বিষয়ঃ হাদিস সংকলন সম্পর্কে সংশয় দূর করুন
= নবী মুহাম্মদ (সা) এবং সাহাবাদের সময়ে হাদিস সংরক্ষণ ধারাঃ
* ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৬৭, সহিহ হাদিসঃ আবূ বাক্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, (মিনায়) তিনি তাঁর উটের উপর উপবেশন করলেন। জনৈক ব্যক্তি তাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিলো। তিনি বললেনঃ ‘এটা কোন্ দিন?’ আমরা চুপ করে রইলাম আর ধারণা করলাম যে, অচিরেই তিনি এ দিনটির আলাদা কোন নাম দিবেন। তিনি বললেনঃ “এটা কি কুরবানীর দিন নয়?” আমরা বললাম, ‘জি হ্যাঁ।’ তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ‘এটা কোন্ মাস?’ আমরা নীরব রইলাম আর ধারণা করলাম যে, অচিরেই তিনি এর আলাদা কোন নাম দিবেন। তিনি বললেনঃ ‘এটা কি যিলহাজ্জ মাস নয়?’ আমরা বললাম, ‘জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেনঃ ‘তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের সম্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের তোমাদের এ দিন, তোমাদের এ মাস, তোমাদের এ শহর মর্যাদাসম্পন্ন। এখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা (আমার এ বাণী) যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়। কারণ উপস্থিত ব্যক্তি সম্ভবত এমন এক ব্যক্তির নিকট পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার চেয়ে অধিক আয়ত্তে রাখতে পারবে।’
* ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৬৮, সহিহ হাদিসঃ ইব্নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রেখে নির্দিষ্ট দিনে নাসীহাত করতেন, আমরা যাতে বিরক্ত বোধ না করি।
* ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৯৯, সহিহ হাদিসঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ একদা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে প্রশ্ন করা হলোঃ হে আল্লাহর রাসূল! ক্বিয়ামতের দিন আপনার সুপারিশ লাভের ব্যাপারে কে সবচেয়ে অধিক সৌভাগ্যবান হবে? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আবূ হুরায়রা ! আমি মনে করেছিলাম, এ বিষয়ে তোমার পূর্বে আমাকে আর কেউ জিজ্ঞেস করবে না। কেননা আমি দেখেছি হাদীসের প্রতি তোমার বিশেষ লোভ রয়েছে। ক্বিয়ামতের দিন আমার শাফা’আত লাভে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান হবে সেই ব্যাক্তি যে একনিষ্ঠচিত্তে (لآ إِلَهَلا إله إلا الله) (আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই) বলে।
* ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ১১৩, সহিহ হাদিসঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণের মধ্যে ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আম্র (রাঃ) ব্যতীত আর কারো নিকট আমার চেয়ে অধিক হাদীস নেই। কারণ তিনি লিখতেন, আর আমি লিখতাম না।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৪, সহিহ হাদিসঃ ইবনু উমার (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কোন হাদীস শুনলে, তাতে তিনি নিজের পক্ষ থেকে কম-বেশি করতেন না।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২০, সহিহ হাদিসঃ আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি তোমাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করলে তোমরা মনে রাখবে যে, তিনি ছিলেন সর্বাধিক ধার্মিক, হিদায়াতপ্রাপ্ত ও আল্লাহ্ভীরু।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২২, হাসান হাদিসঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এক ব্যক্তিকে (ইবনু আব্বাসকে) বলেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি তোমার নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করলে তুমি তার বিপরীতে কোন দৃষ্টান্ত পেশ করো না।