⏩প্রশ্ন: মহিলাদের জন্য পুরুষ এবং পুরুষদের জন্য মহিলা ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করা বৈধ কি?
উত্তর:
ইসলামের সাধারণ নিয়ম হল, পুরুষ রোগী পুরুষ ডাক্তার এবং মহিলা রোগী মহিলা ডাক্তার এর নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। যথাসম্ভব এর ব্যতিক্রম করা ঠিক নয়। এটা ডাক্তার ও রোগী উভয়ের ঈমান, আখলাক ও ইজ্জত-সম্ভ্রমের জন্য হেফাজতের কারণ। তবে যদি এমন ব্যবস্থা না থাকে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা আবশ্যক হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করা জায়েজ রয়েছে ইনশাআল্লাহ। কারণ ইসলামের একটি মূলনীতি হল, الضرورات تبيح المحظورات "জরুরি প্রয়োজন নিষিদ্ধ বিষয়কে বৈধ করে দেয়।"
সুতরাং প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যক হল, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তার এড়িয়ে চলা। বিশেষ করে রোগ যদি এমন হয় যে, তা চিকিৎসার ক্ষেত্রে পর্দা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহু আলাম।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জটিল রোগ-ব্যাধী থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
⏩প্রশ্ন: মহিলাদের জন্য কি একজন অনভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তার থেকে অভিজ্ঞ বিশ্বস্ত নন মাহরাম পুরুষ ডাক্তার দেখানো উচিত?
উত্তর:
উত্তর:
ইসলামের সাধারণ নিয়ম হল, পুরুষ রোগী পুরুষ ডাক্তার এবং মহিলা রোগী মহিলা ডাক্তার এর নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। যথাসম্ভব এর ব্যতিক্রম করা ঠিক নয়। এটা ডাক্তার ও রোগী উভয়ের ঈমান, আখলাক ও ইজ্জত-সম্ভ্রমের জন্য হেফাজতের কারণ। তবে যদি এমন ব্যবস্থা না থাকে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা আবশ্যক হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করা জায়েজ রয়েছে ইনশাআল্লাহ। কারণ ইসলামের একটি মূলনীতি হল, الضرورات تبيح المحظورات "জরুরি প্রয়োজন নিষিদ্ধ বিষয়কে বৈধ করে দেয়।"
সুতরাং প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যক হল, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তার এড়িয়ে চলা। বিশেষ করে রোগ যদি এমন হয় যে, তা চিকিৎসার ক্ষেত্রে পর্দা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহু আলাম।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জটিল রোগ-ব্যাধী থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
⏩প্রশ্ন: মহিলাদের জন্য কি একজন অনভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তার থেকে অভিজ্ঞ বিশ্বস্ত নন মাহরাম পুরুষ ডাক্তার দেখানো উচিত?
উত্তর:
অনভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করলে যদি আশঙ্কা থাকে যে, সে হয়তো রোগীর কোন ক্ষতি করে ফেলবে বা রোগীর উপযুক্ত চিকিৎসা হবে না এবং এর বিকল্প কোন অভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তারও না পাওয়া যায় তাহলে কোন অভিজ্ঞ পুরুষ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করা জায়েজ আছে ইনশাআল্লাহ। কারণ এটা অপারগ অবস্থা।
তবে চিকিৎসা গ্রহণের সময় তার সাথে স্বামী বা কোন মাহরাম পুরুষ থাকবে। মহিলা রোগীকে নি:সঙ্গভাবে পুরুষ ডাক্তারের কাছে আলাদা কক্ষে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া যাবে না। কেননা এতে ফেতনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মূলত: ইসলামের দৃষ্টিতে কোন পুরুষের সাথে কোন পরনারীর নির্জনে থাকাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেমন: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«ألا لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ»
“সাবধান! কোন পুরুষ কোনও মহিলার সাথে একান্তে নির্জনে গেলেই তাদের সাথে তৃতীয় জন হবে শয়তান।” (সহিহুল জামে ২৫৪৬-আলবানী)
তিনি আরও বলেন:
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلا يَخْلُوَنَّ بِامْرَأَةٍ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَحْرَمٌ
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন কোন পরনারীর সাথে নির্জন না হয় যখন তার মাঝে এবং সে নারীর মাঝে কোন মাহরাম পুরুষ না থাকে।” (সহিহুত তারগীব: ১৯০৯-আলবানী)
মোটকথা, একান্ত জরুরি অবস্থা না হলে পর পুরুষ ডাক্তারের নিকট কোন মুসলিম মহিলার জন্য এমন চিকিৎসা করা বৈধ নয়, যেই চিকিৎসা করার জন্য পর্দা লঙ্ঘিত হয়।
আল্লাহু আলাম
▬▬▬🌐পুরুষ ডাক্তার দ্বারা মহিলাদের সন্তান ডেলিভারি ও সিজার করা এবং একটি আহ্বান।
⏩প্রশ্ন: মহিলা ডাক্তার না থাকলে তখন পুরুষ ডাক্তারের সামনে ডেলিভারির সময় মহিলাদের গোপন স্থান বের করা কি গুনাহ হবে?
