পারফিউম ব্যবহারের ইসলামিক বিধান
.
ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম সৌন্দর্য্যমন্ডিত ধর্ম। ইসলাম ধর্মটাই সুন্দর, তাই সৌন্দর্য্যই ইসলামকে সুশোভিত করেছে। ইসলামে মানবজীবনের প্রত্যেকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তেমনিভাবে সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রয়েছে দিকনির্দেশনা। চলুন পারফিউম ব্যবহারের ইসলামিক বিধান সম্পর্কে জেনে নেই।
.
ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম সৌন্দর্য্যমন্ডিত ধর্ম। ইসলাম ধর্মটাই সুন্দর, তাই সৌন্দর্য্যই ইসলামকে সুশোভিত করেছে। ইসলামে মানবজীবনের প্রত্যেকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তেমনিভাবে সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রয়েছে দিকনির্দেশনা। চলুন পারফিউম ব্যবহারের ইসলামিক বিধান সম্পর্কে জেনে নেই।
পারফিউম বা সুগন্ধি যা থেকে মনোমুগ্ধকর ঘ্রাণ বের হয়। সুগন্ধির অনেক পরিভাষা রয়েছে যথাক্রমে মেশক, আম্বর, আতর, খুশবু ইত্যাদি। সুগন্ধি ফুলের নির্যাস, মৃগনাভি, সুরভিত তেল দিয়ে আতর তৈরি হয়। মেশক, আম্বর উত্তম সুগন্ধি। রাসূল (সা.) যখন রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করতেন, সুগন্ধির সুঘ্রাণ প্রকাশিত হতো।
মানুষ বুঝতে পারত যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) এ পথ দিয়ে গেছেন। সুগন্ধি আতর রাসূল (সা.) এর অত্যন্ত প্রিয় ছিল। শুধু আমাদের নবীরই সুগন্ধি প্রিয় ছিল তা নয়, অন্য নবীদেরও এ সুগন্ধি প্রিয় ছিল। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, চারটি বস্তু সব নবীর সুন্নত_ 'আতর (সুগন্ধি), বিয়ে, মেসওয়াক ও লজ্জাস্থান ঢাকা।' (মুসনাদে আহমাদ)। রাসূল (সা.) সব সময়ই সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) কে তার মুহরিম অবস্থায় নিজ হাতে খুশবু লাগিয়ে দিয়েছি এবং মিনাতে রওনা হওয়ার আগে আমি খুশবু লাগিয়েছি। (বোখারি)। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) এর কাছে এক ধরনের মিশ্রিত খুশবু ছিল, যা তিনি সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করতেন। (মুসলিম)।
মানুষ বুঝতে পারত যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) এ পথ দিয়ে গেছেন। সুগন্ধি আতর রাসূল (সা.) এর অত্যন্ত প্রিয় ছিল। শুধু আমাদের নবীরই সুগন্ধি প্রিয় ছিল তা নয়, অন্য নবীদেরও এ সুগন্ধি প্রিয় ছিল। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, চারটি বস্তু সব নবীর সুন্নত_ 'আতর (সুগন্ধি), বিয়ে, মেসওয়াক ও লজ্জাস্থান ঢাকা।' (মুসনাদে আহমাদ)। রাসূল (সা.) সব সময়ই সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) কে তার মুহরিম অবস্থায় নিজ হাতে খুশবু লাগিয়ে দিয়েছি এবং মিনাতে রওনা হওয়ার আগে আমি খুশবু লাগিয়েছি। (বোখারি)। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) এর কাছে এক ধরনের মিশ্রিত খুশবু ছিল, যা তিনি সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করতেন। (মুসলিম)।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, উত্তম সুগন্ধি হলো মেশক (তিরমিজি)। আল্লাহর রাসূল (সা.) সাধ্যমতো অন্য মানুষকে সুগন্ধি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, জুমার দিন যথাসম্ভব তোমরা সুগন্ধি ব্যবহার করো। (নাসাঈ)।
পুরুষের সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইসলাম উৎসাহিত করলেও নারীদের ক্ষেত্রে কিছু সময়, কিছু স্থান ব্যতীত সর্বদা সুগন্ধি ব্যবহার নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগি্নপুত্র (মুসলিম), স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারও কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণ না করে। মোমিনরা, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।' (সূরা নূর : ৩১)।
উল্লেখিত আয়াতে পরপুরুষের সামনে নারীর সাজসজ্জা প্রকাশ করা হারাম বলা হয়েছে। বলা বাহুল্য, নারীর সাজসজ্জার অন্যতম উপকরণ হলো সুগন্ধি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নব বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) আমাদের বলেছেন, যদি তোমাদের কেউ মসজিদে আসে, সে যেন সুগন্ধি না লাগায়। (মুসলিম)।
উল্লেখিত আয়াতে পরপুরুষের সামনে নারীর সাজসজ্জা প্রকাশ করা হারাম বলা হয়েছে। বলা বাহুল্য, নারীর সাজসজ্জার অন্যতম উপকরণ হলো সুগন্ধি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নব বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) আমাদের বলেছেন, যদি তোমাদের কেউ মসজিদে আসে, সে যেন সুগন্ধি না লাগায়। (মুসলিম)।
তবে নারী তার স্বামীর সামনে এবং মুহরিম ব্যক্তিদের সামনে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে।
সুগন্ধি রাসূল (সাঃ) খুব পছন্দ করতেন। সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নাত। আপনার রুচি অনুযায়ি আপনি যে কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করবেন।আসলে বর্তমান বাজারগুলোতে যেসব পারফিউম বা বডি স্প্রে পাওয়া যায় এগুলোর অধিকাংশটির মধ্যেই রয়েছে অ্যালকোহল। তবে অ্যালকোহলমুক্ত পারফিউমও পাওয়া যায়। তাই পারফিউম বা স্প্রে ব্যবহার করতে চাইলে এ্যালকোহলমুক্তগুলোই খরিদ করতে হবে। কারণ এ্যালকোহলযুক্ত স্প্রে ব্যবহার করা অনুত্তম।[মাবসূতে সারাখসী ২৪/৯; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/২৩০; তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম ১/৫৫১, ৩/৬০০; মাজমুআতুল ফাতাওয়া শারইয়্যাহ ১/১৮৪, ৪/৪৫]
অ্যালকোহলযুক্ত স্প্রে ব্যবহার করা অনুত্তম। নাজায়েয বা নাপাক নয়। তাই কাপড় বা শরীরে স্প্রে লাগিয়ে নামায পড়লে নামায সহীহ হয়ে যাবে ইংশাআল্লহ। [মাবসূতে সারাখসী ২৪/৯; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/২৩০; তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম ১/৫৫১, ৩/৬০০; মাজমুআতুল ফাতাওয়া শারইয়্যাহ ১/১৮৪, ৪/৪৫] এক্ষেত্রে আতর ব্যবহার করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment