুন।
দলিল কি?
**** যারা একই দিনে সিয়াম ও ঈদ পালনের বিপক্ষে তারা উক্ত ১৩ টি প্রশ্নের যথাযথ দলিল ভিত্তিক উত্তর প্রদান করে আমাদের সাহায্য করুন।
#শুধু মাত্র ৯টি প্রশ্ন, একটির অন্তত জবাব দিন!!!!
এবার নিজদেশে চাঁদ দেখার ফতওয়া প্রদানকারি সন্মানিত শাইখদের ও তাদের কিছু উৎসাহী অনুসারী ভাইদের কাছে আমার কিছু প্রশ্নঃ
(আমি এই আহলে এলেমদের সন্মান করি, আল্লাহ্র জন্য মহাব্বত করি, তাদের দীনি খেদমতকেও শ্রদ্ধা করি কিন্তু তাকলিদ করিনা)
===================================
১)এই উপমহাদেশের ৩ টি দেশ ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্থান ছাড়া বিশ্বর সবগুলি দেশ একই দিনে ঈদ করছে,
তারা ও তাদের বিশ্বখ্যাত ওলামারা কি ভুল করছে?? শুধু উপমহাদেশের ওলামারাই শুধু সহি আমলের উপর আছে???
২) উপমহাদেশের জন্য কি আলাদা বা কোন স্পেশাল সরিয়া এসেছে?? বা কাশফ, এহলাম, স্বপ্নে কোন সারিঈ নির্দেশনা আসে, যেমনটি,
পীর সুফি দেওবন্দি, ইলিয়াসিরা দাবী করে???
৩) একই দিনে ঈদ করার কারনে সমগ্র আরব বিশ্ব সহ সাড়া বিশ্বর(উপমহাদেশের ৩ টি দেশ বাদে) ওলামা ও সহ মুসলিমরা কি,
ফিতনা সৃষ্টি কারি হয়ে গেছে??? সবাই কি #খারেজী হয়ে গেছে????
৪) নিজ দেশের চাঁদ দেখতে হবে, এই শর্ত টি সর্ব প্রথম কে দিয়েছেন??? (রেফ সহ জানান)।
৫) নিজ দেশের চাঁদ দেখতে হবে এই মর্মে কি রসুল সঃ থেকে কোন একটিও হাদিস আছে??? সহি, জইফ, এমন কি জাল হাদিস?
(থাকলে হাদিসটি এখানে দিন)।
৬) হিজরি ১৪০০ সালের মধ্যে কোন একজনও সালাফের নিজ দেশের চাঁদ দেখার পক্ষে ফতোয়া আছে??
(থাকলে রেফ সহ এখানে দিন)
৭) ইবনে আব্বাস রা এর হাদিসটির উপর বর্তমান আরব ওলামাদের আমল, সিরিয়া ও মদিনায় (শুধু একটি দেশের চাঁদ দেখে) একই দিনে উভয় দেশের ঈদ করা কি ভুল ইজতেহাদ??
৮) আমি আরবের নিষ্ঠাবান ২ জন মুসলিমের চাঁদ দেখার নিখুত সংবাদ পেলাম, যা সরিয়া কোর্ট দ্বারা প্রচারিত হয়েছে, এখন আমি কি করব??
তাকে প্রত্যাখ্যান করে,বাংলাদেশে কবরপুজারি বেরলভির দেওয়া সন্দেহ যুক্ত সংবাদের জন্য (যাচাই বাছাই ছাড়া) আরও ১দিন বা ২দিন অপেক্ষা করব??
এই গ্রহন ও প্রত্যাখ্যানের দলিল কি?? এর সারিঈ ভিত্তি কি??
৯) এর কোন একটিরও দলিল যদি আপনারা না দিতে পারেন, তবে আপনাদের দেওয়া ফতোয়ার অনুসরন কি বৈধ হবে?
PS. (আমি কোন বিতর্কে যেতে চাই না, কারো কাছে যদি তথ্য গুলি থাকে পয়েন্ট দিয়ে উত্তর দিলে উপকৃত হব, যাযাকুমুল্লাহ খইরন)
No comments:
Post a Comment