উত্তর:
মহিলা ডাক্তার এবং মহিলা নার্স এর মাধ্যমেই মহিলাদের সিজার বা সন্তান ডেলিভারি করা উচিত। এটি তাদের ইজ্জত-আব্রুর হেফজত এবং পর্দা রক্ষার জন্য সবচেয়ে উপযোগী একথায় কোনো সন্দেহ নাই।
তবে যদি এ বিষয়ে অভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তার ও নার্স না পাওয়া যায় তাহলে অনন্যোপায় হয়ে পুরুষ ডাক্তার বা নার্সের সাহায্য নেয়া জায়েয রয়েছে। এতে গুনাহ হবে না। কারণ এ ছাড়া আর বিকল্প নাই।
আর এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যই আল্লামা উসাইমীন রহ. মুসলিম মহিলাদের মেডিকেল পড়াকে ফরযে কিফায়া বলেছেন। অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে অবশ্যই কিছু মহিলার এ পেশায় আসা আবশ্যক যেন মহিলা সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখ, সিজার, সন্তান ডেলিভারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলিম নারীদেরকে পর পুরুষ বা অমুসলিমদের শরণাপন্ন না হতে হয়।
সুতরাং সমাজের অর্থশালী ও উদ্যোগী ব্যক্তিদের জন্য মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ/ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা ফরজ- যেন আমাদের দ্বীনদার বোনেরা পর পুরুষ থেকে আলাদা থেকে নির্বিঘ্নে এ বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে পারে।
তবে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা না থাকলেও দীনী বোনেরা পূর্ণ পর্দা ও শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থেকে প্রচলিত সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল বা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করবেন এবং ভবিষ্যতে মহিলাদের জন্য আলাদা মেডিক্যাল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।
সুতরাং এ সংকট থেকে আমাদের দীনী বোনদেরকে রক্ষা করতে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমাদের দেশের চিন্তাশীল ও দ্বীন দরদী ধনাঢ্য ব্যক্তিদেরকে এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করার উদাত্ত আহ্বান জানাই।
আল্লাহ সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন এবং দ্বীনের সেবায় কাজ করা তৌফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন।
--------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
তবে চিকিৎসা গ্রহণের সময় তার সাথে স্বামী বা কোন মাহরাম পুরুষ থাকবে। মহিলা রোগীকে নি:সঙ্গভাবে পুরুষ ডাক্তারের কাছে আলাদা কক্ষে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া যাবে না। কেননা এতে ফেতনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মূলত: ইসলামের দৃষ্টিতে কোন পুরুষের সাথে কোন পরনারীর নির্জনে থাকাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেমন: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«ألا لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ»
“সাবধান! কোন পুরুষ কোনও মহিলার সাথে একান্তে নির্জনে গেলেই তাদের সাথে তৃতীয় জন হবে শয়তান।” (সহিহুল জামে ২৫৪৬-আলবানী)
তিনি আরও বলেন:
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلا يَخْلُوَنَّ بِامْرَأَةٍ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَحْرَمٌ
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন কোন পরনারীর সাথে নির্জন না হয় যখন তার মাঝে এবং সে নারীর মাঝে কোন মাহরাম পুরুষ না থাকে।” (সহিহুত তারগীব: ১৯০৯-আলবানী)
মোটকথা, একান্ত জরুরি অবস্থা না হলে পর পুরুষ ডাক্তারের নিকট কোন মুসলিম মহিলার জন্য এমন চিকিৎসা করা বৈধ নয়, যেই চিকিৎসা করার জন্য পর্দা লঙ্ঘিত হয়।
আল্লাহু আলাম
▬▬▬🌐পুরুষ ডাক্তার দ্বারা মহিলাদের সন্তান ডেলিভারি ও সিজার করা এবং একটি আহ্বান।
⏩প্রশ্ন: মহিলা ডাক্তার না থাকলে তখন পুরুষ ডাক্তারের সামনে ডেলিভারির সময় মহিলাদের গোপন স্থান বের করা কি গুনাহ হবে?
উত্তর:
মহিলা ডাক্তার এবং মহিলা নার্স এর মাধ্যমেই মহিলাদের সিজার বা সন্তান ডেলিভারি করা উচিত। এটি তাদের ইজ্জত-আব্রুর হেফজত এবং পর্দা রক্ষার জন্য সবচেয়ে উপযোগী একথায় কোনো সন্দেহ নাই।
তবে যদি এ বিষয়ে অভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তার ও নার্স না পাওয়া যায় তাহলে অনন্যোপায় হয়ে পুরুষ ডাক্তার বা নার্সের সাহায্য নেয়া জায়েয রয়েছে। এতে গুনাহ হবে না। কারণ এ ছাড়া আর বিকল্প নাই।
আর এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যই আল্লামা উসাইমীন রহ. মুসলিম মহিলাদের মেডিকেল পড়াকে ফরযে কিফায়া বলেছেন। অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে অবশ্যই কিছু মহিলার এ পেশায় আসা আবশ্যক যেন মহিলা সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখ, সিজার, সন্তান ডেলিভারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলিম নারীদেরকে পর পুরুষ বা অমুসলিমদের শরণাপন্ন না হতে হয়।
সুতরাং সমাজের অর্থশালী ও উদ্যোগী ব্যক্তিদের জন্য মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ/ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা ফরজ- যেন আমাদের দ্বীনদার বোনেরা পর পুরুষ থেকে আলাদা থেকে নির্বিঘ্নে এ বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে পারে।
তবে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা না থাকলেও দীনী বোনেরা পূর্ণ পর্দা ও শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থেকে প্রচলিত সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল বা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করবেন এবং ভবিষ্যতে মহিলাদের জন্য আলাদা মেডিক্যাল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।
সুতরাং এ সংকট থেকে আমাদের দীনী বোনদেরকে রক্ষা করতে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমাদের দেশের চিন্তাশীল ও দ্বীন দরদী ধনাঢ্য ব্যক্তিদেরকে এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করার উদাত্ত আহ্বান জানাই।
আল্লাহ সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন এবং দ্বীনের সেবায় কাজ করা তৌফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন।
--------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
No comments:
Post a Comment