আসুন একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।
:
প্রথমেই একটা হাদিস বলি, রসুলুল্লহ সঃ বলেন,,
♦ "তোমরা আল্লহর দাসীদের গায়ে হাত তুলবে না/ মারবে না......... তোমাদের মধ্যে যারা মারপিট করে তারা উত্তম নয়" (হাদিসের কিছু অংশ)
[আবু দাউদঃ২১৪৬, ইবনে মাজাহঃ১৯৮৫, দারেমীঃ২২১৯, গায়াতুল মারামঃ২৫১]
:
♦আরেকটা হাদিস বর্ণনা করি। এটা সহিহ হাদিস। অনেকেই হাদিসটি শুনেছেন। কিন্তু কিছু মানুষ এই হাদিসটিকে নিয়ে ইস্যু বানিয়েছে।
:
প্রথমেই একটা হাদিস বলি, রসুলুল্লহ সঃ বলেন,,
♦ "তোমরা আল্লহর দাসীদের গায়ে হাত তুলবে না/ মারবে না......... তোমাদের মধ্যে যারা মারপিট করে তারা উত্তম নয়" (হাদিসের কিছু অংশ)
[আবু দাউদঃ২১৪৬, ইবনে মাজাহঃ১৯৮৫, দারেমীঃ২২১৯, গায়াতুল মারামঃ২৫১]
:
♦আরেকটা হাদিস বর্ণনা করি। এটা সহিহ হাদিস। অনেকেই হাদিসটি শুনেছেন। কিন্তু কিছু মানুষ এই হাদিসটিকে নিয়ে ইস্যু বানিয়েছে।
"যদি আল্লহ ব্যতীত আর কাউকে সিজদাহ দেয়ার অনুমতি থাকতো তবে আমি নারীদের নির্দেশ দিতাম তাঁরা যেন তাঁদের স্বামীদের সিজদাহ দেয়।"
[তিরমিজীঃ১১৫৯, রিয়াদুস সলিহিনঃ ২৯১]
[তিরমিজীঃ১১৫৯, রিয়াদুস সলিহিনঃ ২৯১]
ওরে বাবা! আল্লহর নাবী এ কী বলে ফেললেন!! এ যে সুস্পষ্ট পুরুষবাদী মন্তব্য!! আগেই বলেছিলাম, ইসলাম নারী-পুরুষে বৈষম্য সৃষ্টি করে!! মেয়েদের দমিয়ে রাখে!! ইত্যাদি ইত্যাদি...
হে আমার দীনিবোনেরা, চিন্তা ভাবনা না করে মন্তব্য করাতো তাসলিমা নাসরিনের মত লোকের কাজ! আপনাকে বুঝতে হবে কথাটার গভীরতা কী?
:
ইসলামে কেন আল্লহকে সিজদাহ করতে বলে জানেন? কারন তিনি আমাদের “রব।”
"রব" শব্দের অর্থ হচ্ছে যিনি একই সাথে আমার সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, লালনকর্তা, রক্ষাকর্তা ইত্যাদি, মোটকথা আমার পুরো অস্তিত্বের মালিক। মানে হচ্ছে তিনি হচ্ছেন আমার "আলটিমেট অথরিটি।" যাঁর প্রতি জেনুইন শ্রদ্ধায়, কৃতজ্ঞতায়, ভালবাসায় আমি আমার মাথা মাটিতে নত করি।
:
♦তাহলে বুঝতে পারছেন প্রতিটা স্বামীকে তাঁর স্ত্রীর প্রতি কোন লেভেলের দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে তাঁর স্ত্রী (আল্লহর অনুমতি থাকলে) "জেনুইন" শ্রদ্ধায়-ভালবাসায়- কৃতজ্ঞতায় মাথা নত করে দিত?
কাজটা ভয়ংকর কঠিনরে ভাই। বৌয়ের "জেনুইন শ্রদ্ধা" পাওয়ার তুলনায় এভারেস্ট জয় করা নিতান্তই ডাল ভাত!!
