বৃটিশের দেয়া হারাম জাতীয়তাবাদী সীমান্তের একপাশের জন্য মুসা আঃ এর মুক্তি শনিবার আর বর্ডারের অপর পাশের জন্য মুসা আঃ এর মুক্তি রবিবার এটা হতে পারেনা। সুস্থ বিবেক সম্পন্ন মানুষ এটা মেনে নিতে পারেনা। মুসা আঃ পরপর দুইদিন দুইবার মুক্তি পাননি। একবারই পেয়েছিলেন।
তেমনি বৃটিশের দেয়া হারাম জাতিয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার একপাশে লাইলাতুল ক্বদর একরাতে আর অপর পাশে লাইলাতুল ক্বদর তার পরের রাতে, এটা হতে পারেনা। কুরআন আল্লাহ এক রাতেই নাযিল করেছেন। যে রাতে নাযিল করেছেন সেটাই ক্বদরের রাত। জাতিয়তাবাদী কাঁটাতারের বেড়ার কারনে কুরআন দুইরাতে নাযিল হতে পারেনা।
জাতিয়তাবাদী বর্ডারের একপাশে প্রধান শয়তানকে যেদিন বাঁধা হয়, অপরপাশে প্রধান শয়তানকে তার পরের দিন বাঁধা হয়, এটা হতে পারেনা। প্রধান শয়তান তো একটি। বৃটিশের দেয়া বর্ডার এর কারনে একটাই প্রধান শয়তান কে বর্ডারের দুইপাশে দুইদিন দুইবার বাঁধা হয় এটা হতে পারে না। তেমনিভাবে জাতিয়তাবাদী সীমান্তের একপাশের জন্য বেহেশতের দরজা যেদিন খোলা হবে সীমান্তের অন্যপাশের জন্য একদিন পরে খোলা হবে এটাও বিবেকগ্রাহ্য নয়।
পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম একই জাতি হওয়া স্বত্তেও ব্রিটিশের ভাগ করা সীমান্ত অনুযায়ী রোজা, ক্বদরের রাত, ঈদের দিন আলাদা কেন হবে? বৃটিশরা দাগ টেনেছে মাটিতে, আর কিছু মুসলিম সেই দাগ আকাশেও টেনে বলছে, আমার দাগের ভিতরে চাঁদ আসলে এটা আমার চাঁদ, তোমার দাগের ভিতরে আসলে তোমার চাঁদ! কি ভয়ংকর জাতিয়তাবাদ!!
রাসূল (সঃ) বলেন,
“সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয় যে জাতিয়তাবাদের দিকে আহবান করে, জাতিয়তাবাদের জন্য যুদ্ধ করে বা জাতিয়তাবাদের জন্য মারা যায়”
[আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১২১]]
রসূল (সঃ) আরও বলেন,
“যে আসাবিয়্যার (অর্থাৎ জাতীয়তাবাদের) জাহেলী আহবানের দিকে মানুষকে ডাকে সে যেন তার পিতার লজ্জাস্থান কামড়ে ধরে পড়ে আছে (তাকে ছাড়তে চাইছে না) । (এরপর রাসূল সাঃ বলেন) এবং একথাটি লুকিয়ে রেখোনা (অর্থাৎ বলার ক্ষেত্রে কোনো লজ্জা বা অস্বস্তি বোধ করোনা)”।
[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২১২৩৩]
সুতরাং কোনো জাতি রাষ্ট্রের সীমানা অনুযায়ী মুসলিম উম্মত বিভক্ত হওয়া হারাম। শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রত্যেক মুসলিম পরস্পর ভাই ভাই এবং তাদের ভূমিগুলো একই ভূমি হিসেবে বিবেচিত হয়।
চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহণের ক্ষেত্রে রসূল সঃ দেশের সীমারেখার কোন শর্ত দেননি আমরাও দেই না।
No comments:
Post a Comment