স্ত্রীর জন্য কার আনুগত্য অগ্রগণ্য, স্বামী নাকি পিতা মাতা?
স্ত্রী যদি পিতা মাতা ও স্বামী উভয়ের আনুগত্য করতে সক্ষম হয় তাহলে তা খুবই উত্তম । কিন্তু যখন পিতা মাতা ও স্বামীর আনুগত্যের মধ্যে বিরোধ দেখা দিবে তখন স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্যকে প্রাধান্য দিবে । যদি তার স্বামীর কাজটি অন্যায় কাজ না হয়। কারন স্বামীই তার স্ত্রীর বাকি জীবনের অভিভাবক।
শরীয়তে পিতা মাতার আনুগত্যের জন্য সুস্পষ্ট নাছ আছে কিন্তু স্বামী ও পিতা মাতার আনুগত্যে বিরোধ হলে কি করতে হবে সে বিষয়ে কোন নাছ বা দলীল নেই ।
তবে ক্ষেত্রে উলামাগণ বলেন , যখন একজন মেয়ে তার পিতা মাতার অভিভাবকত্বে থাকবে অর্থাৎ বিয়ের আগ পর্যন্ত সে তার পিতা মাতার আনুগত্য করবে ।কিন্তু বিয়ের পরে সে তার স্বামীর দায়ীত্বে ও অভিভাবকত্বে থাকে। তাই স্বামীর আনুগত্য করাই তার উপরে আবশ্যক ।
কিন্তু এর অর্থ এইটা না , বিবাহের পরে পিতা মাতার হক অবহেলা করতে হবে, বরং তাদের হক তো সর্বদা বিয়ের আগে বা পরে । কিন্তু বিরোধের সময় স্বামীর আনুগত্যকেই তাকিদ দেওয়া হয়েছে ।
1. কোন মহিলা নিজ স্বামীর সমূহ অধিকার আদায় না করলে সে আল্লাহ্ তা‘আলার সমূহ অধিকার আদায় করেছে বলে ধর্তব্য হবে না।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘‘আমি যদি কাউকে আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারোর জন্য সিজ্দাহ্ করতে আদেশ করতাম তা হলে মহিলাকে তাঁর স্বামীর জন্য সিজ্দাহ্ করতে আদেশ করতাম। কারণ, সে সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! কোন মহিলা নিজ প্রভুর সমূহ অধিকার আদায় করেছে বলে ধর্তব্য হবে না যতক্ষণ না সে তার স্বামীর সমূহ অধিকার আদায় করে। এমনকি কোন মহিলাকে তার স্বামী সহবাসের জন্য ডাকলে তাতে তার অস্বীকার করার কোন অধিকার নেই। যদিও সে তখন উটের পিঠে আরোহণ অবস্থায় থাকুক না কেন’’। (ইব্নু মাজাহ্ ১৮৮০; আহমাদ ৪/৩৮১ ইব্নু হিববান/ইহ্সান, হাদীস ৪১৫৯ বায়হাক্বী ৭/২৯২)
2.স্বামীর সন্তুষ্টিতেই স্ত্রীর জান্নাত এবং তার অসন্তুষ্টিতেই স্ত্রীর জাহান্নাম।
একদা জনৈকা সাহাবী মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার স্বামীর কথা উল্লেখ করলে তিনি তাকে বলেন:
‘‘ভেবে দেখো তার সাথে তুমি কি ধরনের আচরণ করছো! কারণ, সেই তো তোমার জান্নাত এবং সেই তো তোমার জাহান্নাম’’।
(আহমাদ ৪/৩৪১ নাসায়ী/’ইশ্রাতুন্ নিসা’, হাদীস ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮২, ৮৩ ইব্নু আবী শাইবাহ্ ৪/৩০৪; হা’কিম ২/১৮৯ বায়হাক্বী ৭/২৯১)
3.কোন মহিলা তার স্বামীর অবদানসমূহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তার প্রতি কখনো সন্তুষ্টির দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা এমন মহিলার দিকে (সন্তুষ্টির দৃষ্টিতে) তাকান না যে নিজ স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না; অথচ সে তার স্বামীর প্রতি সর্বদাই মুখাপেক্ষিণী’’। (নাসায়ী/’ইশ্রাতুন্ নিসা’, হাদীস ২৪৯, ২৫০; হা’কিম ২/১৯০ বায়হাক্বী ৭/২৯৪ খতীব ৯/৪৪৮)