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৩, সহিহ হাদিসঃ আমর বিন মায়মূন থেকে বর্ণিতঃ প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে ইবনু মসঊদ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হতে আমার ভুল হতো না। কিন্তু আমি কখনও তাঁকে “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন” এভাবে কিছু বলতে শুনিনি। এক রাতে তিনি বলেন, “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন”। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি মাথা নিচু করলেন। রাবী বলেন, আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন যে, তার জামার বোতাম খোলা, তার চক্ষুদ্বয় অশ্রু বিগলিত এবং এর শিরাগুলো ফুলে গেছে। অতঃপর তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই বলেছেন অথবা এর অধিক বা কম বলেছেন অথবা এর কাছাকাছি বা এর অনুরূপ বলেছেন (অর্থাৎ তিনি যা বলেছেন তা আমার হুবহু মনে নেই)।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৪, সহিহ হাদিসঃ মুহাম্মদ বিন সীরীন থেকে বর্ণিতঃ আনাস বিন মালিক (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনাকালে ভীত-শংকিত হতেন এবং বলতেন, অথবা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ বলেছেন।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৫, সহিহ হাদিসঃ আবদুর রহমান বিন আবু লাইলা থেকে বর্ণিতঃ আমরা যায়দ বিন আরকাম (রাঃ) কে বললাম, আমাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীস বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি এবং (অনেক কিছুই) ভুলে গেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করা খুবই কঠিন দায়িত্ব।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৭,সহিহ হাদিসঃ তাঊস বিন কায়সান থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, আমরা হাদীস মুখস্থ করতাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছেই হাদীস মুখস্থ করা হতো। কিন্তু এখন তোমরা প্রতিটি কষ্টকর ও আরামদায়ক স্থানে (পর্যালোচনা ব্যতীত) উঠতে শুরু করেছ। তোমাদের জন্য আফসোস হয়।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৮,সহিহ হাদিসঃ কারাযাহ বিন কা’ব থেকে বর্ণিতঃ উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ), আমাদেরকে কূফার উদ্দেশ্যে পাঠালেন। তিনি আমাদের বিদায় দিতে আমাদের সাথে সিরার নামক স্থান পর্যন্ত হেঁটে আসেন। তিনি বলেন, তোমরা কি জানো আমি কেন তোমাদের সাথে চলে এসেছি? রাবী বলেন, আমরা বললাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহচর্যের কর্তব্য এবং আনসারদের প্রতি কর্তব্যের কারণে। উমার (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদের নিকট একটি বিশেষ কথা বলার উদ্দেশ্যে তোমাদের সঙ্গে চলে এসেছি। আমি আশা করি তোমাদের সাথে আমার চলে আসার প্রতি খেয়াল রেখে তোমরা তা মনে রাখবে। তোমরা এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছো, যাদের বক্ষস্থলে ফুটন্ত হাঁড়ির মত কুরআনের আওয়াজ হবে। তারা তোমাদেরকে দেখে তোমাদের প্রতি তাদের আনুগত্যের গর্দান এগিয়ে দিবে এবং বলবে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীগণ এসেছেন। তোমরা তাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কম সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করবে। তাহলে আমি তোমাদের সাথে আছি।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৩২,সহিহ হাদিসঃ আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আমার নিকট হতে একটি হাদীস শুনে তা অন্যদের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়, আল্লাহ্ তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেন। কখনো শ্রোতার চেয়ে প্রচারক অধিকতর স্মৃতিধর হয়ে থাকে।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৩৪,সহিহ হাদিসঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শোন! উপস্থিতরা যেন অনুপস্থিতদের নিকট (আমার কথা) পৌঁছিয়ে দেয়।
