স্বামী, মা-বাবা, শাসকের আনুগত্য করা যেমন ফরয!
তেমনি কখনো কখনো আনুগত্য না করাও ফরয!
.
সকলের আনুগত্য করার আগে একটা মুলসূত্র রয়ে গেছে, সেটা আগে জেনে নিন।
.
“বৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা ফরয এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম।”
.
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوٓا۟ ءَابَآءَكُمْ وَإِخْوَٰنَكُمْ أَوْلِيَآءَ إِنِ ٱسْتَحَبُّوا۟ ٱلْكُفْرَ عَلَى ٱلْإِيمَٰنِ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ
তেমনি কখনো কখনো আনুগত্য না করাও ফরয!
.
সকলের আনুগত্য করার আগে একটা মুলসূত্র রয়ে গেছে, সেটা আগে জেনে নিন।
.
“বৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা ফরয এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম।”
.
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوٓا۟ ءَابَآءَكُمْ وَإِخْوَٰنَكُمْ أَوْلِيَآءَ إِنِ ٱسْتَحَبُّوا۟ ٱلْكُفْرَ عَلَى ٱلْإِيمَٰنِ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী।
সূরা আত-তাওবাহ্ (التوبة), আয়াত: ২৩
.
অন্য আয়াতে রাব্বুল আলামীন বলেন,
وَوَصَّيْنَا ٱلْإِنسَٰنَ بِوَٰلِدَيْهِ حُسْنًا وَإِن جَٰهَدَاكَ لِتُشْرِكَ بِى مَا لَيْسَ لَكَ بِهِۦ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَآ إِلَىَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
.
আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে।
সূরা আল আনকাবূত (العنكبوت), আয়াত: ৮
.
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
لا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ
স্রষ্টার (আল্লাহর) অবাধ্যতা করে কোন সৃষ্টির আনুগত্য নেই।
(ত্বাবারানী ১৪৭৯৫, আহমাদ ২০৬৫৩, সহীহ)
.
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
لَا طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ»
আল্লাহ্ তা‘আলার অবাধ্যতায় কারো আনুগত্য করা যাবে না; আনুগত্য শুধু ভাল কাজে করতে হবে।
.
(সহীহুল বুখারী ৭২৫৭, মুসলিম ৪৬৫৯, আবূ দাঊদ ২৬২৫, নাসায়ী ৪২০৫ ইফাঃ, আহমাদ ৭২৪, সহীহ)
.
সুতরাং মা বাবা, স্বামী, শাসক তাদের কথা ততক্ষণ মানতে হবে যদি তা শরিয়তের বাউন্ডারির মধ্যে থাকে। অবৈধ, নাফরমানি, অবাধ্যতাসহ ইসলামী শরিয়তের বাইরে কোন কাজে কোনক্রমেই তাদের আনুগত্য করা যাবে না।
সূরা আত-তাওবাহ্ (التوبة), আয়াত: ২৩
.
অন্য আয়াতে রাব্বুল আলামীন বলেন,
وَوَصَّيْنَا ٱلْإِنسَٰنَ بِوَٰلِدَيْهِ حُسْنًا وَإِن جَٰهَدَاكَ لِتُشْرِكَ بِى مَا لَيْسَ لَكَ بِهِۦ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَآ إِلَىَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
.
আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে।
সূরা আল আনকাবূত (العنكبوت), আয়াত: ৮
.
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
لا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ
স্রষ্টার (আল্লাহর) অবাধ্যতা করে কোন সৃষ্টির আনুগত্য নেই।
(ত্বাবারানী ১৪৭৯৫, আহমাদ ২০৬৫৩, সহীহ)
.
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
لَا طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ»
আল্লাহ্ তা‘আলার অবাধ্যতায় কারো আনুগত্য করা যাবে না; আনুগত্য শুধু ভাল কাজে করতে হবে।
.
(সহীহুল বুখারী ৭২৫৭, মুসলিম ৪৬৫৯, আবূ দাঊদ ২৬২৫, নাসায়ী ৪২০৫ ইফাঃ, আহমাদ ৭২৪, সহীহ)
.
সুতরাং মা বাবা, স্বামী, শাসক তাদের কথা ততক্ষণ মানতে হবে যদি তা শরিয়তের বাউন্ডারির মধ্যে থাকে। অবৈধ, নাফরমানি, অবাধ্যতাসহ ইসলামী শরিয়তের বাইরে কোন কাজে কোনক্রমেই তাদের আনুগত্য করা যাবে না।
No comments:
Post a Comment