কাজেই যেসমস্ত মহিলারা হাদিসটা শুনে কপালটা কুঁচকে গালাগালি শুরু করে দিয়েছিলেন, তাঁরা এখন দয়া করে কপালটা স্থির করে ফেলুন এবং যে সমস্ত পুরুষগণ হাদিসটার ভুল ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে এতদিন ফায়দা লুটে এসেছেন - তাঁরা তওবা করে আবারও কালিমা পরে মুসলিম হন।
:
♦ হাদিস বিকৃতি করাটাও মারাত্মক গুনাহ। আমাদের দেশে একদল পারভার্ট(pervert) বউ পিটিয়ে বিপুল আনন্দ লাভ করে। তাদের যখন বলা হয়, "ওহে মানুষরূপী জানোয়ার, তুমি বউ পেটাও কেন?" উত্তরে সে জবাব দেয়-- "আল্লহ কুরআনে অনুমতি দিয়েছে, - তোমার কী?"
বদমাইশটাকে যখন আরেকটা সহিহ হাদিস ("হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর দাসীদের গায়ে হাত তুলো না..................") শুনিয়ে বলা হয় " নাবীজি (সঃ) জীবনেও তাঁর স্ত্রীদের গায়ে হাত তোলেননি, তাহলে কী তিনি আল্লহর নির্দেশ মানেন না?"
:
তারপরেও ফকিরের দল একই কথাই আওড়ায়, কুরআনে সুরাহ নিসায় আল্লহ পাক বলেছেন, "বৌদের গায়ে হাত তোলা জায়েজ।"
:
♦আমার পক্ষ থেকে উপদেশঃ বৌকে যদি ভালবাসতে না পারেন, তাহলে বিয়ে করবেন না। আর যদি কাউকে মারধর করতেই হয়, তবে বক্সিং ক্লাবে ভর্তি হন। মেয়ে মানুষ কোন বালির বস্তা না যে সেখানে আপনি বক্সিং প্র্যাকটিস করবেন!!
:
♦কথা বাড়াবার আগে নবীজির (সঃ) হাদিসটা ব্যাখ্যা করি। বুঝবেন কেন এই
ভদ্রলোক বিশ্বের সর্বকালের সর্বসেরা মানব। যাঁর প্রতিটা কথার গভীরতা অতল। তিনি কিন্তু বলতে পারতেন, "তোমরা মেয়েদের/নারীদের গায়ে হাত তুলো না।" তিনি কেন বললেন "আল্লহর দাসী?"
ব্যাখ্যাটা সহজ। ধরুন, আপনি একটি পার্কে গেলেন। পার্কের একটি বেঞ্চ খুঁজে বের করে হুদাই লাথি দিয়ে বেঞ্চটাকে ভেঙ্গে ফেললেন। বেঞ্চটা যেহেতু সরকারী সম্পত্তি, তাই শেখ হাসিনা (সরকার) নিশ্চই আপনার সাথে বেঞ্চ ভাঙ্গা নিয়ে ঝগড়া করতে আসবেন না। কিন্তু আপনি যদি আমার ড্রয়িংরুমে এসে হুদাই আমার সোফা ভাঙ্গেন, তাহলে আমিও নিশ্চিত করবো যে আপনি আমার সদর দরজা দিয়ে হুইল চেয়ারে বসে বের হবেন ইংশাআল্লহ!
:
"আল্লহর দাসী" সম্বোধনের মধ্য দিয়ে নাবীজি (সঃ) মানুষদের সাবধান করে
দিয়েছেন যে এদের ঘাটাঘাটি করলে আল্লহ নিজে ইনভল্ভড হবেন ইংশাআল্লহ। এখন
আল্লহর বিরুদ্ধে যাবার সাহস তোমার আছে??
:
♦এখন আসি, কোরআনের সেই সর্বদা বিকৃতি ঘটানো আয়াতটিতে। যে আয়াতটি ভাঙিয়ে তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দিনরা এখনও তাদের পেট পালে। তাদের কথা বিশ্বাস করে একদল লোক বেহুদা ফাল পাড়ে। আবার তাদের ফালাফালির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরেকদল দল জলকে আরও বেশি ঘোলা করে। কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে জন্মে, বাংলাদেশে বড় হয়ে, বাংলায় কথা বলে কোন সাধারন ছেলেকে যদি আমি মাইকেলের মেঘনাদবধ মহাকাব্য ধরিয়ে বলি পড়ে শোনাতে, ছেলেটা মহাকাব্যের শক্তিশালী শব্দ ঝংকারে মুগ্ধ হতে হতে একেবারে কুপোকাত হয়ে বলতে বাধ্য হবে, "কী ভাষায় লিখছে ভাই? এইটা কী বাংলা?"
