ক্ষনস্থায়ী দুনিয়ার সুখ শান্তি সম্পদগুলোও স্থায়ী নয় বিরতি আছে, বিচ্ছেদও আছে! এতসবের ভীড়েও রাসূল (ﷺ) নেককার স্ত্রীকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
.
রাসুল (ﷺ) বলেছেনঃ
إِنَّ الدُّنْيَا كُلَّهَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ.
‘সম্পূর্ণ পৃথিবী সম্পদ। আর পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হচ্ছে সৎ চরিত্রবান নারী’
.
মুসলিম ১৪৬৭, নাসায়ী ৩২৩২, আহমাদ ৬৫৬৭, সহীহ আল জামি‘ ৩৪১৩,
হাদিসের মানঃ সহিহ
.
স্ত্রী মনের মত না হলেও ভালো মন্দ মিলিয়ে জীবন চলে যাবে তবে স্ত্রী নেককার না হলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। আর স্ত্রী মডারেট কিংবা নামেমাত্র দ্বীনদার হলে তো জীবন ভয়াবহ দূর্বিষহ হয়ে উঠবে। কারন সে তখন সুবিধেমত আয়াত গুলো মানবে, অপর অংশ এড়িয়ে চলবে।
.
অফিসের খারাপ বস কিংবা অমানুষিক কাজের প্রেসার, রোজকার ক্লান্তি, রাজনীতির ময়দান এর দুশ্চিন্তা, কাধে ঋনের বোঝা, পেটে ক্ষুধা ইত্যাদিতে ক্লিষ্ট হয়ে মানুষ যখন বাসায় ফিরে তখন সে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে প্রশান্তি লাভ করতে চায়, সারাদিনের সব দুঃখ কষ্ট লড়াই এর কথা ঐ একটা কাধে মাথা রেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে শেয়ার করতে চায়, সে এটুকুই চায় তার সমস্যাগুলোর সমাধান না থাকুক অন্তত শেয়ারের কেউ থাকুক।
.
যাকে নিয়ে সব সমস্যা ফেইস করেও একসাথে বলা যাবে 'আলহামদুলিল্লাহ'.. যাকে নিয়ে অভাব অনটনেও শুধু ভালোবাসা দিয়েই এই দুনিয়া কোন রকমে পার করে দেওয়া যাব পরকালে প্রতিদানের আশায়।
.
আল্লাহ তায়ালার স্ত্রী সৃষ্টির অন্যতম একটা উদ্দেশ্য স্বামী তার থেকে প্রশান্তি লাভ করবে। এই প্রশান্তি যতটা না শারীরিক, তার থেকে অনেক অনেক বেশি মানসিক। কিন্তু সারাদিনের সকল লড়াই শেষে ঘরে ফিরে যদি আবার লড়াই করা লাগে? শুনতে হয় একঝাক অভিযোগ? তখন?
.
সংসারে অভাব আসলে, খারাপ সময় আসলে কিংবা যখন আর স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণে ব্যার্থ হয় তখন একজন আসল নেককার স্ত্রীর সংজ্ঞা,পরিচয় পাওয়া যায়।
.
নেককার স্ত্রী মানে এই না যে পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এবং পর্দা করে। বরং আল্লাহ তায়ালা যে অবস্থায় রেখেছেন সে অবস্থাতেই আল্লাহ এর প্রশংসা এবং গুণকীর্তন করা, সাংসারিক অর্থনৈতিক অবস্থা পছন্দসই না হলে সবর করা আর পছন্দসই হলে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
.
কিছু বোনদের ব্যাপারে তাদের স্বামীদের থেকে আফসোস শুনি, স্ত্রী পাচওয়াক্ত নামাজী, পর্দা করে তবে স্বামীকে প্রচন্ড মানসিক কষ্ট দেয়, স্বামীর উপার্জন নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, যেমন লাইফ লিড করাচ্ছেন আল্লাহ, যেমন খাওয়াচ্ছেন পড়াচ্ছেন, তাতে তাদের স্ত্রীর সন্তুষ্টি নেই, সংসার নিয়ে অভিযোগের, খোটার শেষ নেই। দুনিয়ায় ভালো থাকার মোহ আকড়ে ধরেছে তাদের।
.
একজন পাচওয়াক্ত সালাত আদায় করা এবং পরিপূর্ন পর্দা পালনকারী বোনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে এই বৈশিষ্ট্য গুলো মেলাতে কষ্ট হয়!
.
ফাতিমা (রা.) যিনি ছিলেন আল্লাহ এর কাছে প্রশংসনীয় এবং মর্যাদার ভিত্তিতে শ্রেষ্ট ৪ নারীর একজন, কেমন ছিল তার সাংসারিক জীবন?
.
