Tuesday, May 5, 2020

ইসতিগফার করার সময়, পরিস্থিতি ও মুহূর্তগুলো

ইসতিগফার করার সময়, পরিস্থিতি ও মুহূর্তগুলো [কুরআন ও সহিহ হাদিস থেকে]
.
(১) প্রত্যেক ফরজ ছলাতের পর—
.
রসুলুল্লহ ছঃ (ফরজ) ছলাতের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়তেন। [সহিহ মুসলিম: ৫৯১]
.
(২) শেষ রাতে, ফজরের পূর্বে—
.
আল্লাহ্ সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের প্রশংসায় বলেন, ‘‘তারা রাতে সামান্য সময়ের জন্যই নিদ্রায় যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতো।’’ [সূরা যারিয়াত, আয়াত: ১৭-১৮]

(৩) কোনো বৈঠক শেষে বা কুরআন তিলাওয়াতের পর—
.
দু‘আটি আমরা ইস্তিগফারের বাক্যাবলীর পর্বে দিব ইংশাআল্লাহ্। [আহমাদ: ২৪৪৮৬, আবু দাঊদ: ৪৮৫৮]
.
(৪) ছলাতের সিজদায়—
.
এই দু‘আটিও দেওয়া হবে ইংশাআল্লাহ্। [সহিহ বুখারি: ৭৯৪]
.
(৫) দুই সিজদার মাঝখানে—
.
রসুলুল্লহ ছঃ দুই সিজদার মাঝখানে পড়তেন: রব্বিগফিরলি, রব্বিগফিরলি। [সহিহ মুসলিম: ৭৭২]
.
(৬) ছলাতে সালাম ফেরানোর পূর্বে—
.
এই দু‘আটিও দেওয়া হবে ইংশাআল্লাহ্। এটি দু‘আ মাসুর নামে পরিচিত। [সহিহ বুখারি: ৮৩৪]
.
(৭) হতাশা ও কষ্টের মুহূর্তে—
.
হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিযিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।” [বায়হাকি: ৬৩৬, মুস্তাদরাক হাকিম: ৭৬৭৭; সহিহ]
.
(৮) গুনাহ করে ফেললে—
.
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, “ইবলিস তার রবকে বললো: আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমি আদম-সন্তানকে পথভ্রষ্ট করতেই থাকব, যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেন: আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমিও তাদের ক্ষমা করতেই থাকব, যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইসতিগফার করবে।” [মুসনাদ আহমাদ, হাদিসটি হাসান]
.
(৯) সম্পদ অথবা সন্তান চাইতে—
.
‘‘(নূহ [আ.] বলেন) অতঃপর আমি বললাম: তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে বাগ-বাগিচা স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’’ [সূরা নূহ, আয়াত: ১০–১২]
.
(১০) যেকোনো নেককাজ শেষে—
.
রসুলুল্লহ ছঃ এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেক কাজ ছিলো মক্কা বিজয় এবং আল্লাহর দ্বীনকে পূর্ণতা দেওয়া। এই কাজের পর তাঁকে ইস্তিগফার পড়তে বলা হয়েছে। [পড়ুন: সূরা আন নাসর, আয়াত: ১-৪]
.
(১১) অন্তর কঠিন হয়ে গেলে—
.
রসুলুল্লহ ছঃ বলেন, ‘‘আমার অন্তর (আল্লাহর স্মরণ হতে) বাধাপ্রাপ্ত হয়, (তাই) আমি দিনে শতবার ইসতিগফার করি।’’ [সহিহ মুসলিম: ২৭০২]
.
(১২) বিপদ ও আজাবের সময়—
.
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারিমে বলেন, ‘‘আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব দিবেন না, যতক্ষণ আপনি (নবীজি) তাদের মাঝে অবস্থান করবেন এবং তারা ইসতিগফার করা অবস্থায়ও তাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করবেন না।’’ [সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৩]
.
(১৩) লাইলাতুল কদরে—
.
আমরা এই দু‘আটি আলোচনা করব ইংশাআল্লাহ্। [ইবনে মুজাহ: ৩৮৫০, হাদিসটি সহিহ]
.
(১৪) শক্তিমত্তা বৃদ্ধিতে—
.
[দেখুন: সূরা হুদ, আয়াত: ৫২]
.
(১৫) পিতা-মাতা ও সকল মুমিনের জন্য—
.
দু‘আটি আলোচনা করা হবে ইংশাআল্লহ। [সূরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪১]
.
#ইস্তিগফার_অপার_সম্ভাবনার_দ্বার (৩ নং পর্ব)

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...