সেখানে ক্লাসিক্যাল আরবির (বর্তমান আরবদেরও পক্ষে সেই ভাষা কঠিন) অতি দূর্বল তর্জমা পড়ে কেউ যদি কুরআনের সমালোচনা করতে বসে - তাহাকে আহাম্মক না বলিয়া আর কী নামে ডাকা যায় তাহা আমার বোধগম্য নয়।
কথা না বাড়িয়ে পুরো আয়াতটা পড়া যাক------
:
♦ "পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (Protectors and maintainers of women) এ জন্য যে, আল্লহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য (শারীরিক শক্তি) দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় (support them from their means) করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং "প্রহার" কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।"—
**পুরো আয়াতটি পড়লেই কিন্তু কোন কিছু ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়না। এত সুন্দরভাবে ব্যাখা করা হয়েছে যে না বুঝার কোন উপায়ই নেই। তারপরেও কিছু মানুষ যেহেতু বুঝতে পারেনা, কাজেই আরও সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি।---
:
♦প্রথম অংশে বুঝাই যাচ্ছে, আল্লহ পুরুষদের দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীদের জন্য খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে। এখন মেয়েরা যারা ঘরে থাকে, তাঁদেরকে আল্লহ বলেছেন,-- "তাঁরাই ভাল, যারা লোকচক্ষুর আড়ালেও নিজেদের হেফাজত করেন।"
এখন মিসেস পরী স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁর বাড়িতে কী ঘটে সেই খবর মানুষের জানার কথা না। এখন পরী তখনই একজন আদর্শ নারী হবে যখন সে তাঁর স্বামীর অবর্তমানে আমাকে চুপি চুপি তাঁর ঘরে ডাকবে না।
এই পর্যন্ত ঠিক আছে? আশা করি সবাই একমত।
এখন পরীর স্বামী দেখলো আমার সাথে রাতের পর রাত জেগে তাঁর স্ত্রী গল্প করে - টেক্সট ম্যাসেজ পাঠায় -শপিংয়ে ঘুরতে বেরোয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বিরক্তিকর যা তা হলো সে প্রায়ই বাড়িতে এসে দেখে আমি বেরিয়ে যাচ্ছি।
:
আপনি হলে কী করতেন??
সাধারনত একজন সুস্থ মাথার পুরুষ জীবনেও, কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারবে না
তাঁর জীবন সঙ্গিনী তাঁকে ফেলে আরেকজনের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এইসব কোন্দল মারামারিতো পরের কথা, অনায়াসে খুন খারাবি পর্যন্ত গড়াতে পারে!
হে আমার দীনিবোনেরা, চিন্তা ভাবনা না করে মন্তব্য করাতো তাসলিমা নাসরিনের মত লোকের কাজ! আপনাকে বুঝতে হবে কথাটার গভীরতা কী?
:
ইসলামে কেন আল্লহকে সিজদাহ করতে বলে জানেন? কারন তিনি আমাদের “রব।”
"রব" শব্দের অর্থ হচ্ছে যিনি একই সাথে আমার সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, লালনকর্তা, রক্ষাকর্তা ইত্যাদি, মোটকথা আমার পুরো অস্তিত্বের মালিক। মানে হচ্ছে তিনি হচ্ছেন আমার "আলটিমেট অথরিটি।" যাঁর প্রতি জেনুইন শ্রদ্ধায়, কৃতজ্ঞতায়, ভালবাসায় আমি আমার মাথা মাটিতে নত করি।
:
♦তাহলে বুঝতে পারছেন প্রতিটা স্বামীকে তাঁর স্ত্রীর প্রতি কোন লেভেলের দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে তাঁর স্ত্রী (আল্লহর অনুমতি থাকলে) "জেনুইন" শ্রদ্ধায়-ভালবাসায়- কৃতজ্ঞতায় মাথা নত করে দিত?
কাজটা ভয়ংকর কঠিনরে ভাই। বৌয়ের "জেনুইন শ্রদ্ধা" পাওয়ার তুলনায় এভারেস্ট জয় করা নিতান্তই ডাল ভাত!!
কাজেই যেসমস্ত মহিলারা হাদিসটা শুনে কপালটা কুঁচকে গালাগালি শুরু করে দিয়েছিলেন, তাঁরা এখন দয়া করে কপালটা স্থির করে ফেলুন এবং যে সমস্ত পুরুষগণ হাদিসটার ভুল ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে এতদিন ফায়দা লুটে এসেছেন - তাঁরা তওবা করে আবারও কালিমা পরে মুসলিম হন।
:
♦ হাদিস বিকৃতি করাটাও মারাত্মক গুনাহ। আমাদের দেশে একদল পারভার্ট(pervert) বউ পিটিয়ে বিপুল আনন্দ লাভ করে। তাদের যখন বলা হয়, "ওহে মানুষরূপী জানোয়ার, তুমি বউ পেটাও কেন?" উত্তরে সে জবাব দেয়-- "আল্লহ কুরআনে অনুমতি দিয়েছে, - তোমার কী?"
বদমাইশটাকে যখন আরেকটা সহিহ হাদিস ("হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর দাসীদের গায়ে হাত তুলো না..................") শুনিয়ে বলা হয় " নাবীজি (সঃ) জীবনেও তাঁর স্ত্রীদের গায়ে হাত তোলেননি, তাহলে কী তিনি আল্লহর নির্দেশ মানেন না?"
:
তারপরেও ফকিরের দল একই কথাই আওড়ায়, কুরআনে সুরাহ নিসায় আল্লহ পাক বলেছেন, "বৌদের গায়ে হাত তোলা জায়েজ।"
:
♦আমার পক্ষ থেকে উপদেশঃ বৌকে যদি ভালবাসতে না পারেন, তাহলে বিয়ে করবেন না। আর যদি কাউকে মারধর করতেই হয়, তবে বক্সিং ক্লাবে ভর্তি হন। মেয়ে মানুষ কোন বালির বস্তা না যে সেখানে আপনি বক্সিং প্র্যাকটিস করবেন!!
:
♦কথা বাড়াবার আগে নবীজির (সঃ) হাদিসটা ব্যাখ্যা করি। বুঝবেন কেন এই
ভদ্রলোক বিশ্বের সর্বকালের সর্বসেরা মানব। যাঁর প্রতিটা কথার গভীরতা অতল। তিনি কিন্তু বলতে পারতেন, "তোমরা মেয়েদের/নারীদের গায়ে হাত তুলো না।" তিনি কেন বললেন "আল্লহর দাসী?"
ব্যাখ্যাটা সহজ। ধরুন, আপনি একটি পার্কে গেলেন। পার্কের একটি বেঞ্চ খুঁজে বের করে হুদাই লাথি দিয়ে বেঞ্চটাকে ভেঙ্গে ফেললেন। বেঞ্চটা যেহেতু সরকারী সম্পত্তি, তাই শেখ হাসিনা (সরকার) নিশ্চই আপনার সাথে বেঞ্চ ভাঙ্গা নিয়ে ঝগড়া করতে আসবেন না। কিন্তু আপনি যদি আমার ড্রয়িংরুমে এসে হুদাই আমার সোফা ভাঙ্গেন, তাহলে আমিও নিশ্চিত করবো যে আপনি আমার সদর দরজা দিয়ে হুইল চেয়ারে বসে বের হবেন ইংশাআল্লহ!
:
"আল্লহর দাসী" সম্বোধনের মধ্য দিয়ে নাবীজি (সঃ) মানুষদের সাবধান করে
দিয়েছেন যে এদের ঘাটাঘাটি করলে আল্লহ নিজে ইনভল্ভড হবেন ইংশাআল্লহ। এখন
আল্লহর বিরুদ্ধে যাবার সাহস তোমার আছে??
:
♦এখন আসি, কোরআনের সেই সর্বদা বিকৃতি ঘটানো আয়াতটিতে। যে আয়াতটি ভাঙিয়ে তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দিনরা এখনও তাদের পেট পালে। তাদের কথা বিশ্বাস করে একদল লোক বেহুদা ফাল পাড়ে। আবার তাদের ফালাফালির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরেকদল দল জলকে আরও বেশি ঘোলা করে। কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে জন্মে, বাংলাদেশে বড় হয়ে, বাংলায় কথা বলে কোন সাধারন ছেলেকে যদি আমি মাইকেলের মেঘনাদবধ মহাকাব্য ধরিয়ে বলি পড়ে শোনাতে, ছেলেটা মহাকাব্যের শক্তিশালী শব্দ ঝংকারে মুগ্ধ হতে হতে একেবারে কুপোকাত হয়ে বলতে বাধ্য হবে, "কী ভাষায় লিখছে ভাই? এইটা কী বাংলা?"
