পর্দা: কখন, কোথায়, কার সাথে এবং কীভাবে?
নারীর বাইরে চলাফেরা,কথাবার্তা, পর্দা, সব বিষয় এ ইসলামের নির্দেশনা জানা উচিত ভালো ভাবে সবার....
এ ব্যাপারে বিস্তারিত হুকুম আহকাম উল্লেখ করছি।
�� #মাহরাম_কি?
- যে সকল পুরুষের সামনে নারীর দেখা দেওয়া,কথা বলা জায়েজ এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন সম্পূর্ণ হারাম তাদের কে শরীয়তের পরিভাষায় মাহরাম বলে।
#মাহরাম কারা?
-সূরা আন নূরের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীর মাহরাম নির্ধারিত করে দিয়েছেন।
#গায়রে মাহরাম কি?
- যে সকল পুরুষের সামনে যাওয়া নারীর জন্য শরীয়তে জায়েজ নয় এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন বৈধ তাদের কে গায়রে মাহরাম বলে।
বস্তুতঃ গায়রে মাহরামের সামনে একান্ত অপারগ হয়ে যদি যাওয়াই লাগে তবে নারী পূর্ণ পর্দা করে সামনে যাবে।
#গায়রে মাহরাম কারা?
-মাহরাম বাদে সমস্ত বিশ্বে-মহাবিশ্বে যত পুরুষ আছে সব গায়রে মাহরাম!
নিজ পরিবারে চাচাত/খালাত/মামাত/ফুপাত সব ভাই, নিজ দুলাভাই, দেবর, ভাসুর, (আপন,দাদা ও নানা শ্বশুর বাদে) সমস্ত চাচা-মামা-খালু-ফুপা শ্বশুর নিজ খালু/ফুপা এরা সবাই গায়রে মাহরাম! তাদের সামনে নিজেকে প্রদর্শন করা আল্লাহর হুকুমের অবাধ্যতা করা! মাহরাম ছাড়া সকল পুরুষের সামনে পর্দা করতে হবে এবং হবেই...
বুঝার সুবিধার্থে আরো জেনে নিনঃ
* পিতা, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ।
*. শ্বশুর, আপন দাদা ও নানা শ্বশুর এবং তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ।
* আপন ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরসজাত পুত্র সন্তান এবং আপন মেয়ের স্বামী।
* স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র।
* আপন ভাই,সৎ ভাই
* ভাতিজা অর্থাৎ, আপন ভাইয়ের ছেলে এবং সৎ ভাইয়ের ছেলে।
* ভাগ্নে অর্থাৎ, আপন বোনের ছেলে এবং সৎ বোনের ছেলে।
* এমন বালক যার মাঝে মহিলাদের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই। (সূরা নূর-৩১)
* দুধ সম্পর্কীয় পিতা, দাদা, নানা, চাচা, মামা এবং তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ।
* দুধ ভাই, দুধ ভাইয়ের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবং তাদের ঔরসজাত যে কোন পুত্র সন্তান।
* দুধ সম্পর্কীয় ছেলে, তার ছেলে, দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের ছেলে এবং তাদের ঔরসজাত যে কোন পুত্র সন্তান। এবং দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের স্বামী। (বুখারী শরীফ হাদীস নং ৫০৯৯, মুসলিম শরীফ হাদীস নং ১১৪৪)
* আপন চাচা, সৎ চাচা।
* আপন মামা,সৎ মামা। (সূরা নিসা-২৩)
#উপরোক্ত পুরুষ যাদের সাথে দেখা করতে বা দেখা দিতে পারবে তারা ছাড়া অন্য সমস্ত পুরুষকে দেখা দেওয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয এবং হারাম।
আরো দেখে নিতে পারেন আমার পূর্বের পোস্ট থেকে (https://kmarifin.blogspot.com/2019/05/blog-post_15.html)
�� #চেহারাও_পর্দার_অন্তর্ভুক্ত
#এক শ্রেণীর লোক নারীর চেহারাকে পর্দার অন্তর্ভুক্ত মনে করে না । অথচ চেহারা পর্দার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চেহারা পর্দার অন্তর্ভূক্ত না হওয়ার ব্যাপারে সূরা নূরের ৩১ নং আয়াত উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তবে যা সাধারণত প্রকাশমান’। অথচ হিজাবের মূল আয়াত এটি নয়। পর্দার বিষয়ে এই আয়াত দ্বারা দলীল দেওয়া এবং এই আয়াতকেই একমাত্র দলীল মনে করা ভুল । মূলত পর্দার আয়াত হল সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াত
‘হে নবী আপনার স্ত্রী ও অন্যদেরকে এবং মুমিনদের স্ত্রীদেরকে বলুন, তারা যেন চাদর নিজেদের উপর টেনে নেয়’।
#ইমাম সূয়ূতী র. বলেন, এটি সকল নারীর জন্য হিজাবের আয়াত । এতে মাথা ও চেহারা ঢাকা ওয়াজিব করা হয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের স্ত্রীদের আদেশ করেছেন তারা যেন প্রয়োজনের মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় উপর দিয়ে পর্দা ঝুলিয়ে চেহারা ঢেকে রাখে এবং শুধু এক চোখ খোলা রাখে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর: ৩/৮২৪)
#প্রখ্যাত ফকীহ তাবেয়ী উবাদা আসলামী রা. দেখিয়েছেন, কীভাবে নারীগণ এই আয়াতের উপর আমল করেন। তিনি তাঁর চাদর দিয়ে এমনভাবে মুখমন্ডল আবৃত করলেন যে, নাক ও বাম চোখ আবৃত হয়ে গেল। শুধু ডান চোখ খোলা থাকল। তদ্রুপ মাথার উপর থেকে কপাল ও চোখের ভ্রুও আবৃত হল ।
(তাফসীরে তাবারী, আদ্দুররুল মানসুর ৫/২২১, আহকামুল কোরআন- জাসসাস: ৩/৩৭১; তাফসীরে কাশশাফ ৩/২৭৪; আহকামুল কোরআন- ইবনুল আরাবী ৩/১৫৮৫-১৫৮৭; যাদুল মাসীর ফী ইলমিত তাফসীর ৬/৪২২; আদ্দুররুল মানসুর ৫/২২১; আনওয়ারুত তানযীল ওয়া আসরারুত তাবীল ২/২৮০; তাফসীওে কুরতুবূ ১৪/২৪৩-২৪৪।
#উল্লেখ্য, সূরা নূরের ৩১ নং আয়তে মূলত সতরের সীমারেখা বর্ণনা করা হয়েছে। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে হাত এবং মুখ খোলা রাখার কথাও বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বর্ণনাগুলোর অধিকাংশই নেহায়েত দুর্বল । দু’একটি গ্রহণযোগ্য বর্ণনা রয়েছে। সে হিসাবে এটি এ আয়াতের একটি ব্যাখা ।
#আয়াতের অন্য আরেকটি ব্যাখ্যা হল, ‘মা যাহারা মিনহা’
(অর্থাৎ যা সাধারনত প্রকাশমান) দ্বারা উদ্দেশ্য কাপড় । প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. এই ব্যাখ্যাই করেছেন ।
ইমাম ইবনে কাসীর র. এই মতকে প্রধান্য দিয়ে বলেন, হযরত হাসান, ইবনে সীরিন, আবুল জাওযা, আব্দুর রহীম নাখয়ী, হযরত ইবনে মাসঊদ রা. এর অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন।
#ইবনে জাওযী র. আরো বলেন, ইমাম আহমদ র.ও বলেছেন যে, প্রকাশ্য সৌন্দর্য হল কাপড়, আর নারীর শরীরের সব কিছু এমনকি নখও পর্দার অন্তর্ভুক্ত ।
( যাদুল মাসীর ৬/৩১)
#আর ইবনে আব্বাস রা. এর ব্যাখ্যা গ্রহণ করলেও এই আয়াত পরবর্তীতে নাযিলকৃত হিযাবের আয়াত দ্বারা মানসুখ(রহিত) হয়েছে । শাইখ ইবনে তাইমিয়া র. সহ আরো কিছু মনীষীও এই মত পোষণ করেন।
#আয়েশা রা. এর ‘ইফক’এর ঘটনায় উল্লেখিত হাদীস নসখের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. বলেন, আমি যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তখন সফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল আমার নিকটে এসে আমাকে দেখে চিনে ফেলল। কেননা, সে আমাকে হিজাবের হুকুম নাযিল হওয়ার আগে দেখেছিলেন। সে তখন ইন্নালিল্লাহ বলল । আমি তার ইন্নালিল্লাহ বলার শব্দে জেগে উঠি । তখন আমি ওড়না দিয়ে আমার মুখ ঢেকে ফেলি’।
( সহীহ বুখারী ৫/৩২০; সহীহ মুসলিম হাদীস ২৭৭০; জামে তিরমিযী হাদীস ৩১৭৯)
প্রকাশ থাকে যে, সাহাবায়ে কেরাম হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পর চেহারায় পর্দা করতেন, যা আম্মাজান আয়েশা রা. এর উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত । এছাড়া এ সংক্রান্ত আরো প্রমাণ পরবর্তী আলোচনায় আছে।
�� #ইহরাম_অবস্থায়_মহিলারা_চেহারা_খোলা_রাখা
#অনেকে মনে করে, ইহরাম অবস্থায় চেহারার পর্দা নেই। ফলে তারা অন্য সময় পর্দা করলেও ইহরাম অবস্থায় চেহারার পর্দা করেন না। প্রকৃত বিষয় এই যে, ইহরাম অবস্থায় চেহারায় কাপড় লাগানো নিষেধ, কিন্তু পর্দা করা নিষেধ নয় । উম্মুল মুমিনীন ও একাধিক সাহাবী থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তারা ইহরাম অবস্থায়ও চেহারার পর্দা করতেন ।
আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. বলেন, ‘আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম । পথচারীগণ আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করত । তারা আমাদের নিকট আসলে আমরা মাথার উপর থেকে নেকাব চেহারায় ফেলে দিতাম । তারা চলে গেলে নেকাব উঠিয়ে নিতাম।
( সুনানে আবূ দাঊদ হাদীস ১৮৩৩; ফাতহুল বারী ৩/৪৭৪)
#হযরত ফাতেমা বিনতে মুনযির র. বলেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় চেহারা আবৃত করে রাখতাম । আবূ বকর সিদ্দীক রা. এর কন্যা আসমা রা. এর সাথে আমরা ছিলাম । তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেননি ।
(মুয়াত্তা মালেক: পৃঃ ২১৭২)
#মোটকথা, সাহাবা-তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ীনের মাঝে কোন দ্বিমত ছিল না । এ ব্যাপারে তাদের মাঝে ব্যাপক আমল ছিল । এমনকি ইহরাম অবস্থায় যখন চেহারায় কাপড় লাগানো মহিলাদের জন্যও নিষিদ্ধ তখনও তারা চেহারার পর্দা করতেন ।
�� #হাত_মোজা_পা_মোজা_পড়াও_জরুরি
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ইহরামের হালতে মেয়েরা যেন নেকাব ও দস্তানা ব্যবহার না করে।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৮৩৮
এ থেকে বোঝা যায়, সাহাবায়ে কেরামের যুগে মেয়েরা তাদের হাত ও মুখ আবৃত রাখতেন।
এ কারণে ইহরামের সময় নেকাব ও দস্তানা না পরার আদেশ করতে হয়েছে।
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাহ. বলেন-সঠিকতর সিদ্ধান্ত এই যে, নারীর জন্য পরপুরুষের সামনে দুই হাত, দুই পা ও মুখমন্ডল খোলা রাখার অবকাশ নেই।-মাজমূআতুল ফাতাওয়া ২২/১১৪
ইবনুল কাইয়েম রাহ. বলেন, নারী নামায আদায়ের সময় দুই হাত ও মুখমন্ডল খোলা রাখতে পারেন, কিন্তু এভাবে বাজারে ও লোকের সমাগমস্থলে যাওয়ার অবকাশ নেই।-ই’লামুল মুয়াক্কিয়ীন ২/৪৭
বর্তমান সময়ের আরব শায়খদের মাঝে শায়খ ইবনে বায রাহ., শায়খ উছাইমীন ও শায়খ ইবনে জিবরীনও একই ফতোয়া দিয়েছেন। ফাতাওয়া উলামাইল বালাদিল হারাম পৃ. ১১৬৯
বোরকার দ্বারা পূর্ণ দেহ ও মুখমন্ডল আবৃত করতে হবে। হাত-পাও অনাবৃত রাখা যাবে না।
[টীকা : নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে মেয়েরা লম্বা ঝুলওয়ালা জামা পরিধান করতেন, এর উদ্দেশ্য ছিল পায়ের পাতা আবৃত রাখা।
দেখুন : মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৫৬৩৭, ৯৩৮৪, ২৪৪৬৯, ২৬৫৩২, ২৬৫৫৪, ২৬৬৩৬
এক হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পুরুষদের সম্পর্কে বললেন, যারা অহঙ্কার বশত মাটিতে কাপড় টেনে টেনে চলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। তখন উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা. মেয়েদের কাপড়ের ঝুল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মেয়েদের ঝুল এক বিঘত লম্বা হতে পারবে। উম্মুল মুমিনীন আরজ করলেন, এতে তো (চলাফেরার সময়) পায়ের পাতা বের হয়ে যাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে এক হাত ঝুলিয়ে দিবে। এর বেশি নয়। -জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৮৩১;
আলিমগণ বলেছেন, কাপড়ের ঝুল দীর্ঘ রাখার উদ্দেশ্য মোজা দ্বারা পূরণ হয়। এজন্য মোজা ব্যবহার করলে ঝুল দীর্ঘ রাখার প্রয়োজন নেই।
(দেখুন : আলইসতিযাকার ৭/৩১৫)
তাই পর্দানশীন নারীদের অবশ্যই উচিত বাইরে বের হওয়ার সময় মোজা ও দস্তানা ব্যবহার করা।
হাত পা না ঢাকলে পরিপূর্ণ পর্দা হয়না
�� #চোখ_ঢাকাও_পূর্ণ_পর্দার_অংশ
#অনেকে অর্ধমুখ খোলা রাখেন । ভ্রুর উপর থেকে নাকের অর্ধেক পর্যন্ত খোলা রাখেন । এটাও ঠিক নয় । হযরত আয়েশা রা. ও ফাতিমা বিনতে মুনযির রা. এর উপরোক্ত বর্ণনায় পূর্ণ চেহারা ঢাকার কথা আছে। এছাড়া সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতের তাফসীরে হযরত ইবনে আব্বাস রা. এবং উবাদা আসলামী রা. যা বলেছেন, তা আরো স্পষ্ট যে, তিনি বাম চোখও ঢেকে নিয়েছেন। শুধু ডান চোখটি দেখার স্বার্থে বের করে রেখেছেন । আর মাথার উপর থেকে নেকাব এমনভাবে ঝুলিয়েছেন যে, চোখও ভ্রু ঢেকে আছে। আজকাল নেকাবের জন্য পাতলা কাপড় পাওয়া যায় । যা ব্যবহারে ঢেকে যায় । আবার চলাচলেরও অসুবিধা হয় না।
একান্ত ই ঢাকতে সমস্যা হলে ভিন্ন কথা।
�� #মাহরাম_ছাড়া_সফর_করা
#আজকাল অনেক মহিলারা দূর দূরান্ত থেকে মাহরাম ছাড়া একাকী সফর করে । দেশে এক শহর থেকে অন্য শহর এমনকি বিদেশ সফরও একাকী করে থাকে । এটা নাজায়েজ । শরীয়তের বিধান হল ৪৮ মাইল বা ততোধিকের সফর মহিলারা মাহরাম ছাড়া করবে না। অন্য মহিলাদের সঙ্গী হয়ে যাওয়ার ও অনুমতি নেই । অনেক মহিলারা মাহরাম ছাড়া হজ্বের সফরেও যায় । অন্য মহিলার সঙ্গী হয়ে যাওয়াকে বৈধ মনে করে । বিশেষ করে জিদ্দা থেকে কোন মাহরাম সঙ্গী হওয়ার মতো ব্যবস্থা থাকলে এবং দেশে বাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিলে পথিমধ্যে একাকী সফরকে দোষনীয় মনে করা হয় না । অথচ একাকী সফর করার বাপারে হাদীস শরীফে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হজ্জের সফরেও একাকী যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ এসেছে। (সহীহ মুসলিম ৯/১১০; সুনানে দারাকুতনী ২/২২৩)
�� #নিয়মিত_বাইরের_ব্যস্ততা_সমীচীন_নয়
#অনেক মহিলারা ঘরের বাইরের ব্যস্থতা নিয়মিত রাখে । যেমন চাকরি, স্কুল-কলেজে পড়া লেখা ইত্যাদি। নিয়মিত বাইরের ব্যস্ততা রাখা ঠিক নয়। বিশেষত একাকী যাতায়াত করা আরো খারাপ। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘তোমরা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান কর ।’
(সুরা আহযাব,৩৩)
#এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেন, অতি প্রয়োজন ছাড়া মহিলাদের বের হওয়া ঠিক নয় । আর নিয়মিত বাইরের ব্যস্ততায় ফিতনার আশংকা রয়েছে। এজন্য মসজিদের জামাতে অংশগ্রহণ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। তাই পড়া-শুনা বা প্রয়োজনীয় কোন কাজে নিয়মিত বের হলে পূর্ণ শরঈ পর্দার সাথে মাহরামসহ বের হবে ।
�� #মহিলাদের_একাকী_বাজার_করা_অনুচিত
#অনেক পর্দাশীল মহিলা একাকী বাজার করে । অথচ একাজগুলো বাড়ির পুরুষদের দিয়ে সুন্দরভাবে হয়ে যায়। এ কাজ মহিলাদের নিজে নিজে করা কোরআনে কারীমের আয়াত-‘তোমরা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান কর’-এর খেলাফ ।
দ্বিতীয়ত কেনাকাটা করতে গিয়ে দোকানী পুরুষদের সাথে সরাসরি কথাবার্তা বলতে হয়, পুরুষদের ভীড়ের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতে হয় । এভাবে শরীয়তের হুকুম লঙ্ঘন করা হয়। এজন্য মহিলাদের এভাবে একাকী বাজার করা অনুচিত ।
�� #বাইরে_সুগন্ধি_ব্যবহার_করা_নাজায়েয
#অনেক মহিলা বাইরে বের হওয়ার সময় পর্দা করে বের হয় বটে, কিন্তু পারফিউম বা অন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে । মহিলাদের বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা নাজায়েয। এতে পর্দা লঙ্ঘন হয় । শরঈ পর্দা আদায় হয় না।
হাদীস শরীফে ওই সব মহিলার উপর অভিসম্পাদ করা হয়েছে যারা সুগন্ধি মেখে বের হয় ।
