Tuesday, August 20, 2019

দাইউস কে?

💜 রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ
আল্লাহ তিন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম করেছেন,
১-মাদকাসক্ত,
২-পিতা-মাতার অবাধ্য,
৩-দাইয়ুস।"
___________(মুসনাদে আহমাদ-২/৬৯)।
দাইউস কে?
-------->
যে ব্যক্তি তাঁর স্ত্রি-সন্তানদের বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার সুযোগ দেয় তাঁকেই দাইয়ুস বলে।
আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা
৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে এমনকি তাহাজ্জুদ সলাত আদায় করে কিন্তু তাঁর অধীনস্থ মেয়ে বা বোন বা স্ত্রী
কি করছে, কোথায় চলছে, কি পোশাক পড়ছে,
কাদের সাথে মিশছে, সে বিষয়ে কোন খোঁজ খবর নেই। এমন ব্যক্তির পরিণাম খুবই ভয়াবহ যা উপরোক্ত
হাদিসে উল্যেখ করা হয়েছে।
💜 রাসুলুল্লাহ (স:) এর অন্য এক হাদিসে এসেছে,
"একজন নারী যদি বেপর্দায় চলাফেরা করে তাহলে চারজন পুরুষ জাহান্নামে যাবে,
এই চার জন পুরুষ কে 'দাইয়ুস' বলা হয়।
সে চারজন পুরুষ হল--
১. নারীর বাবা
২. নারীর বড় ভাই
৩. নারীর স্বামী
৪. নারীর বড় ছেলে।
____________________(মুসনাদে আহমদ ৫৮৩৯)
আবার কিছু মানুষ শুধু চায় তাদের অধীনস্থ মেয়েরা পর্দায় থাকুক কিন্তু পর্দায় থাকার জন্য যেভাবে সাহায্য করা উচিত সেভাবে সাহায্য করে না,
যেমন- সঠিক পর্দা সম্মত পোশাক কিনে দেয় না,
বাড়িতে অন্য পুরুষ মেহমান আসলে তারা যেন বাড়ীর মেয়েদের থেকে পুরোপুরি পর্দার সাথে আলাদা থাকতে পারে সেরকম রুমের ব্যবস্থা করে না,
এমনকি বাড়ীর মেয়েদেরকে দিয়েই মেহমানদের উদ্দেশে খাবার পাঠানো হয়, তাছাড়া
গ্রামে তো কোন কোন বাড়িতে গোসলের ব্যবস্থা বা বাথরুমের ব্যবস্থা পর্যন্ত থাকে না, যে কারণে মহিলারা বেপর্দা হতে বাধ্য হয়,
এই পুরুষগুলোকেই রাসুলুল্লাহ (স:) দাইউস বলেছেন। কেননা, মূলত তাদের দ্বারাই তাদের অধীনস্থ মেয়েরা বেপর্দায় থাকার সুযোগ পায়।
অতএব, এদের পরিণাম বড়ই খারাপ (জান্নাত হারাম)।
মহান আল্লাহ আমাদের এমন ভয়াবহ পরিণাম হওয়া থেকে হেফাযত করুন, আমিন।।
★ কাদের সাথে কতটুকু পর্দা করে চলতে হবেঃ
--------------------­----------->
মাহ্‌রাম পুরু্ষদের সামনে নারীর পর্দা গলা থেকে
হাঁটু পর্যন্ত। মাহরাম বলতে বুঝায় যাদের সাথে বিয়ে চিরতরে হারাম, যেমন নিজের বাবা, শ্বশুর, ছেলে, আপন বোনের ছেলে, আপন ভায়ের ছেলে,
এরকম আরও কিছু রয়েছে,
অবশ্য কোন চরিত্রহীন মাহ্‌রাম পুরুষের কথায় বা ভাবভঙ্গিতে অশ্লীলতা ও কামভাব বুঝলে, তার নিকটেও যথা সম্ভব অন্যান্য অঙ্গও পর্দা করবে।
মাহরাম ছাড়া অন্য পুরুষদের সামনে নারীকে পুরো শরীর ঢেকে রাখতে হবে কেননা
রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ-মেয়ে মানুষের সবটাই লজ্জাস্থান (গোপনীয়)। আর সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে পরিশোভিতা করে তোলে।
----------------------------- (তিরমিজি, মিশকাত-৩১০৯)।
বেশীরভাগ স্কলাররাই মহিলাদের চেহারা বা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতে বলেছেন, বিপরীতে যে স্কলারগন মহিলাদের চেহারা বা মুখমণ্ডল খোলা রাখা জায়েজ বলেছেন স্বয়ং তারাই বলেছেন-যদি ফেতনার আশঙ্কা থাকে তবে মুখও ঢেকে রাখতে হবে আর এখন ফেতনার আশঙ্কা নয়, সর্বত্র শুধু ফেতনা আর ফেতনা। তাই অবশ্যই মুখমণ্ডল ঢেকেই পর্দা করতে হবে।
আবার কেউ কেউ পা খোলা রাখে কিন্তু পা তো অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে এব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। খালাতো, ফুফাতো, চাচাতো, মামাতো ভাই, দেবর-ভাসুর এদের সামনে নারীদের সম্পূর্ণ পর্দা করতে হবে,
এই ব্যপারে অনেক মানুষই বেখেয়াল।
দৃষ্টিহীন অন্ধ ব্যক্তিদের সামনে পর্দা করা প্রয়োজন নয়। আর অন্ধদেরকে পর্দা করার বর্নিত হাদীস দুর্বল।
অন্যান্য মুসলিম নারীদের সামনে শালিনতা বজায় রাখবে। তবে কোন চরিত্রহীনা নারীর সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করা উচিত নয়। অনুরূপ যে নারীরা অন্য নারীর রূপ কোন বন্ধু বা স্বামীর নিকটে বর্ণনা করে তাদের সামনে বেপর্দা হওয়া নিষিদ্ধ। আর অমুসলিম মহিলাদের সামনে হাত ও চেহারা ছাড়া অন্যান্য অঙ্গ খোলা বৈধ নয়।


No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...