সেখানে ক্লাসিক্যাল আরবির (বর্তমান আরবদেরও পক্ষে সেই ভাষা কঠিন) অতি দূর্বল তর্জমা পড়ে কেউ যদি কুরআনের সমালোচনা করতে বসে - তাহাকে আহাম্মক না বলিয়া আর কী নামে ডাকা যায় তাহা আমার বোধগম্য নয়।
কথা না বাড়িয়ে পুরো আয়াতটা পড়া যাক------
:
♦ "পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (Protectors and maintainers of women) এ জন্য যে, আল্লহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য (শারীরিক শক্তি) দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় (support them from their means) করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং "প্রহার" কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।"—
**পুরো আয়াতটি পড়লেই কিন্তু কোন কিছু ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়না। এত সুন্দরভাবে ব্যাখা করা হয়েছে যে না বুঝার কোন উপায়ই নেই। তারপরেও কিছু মানুষ যেহেতু বুঝতে পারেনা, কাজেই আরও সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি।---
:
♦প্রথম অংশে বুঝাই যাচ্ছে, আল্লহ পুরুষদের দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীদের জন্য খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে। এখন মেয়েরা যারা ঘরে থাকে, তাঁদেরকে আল্লহ বলেছেন,-- "তাঁরাই ভাল, যারা লোকচক্ষুর আড়ালেও নিজেদের হেফাজত করেন।"
এখন মিসেস পরী স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁর বাড়িতে কী ঘটে সেই খবর মানুষের জানার কথা না। এখন পরী তখনই একজন আদর্শ নারী হবে যখন সে তাঁর স্বামীর অবর্তমানে আমাকে চুপি চুপি তাঁর ঘরে ডাকবে না।
এই পর্যন্ত ঠিক আছে? আশা করি সবাই একমত।
এখন পরীর স্বামী দেখলো আমার সাথে রাতের পর রাত জেগে তাঁর স্ত্রী গল্প করে - টেক্সট ম্যাসেজ পাঠায় -শপিংয়ে ঘুরতে বেরোয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বিরক্তিকর যা তা হলো সে প্রায়ই বাড়িতে এসে দেখে আমি বেরিয়ে যাচ্ছি।
:
আপনি হলে কী করতেন??
সাধারনত একজন সুস্থ মাথার পুরুষ জীবনেও, কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারবে না
তাঁর জীবন সঙ্গিনী তাঁকে ফেলে আরেকজনের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এইসব কোন্দল মারামারিতো পরের কথা, অনায়াসে খুন খারাবি পর্যন্ত গড়াতে পারে!
এখন দেখাযাক,, কুরআন কী নির্দেশ দিয়েছে? প্রথমে "সদুপোদেশ দাও।" মানে যখন আপনি দেখবেন আপনার স্ত্রী আমার সাথে একটু বেশি বেশিই করছে, তখন প্রথমেই ঝগড়া না করে আপনি অতি মধুর কন্ঠে, ভদ্রতার সাথে বলবেন, "ডার্লিং, তুমি প্লিজ ঐ
মঞ্জুর ছেলেটার সাথে এইভাবে মেলামেশা করো না। এই কাজটা ভাল না।"
:
কথা হচ্ছে, আপনি যখন আপনার স্ত্রীকে আমার সাথে এইভাবে ঘনিষ্ট
মেলামেশা করতে দেখবেন, তখন কী বাস্তবে এমন ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে পারবেন? কিন্তু কুরআন ঠিক এই নির্দেশটাই দিয়েছে। ওহে দীনিবোনেরা আল্লহ কাকে অধিকার বেশি দিল তাহলে??
তারপরেও যখন দেখবেন বউ আমার সাথে মেলামেশা বন্ধ করছেন না, তখন বলা হয়েছে - "শয্যা ত্যাগ কর।"
:
♦মানে বালিশ নিয়ে আলাদা শোয়া শুরু করুন। দেখুন মাঝরাতে পরী আপনাকে
মানাতে আসেন কিনা। যদি দেখেন আপনার সাথে শোয়া না শোয়ায় তাঁর কিছুই যায় আসে না, অন্যঅর্থে অন্যের সাথে সে শোয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে - ঠিক তখনই আপনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাঁকে "প্রহার" করতে। তবে এখানেও একটু ইন্টারেস্টিং
ব্যপার লক্ষ্যনীয়!!
:
বাক্যটিতে যে verb (দারাবা) ব্যবহার করা হয়েছে - সেই
একই verb তায়াম্মুমের (পানির সংকট থাকলে মাটি ঘসে পবিত্র হওয়ার যে
সিস্টেম আমাদের ধর্মে চালু আছে) নির্দেশনামায় ব্যবহার করা হয়েছে। "ওয়াদরিবুহুন্না।" যার আক্ষরিক অনুবাদ করলে হবে 'তাদের প্রহার কর' বা 'strike them.' এর কোনটাই কিন্তু বাক্যটিতে ঠিকমতন ফিট করেনা। কারণ এটা যদি ফিট করে তাহলে বলতে হবে তায়াম্মুমের সময়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাটিকে পেটাতে। তার মানে ওদের প্রহার করলেও এমনভাবে করতে হবে যেভাবে আপনি তায়াম্মুম করেন। মানে হাল্কা হাত ঘষাঘষি। স্কলাররা বলেন মেসওয়াক (নিম ডালের টুথব্রাশ) দিয়ে আঘাত। তাও এমনভাবে যে শরীরে দাগ বসতে পারবেনা – মুখেতো মারতেই পারবেন না।আরও অনেক নিয়ম কানুন আছে এবং সবার আগে মাথায় রাখতে হবে ঐ হাদিসটির কথা - "আল্লহর দাসীদের গায়ে হাত তুলো না।"
:
♦চিন্তা করে দেখেন, কোন লেভেলের এক্সট্রিম অপরাধ করলে মেয়েদের গায়ে
মেসওয়াক দিয়ে আঘাতের কথা বলা হয়েছে, আর আমাদের দেশ বিদেশের
মূর্খ্য পুরুষ মানুষ ডালে সামান্য লবণ কম বেশি হলে মেয়েদের গায়ে হাত তোলে!
:
এখন মেয়েরা, আপনারা বুঝতে পারছেন যে কুরআন আসলে আপনাদের প্রাণ রক্ষা
করেছে? কারন যেকোন পুরুষ যদি দেখে তাঁর প্রেয়সী অন্যের সাথে ইটিশপিটিশ করছে - প্রথম চিন্তাটা যা তাঁর মাথায় আসবে তা হচ্ছে আপনাকে খুন করে ফেলতে হবে। সেখানে আল্লহ বলেছেন খুব বেশি হলে মেসওয়াক দিয়ে আঘাত করতে! তাও আবার আয়াতের শেষে আল্লহ বলেছেন যদি কেউ ভুল বুঝতে পারে, এবং অনুতপ্ত হয় তাহলে তাঁকে ক্ষমা করে দিতে।
:
বাবারে! এত বড় কলিজা কোন পুরুষের আছে? কিন্তু আল্লহর নির্দেশ বলে
কথা! এবং পুরুষেরা, যারা পুরো আয়াত না পড়ে শুধুমাত্র একটা শব্দ ধরে নিয়ে
বউদের গায়ে হাত তুলে এসেছেন, তাঁরা এখন কানে ধরে সেই বউদের সামনে
উঠবস করে ক্ষমা চান। কারণ তাঁরা ক্ষমা না করলে তাঁদের মালিক ব্যপারটাকে পার্সোনালি নিবেন - এবং তাহলেই আপনার খবর আছে। You have news. কারণ আল্লহ আয়াতটা শেষ করেছেন কিভাবে দেখেছেন? "নিশ্চয় আল্লহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।" তুমি যতই বৌয়ের উপর কর্তৃত্ব ফলাও না কেন, তোমার উপরে একজন আছেন যিনি কারও পরোয়া করেন না।
মঞ্জুর ছেলেটার সাথে এইভাবে মেলামেশা করো না। এই কাজটা ভাল না।"
:
কথা হচ্ছে, আপনি যখন আপনার স্ত্রীকে আমার সাথে এইভাবে ঘনিষ্ট
মেলামেশা করতে দেখবেন, তখন কী বাস্তবে এমন ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে পারবেন? কিন্তু কুরআন ঠিক এই নির্দেশটাই দিয়েছে। ওহে দীনিবোনেরা আল্লহ কাকে অধিকার বেশি দিল তাহলে??
