Tuesday, June 16, 2020

২০২০ সালে বাংলাদেশের যেসব জেলায় গ্লোবালি ঈদের ছলাত ও ঈদ পালন করা হয়েছে তার তালিকা।

কুরআন-হাদিসের আলোকে OIC এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্লোবালি ২৪শে মে ২০২০ রবিবার বাংলাদেশের যেসকল এলাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে তার তালিকাঃ

(২০২০ সালের ২২শে মে শুক্রবার দিবাগত সন্ধ্যায় শরীয়াতসম্মত ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি)

কুরআন হাদীসের আলোকে OIC এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৃথিবীর আকাশে প্রথম নতুন চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্য সংবাদে ২৪শে মে ২০২০ রবিবার বাংলাদেশের যেসকল এলাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে তার তালিকা:

(১) ঢাকা: রবিবার খিলগাঁও মাদারটেক, নন্দীপারা বড় বটতলা, (বিদ্যানিকেতন স্কুলের সাথে) মসজিদ আল মুত্তাকীনে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। । মুফতি সাইয়্যেদ আবদুছ ছালাম ইমামতি করেছেন।

এছাড়া ঢাকা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন আশকোনায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(২) গাজীপুর: রবিবার গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়স্থ, ছয়দানা হাজীরপুকুর মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমামতি করেছেন শাইখ ড. এনামুল হক আল মাদানী।

এছাড়া গাজীপুর, বড়বাড়ি ,হায়দারাবাদ, আত তাকওয়া জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্ভবত দাখিন খান ভূইয়া-বাড়ী মসজিদেও ঈদ জামাত হয়েছে (আমি নিশ্চিত নই)।

(৩) খুলনা: রবিবার খুলনা খালিশপুর, আবু নাসের হসপিটালের নিকটবর্তী লেবুতলা জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমামতি করেছেন শাইখ মুরাদ বিন আমজাদ।

(৪) দিনাজপুর: রবিবার দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি পার্টিসেন্টারে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৪শ’ মুসল্লি অংশ নেন। এখানে ইমামতি করেন মাওলানা সাইফুর রহমান।

রবিবার বিরামপুর উপজেলার দুটি গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। রবিবার সকাল পৌনে আটটায় উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া বাজার জামে মসজিদে মাওলানা ইলিয়াস আলী এবং

সকাল আটটায় জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর জামে মসজিদে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন কাজী দুটি জামাতের ইমামতি করেন।

কাহারোল উপজেলার ভবানিপুর জামে মসজিদে সকাল আটটায় এবং

চিরিরবন্দর উপজেলার পূর্ব সাইতারা জামে মসজিদে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়াও কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ও গড়েয়া, বিরল উপজেলার বালান্দোর এবং পার্বতীপুর উপজেলায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, “রবিবার বিরামপুর উপজেলার দুটি গ্রামের মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে সেখানে যাতে কোনও ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে”।

দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে যে যার মতো ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট জায়গায় যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন”।

(৫) শেরপুর: রবিবার শেরপুর সদর ২ নং চরশেরপুর ইউনিয়ন এর বামনের চর পশ্চিম পাড়ায়, সদর উপজেলার চরখাঁরচর মধ্যপাড়া ও পশ্চিমপাড়ায় সকাল ৮ টায় দুটি জামাত হয়েছে। দুটি জামাতে প্রায় হাজারখানেক মানুষ অংশ নেন বলে জানিয়েছেন বেতমারী ঘুঘুরাকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ।

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার চতল গ্রামে সকাল সাড়ে নয়টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার গোবিন্দনগর ছয়আনী পাড়ায় সাড়ে সাতটায়, এবং

এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ২নং ইউনিয়ন, মধ্য পাড়া জয়নাল সাহেবের বাড়িতে (মাস্টার বাড়ী) ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন জামাতে প্রায় তিন শতাধিক লোক নামাজ পড়েছেন বলে জানা গেছে।

(৬) ফ‌রিদপু‌র: রবিবার ফ‌রিদপু‌রের সালথা উপ‌জেলায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সা‌ড়ে ৭ টায় সালথা উপ‌জেলার কাম‌দিয়ায় অব‌স্থিত মুস‌লিম আদর্শ মাদ্রাসা ও ডাঙাকাম‌দিয়া হা‌জি বা‌ড়ি জা‌মে মস‌জিদে এই ঈদের জামাত অনু‌ষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাত প‌রিচালনা ক‌রেন ইমাম ও খ‌তিব শাইখ আব্দুল্লাহ মিজান , সা‌র্বিক প‌রিচালনায় ছি‌লেন মোঃ ইলিয়াস হো‌সেন (01713580460)। ঈদের জামা‌তে প্রায় শতা‌ধিক মুস‌ল্লি অংশগ্রহন ক‌রেন।

এছাড়া বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার দশটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।

(৭) বরগুনা: রবিবার বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া দক্ষিন তক্তাবুনিয়া রহিমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমামতি করেন মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ (+8801706231330)