#এক হাদীসে এসেছে, অর্থ: যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে বের হল, অতঃপর লোকদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করল যে, তারা যেন সুঘ্রাণ পায় সে ব্যভিচারিনী । (মুসনাদে আহমাদ ৪/৪১৪; মুসতাদরাকে হাকেম ২/৩৯৬; সুনানে আবূ দাঊদ ৪১৭৫)
�� #আঁটসাঁট_বোরকা_পরা
#কিছু মহিলা এমন বোরকা পরে যে, বোরকার উপর দিয়ে শরীরের আকার- আকৃতি বোঝা যায় । কেউ কেউ একেবারে টাইটফিট বোরকা পরে । এমন পোশাক পরে বাইরে রেব হয়, যা পরিধান করে বাইরে বের হওয়া নাজায়েয । এতে বোরকার হক আদায় হয় না । শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুটে উঠে এমন পোশাকে যারা বের হয় তাদেরকে হাদীস শরীফে কঠিন ভাবে সাবধান করা হয়েছে। এক হাদীসে তাদের উপর লানত করা হয়েছে। আর এক হাদীসে বলা হয়েছে, দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামী তার মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণী লোক হচ্ছে, ঐ সকল নারী, যারা পোশাক পরিধান করা স্বত্বেও বিবস্ত্র । অন্যকে নিজের প্রতি আকর্ষণকারিনী ও নিজেও আকৃষ্ট। বুখতি উটের উঁচু কুঁজের মতো তাদের চুলের খোপা । এসব নারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধি অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে’।
�� #আকর্ষণীয়_ও_কারুকার্যময়_বোরকা_পরিধান_করা
#আজকাল জাঁকজমকপূর্ণ বোরকার প্রচলন বেরেছে। বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় বোরকা । এধরনের জাঁকজমকপূর্ণ আকর্ষণীয় বোরকা পরা ঠিক নয় । মহিলাদের বাইরে বের হওয়ার একটি মূলনীতি হল, বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টিকারী কোন কিছু ব্যবহার না করা । এজন্য সুগন্ধিসহ সকল আকর্ষণ সৃষ্টিকারী বস্তু ব্যবহার নাজায়েজ । কেউ কেউ পেন্সিল হিল ব্যবহার করে । এর ব্যবহারও এড়িয়ে চলা জরুরী ।
�� #পুরুষদের_সঙ্গে_সহাবস্থান
#পুরুষদের সাথে একত্রে চাকরি বা পড়া-শুনার ক্ষেত্রে বোরকা পরাকেই যথেষ্ট মনে করা হয় । অথচ গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে সান্নিধ্য ও তাদের সঙ্গে ওঠাবসা থেকে মহিলাদের দূরে থাকা কর্তব্য । তাই পুরুষের হাবস্থানে শুধু বোরকা দ্বারা পর্দার হক আদায় হয় না । কেননা পর পুরুষের সাথে উঠা-বসা, লেনদেন জিনিসপত্রের আদান-প্রদান এবং অফিসিয়াল প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে অপরিচিতদের সাথে কথাবার্তা বলতে হয় । এতেও পর্দার খেলাফ হয় । এসকল ক্ষেত্রে বোরকা পরে থাকলেও পর্দার খেলাফ হয় । অবশ্য বোরকা পরিধানের কারণে বোরকা ছাড়া মহিলাদের চেয়ে গুনাহ কম হবে।
�� #চাকরি_করা
#ইসলাম নারী ও পুরূষ প্রত্যেকের যিম্মাদারী ও দায়িত্ব পৃথকভাবে বন্টন করে দিয়েছে। বাইরের সকল দায়িত্ব পিতা বা ভাই বা স্বামী তথা পুরূষ গার্জিয়ানের কাঁধে অর্পিত। আর ঘরের কাজ বা আভ্যন্তরীন দায়িত্বগুলো স্ত্রী তথা নারীর কাঁধে সমর্পিত। মহিলাদের জন্য যথাসম্ভব ঘরে অবস্থান আবশ্যক, বেগানা পুরূষদের সাথে সম্মিলন ঘটে এমন যে কোন পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকা জরূরী।
#শরীয়তের মূলনীতির আলোকে নারীর জন্য পর-পুরূষের সাথে অফিস-আদালতে, কোর্ট-কাচারি ইত্যাদিতে
চাকুরী করা একেবারেই গর্হিত ও নাজায়িয কাজ। তাছাড়া এর দ্বারা পর্দা প্রথা যা শি'আরে ইসলাম
এবং একটি ফরয বিধান তারও মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। এছাড়াও আরো বিভিন্নভাবে শরয়ী আহকাম লংঙিত
হয়। এসব কারণেই মেয়েদের জন্য পর পুরূষের সাথে কাজ করতে হয় এমন কোন চাকুরী করা নাজায়িয।
তবে রুজী-রোজগারের ব্যাপারে কোন মহিলার যদি কোন ব্যবস্থাই না থাকে যেমন, উপার্জনক্ষম কোন
পিতা, ভাই বা স্বামী না থাকে, তাহলে পর্দার সাথে অন্য কোন হালাল পেশা অবলম্বন করতে
পারে। ( সূরা নিসা:৩৪, মিশকাত শরীফ:২৬৯, ফেকহী মাকালাত:১/২৪৮)
আরো বিস্তারিত জানতে আমার পূর্বের পোস্টটি পড়তে পারেন (https://kmarifin.blogspot.com/2019/05/blog-post_30.html)
�� #অন্যদের_সাথে_কোমলতা_প্রদর্শন_ঠিক নয়
#গায়রে মাহরামের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলা নিষেধ নয় । কিন্তু এক্ষেত্রেও কোমলতা বর্জন করা কোরআনের নির্দেশ। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা পর পুরুষের সাথে কোমল স্বরে কথা বলো না । ফলে সে ব্যক্তি কুবাসনা করবে যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে।’ (সূরা আহযাব:৩২)
#সুতরাং প্রয়োজনীয় কথা-বার্তার ক্ষেত্রে কোমলতা বর্জন না করাও পর্দার খেলাফ। আর প্রয়োজন ছাড়া গায়রে মাহরামের সাথে কথা না বলাই কাম্য। বিশেষ কোন ফেতনার আশংকা থাকলে কথা বলা জায়েয হবে না। (শরহে মুসলিম- নববী কৃত ২/১২১আদ্দুররুল মুখতার ১/৪০৬; আল মুফাসসাল৩/২৭৬)
�� #শরঈ_পর্দার_শর্তাবলি
#শর্তগুলো উপরে বিক্ষিপ্তভাবে এসেছে সহজকরণের লক্ষে তা সংক্ষিপ্তভাবে আবারো প্রদত্ত হল। অনেক মা-বোনই পর্দা করে কিন্তু অনেকে জানেনই না পূর্ণ পর্দা কাকে বলে? এর জন্য কি কি শর্ত রয়েছে? তাই পূর্ণ পর্দার শর্তাবলি উল্লেখ করা হল।
১.কোন প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া। এক্ষেত্রে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পূর্ণ শরীর আবৃত করা, মুখ ও চোখের উপর নেকাব রাখা, হাত মোজা ও পা মোজা পরিধান করা।
২.বোরকার কাপড় ভালো ও শালীন হওয়া, আকর্ষণীয় কারুকাজ ও নকশা না থাকা। অর্থাৎ বোরকা আকর্ষণীয় না হওয়া। আজকাল বিভিন্ন প্রিন্টের বোরকা পাওয়া যায় যথা সম্ভব এ থেকে এড়িয়ে থাকা। তদ্রƒপ কালো কাপড়ের উপর আকর্ষণীয় কাজও যেন না হয়।
৩.বোরকার কাপড় মোটা হওয়া। এমন পাতলা না হওয়া যে, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখা যায়।
৪.অধিক ঢিলাঢালা বোরকা হওয়া। এমন আঁটসাঁট না হওয়া যে, বোরকা শরীরের সাথে লেগে থাকে কিংবা পরিধানের পর শরীরের কোন অঙ্গ প্রকাশ পায়।
৫.বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার না করা। এটাও শরঈ পর্দার অংশ।
৬.এমন অলংকার পরে বাইরে না যাওয়া, যা পরিধান করে চললে আওয়াজ হয়। যেমন-নুপুর, কাঁচের চুড়ি ইত্যাদি।
৭.চিকন ও লম্বা হিল বিশিষ্ট জুতাপরিধান না করা। যেন চললে স্বাভাবিকতা বজায় থাকে।
৮.উঁচু করে খোপা বা চুল না বাঁধা।
৯.গায়রে মাহরামের সাথে অপ্রয়োজণীয় কথা বলা ও সালাম দেওয়া-নেওয়া থেকে বিরত থাকা। প্রয়োজনে বলতে হলে কোমলতা পরিহার করা।
১০.সফরসম দূরত্বে কিংবা ফেতনার আশংকা থাকলে মাহরাম পুরুষের সঙ্গে যাওয়া।
��#দুলাভাই_দেবর_ভাসুরদের_সঙ্গে_পর্দা_করা_আবশ্যক
#কেউ কেউ মনে করে দুলাভাই,দেবর, মামাতো,চাচাতো ভাই এ ধরনের গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সাথে পর্দা না করলেও চলে।
অথচ ইসলামে তাঁদের সবার সঙ্গেই পর্দার বিধান রয়েছে সর্বাবস্থায় তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হারাম।
বিশেষ করে দুলাভাইদের সাথে ঠাট্টা মশকরা করা।
দেবরদের সাথে নিয়মিত কথাবার্তা বলা
এসব চরম ফেত্নার কারন হতে পারে।
#হযরত ওকবা বিন আমের রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-তোমরা মহিলাদের নিকট [একাকি] প্রবেশ করা থেকে বিরত থাক।
আনসারদের মধ্যে এক ব্যক্তি বলল-‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরের ব্যাপারে কি নির্দেশ?