* ihadis.com, সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব, হাদিসঃ ৮৯, হাসান সহিহঃ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে একথা বলতে শুনেছিঃ “আল্লাহ তা’আলা মুখমন্ডল উজ্জল করুন সেই ব্যক্তির, যে আমাদের থেকে কিছু শুনবে, অতঃপর যেভাবে শুনেছে সেভাবেই অপরের কাছে পৌঁছে দিবে। কেননা যার কাছে পৌছান হয় সে অনেক সময় শ্রোতার চেয়ে অধিক সংরক্ষণকারী হয়।”
* ihadis.com, সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব, হাদিসঃ ৯০, সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “আল্লাহ তা’আলা উজ্জলতা দান করুন সেই ব্যক্তিকে যে আমাদের একটি হাদীছ শ্রবণ করে অতঃপর তা অপরের কাছে পৌঁছে দেয়।
= সাহাবীরা নিজেদের থেকে কিছুই বলতেন না, নবী (সা) থেকে যা শিখতেন তাই তাঁরা বলতেনঃ
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩০,সহিহ হাদিসঃ আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে, সে যেন জাহান্নামকে তার আবাস বানালো।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩৪,হাসান সহিহঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার নামে মনগড়া কথা রচনা করলো, যা আমি বলিনি, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করলো।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩৫,হাসান হাদিসঃ আবু কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এই মিম্বারের উপর বলতে শুনেছি: তোমারা আমার থেকে অধিক হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে সাবধান হও। কেউ আমার সম্পর্কে বলতে চাইলে সে যেন হক কথা বা সত্য কথাই বলে। যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা বলে যা আমি বলিনি, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করলো।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩৬,সহিহ হাদিসঃ আবদুল্লাহ ইবনুয-যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি (আমার পিতা) যুবায়র ইবনুল আওওয়াম (রাঃ)-কে বললাম, আমি যেমন বিন মাসঊদ (রাঃ) ও অমুক অমুক সহাবীকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনি তদ্রূপ আপনাকে কেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করতে শুনি না? তিনি বলেন, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে কখনও আমি তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। কিন্তু আমি তাঁকে একটি কথা বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে, সে যেন জাহান্নামে তার বাসস্থান নির্ধারণ করলো।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৪০,সহিহ হাদিসঃ আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আমার নামে কোন মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করলো, সে অন্যতম মিথ্যাবাদী।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৫৩,সহিহ হাদিসঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৬৬,সহিহ হাদিসঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার জানা জ্ঞানের কথা জিজ্ঞাসিত হয়ে তা গোপন করলে, কিয়ামাতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরানো হবে।