একবার রাসুল (ﷺ) এক সাহাবী নিয়ে স্বীয় কন্যার সেবায় তার বাসায় গেলে ফাতিমা (রা.) দরজা খুলতে আসতে পারছিলেন না, কারন মাহরামের সামনে পর্দা করার মত পোষাক তার নেই, সারা বিশ্বের রহমত যেই নবী, সে বিশ্বজাহানের নবী কন্যার একটি মাত্র ড্রেস যাও আবার আপাদমস্তক কাভার করেনা!
.
দরদী পিতা তখন নিজ গা এর চাদর খুলে ভেতরে নিক্ষেপ করে বললেন, 'মা! এই দিয়ে পর্দা করো...'
.
রাসূল (ﷺ) তার এই চোখের মণি, যিনি খাতুনে জান্নাত, রাসুলের কলিজার টুকরাকে আলী (রা.) এর সাথে বিবাহ দেন কেবলমাত্র আলীর (রা.) দ্বীনদারিতা দেখে। অথচ আলী (রা.) ছিলেন হত দরিদ্র, দিনের পর দিন মাসের পর মাস বাসায় চুলো জ্বলত না।
.
তবুও কোনদিন ফাতেমা (রা.) অভিযোগ করেন নি, 'আমি আমার আব্বার কাছে ভালো ছিলাম, তোমার সংসারে আমার এই দশা...'তুমি আমাকে একটুও সুখ দিতে পারনি!
.
রাসূল (ﷺ) নিজেও মেয়ের সংসারের এই অবস্থা জানতেন, কোনদিন দুয়া করেননি আল্লাহর কাছে মেয়ের সংসারের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য, বরং মেয়েকে শিখিয়েছেন ধৈর্য্য ধরতে, আল্লাহ এর উপর ভরসা করতে। পরকালে পাবার আশা করতে। উনার কোন দাসী ছিলনা, সংসারের সব কাজ একা হাতে করতেন, আটা পিষতে যেয়ে হাতে ফসকা পড়ত, ঘর মুছতে যেয়ে চেহারা ময়লাতে মলিন হয়ে যেত, পানি আনতে কোমড় ব্যাথা হয়ে যেত- কোন অভিযোগ ছিলনা তবুও।
.
অথচ নবী কন্যা যদি চাইতেন, আরবের প্রভাবশালী ধনী ছেলেরা বিয়ের জন্য হয়ত লাইন দিয়ে দিত। শ-খানেক দাস দাসী রাখতে পারতেন। আরাম আয়েশের জীবন লিড করতে পারতেন-এটা নিয়েও উনার কোন আফসোস ছিলো না। বরং জীবন নিয়ে আল্লাহ এর সিদ্ধান্তেই সন্তুষ্ট চিত্ত ছিলেন। একবার অভাব অনটন প্রকট আকার ধারণ করল, এমতাবস্থাত আলী (রা.) স্বীয় স্ত্রীকে পাঠালেন শ্বশুরের কাছে কিছু চেয়ে আনতে।
.
حَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - حَدَّثَنَا رَوْحٌ، وَهُوَ ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ، أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَسْأَلُهُ خَادِمًا وَشَكَتِ الْعَمَلَ فَقَالَ " مَا أَلْفَيْتِيهِ عِنْدَنَا " . قَالَ " أَلاَ أَدُلُّكِ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكِ مِنْ خَادِمٍ تُسَبِّحِينَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدِينَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتُكَبِّرِينَ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ حِينَ تَأْخُذِينَ مَضْجَعَكِ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একবার ফাতিমাহ্ (রাঃ) একজন খাদিমের জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন এবং অনেক কর্মের অভিযোগ করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “আমার নিকটে তো কোন খাদিম নেই। তিনি বললেন, তবে আমি কি তোমাকে এমন বিষয়ের নির্দেশনা করবো না, যা তোমার খাদিমের তুলনায় অতি উত্তম? যখন তুমি শয্যাগ্রহণ করবে তখন ৩৩ বার ‘সুবহা-নাল্ল-হ’, ৩৩ বার ‘আল হাম্দু লিল্লা-হ’ এবং ৩৪ বার ‘আল্ল-হু আকবার’ পড়ে নিবে।” (ই.ফা. ৬৬৭০, ই.সে. ৬৭২৩)
.
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৮১১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻫَﺐْ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻨَﺎ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺎﺗِﻦَﺍ ﻗُﺮَّﺓَ ﺃَﻋْﻴُﻦٍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ﺇِﻣَﺎﻣًﺎ
.
উচ্চারণঃ 'রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররি-ইয়্যাতিনা কুররাতা আয়ুনিওঁ-ওয়াজআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা'।
.
ভাবার্থ - 'হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন'। (সূরাহ আল-ফুরকান, আয়াত : ৭৪)
.