4.কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিলে তার জান্নাতী অপরূপা সুন্দরী স্ত্রী তথা ’হূররা সে মহিলাকে তিরস্কার করতে থাকে।
মু‘আয বিন্ জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:.‘কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিলে তার জান্নাতী অপরূপা সুন্দরী স্ত্রীরা বলে: তাকে কষ্ট দিও না। আল্লাহ্ তোমাকে ধ্বংস করুক! কারণ, সে তো তোমার কাছে কিছু দিনের জন্য। বেশি দেরি নয় যে, সে তোমাকে ছেড়ে আমাদের কাছে চলে আসবে’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২০৪৪)
আল্লাহ্ তা‘আলা, তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং স্বামীর আনুগত্যহীনতার কারণেই অধিকাংশ মহিলারা জাহান্নামে যাবে।
’ইমরান বিন্ ’হুস্বাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:‘‘আমি জান্নাতে উঁকি মেরে দেখতে পেলাম, জান্নাতীদের অধিকাংশই গরীব শ্রেণীর এবং জাহান্নামে উঁকি মেরে দেখতে পেলাম, জাহান্নামীদের অধিকাংশই মহিলা’’। (বুখারী ৩২৪১; মুসলিম ২৭৩৮)
আবূ সা’ঈদ্ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন:
‘‘হে মহিলারা! তোমরা (বেশি বেশি) সাদাকা করো। কারণ, আমি তোমাদেরকেই জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী রূপে দেখেছি। মহিলারা বললো: কেন হে আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা বেশি লা’নত করে থাকো এবং স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করো না’’। (বুখারী ৩০৪; মুসলিম ৮০)
ইবনু কুদামা রহ বলেন, স্ত্রী তার স্বামীর অমুমতি ব্যতীত বাড়ি থেকে বের হতে পারবেনা খুবই জরুরী কাজ ছাড়া, হোক সেটি তার পিতা মাতাকে দেখতে যাওয়া ,বা তাদের সেবা করা বা তাদের কারো জানাজাতে উপস্থিত হওয়া (অর্থাত এগুলো জরুরী কাজের মধ্যে না)
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রহ বলেছেন, স্ত্রীর মা আসুস্থ এমন অবস্থাতে তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার মায়ের সেবা করতে পারবেনা, স্বামীর আনুগত্য করাটাই তার জন্য বেশি অাবশ্যক ( মুগনী)
তিনি আরো বলেন, স্বামীর সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এমন অবস্থাতে পিতামাতার আনুগত্য করা আবশ্যক না, বরং তার স্বামীর আনুগত্য করাটাই অধিক আবশ্যক, (ইনছাফ)
ইবনু হাজার হায়ছামী রহ বলেন,
জরুরী কারনে স্বামী ছাড়া বের হওয়া জায়েজের আলোচনা করার পরে,
সে বের হতে পারবেনা কোন অসুস্থ কে সেবা করার জন্য যদিও তার পিতা মাতা হয় , বা তার মৃত্যুতে উপস্থিত হওয়া ,বা তাদের জানাজাতে উপস্থিত (আল ফাতাওয়াতুল ফিকহিয়্যাতুল কুবরা)
শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা রহ বলেন,
যখন কোন মেয়ের বিবাহ হয়ে যায় তখন তার স্বামীই তার জন্য বড় অভিভাবক পিতামাতার চেয়ে ,এবং তার স্বামীর আনুগত্য করাটাই তার জন্য বেশি আবশ্যক, এবং তিনি আরে বলেন,
স্বামীর অনুমতি ছাড়া সে তার বাড়ি থেকে বের হতে পারবেনা সেটা পিতামাতা বা অন্য কোন বিষয়ে হোক না কেন..এ বিষয়ে ইমামগণ একমত আছেন,