তিনি বললেন-"দেবর তো মৃত্যুতুল্য'' ।
(সহীহ বুখারী, হাদিস নং-৪৯৩৪, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৫৮০৩)
#এছাড়া কোন গাইরে মাহরাম পুরুষ এর সাথে একাকী হওয়াও জায়েজ না।
হযরত ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-যখনই কোন পুরুষ পর নারীর সাথে নির্জনে দেখা করে তখনই শয়তান সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত হয়।
(সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২১৬৫)
�� #উকিল_বাবার_সাথে_পর্দা_করা_আবশ্যক
#বিয়ের সময় যাকে উকিল বানানো হয় তাকে সমাজে পাত্র-পাত্রীর উকিল বাবা বলা হয়। তার সাথে পরবর্তীতে অবাধে দেখা-সাক্ষাত করা হয়। এমনকি মাহরামের অন্তর্ভুক্তও মনে করা হয়। এটা সম্পূর্ণ ভুল। গায়রে মাহরামকে উকিল বানানো হলেও তার সাথে দেখা-সাক্ষাত পূর্বের মতোই হারাম।
�� #ধর্মের_বোন_ডাকা_ও_পর্দা_না_করা
#অনেকে বিভিন্ন অজুহাতে গায়রে মাহরাম মহিলাকে অনেকে বোন ডাকে। সমাজে একে ‘ধর্মের বোন’ বলে অভিহিত করা হয়। ধর্মের বোনের সাথে আপন বোনের মতোই আচরণ করা হয় পর্দা করা হয় না। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মীরাসও দেওয়া হয়। গায়রে মাহরাম মহিলার সাথে এ ধরনের সম্পর্ক বৈধ নয়। ধর্মের বোন বলতে যা বোঝানো হয় শরীয়তে তা স্বীকৃত নয়। তাদের পরস্পর দেখা-সাক্ষাত নাজায়েয।
�� #মাহরাম_পুরুষের_সামনে_সতরের_ব্যাপারে_উদাসীনতা
#আমাদের দেশে মহিলাদের অনেকে শাড়ী পরে থাকে। এতে অনেক সময় পেট ও পিঠ খোলা থাকে ঘরে মাহরাম পুরুষের সামনে একে গুনাহ মনে করা হয় না। অথচ এর দ্বারা সতর খোলার গুনাহ হয়। মহিলাদের পেট-পিঠ সতরের অন্তুর্ভুক্ত। মাহরাম পুরুষের সামনেও তা ঢেকে রাখা ফরয।
মাহরাম পুরুষের জন্য মহিলার মাথা, চেহারা, হাত, গলদেশ ও হাঁটুর নিচের অংশ সতর নয়। তবে তাদের সামনেও যতটুকু সম্ভব আবৃত থাকাই উত্তম।
#বিশিষ্ট তাবেয়ী হাসান বসরী বলেছেন, ‘নিজ ভাইয়ের সামনেও নারীর ওড়না ছাড়া থাকা উচিত নয়।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৯/৩৭৩)
প্রখ্যাত তাবেয়ী আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ. বলেছেন, ‘মাহরাম পুরুষের সামনে মেয়েদের মাথা ঢেকে রাখাই আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। অবশ্য মাহরাম তা দেখে ফেললে গুনাহ হবে না।’
[প্রাগুক্ত, কিতাবুল আসল ৩/৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৯১]
�� #জাহেলী_যুগের_মতো_ওড়না_ব্যবহার
#জাহেলী যুগে ওড়না ব্যবহারের নিয়ম ছিল, নারীরা মাথায় ওড়না দিয়ে তার দুই প্রান্ত পৃষ্ঠদেশে ফেলে রাখত। ফলে গলা ও বক্ষদেশ অনাবৃত থাকত। ইসলামের প্রথমযুগে আল্লাহ তা‘আলা জাহেলী যুগের এই কু-প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। কোরআন মজীদে এসেছে-‘তারা যেন বক্ষদেশে ওড়না ফেলে রাখে’ (সূরা নূর;৩১)
#আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হয়, তখন (তৎক্ষণাৎ আমলের জন্য মহিলা সাহাবিগণ নিজেদের-পেটিকোট) নিয়ে তার পাশ থেকে কেটে তা ওড়না রূপে পরে নেয়।’ (সহীহ বুখারী ৮/৩৪৭)
#বর্তমান জাহেলীযুগ পূর্বের জাহেলী যুগও ছেড়ে গেছে। অতি আধুনিক মেয়েরা তো ওড়না ব্যবহারই করে না। কেউ কেউ ব্যবহার করলেও জাহেলী যুগের মতো গলাও বক্ষদেশ খোলা রাখে। সুতরাং ঘরে-বাইরে সর্বত্র মহিলাদের ওড়না পরিধানের নিয়ম এটিই। এমনকি ফাতাওয়া শামীতে ঘরের মাহরামদের সামনে মহিলাদের মাথায় কাপড় রাখাকে মুস্থাহাব বলা হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে শামী: ১/৪০৪)
�� #পালক_সন্তানের_সাথে_পর্দা_করা
#পালক সন্তান আপন সন্তানের মতো নয়। বাবার জন্য বালেগ হলে পালিত কন্যা এবং মায়ের জন্য বালেগ হলে পালিত পুত্র সাথে পর্দা করা ফরজ হয়ে যাবে।
হ্যাঁ, সন্তানের দুই বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে যদি নিজের বুকের দুধ খাওয়ায় সেক্ষেত্রে সন্তানও হয়ে যায়। আর দুধ সন্তানের সাথে দেখা দেওয়া জায়েয । দুধ পান না করিয়ে থাকলে বালেগ হবার পর পালক সন্তানের সাথে দেখা দেয়া জায়েয হবে না। পালক সন্তান নিজের সন্তানের মতো নয় তা সূরা আহযাবের ৪ও৫ নং আয়াতে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে।
�� #মেয়েদের_পর্দার_বয়স
#অনেকে মনে করে হায়েজ না দেখা দেয়া পর্যন্ত পর্দার বয়স হয় না। এই ধারণা ঠিক নয়। মেয়েরা বড় হয়ে ওঠলেই পর্দার বয়স শুরু হয়ে যায় ।
ফাতাওয়ায়ে শামীসহ অন্যান্য ফাতাওয়া গ্রন্থে নয় বছর অতিক্রম করলেই পর্দার বয়স হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই এই বয়স থেকেই পর্দা করা জরুরী।
বিশেষ করে যদি তাদের দেখতে বড় লাগে তো পর্দা করানোই লাগবে।
বিশেষ করে ৮/৯ বছরের পর হতে মেয়েরা ফিজিক্যাল হ্যারাসমেন্ট এর শিকার হয় বেশি।
তাই তাদের সেফটির জন্যে হলেও তাদের আগে থেকেই বোরকা পড়ানো। পর্দা করানো উচিত।
আর হায়েজ হবার পর থেকে পর্দা করা পুরোপুরি ফরজ।
(ফাতাওয়ায়ে শামী:১/৪০৮;৩.৩৭ আহসানুল ফাতাওয়া :৮/৩৮)
�� #ছেলেদের_পর্দার_বয়স
#ছেলেদের যখন নারীদের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন হতে আরম্ভ করে তখন থেকেই তার সঙ্গে পর্দা করতে হবে। সূরা নূরের ৩১নং আয়াতে এসেছে তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে কিন্তু তাদের স্বামীর নিকট অথবা যৌন কামনামুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের আবৃত অঙ্গ-প্রতঙ্গ সম্পর্কে সচেতন নয়।” (সূরা আন নূর ৩১)
#এই চেতনা সাধারণত কত বছর বয়সে হয় এ নিয়ে ফকীহগণের বিভিন্ন মত আছে। ইমাম আহমদ র. সহ অনেকেই দশ বছর বলেছেন। তবে ফাতাওয়া শামীতে বয়োপ্রাপ্তির ন্যূনতম সীমা ১২ বছর বলা হয়েছে। সুতরাং ছেলের ১২ বছর বয়স হলেই তার সাথে নারীদের পর্দা করতে হবে। তবে দশ বছর বয়স থেকেই শুরু করা ভাল।
প্রসঙ্গত বর্তমানে এ বিষয়ে অনেক বেশী সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত
(ফাতাওয়ায়ে শামী : ৩/৩৫; আলমুফাসসাল: ৩/১৮০-১৮১)
�� #মেয়েদের_সাথে_মেয়েদের_পর্দা
#অন্য নারীর সামনে একজন নারীর সতর নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত । এ অংশ কোন বিশেষ ওযর ছাড়া কোন নারীর সামনেও খোলা জায়েয নয়। আর পেট, পিঠ, বুক এগুলোও প্রয়োজন ছাড়া অন্য নারীর সামনে অনাবৃত করা অনুচিত। আর ফিতনার আশংকা হলে তা আবৃত রাখা জরুরী।
( আল মুফাসসাল: ৩/২৬৫; ফাতাওয়া শামী: ৬/৩৭১)
�� #বিধর্মী_নারীর_সাথে_মুসলিম_নারীর_পর্দা
#বিধর্মী নারীর সামনে মুখ, হাত ও পা ছাড়া পুরো শরীর এমনকি চুলও ঢেকে রাখা জরুরী। তাদের সামনে শরীরের সৌন্দর্য প্রকাশ করা গুনাহ। (ফাতাওয়ায়ে শামী: ৬/৩৭১; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৪/১৯৬)
�� #বেগানা_পুরুষদের_প্রতি_দৃষ্টিপাত_করা
#এ প্রসঙ্গে সূরা নূরের ৩১ নং আয়াত স্মরনীয়।
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, অর্থ-‘হে নবী! আপনি মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন দৃষ্টিকে অবনত রাখে।’অর্থাৎ পর পুরুষের দিকে না তাকায়।
#হযরত উম্মে সালমা রা. বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে ছিলাম, হযরত মায়মুনা রা. ও ছিলেন। ইতিমধ্যে অন্ধ সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম এলেন। এটা ছিল হেজাবের হুকুম নাযিল হওয়ার পরের ঘটনা। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন.
'তোমরা দু’জন তার থেকে পর্দা কর। আমরা বললাম, সে তো অন্ধ। আমাদেরকে দেখছে না এবং আমাদেরকে চিনেও না। তখন তিনি বললেন, ‘তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখতে পাচ্ছ না?