এছাড়া বরগুনার পাথরঘাটা, হাতেমপুর, কৃষি কলেজের পাশে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বেতাগী উপজেলার কাজীরাবাদ ইউনিয়নের গলাচিপা, বকুলতলী, মল্লিক বাড়ি জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮ টায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।

১৫ টি গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। জেলার বেতাগী উপজেলায় প্রায় ১৩০টি, আমতলী উপজেলায় প্রায় ৬০টি এবং বরগুনা ও পাথরঘাটায় প্রায় ১০টি পরিবারের রোববার ঈদ উদযাপন করার খবর পাওয়া গেছে।

(৮) চাঁদপুর: রবিবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তি ঈদ উদযাপিত হয়েছে। বায়তুল মামুর জামে মসজিদে সকাল সোয়া নয়টায় সামাজিক দূরত্ব ঠিক রেখে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ফরিদগঞ্জ মুন্সিরহাট এলাকার ব্যবসায়ী টিটু মুন্সি বলেন, তাঁদের উপজেলায় মুসল্লিরা সকালে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদ গায়ে ঈদের জামাতে অংশ নেন।

মুসল্লী বাকী বিল্লাহ জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে মসজিদে ঈদের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। তবে এর আগে জীবাণুনাশক দ্রব্য ব্যবহার করে মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করানো হয়।

যেসব গ্রামে রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বেলচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, বলাখাল, মনিহার, গোবিন্দপুর ও দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, সেনাগাঁও, বাসারা উভারামপুর, উটতলী,মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, গল্লাক, আইটপাড়া, বদরপুর, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা ও চরদুখিয়া। পাঁচআনী কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রাম ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর গ্রামে। শাহরাস্তি উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের অংশ বিশেষ।

এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। গ্রামের ছোট শিশুরা এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করছে।

(৯) চট্টগ্রাম: দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামে রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার ঈদ উদযাপন করেছেন। ইতোমধ্যেই গ্রামগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর কাছে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

রবিবার সকাল সাড়ে সাতটায় সাতকানিয়ার মীর্জাখীলে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ড. মাওলানা মুহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ইমামতি করেন।

রবিবার দক্ষিণ চট্টগ্রামে যেসব গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- সাতকানিয়ার মীর্জারখীল, চরতি, সুইপুর, গাটিয়াডাঙ্গা ও কেরাণীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মল্লপাড়া ও বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি ও ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা ও বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদণ্ডী ও পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজান।

(১০) লক্ষ্মীপুর: রবিবার লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদ উদযাপন করেছেন। ৪১ বছর ধরে এভাবেই তারা এভাবে করছেন। রবিবার সকাল ৭টায় রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাওলানা রুহুল আমিন ইমামতি করেছেন। এ সময় করোনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চায় মুসল্লিরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশৈই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ রবিবার ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন। তারা পৃথকভাবে ঈদের নামাজের আয়োজন করেছেন। গত ৪১ বছর ধরে তারা এভাবে করছেন।

(১১) নারায়ণগঞ্জ: রবিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৪ মে সকাল পৌনে ১০টায় মমতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের জামাতে অংশ নিতে গাজীপুরের টঙ্গী, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পুরাতন ঢাকা, ডেমরা, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ,বন্দর ও সোনারগাঁ উপজেলা থেকে মুসল্লিরা অংশ নেয়। ঈদের জামাতের ইমামের দায়িত্ব পালন করেন মাদরাসার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন।

(১২) শরীয়তপুর: রবিবার শরীয়তপুর ৩০ গ্রামে দশ হাজার পরিবার ঈদ উদযাপন করছেন। নড়িয়া, ডামুড্ডা, ভেদরগঞ্জ ও সখিপুর থানার ৩২টি গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একটি সকাল ৯টায় ও অপরটি সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন জনাব বেলাল নূরী।

(১৩) মাদারীপুর: রবিবার মাদারীপুরের ৪০টি গ্রামের ত্রিশ হাজার মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন। দুটি মসজিদে সকাল ৯ টায় ঈদের জামাত হয়েছে। মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক, বাহেরচরকাতলা, চরগোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর, শিবচরের পাচ্চর, স্বর্ণকারপট্রিসহ মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রামের ৩০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রবিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

(১৪) পিরোজপুর: রবিবার পিরোজপুরের ১০ টি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। নাজিরপুরে রোববার শতাধিক পরিবার ঈদ উদযাপন করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার রবিবার ঈদ উদযাপন করছেন।

জেলার নাজিরপুরের শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা ইউপি সদস্য মো. বাবুল খান জানান, তারা স্থানীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমিন মসজিদে রোববার সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান।

তারা প্রায় এক যুগ ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ জামায়াতের সঙ্গে আদায় করছেন। প্রতি বছরে পার্শ্ববর্তী কচুয়া ও পিরোজপুর সদরের কিছু পুরুষ লোক এ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন। কিন্তু চলতি বছরে করোনা সমস্যার কারণে তাদের আসতে নিষেধ করেছেন। এ কারণে তারা আসেননি।