(মাজমাউল ফাতাওয়া)
স্ত্রী যদি পিতা মাতা ও স্বামী উভয়ের আনুগত্য করতে সক্ষম হয় তাহলে তা খুবই উত্তম । কিন্তু যখন পিতা মাতা ও স্বামীর আনুগত্যের মধ্যে বিরোধ দেখা দিবে তখন স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্যকে প্রাধান্য দিবে । যদি তার স্বামীর কাজটি অন্যায় কাজ না হয়। কারন স্বামীই তার স্ত্রীর বাকি জীবনের অভিভাবক।
শরীয়তে পিতা মাতার আনুগত্যের জন্য সুস্পষ্ট নাছ আছে কিন্তু স্বামী ও পিতা মাতার আনুগত্যে বিরোধ হলে কি করতে হবে সে বিষয়ে কোন নাছ বা দলীল নেই ।
তবে ক্ষেত্রে উলামাগণ বলেন , যখন একজন মেয়ে তার পিতা মাতার অভিভাবকত্বে থাকবে অর্থাৎ বিয়ের আগ পর্যন্ত সে তার পিতা মাতার আনুগত্য করবে ।কিন্তু বিয়ের পরে সে তার স্বামীর দায়ীত্বে ও অভিভাবকত্বে থাকে। তাই স্বামীর আনুগত্য করাই তার উপরে আবশ্যক ।
কিন্তু এর অর্থ এইটা না , বিবাহের পরে পিতা মাতার হক অবহেলা করতে হবে, বরং তাদের হক তো সর্বদা বিয়ের আগে বা পরে । কিন্তু বিরোধের সময় স্বামীর আনুগত্যকেই তাকিদ দেওয়া হয়েছে ।
1. কোন মহিলা নিজ স্বামীর সমূহ অধিকার আদায় না করলে সে আল্লাহ্ তা‘আলার সমূহ অধিকার আদায় করেছে বলে ধর্তব্য হবে না।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘‘আমি যদি কাউকে আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারোর জন্য সিজ্দাহ্ করতে আদেশ করতাম তা হলে মহিলাকে তাঁর স্বামীর জন্য সিজ্দাহ্ করতে আদেশ করতাম। কারণ, সে সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! কোন মহিলা নিজ প্রভুর সমূহ অধিকার আদায় করেছে বলে ধর্তব্য হবে না যতক্ষণ না সে তার স্বামীর সমূহ অধিকার আদায় করে। এমনকি কোন মহিলাকে তার স্বামী সহবাসের জন্য ডাকলে তাতে তার অস্বীকার করার কোন অধিকার নেই। যদিও সে তখন উটের পিঠে আরোহণ অবস্থায় থাকুক না কেন’’। (ইব্নু মাজাহ্ ১৮৮০; আহমাদ ৪/৩৮১ ইব্নু হিববান/ইহ্সান, হাদীস ৪১৫৯ বায়হাক্বী ৭/২৯২)
2.স্বামীর সন্তুষ্টিতেই স্ত্রীর জান্নাত এবং তার অসন্তুষ্টিতেই স্ত্রীর জাহান্নাম।
একদা জনৈকা সাহাবী মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার স্বামীর কথা উল্লেখ করলে তিনি তাকে বলেন:
‘‘ভেবে দেখো তার সাথে তুমি কি ধরনের আচরণ করছো! কারণ, সেই তো তোমার জান্নাত এবং সেই তো তোমার জাহান্নাম’’।
(আহমাদ ৪/৩৪১ নাসায়ী/’ইশ্রাতুন্ নিসা’, হাদীস ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮২, ৮৩ ইব্নু আবী শাইবাহ্ ৪/৩০৪; হা’কিম ২/১৮৯ বায়হাক্বী ৭/২৯১)
3.কোন মহিলা তার স্বামীর অবদানসমূহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তার প্রতি কখনো সন্তুষ্টির দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা এমন মহিলার দিকে (সন্তুষ্টির দৃষ্টিতে) তাকান না যে নিজ স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না; অথচ সে তার স্বামীর প্রতি সর্বদাই মুখাপেক্ষিণী’’। (নাসায়ী/’ইশ্রাতুন্ নিসা’, হাদীস ২৪৯, ২৫০; হা’কিম ২/১৯০ বায়হাক্বী ৭/২৯৪ খতীব ৯/৪৪৮)