(সুনানে আবূ দাঊদ হাদীস ৪১১২)
#উক্ত আয়াতও হাদীসের আলোকে ফকীহগণ বলেন, কুনজরে পুরুষের দিকে তাকানো মহিলাদের জন্য নাজায়েয। তদ্রপ আকর্ষণ সৃষ্টি হয় এমন গভীরভাবে দৃষ্টিপাত করাও নিষেধ।
আর কোন ধরনের ফিতনার আশংকা না হলে সাধারণ দৃষ্টিতে পর পুরুষের দিকে তাকানো নাজায়েয নয়। তবে এক্ষেত্রে না তাকানোই ভালো।
সুতরাং ভিডিও লেকচার দেখা হতে নারীর বিরত থাকা উচিত। কারন এভাবে গাইরে মাহরাম পুরুষদের দেখা ফেত্নামুক্ত না।
দ্বীন শিখার জন্য দ্বীনি কিতাব পড়া উচিত।
(ফাতাওয়া শামী: ৬/৩৭১; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/২২৭; আল মুফাসসাল: ৩/২২৭; জামেউ আহকামিন নিসা: ৪/২৮৩
ফেসবুক পোস্ট লিংকঃ https://www.facebook.com/kmarifin98/posts/484910465596137?__tn__=K-R
নারীর বাইরে চলাফেরা,কথাবার্তা, পর্দা, সব বিষয় এ ইসলামের নির্দেশনা জানা উচিত ভালো ভাবে সবার....
এ ব্যাপারে বিস্তারিত হুকুম আহকাম উল্লেখ করছি।
�� #মাহরাম_কি?
- যে সকল পুরুষের সামনে নারীর দেখা দেওয়া,কথা বলা জায়েজ এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন সম্পূর্ণ হারাম তাদের কে শরীয়তের পরিভাষায় মাহরাম বলে।
#মাহরাম কারা?
-সূরা আন নূরের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীর মাহরাম নির্ধারিত করে দিয়েছেন।
#গায়রে মাহরাম কি?
- যে সকল পুরুষের সামনে যাওয়া নারীর জন্য শরীয়তে জায়েজ নয় এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন বৈধ তাদের কে গায়রে মাহরাম বলে।
বস্তুতঃ গায়রে মাহরামের সামনে একান্ত অপারগ হয়ে যদি যাওয়াই লাগে তবে নারী পূর্ণ পর্দা করে সামনে যাবে।
#গায়রে মাহরাম কারা?
-মাহরাম বাদে সমস্ত বিশ্বে-মহাবিশ্বে যত পুরুষ আছে সব গায়রে মাহরাম!
নিজ পরিবারে চাচাত/খালাত/মামাত/ফুপাত সব ভাই, নিজ দুলাভাই, দেবর, ভাসুর, (আপন,দাদা ও নানা শ্বশুর বাদে) সমস্ত চাচা-মামা-খালু-ফুপা শ্বশুর নিজ খালু/ফুপা এরা সবাই গায়রে মাহরাম! তাদের সামনে নিজেকে প্রদর্শন করা আল্লাহর হুকুমের অবাধ্যতা করা! মাহরাম ছাড়া সকল পুরুষের সামনে পর্দা করতে হবে এবং হবেই...
মহিলাদের মাহরাম
১৫
জন
:
* বাবার মত
৫
জন
–
১)
বাবা,
২)
চাচা,
৩)
মামা,
৪)
শশুর,
৫)
দুধ-
বাপ
* ভাই-এর
মত
৫
জন
–
১)
ভাই,
২)
দাদা,
৩)
নানা,
৪)
নাতি,
৫)
দুধ-ভাই
* ছেলের মত
৫
জন
–
১)
ছেলে,
২)
ভাই-এর
ছেলে,
৩)
বোনের
ছেলে,
৪)
মেয়ের
জামাই
৫)
দুধ
ছেলে
* পিতা, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ।
*. শ্বশুর, আপন দাদা ও নানা শ্বশুর এবং তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ।
* আপন ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরসজাত পুত্র সন্তান এবং আপন মেয়ের স্বামী।
* স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র।
* আপন ভাই,সৎ ভাই
* ভাতিজা অর্থাৎ, আপন ভাইয়ের ছেলে এবং সৎ ভাইয়ের ছেলে।
* ভাগ্নে অর্থাৎ, আপন বোনের ছেলে এবং সৎ বোনের ছেলে।
* এমন বালক যার মাঝে মহিলাদের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই। (সূরা নূর-৩১)
* দুধ সম্পর্কীয় পিতা, দাদা, নানা, চাচা, মামা এবং তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ।
* দুধ ভাই, দুধ ভাইয়ের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবং তাদের ঔরসজাত যে কোন পুত্র সন্তান।
* দুধ সম্পর্কীয় ছেলে, তার ছেলে, দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের ছেলে এবং তাদের ঔরসজাত যে কোন পুত্র সন্তান। এবং দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের স্বামী। (বুখারী শরীফ হাদীস নং ৫০৯৯, মুসলিম শরীফ হাদীস নং ১১৪৪)
* আপন চাচা, সৎ চাচা।
* আপন মামা,সৎ মামা। (সূরা নিসা-২৩)
#উপরোক্ত পুরুষ যাদের সাথে দেখা করতে বা দেখা দিতে পারবে তারা ছাড়া অন্য সমস্ত পুরুষকে দেখা দেওয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয এবং হারাম।
আরো দেখে নিতে পারেন আমার পূর্বের পোস্ট থেকে (https://kmarifin.blogspot.com/2019/05/blog-post_15.html)
�� #চেহারাও_পর্দার_অন্তর্ভুক্ত
#এক শ্রেণীর লোক নারীর চেহারাকে পর্দার অন্তর্ভুক্ত মনে করে না । অথচ চেহারা পর্দার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চেহারা পর্দার অন্তর্ভূক্ত না হওয়ার ব্যাপারে সূরা নূরের ৩১ নং আয়াত উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তবে যা সাধারণত প্রকাশমান’। অথচ হিজাবের মূল আয়াত এটি নয়। পর্দার বিষয়ে এই আয়াত দ্বারা দলীল দেওয়া এবং এই আয়াতকেই একমাত্র দলীল মনে করা ভুল । মূলত পর্দার আয়াত হল সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াত
‘হে নবী আপনার স্ত্রী ও অন্যদেরকে এবং মুমিনদের স্ত্রীদেরকে বলুন, তারা যেন চাদর নিজেদের উপর টেনে নেয়’।
#ইমাম সূয়ূতী র. বলেন, এটি সকল নারীর জন্য হিজাবের আয়াত । এতে মাথা ও চেহারা ঢাকা ওয়াজিব করা হয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের স্ত্রীদের আদেশ করেছেন তারা যেন প্রয়োজনের মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় উপর দিয়ে পর্দা ঝুলিয়ে চেহারা ঢেকে রাখে এবং শুধু এক চোখ খোলা রাখে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর: ৩/৮২৪)
#প্রখ্যাত ফকীহ তাবেয়ী উবাদা আসলামী রা. দেখিয়েছেন, কীভাবে নারীগণ এই আয়াতের উপর আমল করেন। তিনি তাঁর চাদর দিয়ে এমনভাবে মুখমন্ডল আবৃত করলেন যে, নাক ও বাম চোখ আবৃত হয়ে গেল। শুধু ডান চোখ খোলা থাকল। তদ্রুপ মাথার উপর থেকে কপাল ও চোখের ভ্রুও আবৃত হল ।
(তাফসীরে তাবারী, আদ্দুররুল মানসুর ৫/২২১, আহকামুল কোরআন- জাসসাস: ৩/৩৭১; তাফসীরে কাশশাফ ৩/২৭৪; আহকামুল কোরআন- ইবনুল আরাবী ৩/১৫৮৫-১৫৮৭; যাদুল মাসীর ফী ইলমিত তাফসীর ৬/৪২২; আদ্দুররুল মানসুর ৫/২২১; আনওয়ারুত তানযীল ওয়া আসরারুত তাবীল ২/২৮০; তাফসীওে কুরতুবূ ১৪/২৪৩-২৪৪।
#উল্লেখ্য, সূরা নূরের ৩১ নং আয়তে মূলত সতরের সীমারেখা বর্ণনা করা হয়েছে। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে হাত এবং মুখ খোলা রাখার কথাও বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বর্ণনাগুলোর অধিকাংশই নেহায়েত দুর্বল । দু’একটি গ্রহণযোগ্য বর্ণনা রয়েছে। সে হিসাবে এটি এ আয়াতের একটি ব্যাখা ।
#আয়াতের অন্য আরেকটি ব্যাখ্যা হল, ‘মা যাহারা মিনহা’
(অর্থাৎ যা সাধারনত প্রকাশমান) দ্বারা উদ্দেশ্য কাপড় । প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. এই ব্যাখ্যাই করেছেন ।
ইমাম ইবনে কাসীর র. এই মতকে প্রধান্য দিয়ে বলেন, হযরত হাসান, ইবনে সীরিন, আবুল জাওযা, আব্দুর রহীম নাখয়ী, হযরত ইবনে মাসঊদ রা. এর অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন।
#ইবনে জাওযী র. আরো বলেন, ইমাম আহমদ র.ও বলেছেন যে, প্রকাশ্য সৌন্দর্য হল কাপড়, আর নারীর শরীরের সব কিছু এমনকি নখও পর্দার অন্তর্ভুক্ত ।
( যাদুল মাসীর ৬/৩১)
#আর ইবনে আব্বাস রা. এর ব্যাখ্যা গ্রহণ করলেও এই আয়াত পরবর্তীতে নাযিলকৃত হিযাবের আয়াত দ্বারা মানসুখ(রহিত) হয়েছে । শাইখ ইবনে তাইমিয়া র. সহ আরো কিছু মনীষীও এই মত পোষণ করেন।
#আয়েশা রা. এর ‘ইফক’এর ঘটনায় উল্লেখিত হাদীস নসখের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. বলেন, আমি যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তখন সফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল আমার নিকটে এসে আমাকে দেখে চিনে ফেলল। কেননা, সে আমাকে হিজাবের হুকুম নাযিল হওয়ার আগে দেখেছিলেন। সে তখন ইন্নালিল্লাহ বলল । আমি তার ইন্নালিল্লাহ বলার শব্দে জেগে উঠি । তখন আমি ওড়না দিয়ে আমার মুখ ঢেকে ফেলি’।