* ihadis.com, সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব, হাদিস ৪, সহিহ লি গাইরিহিঃ আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিদায় হজ্জে বলেনঃ ‘আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তির মুখমন্ডল উজ্জল করুন (তাকে সম্মানিত করুন) যে ব্যক্তি আমার কথা শুনে তা মুখস্ত রেখেছে। কেননা এমন কতই না জ্ঞান বহনকারী রয়েছে, অথচ সে ফকীহ (জ্ঞানী) নয়। তিনটি বিষয়ে কোন মুমিন ব্যক্তির অন্তরে হিংসা প্রবেশ করতে পারে না। (১) আল্লাহর জন্য আমলকে একনিষ্ঠ করা। (২) মুসলমানদের নেতৃবৃন্দকে নসীহত করা। (৩) মুসলমানদের জামাতকে আকড়ে ধরা। কেননা তাদের দু’আ তাদের পরবর্তীদেরকেও বেষ্টন করে।’
* ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৩৬৪৬, সহিহ হাদিসঃ আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যা কিছু শুনতাম লিখে রাখতাম। মনে রাখার জন্যই আমি এরূপ করতাম। কুরাইশরা আমাকে সবকিছু লিখতে বারণ করলেন এবং বললেন, তুমি কি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে শোনা সবকিছুই লিখে রাখো? তিনি তো একজন মানুষ, রাগ ও শান্ত উভয় অবস্থায় কথা বলে থাকেন। সুতরাং আমি লেখা স্থগিত রাখলাম। আমি এটা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি আঙ্গুল দিয়ে তাঁর মুখের দিকে ইশারা করে বললেনঃ তুমি লিখে রাখো, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এ মুখ হতে সর্বাবস্থায় সত্য ব্যতীত অন্য কিছু বের হয় না।
* ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৩৬৬০, সহিহ হাদিসঃ যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আমার নিকট হতে হাদীস শুনে তা মুখস্থ রাখলো এবং অন্যের নিকটও তা পৌছে দিলো, আল্লাহ তাকে চিরউজ্জ্বল করে রাখবেন। জ্ঞানের অনেক বাহক তার চেয়ে অধিক সমঝদার লোকের নিকট তা বহন করে নিয়ে যায়; যদিও জ্ঞানের বহু বাহক নিজেরা জ্ঞানী নয়।
হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ি রাশিদ্বীনের সুন্নাতের অনুসরণ করা যেহেতু তাঁরা নবী মুহাম্মদ (সা) থেকে ইসলাম শিখেছেনঃ
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৪২,সহিহ হাদিসঃ ইরবাদ বিন সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় আমাদের নাসীহাত করেন, যাতে অন্তরসমুহ ভীত হলো এবং চোখগুলো অশ্রু বর্ষণ করলো। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি তো বিদায় গ্রহণকারীর উপদেশ দিলেন। অতএব আমাদের নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করুন (একটি সুনির্দিষ্ট আদেশ দিন)। তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহ্ভীতি অবলম্বন করো, শ্রবণ করো ও আনুগত্য করো (নেতৃ-আদেশ), যদিও সে কাফ্রী গোলাম হয়। আমার পরে অচিরেই তোমরা মারাত্মক মতভেদ লক্ষ্য করবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাত ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নাত অবশ্যই অবলম্বন করবে, তা দাঁত দিয়ে শক্তভাবে কামড়ে ধরবে। অবশ্যই তোমরা বিদ‘আত কাজ পরিহার করবে। কারন প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা।
কুরআন এবং নবী মুহাম্মদ (সা) সুন্নাহ অনুসরন করতে হবেঃ
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ১২, সহিহ হাদিসঃ আল-মিকদাম বিন মা’দীকারিব আল-কিনদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অচিরেই কোন ব্যক্তি তার আসনে হেলান দেয়া অবস্থায় বসে থাকবে এবং তার সামনে আমার হাদীস থেকে বর্ণনা করা হবে, তখন সে বলবে, আমাদের ও তোমাদের মাঝে মহামহিম আল্লাহ্র কিতাবই যথেষ্ট। আমরা তাতে যা হালাল পাব তাকেই হালাল মানবো এবং তাতে যা হারাম পাবো তাকেই হারাম মানবো। (মহানবী বলেন) সাবধান! নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ্ যা হারাম করেছেন তার অনুরূপ।
* ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ১৩, সহিহ হাদিসঃ আবু রাফি' (রাঃ) [রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুক্ত করা দাস] থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যেন তোমাদের কাউকে এরূপ না পাই যে, সে তার আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকবে এবং (এই অবস্থায়) আমার প্রদত্ত কোন আদেশ বা আমার প্রদত্ত কোন নিষেধাজ্ঞা তার নিকট পৌঁছলে সে বলবে, আমি কিছু জানিনা, আমরা আল্লাহ্র কিতাবে যা পাবো তার অনুসরণ করবো।
উপরের বিশুদ্ধ দলিল প্রমান থেকে আমরা জানতে পারলামঃ
১/ নবী মুহাম্মদ (সা) হাদিস সংরক্ষণের ব্যাপারে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন ।
২/ সাহাবীরা হাদিস মুখস্ত করে রাখতো ।
৩/ সাহাবীরা নিজের থেকে কিছু বানিয়ে বলতেন না , বরং নবী মুহাম্মদ (সা) যা শিক্ষা দিতেন তাই তাঁরা নিজে শিখতেন এবং অন্যকে বলতেন ।
৪/ হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ি রাশিদ্বীনের সুন্নাতের অনুসরণ করা যেহেতু তাঁরা নবী মুহাম্মদ (সা) থেকে ইসলাম শিখেছেন।
৫/ কুরআন এবং নবী মুহাম্মদ (সা) এর সুন্নাত অনুরসন করতে হবে অনেকেই বলেন যে আমরা শুদু কুরআন মানি হাদিস মানি না তাদের জন্য এই শেষ পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন নবী (সা) নিজেই বলেছেন কুরআন এবং সুন্নাহ অনুসরন করতে ।
এখন আমরা জানব সাহাবীদের থেকে কিভাবে তাবীঈ এরপরে তাবে তাবেইরা হাদিস সংরক্ষণ করেছেনঃ
* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেসি (রহ), পৃষ্ঠা ২২ এবং তাযকেরাতুল হোফফায এর ১১২ পৃষ্ঠায় আছেঃ সাহাবাদের মধ্যে হাদিসের হাফেজদের সংখ্যা ২২ জন । প্রবীণ তাবেইদের স্তরে হাফেজদের সংখ্যা ৪০ জন । তাবেইদের মাধ্যমিক হাদিসের হাফেজদের সংখ্যা হল ৩০ জন । এ ছাড়া তাঁদের পরবর্তী যুগে বিভিন্ন সময়ে "হোফফাজে হাদিস" মানে যারা হাদিস মুখস্ত করে এদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে । ইমাম যাহাবি (রহ) নিজের "তাযকেরাতুল হোফফাজ" গ্রন্থে আগের বহু হাদিসের হাফেজদের নাম বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেসি (রহ), পৃষ্ঠা ৩০, হযরত সাদ বিন ইবরাহীম (রা) বর্ণনা করেছেন, হযরত ওমর বিন আব্দুল আযিয (রা) আমাদেরকে হাদিস সংগ্রহ করার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন । তাঁর নির্দেশক্রমে আমরা স্বতন্ত্র দফতরে হাদিস লিপিবদ্ধ করেছিলাম । ঐ দফতরগুলো খলিফার আদেশে সাম্রাজ্যের প্রত্যেক প্রদেশে প্রেরিত হয়েছিল।
* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেদি (রহ), পৃষ্ঠাঃ ৪০, ইমাম মালেক (রহ) এক লক্ষ হাদিস থেকে বাছাই করে প্রথমে ১০ হাজার হাদিস সংকলন ও লিপিবদ্ধ করেন । অতপর এ বাছাই করা হাদিস থেকে ছাটাই করতে করতে বর্তমানের বইয়ের রুপ ধারন করে তথা "মুয়াত্তা ইমাম মালেক" গ্রন্থ । ইমাম মালেক (রহ) তাঁর বইটি তিনি মদিনার ৭০ জন ফকিহদের নিকট পেশ করেন সম্পাদনা করার জন্য । তাঁরা সকলেই এই বইয়ের নির্ভরযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয় । এর জন্য ইমাম মালেক (রহ) নিজেই বলেছেনঃ হাদিসবেত্তাগন সকলেই এই বইটি সমর্থন করেছেন এই কারনে আমি এই বইয়ের নাম দিলাম মুয়াত্তা বা সমর্থিত ।
* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেদি (রহ), পৃষ্ঠাঃ ৫৩, হাদিস সংকলনের যুগ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যত নির্ভরযোগ্য হাদিসের কিতাব লেখা হয়েছে তার বিস্তারিত উল্লেখ আছেঃ "কাশফুয জুনুন" এবং "ইতেহাফুন নোবালা" ।
* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেদি (রহ), পৃষ্ঠাঃ ৫৭, ইমাম বুখারি (রহ) লিখিত "বুখারি শরীফ" এর পূর্ণ নাম হলঃ আল জামেউস সহিহ আল মুসনাদু মিন হাদিসির রাসুলে (সা) ওয়া আইমামিহি। ইমাম বুখারি (রহ) এর কাছে ৬ লক্ষ হাদিস সংরক্ষিত ছিল অর্থাৎ তিনি ৬ লক্ষ হাদিসের হাফেজ ছিলেন । তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর সময় ধরে বুখারি শরীফ লেখার কাজ সমাপ্ত করেন । "বুখারি শরীফে" হাদিসের সংখ্যা ৭০০০ এর অধিক ।
* এ ছাড়া আরও যেসব বিখ্যাত হাদিসের কিতাব আছে যেমনঃ
= সহিহ বুখারি = হাদিস সংখ্যাঃ ৭৫৬৩ টি হাদিস ।
= সহিহ বুখারি = হাদিস সংখ্যাঃ ৭৫৬৩ টি হাদিস ।
= সহিহ মুসলিম = হাদিস সংখ্যাঃ ৭৪৫৩ টি হাদিস ।
= সুনানে নাসায়ি = হাদিস সংখ্যাঃ ৫৭৫৮ টি হাদিস ।
= সুনানে আবু দাউদ = হাদিস সংখ্যাঃ ৫২৭৪ টি হাদিস ।
= জামে আত তিরমিজি = হাদিস সংখ্যাঃ ৩৯৫৬ টি হাদিস ।
= সুনানে ইবনে মাজাহ = হাদিসের সংখ্যাঃ ৪৩৪১ টি হাদিস ।
= মুয়াত্তা ইমাম মালেক = হাদিসের সংখ্যাঃ ১৮৩২ টি হাদিস ।
= মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা = হাদিসের সংখ্যাঃ ৩৯ হাজারের বেশি হাদিস আছে এই গ্রন্থে ।
ইত্যাদি ইত্যাদি আরও বিশাল বিশাল কিতাব আছে যা এখানে উল্লেখ করলে লেখা আরও বেশি হয়ে যাবে তাই সেগুলা আর উল্লেখ করা হচ্ছে না । হাদিস সংকলন বিষয় আমার এই লেখাটি খুবই সংক্ষেপ করা হয়েছে কারন বিস্তারিত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে গেলে আরেকটি বিশাল বই হয়ে যাবে তাই আমি এখানে আপনাদের সুবিধার জন্য খুবই সংক্ষেপে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করেছি যাতে হাদিস সংকলন নিয়ে আপনাদের মনে কোন বাজে সংশয় না আসে । হাদিস সংকলন নিয়ে একটি সোজা কথা স্মরণ রাখুন তা হলঃ নবী মুহাম্মদ (সা) থেকে তাঁর সাহাবীরা হাদিস সংরক্ষণ করে লিখে অথবা মুখস্ত করে। এরপরে সাহাবীদের থেকে তাঁদের ছাত্ররা তথা তাবেইরা হাদিস শিক্ষা লাভ করেন এরপরে তাবেইদের ছাত্ররা ্............এভাবে এভাবে আমাদের পর্যন্ত .....................হাদিস সংকলন বিষয় বিস্তারিত জানতে যেই কিতাব গুলো আপনাদের পড়া উচিৎ তা হলঃ
১/ হাদিস শাস্রের ইতিহাস । লিখেছেনঃ মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেদি (রহ) ।
২/ হাদিস সংকলনের ইতিহাস । লিখেছেনঃ মাওঃ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (রহ) ।
৩/ রিজাল শাস্র ও জাল হাদিসের ইতিবৃত্ত । লেখকঃ ডঃ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
৪/ আসমাউর রিজাল (প্রসিদ্ধ কয়জন রাবির জীবনী) । লেখকঃ মুফতি গোলাম রব্বানি ভুইয়া (রহ) ।
৫/ ছিহা ছিত্তাহর রাবি পরিচিতি । লেখকঃ হাফেজ মুহাম্মদ উসমান গনি ।
৬/ হাদিস শরিফ শাস্র । লেখকঃ মুহাম্মদ আব্দুল হাই নদভি ।
৭/ হাদিসের তত্ব ও ইতিহাস । লেখকঃ মাওঃ নুর মুহাম্মদ আজমি (রহ) ।
৮/ হাদিস চর্চায় ইমাম আবু হানিফা (রহ)এর অবদান । লেখকঃ মোঃ আবুল কাসেম ভুইয়া ।
৯/ ইসলামী ফিকহের ঐতিহাসিক পটভূমি । লেখকঃ মাওঃ মুহাম্মদ তাকি আমিনি (রহ) ।
১০/ হাদিসের পরিভাষা । লেখকঃ ডঃ মুহাম্মদ আত তাহহান (রহ) ।
কিছু প্রশ্নঃ
* নবী মুহাম্মদ (সা) সবসময়ের জন্য হাদিস সংরক্ষণ করতে নিসেধ করেছেন এমন একটি সহিহ হাদিস দেখান ?
* সাহাবীরা হাদিস সংরক্ষণ করতে পারেন নাই এমন একটি সঠিক তথ্য প্রমান দেন ?
* তাবেইরা কেউই হাদিসের হাফেজ ছিলেন না এই দাবির পক্ষে একটি প্রমান দিন ?
* ইসলামের এমন একটি যুগ দেখান যেই সময়ে হাফেজে হাদিস ছিল না ?
* হাদিস মানা যাবে না এই শব্দে পারলে একটি সহিহ হাদিস দেখান ?
* হাদিস সংরক্ষণ করা হয় নি এর পক্ষে একটি প্রমান দেন ?
* নবী মুহাম্মদ (সা) থেকে তাঁর সাহাবীরা এরপরে তাবেইরা এরপরে তাবে তাবেইরা এরপরে ... এইভাবেই ধিরে ধিরে হাদিস আমাদের কাছে এসেছে বিস্তারিত উপরেই লিখেছি এখন আপনি প্রমান করুন এই সুত্র অথবা সনদ ভুল?
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
No comments:
Post a Comment