আমরা যেন দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে রাসূল (ﷺ) এর আদর্শে বেড়ে উঠি, আমাদের স্ত্রীরাও যেন ফাতিমার (রা.) জীবনাদর্শ মনে ধারণ করতে পারে।
.
রাসুল (ﷺ) বলেছেনঃ
إِنَّ الدُّنْيَا كُلَّهَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ.
‘সম্পূর্ণ পৃথিবী সম্পদ। আর পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হচ্ছে সৎ চরিত্রবান নারী’
.
মুসলিম ১৪৬৭, নাসায়ী ৩২৩২, আহমাদ ৬৫৬৭, সহীহ আল জামি‘ ৩৪১৩,
হাদিসের মানঃ সহিহ
.
স্ত্রী মনের মত না হলেও ভালো মন্দ মিলিয়ে জীবন চলে যাবে তবে স্ত্রী নেককার না হলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। আর স্ত্রী মডারেট কিংবা নামেমাত্র দ্বীনদার হলে তো জীবন ভয়াবহ দূর্বিষহ হয়ে উঠবে। কারন সে তখন সুবিধেমত আয়াত গুলো মানবে, অপর অংশ এড়িয়ে চলবে।
.
অফিসের খারাপ বস কিংবা অমানুষিক কাজের প্রেসার, রোজকার ক্লান্তি, রাজনীতির ময়দান এর দুশ্চিন্তা, কাধে ঋনের বোঝা, পেটে ক্ষুধা ইত্যাদিতে ক্লিষ্ট হয়ে মানুষ যখন বাসায় ফিরে তখন সে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে প্রশান্তি লাভ করতে চায়, সারাদিনের সব দুঃখ কষ্ট লড়াই এর কথা ঐ একটা কাধে মাথা রেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে শেয়ার করতে চায়, সে এটুকুই চায় তার সমস্যাগুলোর সমাধান না থাকুক অন্তত শেয়ারের কেউ থাকুক।
.
যাকে নিয়ে সব সমস্যা ফেইস করেও একসাথে বলা যাবে 'আলহামদুলিল্লাহ'.. যাকে নিয়ে অভাব অনটনেও শুধু ভালোবাসা দিয়েই এই দুনিয়া কোন রকমে পার করে দেওয়া যাব পরকালে প্রতিদানের আশায়।
.
আল্লাহ তায়ালার স্ত্রী সৃষ্টির অন্যতম একটা উদ্দেশ্য স্বামী তার থেকে প্রশান্তি লাভ করবে। এই প্রশান্তি যতটা না শারীরিক, তার থেকে অনেক অনেক বেশি মানসিক। কিন্তু সারাদিনের সকল লড়াই শেষে ঘরে ফিরে যদি আবার লড়াই করা লাগে? শুনতে হয় একঝাক অভিযোগ? তখন?
.
সংসারে অভাব আসলে, খারাপ সময় আসলে কিংবা যখন আর স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণে ব্যার্থ হয় তখন একজন আসল নেককার স্ত্রীর সংজ্ঞা,পরিচয় পাওয়া যায়।
.
নেককার স্ত্রী মানে এই না যে পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এবং পর্দা করে। বরং আল্লাহ তায়ালা যে অবস্থায় রেখেছেন সে অবস্থাতেই আল্লাহ এর প্রশংসা এবং গুণকীর্তন করা, সাংসারিক অর্থনৈতিক অবস্থা পছন্দসই না হলে সবর করা আর পছন্দসই হলে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
.
কিছু বোনদের ব্যাপারে তাদের স্বামীদের থেকে আফসোস শুনি, স্ত্রী পাচওয়াক্ত নামাজী, পর্দা করে তবে স্বামীকে প্রচন্ড মানসিক কষ্ট দেয়, স্বামীর উপার্জন নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, যেমন লাইফ লিড করাচ্ছেন আল্লাহ, যেমন খাওয়াচ্ছেন পড়াচ্ছেন, তাতে তাদের স্ত্রীর সন্তুষ্টি নেই, সংসার নিয়ে অভিযোগের, খোটার শেষ নেই। দুনিয়ায় ভালো থাকার মোহ আকড়ে ধরেছে তাদের।
.
একজন পাচওয়াক্ত সালাত আদায় করা এবং পরিপূর্ন পর্দা পালনকারী বোনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে এই বৈশিষ্ট্য গুলো মেলাতে কষ্ট হয়!
.
ফাতিমা (রা.) যিনি ছিলেন আল্লাহ এর কাছে প্রশংসনীয় এবং মর্যাদার ভিত্তিতে শ্রেষ্ট ৪ নারীর একজন, কেমন ছিল তার সাংসারিক জীবন?
.
একবার রাসুল (ﷺ) এক সাহাবী নিয়ে স্বীয় কন্যার সেবায় তার বাসায় গেলে ফাতিমা (রা.) দরজা খুলতে আসতে পারছিলেন না, কারন মাহরামের সামনে পর্দা করার মত পোষাক তার নেই, সারা বিশ্বের রহমত যেই নবী, সে বিশ্বজাহানের নবী কন্যার একটি মাত্র ড্রেস যাও আবার আপাদমস্তক কাভার করেনা!