তারপরেও যখন দেখবেন বউ আমার সাথে মেলামেশা বন্ধ করছেন না, তখন বলা হয়েছে - "শয্যা ত্যাগ কর।"
:
♦মানে বালিশ নিয়ে আলাদা শোয়া শুরু করুন। দেখুন মাঝরাতে পরী আপনাকে
মানাতে আসেন কিনা। যদি দেখেন আপনার সাথে শোয়া না শোয়ায় তাঁর কিছুই যায় আসে না, অন্যঅর্থে অন্যের সাথে সে শোয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে - ঠিক তখনই আপনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাঁকে "প্রহার" করতে। তবে এখানেও একটু ইন্টারেস্টিং
ব্যপার লক্ষ্যনীয়!!
:
বাক্যটিতে যে verb (দারাবা) ব্যবহার করা হয়েছে - সেই
একই verb তায়াম্মুমের (পানির সংকট থাকলে মাটি ঘসে পবিত্র হওয়ার যে
সিস্টেম আমাদের ধর্মে চালু আছে) নির্দেশনামায় ব্যবহার করা হয়েছে। "ওয়াদরিবুহুন্না।" যার আক্ষরিক অনুবাদ করলে হবে 'তাদের প্রহার কর' বা 'strike them.' এর কোনটাই কিন্তু বাক্যটিতে ঠিকমতন ফিট করেনা। কারণ এটা যদি ফিট করে তাহলে বলতে হবে তায়াম্মুমের সময়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাটিকে পেটাতে। তার মানে ওদের প্রহার করলেও এমনভাবে করতে হবে যেভাবে আপনি তায়াম্মুম করেন। মানে হাল্কা হাত ঘষাঘষি। স্কলাররা বলেন মেসওয়াক (নিম ডালের টুথব্রাশ) দিয়ে আঘাত। তাও এমনভাবে যে শরীরে দাগ বসতে পারবেনা – মুখেতো মারতেই পারবেন না।আরও অনেক নিয়ম কানুন আছে এবং সবার আগে মাথায় রাখতে হবে ঐ হাদিসটির কথা - "আল্লহর দাসীদের গায়ে হাত তুলো না।"
:
♦চিন্তা করে দেখেন, কোন লেভেলের এক্সট্রিম অপরাধ করলে মেয়েদের গায়ে
মেসওয়াক দিয়ে আঘাতের কথা বলা হয়েছে, আর আমাদের দেশ বিদেশের
মূর্খ্য পুরুষ মানুষ ডালে সামান্য লবণ কম বেশি হলে মেয়েদের গায়ে হাত তোলে!
:
এখন মেয়েরা, আপনারা বুঝতে পারছেন যে কুরআন আসলে আপনাদের প্রাণ রক্ষা
করেছে? কারন যেকোন পুরুষ যদি দেখে তাঁর প্রেয়সী অন্যের সাথে ইটিশপিটিশ করছে - প্রথম চিন্তাটা যা তাঁর মাথায় আসবে তা হচ্ছে আপনাকে খুন করে ফেলতে হবে। সেখানে আল্লহ বলেছেন খুব বেশি হলে মেসওয়াক দিয়ে আঘাত করতে! তাও আবার আয়াতের শেষে আল্লহ বলেছেন যদি কেউ ভুল বুঝতে পারে, এবং অনুতপ্ত হয় তাহলে তাঁকে ক্ষমা করে দিতে।
:
বাবারে! এত বড় কলিজা কোন পুরুষের আছে? কিন্তু আল্লহর নির্দেশ বলে
কথা! এবং পুরুষেরা, যারা পুরো আয়াত না পড়ে শুধুমাত্র একটা শব্দ ধরে নিয়ে
বউদের গায়ে হাত তুলে এসেছেন, তাঁরা এখন কানে ধরে সেই বউদের সামনে
উঠবস করে ক্ষমা চান। কারণ তাঁরা ক্ষমা না করলে তাঁদের মালিক ব্যপারটাকে পার্সোনালি নিবেন - এবং তাহলেই আপনার খবর আছে। You have news. কারণ আল্লহ আয়াতটা শেষ করেছেন কিভাবে দেখেছেন? "নিশ্চয় আল্লহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।" তুমি যতই বৌয়ের উপর কর্তৃত্ব ফলাও না কেন, তোমার উপরে একজন আছেন যিনি কারও পরোয়া করেন না।

No comments:
Post a Comment