(১৫) পটুয়াখালী: রবিবার পটুয়াখালী জেলার ২৮ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ও ছোট বিঘাই, গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা, পশুরিবুনিয়া, নিজ হাওলা ও কানকুনি পাড়া, বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদী, চন্দ্রপাড়া, দ্বি-পাশা, কনকদিয়া সাবুপুরা, বামনিকাঠী, বানাজোড়া ও আমিরাবাদ এবং কলাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ দেবপুর, পাটুয়া, মরিচবুনিয়া, নাইয়া পট্টি, নিশানবাড়িয়া, শাফাখালী, তেগাছিয়া, ছোনখোলা ও বাদুরতলী গ্রামের এসব মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। বদরপুর মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠেয় নামাজে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম আবদুল গনি।

(১৬) বরিশাল: রবিবার বরিশাল জেলার হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জের সুন্দরকাঠী, মহানগরীসহ সদর উপজেলার প্রায় ৫ হাজার মুসলমান প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদ উদযাপন করেছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়েছে।

বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠি, জিয়া সড়ক, টিয়াখালী, সিকদার বাড়িসহ সদর উপজেলার সাহেবের হাট এলাকায় সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের তাজকাঠি এলাকার হাজি বাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি আমীর হোসেন মিঠু বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে”।

(১৭) মৌলভীবাজার: রবিবার মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউজ এলাকায় আহমেদ শাবিস্তা নামে একটি বাড়ীর আঙিনায় ঈদের জামাত হয়েছে। আলাদা ব্যবস্থা থাকায় একই জামাতে নারীরাও নামাজ আদায় করেন। রবিবার সকাল ছয়টায় ইমামতি করেন আব্দুল মাওফীক চৌধুরী

(১৮) ঝিনাইদহ: রবিবার ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চটকাবাড়ীয়া দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে সকাল সাতটায় ঈদুল ফিতরের জামাত হয়েছে। এ সময় ইমামতি করেন স্থানীয় দখলপুর গ্রামের মাওলানা রেজাউল ইসলাম। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলশী, ভালকী, শিতালী, পায়রাডাঙ্গা, বৈঠাপাড়া, কুলবাড়িয়া, রামনগর, দখলপুর, বোয়ালিয়া, সিংগা, পার্বতীপুরসহ ১৩ গ্রাম থেকে শতাধিক মুসলমান ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।

হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মো আসাদুজ্জামান বলেন, “পর্যবেক্ষনের জন্য সেখানে পুলিশ ছিল”

(১৯) লালমনিরহাট: রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মুন্সিপাড়া জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত হয়েছে। ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল হামিদ। উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রাহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, মুন্সিপাড়া, আমিনগঞ্জ, বালাপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামের দেড় শতাধিক মানুষ ঈদ উদযাপন করেছেন।

মুন্সিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ পড়া হয়েছে”। বিষয়টি প্রশাসন অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এন ও) রবিউল হাসান।

(২০) ফেনী: ফেনীর পৃথক তিনটি স্থানে রবিবার সকালে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সুলতান পুর ও পূর্ব সুলতানপুর গ্রামে পৃথক দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

পূর্ব সুলতানপুর জামেয়া রশিদিয়া মসজিদে ঈদ জামায়াতের নেতৃত্ব দেন মাওলানা নুরুন নবী ও সুলতানপুর মসজিদে ঈদ জামায়াতের নেতৃত্ব দেন মাওলানা ওমর ফারুক।

স্থানীয় ফরহাদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মো. মোশারফ হোসের টিপু জানান, গত প্রায় ৮০. বছর থেকে তারা এভাবে ঈদের জামায়াত করে আসছেন।

অপরদিকে জেলার পরশুরাম উপজেলা সদরের দক্ষিণ বাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মীর হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর বাড়ির ছাদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেজর মীর হোসেন নিজেই ইমামতি করেন।

(২১) জামালপুর: রবিবার জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়ার গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা সকাল ছয়টার দিকে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। গত ১৫ বছর ধরে এই গ্রামের বেশ কিছু পরিবার এভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করে আসছেন।

বলারদিয়ার মাস্টারবাড়ী জামে মসজিদের সামনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন ঈদের নামাজের ইমামতি করেন। এতে প্রায় ৭০ জন মুসল্লি অংশ নেন।

ইমাম আজিম উদ্দিনের বড় ছেলে হারুন অর-রশিদ বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে এভাবে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করে আসছেন তাঁরা। প্রত্যেক বছর এই নামাজে অনেক মানুষ অংশ নিতেন। এবার করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য গ্রামের লোকজনকে নামাজে অংশ নেওয়া নিষেধ করা হয়েছিল। ফলে এবার মুসল্লি কম হয়েছে।

(২২) নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার তিনটি গ্রামের বেশ কিছু মুসল্লি রোববার সকালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। এলাকাগুলো হলো সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার সাহাপুর, বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ফাজিলপুর ও গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তেরবাগ। সকাল সাড়ে আটটায় ওই সব এলাকায় ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, “বেগমগঞ্জের দুটি জায়গায় সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ফাজিলপুরের জামায়াতে আনুমানিক ২০০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। আর বসন্তেরবাগের জামায়াত হয় দুটি। দুইটি জামায়াতে আনুমানিক ৩০০ মুসল্লি অংশ নেন।“

(২৩) পাবনা: রবিবার পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের বদনপুর গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন হয়েছে।

পরিবারগুলোর শতাধিক সদস্যদের ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সকাল ১০টায় গ্রামের বদনপুর নকিবীয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ইমামতি করেন সাঁথিয়ার গৌরগ্রাম মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। নিরাপদ দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিরা বাড়ি ফেরেন।

ওই ঈদ জামাতের ইমাম আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামটিতে এইভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে এবার কিছুটা সংক্ষিপ্ত আয়োজন হলেও সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করা হয়েছে। তবে গ্রামের লোকজনকে অকারণ ঘোরাফেরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

পাবনা বেড়া হেরার জ্যোতি পাঠাগার সংলগ্ন সি এন্ড বি মসজিদের আশপাশেও অনেকে এভাবে ঈদ করেন।

(২৪) ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের দৌলা, ডাকাতিয়া, ভালুকা, এলাকায় রবিবার সকাল ৭:৩০ টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(২৫) গোপালগঞ্জ: রবিবার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মুহাম্মদ লায়েক মোল্লার ইমামতিতে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

(২৬) বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোল্লাহাটে রবিবার ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

(২৭) কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের শিমুলিয়ায় রবিবার সকাল ৭:৩০ টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

(২৮) নড়াইল: রবিবার নড়াইল কালিয়া উপজেলার উত্তর কলাবাড়ীয়ায় (01938124606) ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

(২৯) কুড়িগ্রাম: রবিবার কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী ছিটপাইকারছড়া সকাল ৮:০০ টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া রাজিবপুর উপজেলার করাতি পাড়া গ্রামে, রৌমারী উপজেলার গয়টা পাড়া গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়।

(৩০) চাঁপাইনবাবগঞ্জ: রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইমামতি করেছেন রমজান আলী ।

শিবগঞ্জ উপজেলায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমামতি করেছেন মোজাম্মেল হক।

এছাড়া রহনপুর, শ্যামপুরেও ঈদের সলাত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।

(৩১) টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলার ধানবাড়ী থানার বাদুড়ীয়া, দেলদোয়ার উপজেলার শশীনাড়ায় এভাবে ঈদ উদযাপিত হয়।

(৩২)মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জ জেলার ৯টি গ্রামে এভাবে ঈদ উদযাপিত হয়। সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরার একাংশ।

(৩৩) সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের আমতৈল, পুরানঘাট, সীমান্তবর্তী রজনীলাইন, পাহাড়তলী ও বাদাঘাট উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাউড়েরগড়, এবং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের লোকজন প্রায় প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার মাধ্যমে ঈদ উদযাপন করেন।

(৩৪) কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ এর পাকুন্দিয়া থানার শিমুলিয়ায় অনেকেই এভাবে ঈদ উৎযাপন করেন।

(৩৫) সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাওকোলা পুর্ব-পাড়া, চাঁদপুর ও তালা উপজেলার ইসলামকাটিতেও কিছু মুসলিম এভাবে ঈদ করে থাকেন বলে জানা যায়

(৩৬) ভোলা: ভোলার প্রায় সহস্রাধিক পরিবার এভাবে ঈদ করেন। বোরহানউদ্দিন উপজেলার টগবী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের চৌকিদার বাড়ি সহ ভোলার সাত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঈদ উদযাপিত হয়।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তনসহ বিভিন্ন গ্রামে মেলা বসে। ভোলার ৫ উপজেলায় ২২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এভাবে ঈদ করে করে । ভোলা জেলা সদরের ইলিশা, বোরহানউদ্দিনে টগবী, তজুমদ্দিনের শিবপুর, সম্ভুপুর, লালমোহন পৌর এলাকা ও চরফ্যাশনের জিন্নাগর ও নিলকমল ইউনিয়নের মানুষ ঈদ উযদাপন করে। চৌকিদার বাড়ি, পঞ্চায়েত বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এছাড়াও তজুমদ্দিনের শিবপুর, সম্ভুপুর, লালমোহন পৌর এলাকা ও চরফ্যাশনের জিন্নাগর, নিলকমল ইউনিয়নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

(৩৭) রাজশাহী: রবিবার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা হাসপাতালের নিকটে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Saturday, June 6, 2020

স্ত্রী কি তাঁর স্বামীর নাম নিজের নাম এর সাথে যুক্ত করতে পারবে?

প্রশ্ন:- বিয়ের পর স্ত্রী কি তাঁর স্বামীর নাম নিজের নাম এর সাথে যুক্ত করতে পারবে?