( সহীহ বুখারী ৫/৩২০; সহীহ মুসলিম হাদীস ২৭৭০; জামে তিরমিযী হাদীস ৩১৭৯)
প্রকাশ থাকে যে, সাহাবায়ে কেরাম হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পর চেহারায় পর্দা করতেন, যা আম্মাজান আয়েশা রা. এর উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত । এছাড়া এ সংক্রান্ত আরো প্রমাণ পরবর্তী আলোচনায় আছে।
�� #ইহরাম_অবস্থায়_মহিলারা_চেহারা_খোলা_রাখা
#অনেকে মনে করে, ইহরাম অবস্থায় চেহারার পর্দা নেই। ফলে তারা অন্য সময় পর্দা করলেও ইহরাম অবস্থায় চেহারার পর্দা করেন না। প্রকৃত বিষয় এই যে, ইহরাম অবস্থায় চেহারায় কাপড় লাগানো নিষেধ, কিন্তু পর্দা করা নিষেধ নয় । উম্মুল মুমিনীন ও একাধিক সাহাবী থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তারা ইহরাম অবস্থায়ও চেহারার পর্দা করতেন ।
আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. বলেন, ‘আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম । পথচারীগণ আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করত । তারা আমাদের নিকট আসলে আমরা মাথার উপর থেকে নেকাব চেহারায় ফেলে দিতাম । তারা চলে গেলে নেকাব উঠিয়ে নিতাম।
( সুনানে আবূ দাঊদ হাদীস ১৮৩৩; ফাতহুল বারী ৩/৪৭৪)
#হযরত ফাতেমা বিনতে মুনযির র. বলেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় চেহারা আবৃত করে রাখতাম । আবূ বকর সিদ্দীক রা. এর কন্যা আসমা রা. এর সাথে আমরা ছিলাম । তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেননি ।
(মুয়াত্তা মালেক: পৃঃ ২১৭২)
#মোটকথা, সাহাবা-তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ীনের মাঝে কোন দ্বিমত ছিল না । এ ব্যাপারে তাদের মাঝে ব্যাপক আমল ছিল । এমনকি ইহরাম অবস্থায় যখন চেহারায় কাপড় লাগানো মহিলাদের জন্যও নিষিদ্ধ তখনও তারা চেহারার পর্দা করতেন ।
�� #হাত_মোজা_পা_মোজা_পড়াও_জরুরি
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ইহরামের হালতে মেয়েরা যেন নেকাব ও দস্তানা ব্যবহার না করে।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৮৩৮
এ থেকে বোঝা যায়, সাহাবায়ে কেরামের যুগে মেয়েরা তাদের হাত ও মুখ আবৃত রাখতেন।
এ কারণে ইহরামের সময় নেকাব ও দস্তানা না পরার আদেশ করতে হয়েছে।
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাহ. বলেন-সঠিকতর সিদ্ধান্ত এই যে, নারীর জন্য পরপুরুষের সামনে দুই হাত, দুই পা ও মুখমন্ডল খোলা রাখার অবকাশ নেই।-মাজমূআতুল ফাতাওয়া ২২/১১৪
ইবনুল কাইয়েম রাহ. বলেন, নারী নামায আদায়ের সময় দুই হাত ও মুখমন্ডল খোলা রাখতে পারেন, কিন্তু এভাবে বাজারে ও লোকের সমাগমস্থলে যাওয়ার অবকাশ নেই।-ই’লামুল মুয়াক্কিয়ীন ২/৪৭
বর্তমান সময়ের আরব শায়খদের মাঝে শায়খ ইবনে বায রাহ., শায়খ উছাইমীন ও শায়খ ইবনে জিবরীনও একই ফতোয়া দিয়েছেন। ফাতাওয়া উলামাইল বালাদিল হারাম পৃ. ১১৬৯
বোরকার দ্বারা পূর্ণ দেহ ও মুখমন্ডল আবৃত করতে হবে। হাত-পাও অনাবৃত রাখা যাবে না।
[টীকা : নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে মেয়েরা লম্বা ঝুলওয়ালা জামা পরিধান করতেন, এর উদ্দেশ্য ছিল পায়ের পাতা আবৃত রাখা।
দেখুন : মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৫৬৩৭, ৯৩৮৪, ২৪৪৬৯, ২৬৫৩২, ২৬৫৫৪, ২৬৬৩৬
এক হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পুরুষদের সম্পর্কে বললেন, যারা অহঙ্কার বশত মাটিতে কাপড় টেনে টেনে চলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। তখন উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা. মেয়েদের কাপড়ের ঝুল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মেয়েদের ঝুল এক বিঘত লম্বা হতে পারবে। উম্মুল মুমিনীন আরজ করলেন, এতে তো (চলাফেরার সময়) পায়ের পাতা বের হয়ে যাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে এক হাত ঝুলিয়ে দিবে। এর বেশি নয়। -জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৮৩১;
আলিমগণ বলেছেন, কাপড়ের ঝুল দীর্ঘ রাখার উদ্দেশ্য মোজা দ্বারা পূরণ হয়। এজন্য মোজা ব্যবহার করলে ঝুল দীর্ঘ রাখার প্রয়োজন নেই।
(দেখুন : আলইসতিযাকার ৭/৩১৫)
তাই পর্দানশীন নারীদের অবশ্যই উচিত বাইরে বের হওয়ার সময় মোজা ও দস্তানা ব্যবহার করা।
হাত পা না ঢাকলে পরিপূর্ণ পর্দা হয়না
�� #চোখ_ঢাকাও_পূর্ণ_পর্দার_অংশ
#অনেকে অর্ধমুখ খোলা রাখেন । ভ্রুর উপর থেকে নাকের অর্ধেক পর্যন্ত খোলা রাখেন । এটাও ঠিক নয় । হযরত আয়েশা রা. ও ফাতিমা বিনতে মুনযির রা. এর উপরোক্ত বর্ণনায় পূর্ণ চেহারা ঢাকার কথা আছে। এছাড়া সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতের তাফসীরে হযরত ইবনে আব্বাস রা. এবং উবাদা আসলামী রা. যা বলেছেন, তা আরো স্পষ্ট যে, তিনি বাম চোখও ঢেকে নিয়েছেন। শুধু ডান চোখটি দেখার স্বার্থে বের করে রেখেছেন । আর মাথার উপর থেকে নেকাব এমনভাবে ঝুলিয়েছেন যে, চোখও ভ্রু ঢেকে আছে। আজকাল নেকাবের জন্য পাতলা কাপড় পাওয়া যায় । যা ব্যবহারে ঢেকে যায় । আবার চলাচলেরও অসুবিধা হয় না।
একান্ত ই ঢাকতে সমস্যা হলে ভিন্ন কথা।
�� #মাহরাম_ছাড়া_সফর_করা
#আজকাল অনেক মহিলারা দূর দূরান্ত থেকে মাহরাম ছাড়া একাকী সফর করে । দেশে এক শহর থেকে অন্য শহর এমনকি বিদেশ সফরও একাকী করে থাকে । এটা নাজায়েজ । শরীয়তের বিধান হল ৪৮ মাইল বা ততোধিকের সফর মহিলারা মাহরাম ছাড়া করবে না। অন্য মহিলাদের সঙ্গী হয়ে যাওয়ার ও অনুমতি নেই । অনেক মহিলারা মাহরাম ছাড়া হজ্বের সফরেও যায় । অন্য মহিলার সঙ্গী হয়ে যাওয়াকে বৈধ মনে করে । বিশেষ করে জিদ্দা থেকে কোন মাহরাম সঙ্গী হওয়ার মতো ব্যবস্থা থাকলে এবং দেশে বাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিলে পথিমধ্যে একাকী সফরকে দোষনীয় মনে করা হয় না । অথচ একাকী সফর করার বাপারে হাদীস শরীফে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হজ্জের সফরেও একাকী যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ এসেছে। (সহীহ মুসলিম ৯/১১০; সুনানে দারাকুতনী ২/২২৩)
�� #নিয়মিত_বাইরের_ব্যস্ততা_সমীচীন_নয়
#অনেক মহিলারা ঘরের বাইরের ব্যস্থতা নিয়মিত রাখে । যেমন চাকরি, স্কুল-কলেজে পড়া লেখা ইত্যাদি। নিয়মিত বাইরের ব্যস্ততা রাখা ঠিক নয়। বিশেষত একাকী যাতায়াত করা আরো খারাপ। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘তোমরা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান কর ।’
(সুরা আহযাব,৩৩)
#এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেন, অতি প্রয়োজন ছাড়া মহিলাদের বের হওয়া ঠিক নয় । আর নিয়মিত বাইরের ব্যস্ততায় ফিতনার আশংকা রয়েছে। এজন্য মসজিদের জামাতে অংশগ্রহণ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। তাই পড়া-শুনা বা প্রয়োজনীয় কোন কাজে নিয়মিত বের হলে পূর্ণ শরঈ পর্দার সাথে মাহরামসহ বের হবে ।
�� #মহিলাদের_একাকী_বাজার_করা_অনুচিত
#অনেক পর্দাশীল মহিলা একাকী বাজার করে । অথচ একাজগুলো বাড়ির পুরুষদের দিয়ে সুন্দরভাবে হয়ে যায়। এ কাজ মহিলাদের নিজে নিজে করা কোরআনে কারীমের আয়াত-‘তোমরা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান কর’-এর খেলাফ ।
দ্বিতীয়ত কেনাকাটা করতে গিয়ে দোকানী পুরুষদের সাথে সরাসরি কথাবার্তা বলতে হয়, পুরুষদের ভীড়ের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতে হয় । এভাবে শরীয়তের হুকুম লঙ্ঘন করা হয়। এজন্য মহিলাদের এভাবে একাকী বাজার করা অনুচিত ।
�� #বাইরে_সুগন্ধি_ব্যবহার_করা_নাজায়েয