.
দরদী পিতা তখন নিজ গা এর চাদর খুলে ভেতরে নিক্ষেপ করে বললেন, 'মা! এই দিয়ে পর্দা করো...'
.
রাসূল (ﷺ) তার এই চোখের মণি, যিনি খাতুনে জান্নাত, রাসুলের কলিজার টুকরাকে আলী (রা.) এর সাথে বিবাহ দেন কেবলমাত্র আলীর (রা.) দ্বীনদারিতা দেখে। অথচ আলী (রা.) ছিলেন হত দরিদ্র, দিনের পর দিন মাসের পর মাস বাসায় চুলো জ্বলত না।
.
তবুও কোনদিন ফাতেমা (রা.) অভিযোগ করেন নি, 'আমি আমার আব্বার কাছে ভালো ছিলাম, তোমার সংসারে আমার এই দশা...'তুমি আমাকে একটুও সুখ দিতে পারনি!
.
রাসূল (ﷺ) নিজেও মেয়ের সংসারের এই অবস্থা জানতেন, কোনদিন দুয়া করেননি আল্লাহর কাছে মেয়ের সংসারের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য, বরং মেয়েকে শিখিয়েছেন ধৈর্য্য ধরতে, আল্লাহ এর উপর ভরসা করতে। পরকালে পাবার আশা করতে। উনার কোন দাসী ছিলনা, সংসারের সব কাজ একা হাতে করতেন, আটা পিষতে যেয়ে হাতে ফসকা পড়ত, ঘর মুছতে যেয়ে চেহারা ময়লাতে মলিন হয়ে যেত, পানি আনতে কোমড় ব্যাথা হয়ে যেত- কোন অভিযোগ ছিলনা তবুও।
.
অথচ নবী কন্যা যদি চাইতেন, আরবের প্রভাবশালী ধনী ছেলেরা বিয়ের জন্য হয়ত লাইন দিয়ে দিত। শ-খানেক দাস দাসী রাখতে পারতেন। আরাম আয়েশের জীবন লিড করতে পারতেন-এটা নিয়েও উনার কোন আফসোস ছিলো না। বরং জীবন নিয়ে আল্লাহ এর সিদ্ধান্তেই সন্তুষ্ট চিত্ত ছিলেন। একবার অভাব অনটন প্রকট আকার ধারণ করল, এমতাবস্থাত আলী (রা.) স্বীয় স্ত্রীকে পাঠালেন শ্বশুরের কাছে কিছু চেয়ে আনতে।
.
حَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - حَدَّثَنَا رَوْحٌ، وَهُوَ ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ، أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَسْأَلُهُ خَادِمًا وَشَكَتِ الْعَمَلَ فَقَالَ " مَا أَلْفَيْتِيهِ عِنْدَنَا " . قَالَ " أَلاَ أَدُلُّكِ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكِ مِنْ خَادِمٍ تُسَبِّحِينَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدِينَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتُكَبِّرِينَ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ حِينَ تَأْخُذِينَ مَضْجَعَكِ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একবার ফাতিমাহ্ (রাঃ) একজন খাদিমের জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন এবং অনেক কর্মের অভিযোগ করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “আমার নিকটে তো কোন খাদিম নেই। তিনি বললেন, তবে আমি কি তোমাকে এমন বিষয়ের নির্দেশনা করবো না, যা তোমার খাদিমের তুলনায় অতি উত্তম? যখন তুমি শয্যাগ্রহণ করবে তখন ৩৩ বার ‘সুবহা-নাল্ল-হ’, ৩৩ বার ‘আল হাম্দু লিল্লা-হ’ এবং ৩৪ বার ‘আল্ল-হু আকবার’ পড়ে নিবে।” (ই.ফা. ৬৬৭০, ই.সে. ৬৭২৩)
.
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৮১১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻫَﺐْ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻨَﺎ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺎﺗِﻦَﺍ ﻗُﺮَّﺓَ ﺃَﻋْﻴُﻦٍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ﺇِﻣَﺎﻣًﺎ
.
উচ্চারণঃ 'রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররি-ইয়্যাতিনা কুররাতা আয়ুনিওঁ-ওয়াজআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা'।
.
ভাবার্থ - 'হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন'। (সূরাহ আল-ফুরকান, আয়াত : ৭৪)
.
আমরা যেন দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে রাসূল (ﷺ) এর আদর্শে বেড়ে উঠি, আমাদের স্ত্রীরাও যেন ফাতিমার (রা.) জীবনাদর্শ মনে ধারণ করতে পারে।

No comments:
Post a Comment