উত্তর:- যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দুরূদ ও সালাম আল্লাহর রসূল (সঃ) এর উপর বর্ষিত হোক।
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি।

নিজ পরিবারের ও বংশের নাম পরিবর্তন করে অন্য পরিবারের ও বংশের নাম লাগানো সম্পূর্ণ হারাম এবং বড় গুনাহ। আর এটা হচ্ছে জাহেলিয়াত ও বিজাতীয় অনুসরণ। আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর স্ত্রীদের নামের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখতে পাবেন- তাদের নামের সাথে মুহাম্মাদ (সঃ) এর নাম যুক্ত ছিল না, তারা তাদের নামের সাথে স্বামীর নাম যুক্ত করেন নি। বরং তাদের নামের সাথে তাদের পিতার নাম যুক্ত ছিল। উদাহরনঃ হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) এর বিয়ের পরেও তাঁর নামের সাথে "সিদ্দিকা" তাঁর পিতার নাম যুক্ত ছিল। তাঁর নামের সাথে মুহাম্মাদ (সঃ) এর নাম যুক্ত করে "আয়েশা মুহাম্মাদ" রাখা হয় নি।
সুতরাং কারো নাম হবে তার নামে ও তার বাবার নামে।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
"তোমরা তাদের সন্বোধন কর তাদের বাপেদের নামে, এটিই আল্লাহর কাছে বেশি ন্যায়সংগত।"
[সূরা আহযাব আয়াত নাম্বার:- ৫]

আবূ মা'মার (রঃ).......আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সঃ) -কে বলতে শুনেছেন, "কোন ব্যক্তি যদি নিজ পিতা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অন্য কাউকে তার পিতা বলে দাবী করে তবে সে আল্লাহর (নিয়ামতের) কুফরী করল এবং যে ব্যক্তি নিজেকে এমন বংশের সাথে নসবী সম্পৃক্ততার দাবী করল, যে বংশের সাথে তার কোন নসবী সম্পর্ক নেই, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে তৈরি করে নেয়।"
[সহিহ বুখারী অধ্যায় ৫৬ হাদিস ৭১১],
নবী (সঃ) আরো বলেন, "যে ব্যক্তি তার পিতা বাদ দিয়ে অন্যের সাথে সম্পর্কের দাবি করে পরিচয় দেয় অথবা নিজের মনিবকে ত্যাগ করে অপরকে মনিব বলে পরিচয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাকুল এবং সকল মানুষের অভিশাপ। তার নফল বা ফরয কোন ইবাদতই কবুল করা হবে না।"
[সুনানু ইবনে মাজাহ হাদিস ২৭১২]।
যেহেতু স্বামী রক্ত সম্পর্কে অন্য বংশের তাই তার নাম নিজের বংশীয় নাম পরিবর্তন করে লাগানো যাবে না। আর এটা এক ধরনের জাহেলিয়াত ও বিজাতির অনুসরণ।

অতএব, বিয়ের আগে এবং পরে নারীরা সব সময়েই নিজের পিতার নামে পরিচিত হবে। বিয়ের পরে নামের সাথে স্বামীর নাম লাগানো- এটা সম্পূর্ণরূপে ইহুদী এবং খ্রিস্টানদের সংস্কৃতি। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, "ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা জাতি হিসেবে নির্বোধ, কারণ তারা ইব্রাহীম (আঃ) এর দ্বীনে হানীফ (এক আল্লাহর ইবাদত করা এবং সমস্ত শিরক থেকে বেঁচে থাকার ধর্ম) থেকে ফিরে কুফুরীতে লিপ্ত হয়েছে।" সেজন্যে ইহুদী এবং খ্রিস্টানদের সংস্কৃতি অনুকরণ করা মুসলমানদের জন্যে হারাম।
একবার চিন্তা করে দেখুনঃ এই কাজটা কত বোকামী, এক মেয়ে বিয়ের পরে স্বামীর নাম যুক্ত করলো, হয়তো কোন একসময় তালাক হয়ে অন্য পুরুষের ঘরে গেলো। তখন আবার নাম পাল্টানো...ইসলাম আমাদেরকে নিজের বাবার নামে পরিচিত হতে আদেশ করেছে। স্বামী স্ত্রী সম্পর্কের দ্বারা একজন নারীর প্রকৃত পরিচয় হতে পারে না।

ইবনু উমার (রাঃ) বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের অনুকরণ করবে সে ঐ কাওমের বলেই গণ্য হবে।"
[বুলুগূল মারাম ১৪৭১]।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই সকল গুনাহ হতে রক্ষা করে সঠিক পথে থাকার তাওফিক দিন। আমিন।

Friday, June 5, 2020

জমঈয়তে আহলে হাদীসের সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রঃ) এর মত

হাদীসে কুরাইব সম্পর্কে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রঃ) লিখেছেন,