#অনেক মহিলা বাইরে বের হওয়ার সময় পর্দা করে বের হয় বটে, কিন্তু পারফিউম বা অন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে । মহিলাদের বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা নাজায়েয। এতে পর্দা লঙ্ঘন হয় । শরঈ পর্দা আদায় হয় না।
হাদীস শরীফে ওই সব মহিলার উপর অভিসম্পাদ করা হয়েছে যারা সুগন্ধি মেখে বের হয় ।
#এক হাদীসে এসেছে, অর্থ: যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে বের হল, অতঃপর লোকদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করল যে, তারা যেন সুঘ্রাণ পায় সে ব্যভিচারিনী । (মুসনাদে আহমাদ ৪/৪১৪; মুসতাদরাকে হাকেম ২/৩৯৬; সুনানে আবূ দাঊদ ৪১৭৫)
�� #আঁটসাঁট_বোরকা_পরা
#কিছু মহিলা এমন বোরকা পরে যে, বোরকার উপর দিয়ে শরীরের আকার- আকৃতি বোঝা যায় । কেউ কেউ একেবারে টাইটফিট বোরকা পরে । এমন পোশাক পরে বাইরে রেব হয়, যা পরিধান করে বাইরে বের হওয়া নাজায়েয । এতে বোরকার হক আদায় হয় না । শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুটে উঠে এমন পোশাকে যারা বের হয় তাদেরকে হাদীস শরীফে কঠিন ভাবে সাবধান করা হয়েছে। এক হাদীসে তাদের উপর লানত করা হয়েছে। আর এক হাদীসে বলা হয়েছে, দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামী তার মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণী লোক হচ্ছে, ঐ সকল নারী, যারা পোশাক পরিধান করা স্বত্বেও বিবস্ত্র । অন্যকে নিজের প্রতি আকর্ষণকারিনী ও নিজেও আকৃষ্ট। বুখতি উটের উঁচু কুঁজের মতো তাদের চুলের খোপা । এসব নারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধি অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে’।
�� #আকর্ষণীয়_ও_কারুকার্যময়_বোরকা_পরিধান_করা
#আজকাল জাঁকজমকপূর্ণ বোরকার প্রচলন বেরেছে। বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় বোরকা । এধরনের জাঁকজমকপূর্ণ আকর্ষণীয় বোরকা পরা ঠিক নয় । মহিলাদের বাইরে বের হওয়ার একটি মূলনীতি হল, বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টিকারী কোন কিছু ব্যবহার না করা । এজন্য সুগন্ধিসহ সকল আকর্ষণ সৃষ্টিকারী বস্তু ব্যবহার নাজায়েজ । কেউ কেউ পেন্সিল হিল ব্যবহার করে । এর ব্যবহারও এড়িয়ে চলা জরুরী ।
�� #পুরুষদের_সঙ্গে_সহাবস্থান
#পুরুষদের সাথে একত্রে চাকরি বা পড়া-শুনার ক্ষেত্রে বোরকা পরাকেই যথেষ্ট মনে করা হয় । অথচ গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে সান্নিধ্য ও তাদের সঙ্গে ওঠাবসা থেকে মহিলাদের দূরে থাকা কর্তব্য । তাই পুরুষের হাবস্থানে শুধু বোরকা দ্বারা পর্দার হক আদায় হয় না । কেননা পর পুরুষের সাথে উঠা-বসা, লেনদেন জিনিসপত্রের আদান-প্রদান এবং অফিসিয়াল প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে অপরিচিতদের সাথে কথাবার্তা বলতে হয় । এতেও পর্দার খেলাফ হয় । এসকল ক্ষেত্রে বোরকা পরে থাকলেও পর্দার খেলাফ হয় । অবশ্য বোরকা পরিধানের কারণে বোরকা ছাড়া মহিলাদের চেয়ে গুনাহ কম হবে।
�� #চাকরি_করা
#ইসলাম নারী ও পুরূষ প্রত্যেকের যিম্মাদারী ও দায়িত্ব পৃথকভাবে বন্টন করে দিয়েছে। বাইরের সকল দায়িত্ব পিতা বা ভাই বা স্বামী তথা পুরূষ গার্জিয়ানের কাঁধে অর্পিত। আর ঘরের কাজ বা আভ্যন্তরীন দায়িত্বগুলো স্ত্রী তথা নারীর কাঁধে সমর্পিত। মহিলাদের জন্য যথাসম্ভব ঘরে অবস্থান আবশ্যক, বেগানা পুরূষদের সাথে সম্মিলন ঘটে এমন যে কোন পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকা জরূরী।
#শরীয়তের মূলনীতির আলোকে নারীর জন্য পর-পুরূষের সাথে অফিস-আদালতে, কোর্ট-কাচারি ইত্যাদিতে
চাকুরী করা একেবারেই গর্হিত ও নাজায়িয কাজ। তাছাড়া এর দ্বারা পর্দা প্রথা যা শি'আরে ইসলাম
এবং একটি ফরয বিধান তারও মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। এছাড়াও আরো বিভিন্নভাবে শরয়ী আহকাম লংঙিত
হয়। এসব কারণেই মেয়েদের জন্য পর পুরূষের সাথে কাজ করতে হয় এমন কোন চাকুরী করা নাজায়িয।
তবে রুজী-রোজগারের ব্যাপারে কোন মহিলার যদি কোন ব্যবস্থাই না থাকে যেমন, উপার্জনক্ষম কোন
পিতা, ভাই বা স্বামী না থাকে, তাহলে পর্দার সাথে অন্য কোন হালাল পেশা অবলম্বন করতে
পারে। ( সূরা নিসা:৩৪, মিশকাত শরীফ:২৬৯, ফেকহী মাকালাত:১/২৪৮)
আরো বিস্তারিত জানতে আমার পূর্বের পোস্টটি পড়তে পারেন (https://kmarifin.blogspot.com/2019/05/blog-post_30.html)
�� #অন্যদের_সাথে_কোমলতা_প্রদর্শন_ঠিক নয়
#গায়রে মাহরামের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলা নিষেধ নয় । কিন্তু এক্ষেত্রেও কোমলতা বর্জন করা কোরআনের নির্দেশ। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা পর পুরুষের সাথে কোমল স্বরে কথা বলো না । ফলে সে ব্যক্তি কুবাসনা করবে যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে।’ (সূরা আহযাব:৩২)
#সুতরাং প্রয়োজনীয় কথা-বার্তার ক্ষেত্রে কোমলতা বর্জন না করাও পর্দার খেলাফ। আর প্রয়োজন ছাড়া গায়রে মাহরামের সাথে কথা না বলাই কাম্য। বিশেষ কোন ফেতনার আশংকা থাকলে কথা বলা জায়েয হবে না। (শরহে মুসলিম- নববী কৃত ২/১২১আদ্দুররুল মুখতার ১/৪০৬; আল মুফাসসাল৩/২৭৬)
�� #শরঈ_পর্দার_শর্তাবলি
#শর্তগুলো উপরে বিক্ষিপ্তভাবে এসেছে সহজকরণের লক্ষে তা সংক্ষিপ্তভাবে আবারো প্রদত্ত হল। অনেক মা-বোনই পর্দা করে কিন্তু অনেকে জানেনই না পূর্ণ পর্দা কাকে বলে? এর জন্য কি কি শর্ত রয়েছে? তাই পূর্ণ পর্দার শর্তাবলি উল্লেখ করা হল।
১.কোন প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া। এক্ষেত্রে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পূর্ণ শরীর আবৃত করা, মুখ ও চোখের উপর নেকাব রাখা, হাত মোজা ও পা মোজা পরিধান করা।
২.বোরকার কাপড় ভালো ও শালীন হওয়া, আকর্ষণীয় কারুকাজ ও নকশা না থাকা। অর্থাৎ বোরকা আকর্ষণীয় না হওয়া। আজকাল বিভিন্ন প্রিন্টের বোরকা পাওয়া যায় যথা সম্ভব এ থেকে এড়িয়ে থাকা। তদ্রƒপ কালো কাপড়ের উপর আকর্ষণীয় কাজও যেন না হয়।
৩.বোরকার কাপড় মোটা হওয়া। এমন পাতলা না হওয়া যে, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখা যায়।
৪.অধিক ঢিলাঢালা বোরকা হওয়া। এমন আঁটসাঁট না হওয়া যে, বোরকা শরীরের সাথে লেগে থাকে কিংবা পরিধানের পর শরীরের কোন অঙ্গ প্রকাশ পায়।
৫.বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার না করা। এটাও শরঈ পর্দার অংশ।
৬.এমন অলংকার পরে বাইরে না যাওয়া, যা পরিধান করে চললে আওয়াজ হয়। যেমন-নুপুর, কাঁচের চুড়ি ইত্যাদি।
৭.চিকন ও লম্বা হিল বিশিষ্ট জুতাপরিধান না করা। যেন চললে স্বাভাবিকতা বজায় থাকে।
৮.উঁচু করে খোপা বা চুল না বাঁধা।
৯.গায়রে মাহরামের সাথে অপ্রয়োজণীয় কথা বলা ও সালাম দেওয়া-নেওয়া থেকে বিরত থাকা। প্রয়োজনে বলতে হলে কোমলতা পরিহার করা।
১০.সফরসম দূরত্বে কিংবা ফেতনার আশংকা থাকলে মাহরাম পুরুষের সঙ্গে যাওয়া।
��#দুলাভাই_দেবর_ভাসুরদের_সঙ্গে_পর্দা_করা_আবশ্যক
#কেউ কেউ মনে করে দুলাভাই,দেবর, মামাতো,চাচাতো ভাই এ ধরনের গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সাথে পর্দা না করলেও চলে।
অথচ ইসলামে তাঁদের সবার সঙ্গেই পর্দার বিধান রয়েছে সর্বাবস্থায় তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হারাম।
বিশেষ করে দুলাভাইদের সাথে ঠাট্টা মশকরা করা।
দেবরদের সাথে নিয়মিত কথাবার্তা বলা
এসব চরম ফেত্নার কারন হতে পারে।
#হযরত ওকবা বিন আমের রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-তোমরা মহিলাদের নিকট [একাকি] প্রবেশ করা থেকে বিরত থাক।
আনসারদের মধ্যে এক ব্যক্তি বলল-‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরের ব্যাপারে কি নির্দেশ?
