নবজাতকের কানে আযান ও ইকামাত দেওয়ার বিধানঃ
🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸
প্রশ্নঃ- মেয়ে শিশুর কানে আযান দেয়া কি শরীয়ত
সম্মত?
কোন কানে আজান দিতে হবে?
উত্তর:- যে কোন নবজাতক (চাই ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক) ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথে তার কানে হালকা আওয়াজে আযান দেয়া উচিৎ যেন দুনিয়াতে আসার পর সর্বপ্রথম আল্লাহর নাম শুনতে পায় এবং শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়। কিন্তু একামত দেয়া ঠিক নয়।
আবু রাফে তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন:
” رأيتُ رسول الله صلى الله عليه و سلم أذّنَ في أُذُنِ الحسنِ ابن عليٍّ حين ولدتهُ فاطمة بالصلاة ” رواه أبو داود والترمذي و قال: هذا حديث صحيح.
“আমি রসূল (ছঃ)-কে আলীর পুত্র হাসানের কানে ছলাতের আযানের মত আযান দিতে দেখেছি, যখন ফাতেমা (রযি:) তাকে জন্ম দেয়।” হাদীসটিকে আবু দাউদ এবং তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী সহীহ বলেছেন। [তিরমিযী, অধ্যায়, আযাহী, অনুচ্ছেদ নং ১৫, হাদীস নং ১৫৫৩]
কিছু হাদীসে বাম কানে ইকামতের বর্ণনা এসেছে কিন্তু সেই হাদীসগুলি নিতান্তই দুর্বল। [দেখুন, তুহ্ফাতুল আহওয়াযী, ৫/৯০]
তাই সুন্নত হচ্ছে, নবজাতকের কানে আযান দেয়া। ডান কানে আযান আর বাম কানে একামত এমনটি নয়। আবার নির্দিষ্ট করে ডান কানে আজান দিতে ব্যাপারটা এমন নয়। এখানে কান উদ্দেশ্য নয়। নবজাতক-কে কোলে নিয়ে বা কাছে গিয়ে আজান দিতে হবে। এক্ষেত্রে অতি জোরে আজান দেওয়া ঠিক নয় এতে বাচ্চা ভয় পেতে পারে বা তার সমস্যা হতে পারে। এমন স্বরে আজান দিতে হবে যেন বাচ্চা শুনতে পায় এটাই যথেষ্ট।
প্রকাশ থাকে যে, অনেক আলেমের মতে (যেমন আলবানী রাহ.) নবজাতকের কানে আযান দেওয়ার হাদীসগুলির মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। তাই তারা এই আযান দেয়াকেও অবৈধ বলেছেন। আর অনেকে হাদীসগুলি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা হওয়ায় ও পৌনঃপুনিক ভাবে উম্মতের মাঝে আমলটি সচল থাকায় জায়েজ বলেছেন।
[বিস্তারিত দেখুন, আউলাদ আউর ওয়ালেদাইন কি কিতাব/৭৭-৭৮]
আল্লাহ আলাম।
➖➖➖➖➖➖➖➖
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল Daee At:
Jubail Dawah & Guidance Center - Bangla Section, K.S.A (সংগৃহীত ও সংযোজিত)
🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸~🕸
প্রশ্নঃ- মেয়ে শিশুর কানে আযান দেয়া কি শরীয়ত
সম্মত?
কোন কানে আজান দিতে হবে?
উত্তর:- যে কোন নবজাতক (চাই ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক) ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথে তার কানে হালকা আওয়াজে আযান দেয়া উচিৎ যেন দুনিয়াতে আসার পর সর্বপ্রথম আল্লাহর নাম শুনতে পায় এবং শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়। কিন্তু একামত দেয়া ঠিক নয়।
আবু রাফে তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন:
” رأيتُ رسول الله صلى الله عليه و سلم أذّنَ في أُذُنِ الحسنِ ابن عليٍّ حين ولدتهُ فاطمة بالصلاة ” رواه أبو داود والترمذي و قال: هذا حديث صحيح.
“আমি রসূল (ছঃ)-কে আলীর পুত্র হাসানের কানে ছলাতের আযানের মত আযান দিতে দেখেছি, যখন ফাতেমা (রযি:) তাকে জন্ম দেয়।” হাদীসটিকে আবু দাউদ এবং তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী সহীহ বলেছেন। [তিরমিযী, অধ্যায়, আযাহী, অনুচ্ছেদ নং ১৫, হাদীস নং ১৫৫৩]
কিছু হাদীসে বাম কানে ইকামতের বর্ণনা এসেছে কিন্তু সেই হাদীসগুলি নিতান্তই দুর্বল। [দেখুন, তুহ্ফাতুল আহওয়াযী, ৫/৯০]
তাই সুন্নত হচ্ছে, নবজাতকের কানে আযান দেয়া। ডান কানে আযান আর বাম কানে একামত এমনটি নয়। আবার নির্দিষ্ট করে ডান কানে আজান দিতে ব্যাপারটা এমন নয়। এখানে কান উদ্দেশ্য নয়। নবজাতক-কে কোলে নিয়ে বা কাছে গিয়ে আজান দিতে হবে। এক্ষেত্রে অতি জোরে আজান দেওয়া ঠিক নয় এতে বাচ্চা ভয় পেতে পারে বা তার সমস্যা হতে পারে। এমন স্বরে আজান দিতে হবে যেন বাচ্চা শুনতে পায় এটাই যথেষ্ট।
প্রকাশ থাকে যে, অনেক আলেমের মতে (যেমন আলবানী রাহ.) নবজাতকের কানে আযান দেওয়ার হাদীসগুলির মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। তাই তারা এই আযান দেয়াকেও অবৈধ বলেছেন। আর অনেকে হাদীসগুলি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা হওয়ায় ও পৌনঃপুনিক ভাবে উম্মতের মাঝে আমলটি সচল থাকায় জায়েজ বলেছেন।
[বিস্তারিত দেখুন, আউলাদ আউর ওয়ালেদাইন কি কিতাব/৭৭-৭৮]
আল্লাহ আলাম।
➖➖➖➖➖➖➖➖
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল Daee At:
Jubail Dawah & Guidance Center - Bangla Section, K.S.A (সংগৃহীত ও সংযোজিত)
No comments:
Post a Comment