“রাসূলুল্লাহ (দঃ) কি আদেশ করিয়াছেন, ইবনে আব্বাস তাহা উল্লেখ করেন নাই, রাসূলুল্লাহর (দঃ) আদেশের যে তাৎপর্য তিনি উপলদ্ধি করিয়াছেন, তিনি কেবল তাহাই উল্লেখ করিয়াছেন, সুতরাং এক প্রদেশের রূয়ত অন্য প্রদেশের জন্য প্রযোজ্য না হওয়া হযরত ইবনে আব্বাসের নিজস্ব ইজতিহাদ মাত্র।

রাসূলুল্লাহর (দঃ) নির্দেশ ইমাম আহমাদ, মুসলিম ও তিরমিযি প্রভৃতি ইবনে উমর ও আবু হুরায়রার (রাঃ) বাচনিক রেওয়ায়েত করিয়াছেন:
‘হিলাল (চাঁদ) দর্শন করার পর রোযা রাখিবে আর উহা দর্শন করিয়া ফিতর (ঈদ) করিবে, যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়, তাহা হইলে দিন গণনা করিবে’। অন্য রেওয়ায়েতে আছে, রাসূলুল্লাহ (দঃ) বলিলেন, ‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইলে ত্রিশের সংখ্যা পূর্ণ করিবে’। (বুখারী (১) ২১৫, মুসলিম (১) ৩৪৭, তিরমিযী (২) ৩৪ পৃঃ)

রাসূলু্ল্লাহর এই আদেশ ব্যাপক, কোন অঞ্চল বা ভূভাগকে তাঁর আদেশে সীমাবদ্ধ করা হয় নাই সুতরাং একস্হানের রূয়ত (দেখা) দ্বারা সকল স্থানে উহার বিধান বলবৎ করার আদেশ অধিকতর স্পষ্ট এবং নস্সের ব্যাপক আদেশকে ইবনে আব্বাসের ইজতিহাদ সীমাবদ্ধ করিতে সক্ষম নয়।
বুখারী ও মুসলিমের উল্লিখিত হাদীস প্রসঙ্গে ইমাম শাওকানী লিখিয়াছেন:
‘রাসূলুল্লাহর (দ:) আদেশ আঞ্চলিক বিভিন্নতার জন্য পৃথক পৃথক হয় নাই, সকল মুসলমান উক্ত আদেশে সম্বোধিত হইয়াছেন, সুতরাং এক নগরের রূয়ত অন্য নগরের প্রতি প্রযোজ্য হইবার ব্যবস্থা – না হইবার ব্যবস্থা অপেক্ষা সুস্পষ্ট। কারণ এক শহরের মুসলমানের চন্দ্র দর্শন সকল মুসলমানের দর্শনের অনুরূপ, সুতরাং সেই শহরের মুসলমানগণের উপর যাহা প্রযোজ্য হইবে, অপর স্হানের মুসলমানদের উপর ও তাহা বলবৎ হইবে’। (ইমাম শাওকানীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হয়েছে) [(নাইলুল আওতার)]

তারপর এক শহরের রূয়ত (দেখা) অন্য শহরের জন্য অনুসরণীয় না হওয়াই যদি ইবনে আব্বাসের ইঙ্গিতকৃত হাদীসের তাৎপর্য হয়, তাহা হইলে দূরত্বের পরিমাণ এবং মত্লার পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় সম্বন্ধে উহাতে কোন উল্লেখ নাই। আবার ইহাও লক্ষ্য করার বিষয় যে শাম ও মদীনার দূরত্ব এত দূর নয় যাহাতে মতলার পার্থক্য ঘটিতে পারে, সুতরাং ইবনে আব্বাসের শামের রূয়ত অস্বীকার করার হেতুবাদ তাহার ইজতিহাদ মাত্র”।

মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রঃ) আরও লিখেছেন,
“ইবনে আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহর (সঃ) বাচনিক এমন কোন হাদীস রেওয়ায়েত করেন নাই, যদ্বারা আমরা বিবেচনা করিয়া দেখিতে পারি যে, উহা হযরতের (সঃ) ব্যপক আদেশকে সীমাবদ্ধ করিতে পারে কিনা। সর্বশেষ কথা এই যে, ইবনে আব্বাসের ইজতিহাদকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর ব্যপক আদেশের সংকোচক বলিয়া মানিয়া লইলে বেশীর বেশী এইটুকু সাব্যস্ত হইতে পারে যে, মদীনা হইতে দামেশকের দূরত্ব যতখানি ততখানি দূরত্বে অবস্থিত কোন শহরের রূয়ত অন্য শহরের উপর প্রযোজ্য নয়, কিন্তু ইবনে আব্বাসের (রাঃ) ইজতিহাদকে মারফু হাদীসের সংকোচক স্বীকার করার উপায় নাই।
ইমাম কুরতুবী তাঁহার উস্তাদগনের উক্তি উদ্ধৃত করিয়াছেন যে,
‘এক নগরীর অধিবাসীরা হিলাল দর্শন করিলে সকল প্রদেশের অধিবাসীগণের জন্য উহা অনুসরণীয় হইবে ইহাই ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমাদের সিদ্ধান্ত’। (ইমাম কুরতুবীর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হয়েছে) [গায়াতুল আমানী (৯) ২৭২ পৃষ্ঠা]