4.কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিলে তার জান্নাতী অপরূপা সুন্দরী স্ত্রী তথা ’হূররা সে মহিলাকে তিরস্কার করতে থাকে।
মু‘আয বিন্ জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:.‘কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিলে তার জান্নাতী অপরূপা সুন্দরী স্ত্রীরা বলে: তাকে কষ্ট দিও না। আল্লাহ্ তোমাকে ধ্বংস করুক! কারণ, সে তো তোমার কাছে কিছু দিনের জন্য। বেশি দেরি নয় যে, সে তোমাকে ছেড়ে আমাদের কাছে চলে আসবে’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২০৪৪)
আল্লাহ্ তা‘আলা, তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং স্বামীর আনুগত্যহীনতার কারণেই অধিকাংশ মহিলারা জাহান্নামে যাবে।
’ইমরান বিন্ ’হুস্বাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:‘‘আমি জান্নাতে উঁকি মেরে দেখতে পেলাম, জান্নাতীদের অধিকাংশই গরীব শ্রেণীর এবং জাহান্নামে উঁকি মেরে দেখতে পেলাম, জাহান্নামীদের অধিকাংশই মহিলা’’। (বুখারী ৩২৪১; মুসলিম ২৭৩৮)
আবূ সা’ঈদ্ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন:
‘‘হে মহিলারা! তোমরা (বেশি বেশি) সাদাকা করো। কারণ, আমি তোমাদেরকেই জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী রূপে দেখেছি। মহিলারা বললো: কেন হে আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা বেশি লা’নত করে থাকো এবং স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করো না’’। (বুখারী ৩০৪; মুসলিম ৮০)
ইবনু কুদামা রহ বলেন, স্ত্রী তার স্বামীর অমুমতি ব্যতীত বাড়ি থেকে বের হতে পারবেনা খুবই জরুরী কাজ ছাড়া, হোক সেটি তার পিতা মাতাকে দেখতে যাওয়া ,বা তাদের সেবা করা বা তাদের কারো জানাজাতে উপস্থিত হওয়া (অর্থাত এগুলো জরুরী কাজের মধ্যে না)
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রহ বলেছেন, স্ত্রীর মা আসুস্থ এমন অবস্থাতে তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার মায়ের সেবা করতে পারবেনা, স্বামীর আনুগত্য করাটাই তার জন্য বেশি অাবশ্যক ( মুগনী)
তিনি আরো বলেন, স্বামীর সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এমন অবস্থাতে পিতামাতার আনুগত্য করা আবশ্যক না, বরং তার স্বামীর আনুগত্য করাটাই অধিক আবশ্যক, (ইনছাফ)
ইবনু হাজার হায়ছামী রহ বলেন,
জরুরী কারনে স্বামী ছাড়া বের হওয়া জায়েজের আলোচনা করার পরে,
সে বের হতে পারবেনা কোন অসুস্থ কে সেবা করার জন্য যদিও তার পিতা মাতা হয় , বা তার মৃত্যুতে উপস্থিত হওয়া ,বা তাদের জানাজাতে উপস্থিত (আল ফাতাওয়াতুল ফিকহিয়্যাতুল কুবরা)
শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা রহ বলেন,
যখন কোন মেয়ের বিবাহ হয়ে যায় তখন তার স্বামীই তার জন্য বড় অভিভাবক পিতামাতার চেয়ে ,এবং তার স্বামীর আনুগত্য করাটাই তার জন্য বেশি আবশ্যক, এবং তিনি আরে বলেন,
স্বামীর অনুমতি ছাড়া সে তার বাড়ি থেকে বের হতে পারবেনা সেটা পিতামাতা বা অন্য কোন বিষয়ে হোক না কেন..এ বিষয়ে ইমামগণ একমত আছেন,
(মাজমাউল ফাতাওয়া)
No comments:
Post a Comment