Wednesday, November 20, 2019

খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত বা মজুদকারীর শাস্তি কি? অথবা পরিনাম কি?


মা‘মার বিন ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত কেবল (সমাজ বিরোধী) পাপী লোকেরাই করে থাকে। [৮৬৬]
ফুটনোটঃ
[৮৬৬] মুসলিম ১৬০৫, তিরমিযী ১২৬৭, আবূ দাউদ ৩৪৪৭, ইবনু মাজাহ ২১৫৪, আহমাদ ১৫৩৩১, ১৫৩৩৪, দারেমী ২৫৪৫। মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, (আরবী) অর্থাৎ যে গুদামজাত করে সেই পাপী (সমাজবিরোধী)।
বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ৮১৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

মা’মার ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নাযলাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ “শুধুমাত্র দুর্নীতিপরায়ণ মানুষই মজুতদারি করে থাকে”। আমি (মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম) সাঈদকে বললাম, হে মুহাম্মাদের পিতা! আপনিও তো মজুতদারি করে থাকেন। তিনি বললেন, মজুতদারি তো মা’মারও করতেন।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২১৫৪), মুসলিম
ফুটনোটঃ
আবূ ঈসা বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি তেল, গম ও এই জাতীয় জিনিস মজুত করতেন।
উমার, আলী, আবূ উমামা ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। মা’মার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। এ হাদীস মোতাবিক আলিমগণ আমল করেছেন। খাদ্যদ্রব্যের মজুতদারি করাকে তারা মাকরূহ বলেছেন। খাদ্যদ্রব্য ব্যতীত অন্য কিছুর মজুতদারি করার পক্ষে কিছু সংখ্যক আলিম অনুমতি দিয়েছেন। ইবনুল মুবারাক বলেছেন, তুলা, ছাগলের চামড়া বা ঐ ধরণের অন্য কিছুর মজুতদারি করাতে কোন সমস্যা নেই।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২৬৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

‘আদী ইবনু কা’বের(রাঃ) এক পুত্র মা‘মার ইবনু আবু মা‘মার (রাঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জঘন্য অপরাধী ছাড়া কেউই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি (মূল্য বৃদ্ধির আশায়) গুদামজাত করে না। আমি (মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর) সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) -কে বলি, আপনি তো গুদামজাত করেন। তিনি বলেন, মা‘মারও গুদামজাত করতেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, (কোন বস্তু) গুদামজাত করা নিষেধ? তিনি বললেন, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আওযাঈ‘ (রহঃ) বললেন, গুদামজাতকারী হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে বাজারজাত করার পথে প্রতিবন্ধক হয়।
সহীহঃ ইবনূ মাজাহ (২১৫৪)।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৪৪৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

মা’মার বিন আবদুল্লাহ বিন নাদলা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাপিষ্ঠ ব্যক্তি ছাড়া কেউ মজুতদারি করেনা। [২১৫৪]
ফুটনোটঃ
[২১৫৪] মুসলিম ১৬০৫, তিরমিযী ১২৬৭ আবূ দাউদ ৩৪৪৭, আহমাদ ১৫৩৩১, ২৬৭০৩, দারেমী ২৫৪৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২১৫৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...