রাসূলুল্লাহর (দঃ) স্পষ্ট নির্দেশের সহিত এই সিদ্ধান্তই সুসামঞ্জস্য এবং আমরা ইহাকেই অনুসরণযোগ্য মনে করি।” (মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রঃ) এর কথা এপর্যন্তই এখানে দেয়া হল) ।

[ ফাতাওয়া ও মাসায়েল- পৃষ্ঠা -১৭৯ (প্রকাশক - অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল বারী রঃ- সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস ) ]
.
ওয়ামা- 'আলাইনা- ইল্লাল বালাগ,
ওয়াল্লাহু আ'লাম।

Wednesday, June 3, 2020

শাষকের গুনগান করা ব্যক্তি হতে সাবধান

শাষকের তাবেদারী ও গুনগান করা ব্যক্তি ও আলিম হতে সাবধান!!

আব্দুল্লাহ ইবন মাস'ঊদ (রা.) বলেছেন-

"নিশ্চয় একজন ব্যক্তি শাসকের কাছে তার দ্বীনসহই যায়, অতঃপর যখন সে বেরিয়ে আসে তখন আর তার সাথে তার দ্বীন থাকে না।"
একজন লোক প্রশ্ন করলো, হে আবু আব্দির রাহমান, এটা কীভাবে হয়?
তিনি উত্তরে বললেন, "(কেননা শাসকের কাছে গিয়ে) সে এমন বিষয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যায় যা আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে" _____

إن الرجل ليدخل على السلطان ومعه دينه فيخرج وما معه دينه، فقال رجل: كيف ذاك يا أبا عبد الرحمن؟ قال: يرضيه بما يسخط الله فيه.

[ ইমাম ইবন সা'দ (রাহ), আত তাবাকাত:৬/২০৮; ইমাম হান্নাদ (রাহ), আয যুহদ, হা: ১১৫২; ইমাম বুখারি (রাহ), আত তারিখুল কাবির:১/৪৪৩]

কোন নারী বদ্ধ ঘরে থাকলে আর কোন পানির ব্যবস্থা না থাকলে হায়েজ থেকে কিভাবে পবিত্র হয়ে ছলাত পরবে?

👉 যে নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করছেন তিনি হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার গোসল করতে পারছেন না এবং মাটিও পাচ্ছেন না

প্রশ্ন: আমি করোনায় আক্রান্ত। বর্তমানে রাশিয়ার একটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে আছি। আমি হায়েয থেকে ও নামাযের জন্য পবিত্র হতে চাই। কিন্তু আমি ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে পারছি না এবং গোসল করতে পারছি না। আরও খারাপ অবস্থা হল তায়াম্মুম করার জন্য মাটিও নাই। আমি একটি জেনারেল রুমে আছি। আমি নামায আদায় করতে পারছি না। আমি কি সিটেই নামায পড়তে পারব। দয়া করে জানাবেন। জাযাকুমুল্লাহু খাইরা। আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।

উত্তর:
আলহামদু লিল্লাহ।

এক:

আমরা আল্লাহ্‌র কাছে আপনার সুস্থতার জন্য দোয়া করছি।

যদি ঠাণ্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার রোগ বেড়ে যায় কিংবা সুস্থতা বিলম্বিত হয় তাহলে আপনার জন্য গোসলের বদলে তায়াম্মুম করা জায়েয। হাসপাতালের বাইরে থেকে পলিথিনে বা এ জাতীয় অন্য কিছুতে কিছু মাটি নিয়ে আসা যায় কিংবা দেয়াল বা মেজেতে ধুলি থাকলে এগুলোর উপরও তায়াম্মুম করা যায়।

অনুরূপ বিধান ওযুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদি পানি ব্যবহার করলে আপনার ক্ষতি হয় তাহলে আপনি ওযুর বদলে তায়াম্মুম করবেন।

শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন: "যেহেতু ইসলামী শরিয়া সহজতা ভিত্তিক তাই আল্লাহ্‌ তাআলা ওজরগ্রস্তদের ইবাদত পালনকে তাদের ওজর অনুযায়ী সহজ করেছেন; যাতে করে তারা বিনা কষ্টে, নির্বিঘ্নে তাদের ইবাদত পালন করতে পারে।  আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: "তিনি তোমাদের উপর কষ্ট আরোপ করেননি"। তিনি আরও বলেন: "তিনি তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; কঠিন করতে চান না"। তিনি আরও বলেন: "তোমরা আল্লাহ্‌কে সাধ্যানুযায়ী ভয় কর"। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: "যখন আমি তোমাদেরকে কোন আদেশ করি তখন তোমরা সাধ্যানুযায়ী সেটা পালন কর"। তিনি আরও বলেন: "নিশ্চয় দ্বীন সহজ"।

তাই রোগী যদি ছোট অপবিত্রতা থেকে ওযু করার জন্য কিংবা বড় অপবিত্রতা থেকে গোসল করার জন্য পানি ব্যবহার করতে না পারে; তার অক্ষমতার কারণে, কিংবা রোগবৃদ্ধি বা সুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশংকা থেকে; তাহলে তিনি তায়াম্মুম করবেন। তায়াম্মুম হল: "তিনি তার দুইহাত পবিত্র মাটির উপর একবার রাখবেন। তারপর মুখমণ্ডল  মাসেহ করবেন এবং দুই হাত মাসেহ করবেন। যেহেতু আল্লাহ্‌ তাআলা বলেছেন: “আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক বা তোমাদের কেউ মলত্যাগ করে আসে বা তোমরা স্ত্রী সহবাস কর; আর পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে; তথা তোমরা তোমাদের চেহারাগুলো ও হাতগুলো মাসেহ করবে।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]

পানি ব্যবহারে অক্ষম ব্যক্তির হুকুম যিনি পানি পাচ্ছেন না তার হুকুমের মতই। যেহেতু আল্লাহ্‌ বলেছেন: "তোমরা আল্লাহ্‌কে সাধ্যানুযায়ী ভয় কর"। এবং যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যখন আমি তোমাদেরকে কোন আদেশ করি তখন তোমরা সাধ্যানুযায়ী সেটা পালন কর।"[আল-ফাতাওয়া আল-মুতাআল্লিকা বিত-তিব্ব ওয়া আহকামিল মারযা; পৃষ্ঠা-২৬]

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: "যে রোগী মাটি পাচ্ছেন না তিনি কি দেয়ালের উপর, অনুরূপভাবে বিছানার উপর তায়াম্মুম করবেন; নাকি করবেন না?

জবাবে তিনি বলেন: দেয়াল الصعيد الطيب (পবিত্র মাটি)র অন্তর্ভুক্ত; যদি সে দেয়াল পাথরের হয় কিংবা মাটি দিয়ে নির্মিত ইটের হয়; সেক্ষেত্রে এর উপরে তায়াম্মুম করা জায়েয হবে।

আর যদি কাঠ দিয়ে বা রঙ দিয়ে মোড়ানো হয় তাহলে যদি এমন দেয়ালের ওপর ধুলি থাকে তাহলে এর উপর তায়াম্মুম করা যাবে; এতে অসুবিধা নাই এবং এমন ব্যক্তি যেন জমিনের উপরেই তায়াম্মুম করলেন। যেহেতু ধুলি জমিন থেকে উৎপন্ন পদার্থ।

আর যদি দেয়ালের উপর ধুলি না থাকে তাহলে এটি الصعيد এর অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং এর উপর তায়াম্মুম করা যাবে না।

আর বিছানার ব্যাপারে বলব: যদি বিছানার উপরে ধুলি থাকে তাহলে তায়াম্মুম করা যাবে; অন্যথায় যাবে না। যেহেতু বিছানা الصعيد এর অন্তর্ভুক্ত নয়।"[ফাতাওয়াত তাহারাহ (পৃষ্ঠা-২৪০) থেকে সমাপ্ত]

দুই:

আপনার উপর নামাযের রুকু, সেজদা, বৈঠক ইত্যাদি যাবতীয় আরকানসহ নামায আদায় করা আবশ্যক; এমনকি আপনি যদি সাধারণ রুমে থাকেন তবুও, এমনকি রুমে যদি পুরুষ মানুষ থাকে তবুও। ওজর ছাড়া নামাযের কোন একটি রোকন ছেড়ে দিলে নামায হবে না।

রুমে পুরুষ মানুষ থাকা কিংবা তারা মহিলা মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকাটা নামাযের রোকন ছেড়ে দেয়ার মত কোন ওজর নয়। আপনি ঢিলেঢালা পূর্ণাবৃতকারী পোশাক পরে নামায পড়বেন; যেমনিভাবে আপনি বেগানা পুরুষ আছে এমন স্থানে বেরোবার সময় পরে থাকেন।

সৌদি ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির আলেমগণকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:

"যদি কোন নারীর পাশে বেগানা পুরুষ থাকে তাহলে কিভাবে নামায পড়বে; যেমনটি ঘটে থাকে মসজিদে হারামে? কিংবা সফরের সময়; যদি রাস্তায় মহিলাদের নামাযের স্থান বিশিষ্ট কোন মসজিদ না পাওয়া যায়?"

জবাবে তাঁরা বলেন: "নামাযের সময় নারীর গোটা দেহ আবৃত করা আবশ্যক; কেবল চেহারা ও কব্জিদ্বয় ছাড়া। কিন্তু যদি বেগানা পুরুষদের সামনে নামায পড়তে হয় তাহলে গোটা দেহ ঢাকা নারীর উপর আবশ্যক; এর মধ্যে চেহারা ও কব্জিদ্বয়ও অন্তর্ভুক্ত হবে।"[ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (৭/৩৩৯)।

আমরা আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করি তিনি যেন আপনার আমলগুলো কবুল করে নেন এবং আপনাকে সুস্থতা দান করেন।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ। cld.

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...