তিনি বললেন-"দেবর তো মৃত্যুতুল্য'' ।
(সহীহ বুখারী, হাদিস নং-৪৯৩৪, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৫৮০৩)
#এছাড়া কোন গাইরে মাহরাম পুরুষ এর সাথে একাকী হওয়াও জায়েজ না।
হযরত ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-যখনই কোন পুরুষ পর নারীর সাথে নির্জনে দেখা করে তখনই শয়তান সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত হয়।
(সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২১৬৫)
�� #উকিল_বাবার_সাথে_পর্দা_করা_আবশ্যক
#বিয়ের সময় যাকে উকিল বানানো হয় তাকে সমাজে পাত্র-পাত্রীর উকিল বাবা বলা হয়। তার সাথে পরবর্তীতে অবাধে দেখা-সাক্ষাত করা হয়। এমনকি মাহরামের অন্তর্ভুক্তও মনে করা হয়। এটা সম্পূর্ণ ভুল। গায়রে মাহরামকে উকিল বানানো হলেও তার সাথে দেখা-সাক্ষাত পূর্বের মতোই হারাম।
�� #ধর্মের_বোন_ডাকা_ও_পর্দা_না_করা
#অনেকে বিভিন্ন অজুহাতে গায়রে মাহরাম মহিলাকে অনেকে বোন ডাকে। সমাজে একে ‘ধর্মের বোন’ বলে অভিহিত করা হয়। ধর্মের বোনের সাথে আপন বোনের মতোই আচরণ করা হয় পর্দা করা হয় না। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মীরাসও দেওয়া হয়। গায়রে মাহরাম মহিলার সাথে এ ধরনের সম্পর্ক বৈধ নয়। ধর্মের বোন বলতে যা বোঝানো হয় শরীয়তে তা স্বীকৃত নয়। তাদের পরস্পর দেখা-সাক্ষাত নাজায়েয।
�� #মাহরাম_পুরুষের_সামনে_সতরের_ব্যাপারে_উদাসীনতা
#আমাদের দেশে মহিলাদের অনেকে শাড়ী পরে থাকে। এতে অনেক সময় পেট ও পিঠ খোলা থাকে ঘরে মাহরাম পুরুষের সামনে একে গুনাহ মনে করা হয় না। অথচ এর দ্বারা সতর খোলার গুনাহ হয়। মহিলাদের পেট-পিঠ সতরের অন্তুর্ভুক্ত। মাহরাম পুরুষের সামনেও তা ঢেকে রাখা ফরয।
মাহরাম পুরুষের জন্য মহিলার মাথা, চেহারা, হাত, গলদেশ ও হাঁটুর নিচের অংশ সতর নয়। তবে তাদের সামনেও যতটুকু সম্ভব আবৃত থাকাই উত্তম।
#বিশিষ্ট তাবেয়ী হাসান বসরী বলেছেন, ‘নিজ ভাইয়ের সামনেও নারীর ওড়না ছাড়া থাকা উচিত নয়।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৯/৩৭৩)
প্রখ্যাত তাবেয়ী আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ. বলেছেন, ‘মাহরাম পুরুষের সামনে মেয়েদের মাথা ঢেকে রাখাই আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। অবশ্য মাহরাম তা দেখে ফেললে গুনাহ হবে না।’
[প্রাগুক্ত, কিতাবুল আসল ৩/৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৯১]
�� #জাহেলী_যুগের_মতো_ওড়না_ব্যবহার
#জাহেলী যুগে ওড়না ব্যবহারের নিয়ম ছিল, নারীরা মাথায় ওড়না দিয়ে তার দুই প্রান্ত পৃষ্ঠদেশে ফেলে রাখত। ফলে গলা ও বক্ষদেশ অনাবৃত থাকত। ইসলামের প্রথমযুগে আল্লাহ তা‘আলা জাহেলী যুগের এই কু-প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। কোরআন মজীদে এসেছে-‘তারা যেন বক্ষদেশে ওড়না ফেলে রাখে’ (সূরা নূর;৩১)
#আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হয়, তখন (তৎক্ষণাৎ আমলের জন্য মহিলা সাহাবিগণ নিজেদের-পেটিকোট) নিয়ে তার পাশ থেকে কেটে তা ওড়না রূপে পরে নেয়।’ (সহীহ বুখারী ৮/৩৪৭)
#বর্তমান জাহেলীযুগ পূর্বের জাহেলী যুগও ছেড়ে গেছে। অতি আধুনিক মেয়েরা তো ওড়না ব্যবহারই করে না। কেউ কেউ ব্যবহার করলেও জাহেলী যুগের মতো গলাও বক্ষদেশ খোলা রাখে। সুতরাং ঘরে-বাইরে সর্বত্র মহিলাদের ওড়না পরিধানের নিয়ম এটিই। এমনকি ফাতাওয়া শামীতে ঘরের মাহরামদের সামনে মহিলাদের মাথায় কাপড় রাখাকে মুস্থাহাব বলা হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে শামী: ১/৪০৪)
�� #পালক_সন্তানের_সাথে_পর্দা_করা
#পালক সন্তান আপন সন্তানের মতো নয়। বাবার জন্য বালেগ হলে পালিত কন্যা এবং মায়ের জন্য বালেগ হলে পালিত পুত্র সাথে পর্দা করা ফরজ হয়ে যাবে।
হ্যাঁ, সন্তানের দুই বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে যদি নিজের বুকের দুধ খাওয়ায় সেক্ষেত্রে সন্তানও হয়ে যায়। আর দুধ সন্তানের সাথে দেখা দেওয়া জায়েয । দুধ পান না করিয়ে থাকলে বালেগ হবার পর পালক সন্তানের সাথে দেখা দেয়া জায়েয হবে না। পালক সন্তান নিজের সন্তানের মতো নয় তা সূরা আহযাবের ৪ও৫ নং আয়াতে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে।
�� #মেয়েদের_পর্দার_বয়স
#অনেকে মনে করে হায়েজ না দেখা দেয়া পর্যন্ত পর্দার বয়স হয় না। এই ধারণা ঠিক নয়। মেয়েরা বড় হয়ে ওঠলেই পর্দার বয়স শুরু হয়ে যায় ।
ফাতাওয়ায়ে শামীসহ অন্যান্য ফাতাওয়া গ্রন্থে নয় বছর অতিক্রম করলেই পর্দার বয়স হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই এই বয়স থেকেই পর্দা করা জরুরী।
বিশেষ করে যদি তাদের দেখতে বড় লাগে তো পর্দা করানোই লাগবে।
বিশেষ করে ৮/৯ বছরের পর হতে মেয়েরা ফিজিক্যাল হ্যারাসমেন্ট এর শিকার হয় বেশি।
তাই তাদের সেফটির জন্যে হলেও তাদের আগে থেকেই বোরকা পড়ানো। পর্দা করানো উচিত।
আর হায়েজ হবার পর থেকে পর্দা করা পুরোপুরি ফরজ।
(ফাতাওয়ায়ে শামী:১/৪০৮;৩.৩৭ আহসানুল ফাতাওয়া :৮/৩৮)
�� #ছেলেদের_পর্দার_বয়স
#ছেলেদের যখন নারীদের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন হতে আরম্ভ করে তখন থেকেই তার সঙ্গে পর্দা করতে হবে। সূরা নূরের ৩১নং আয়াতে এসেছে তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে কিন্তু তাদের স্বামীর নিকট অথবা যৌন কামনামুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের আবৃত অঙ্গ-প্রতঙ্গ সম্পর্কে সচেতন নয়।” (সূরা আন নূর ৩১)
#এই চেতনা সাধারণত কত বছর বয়সে হয় এ নিয়ে ফকীহগণের বিভিন্ন মত আছে। ইমাম আহমদ র. সহ অনেকেই দশ বছর বলেছেন। তবে ফাতাওয়া শামীতে বয়োপ্রাপ্তির ন্যূনতম সীমা ১২ বছর বলা হয়েছে। সুতরাং ছেলের ১২ বছর বয়স হলেই তার সাথে নারীদের পর্দা করতে হবে। তবে দশ বছর বয়স থেকেই শুরু করা ভাল।
প্রসঙ্গত বর্তমানে এ বিষয়ে অনেক বেশী সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত
(ফাতাওয়ায়ে শামী : ৩/৩৫; আলমুফাসসাল: ৩/১৮০-১৮১)
�� #মেয়েদের_সাথে_মেয়েদের_পর্দা
#অন্য নারীর সামনে একজন নারীর সতর নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত । এ অংশ কোন বিশেষ ওযর ছাড়া কোন নারীর সামনেও খোলা জায়েয নয়। আর পেট, পিঠ, বুক এগুলোও প্রয়োজন ছাড়া অন্য নারীর সামনে অনাবৃত করা অনুচিত। আর ফিতনার আশংকা হলে তা আবৃত রাখা জরুরী।
( আল মুফাসসাল: ৩/২৬৫; ফাতাওয়া শামী: ৬/৩৭১)
�� #বিধর্মী_নারীর_সাথে_মুসলিম_নারীর_পর্দা
#বিধর্মী নারীর সামনে মুখ, হাত ও পা ছাড়া পুরো শরীর এমনকি চুলও ঢেকে রাখা জরুরী। তাদের সামনে শরীরের সৌন্দর্য প্রকাশ করা গুনাহ। (ফাতাওয়ায়ে শামী: ৬/৩৭১; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৪/১৯৬)
�� #বেগানা_পুরুষদের_প্রতি_দৃষ্টিপাত_করা
#এ প্রসঙ্গে সূরা নূরের ৩১ নং আয়াত স্মরনীয়।
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, অর্থ-‘হে নবী! আপনি মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন দৃষ্টিকে অবনত রাখে।’অর্থাৎ পর পুরুষের দিকে না তাকায়।
#হযরত উম্মে সালমা রা. বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে ছিলাম, হযরত মায়মুনা রা. ও ছিলেন। ইতিমধ্যে অন্ধ সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম এলেন। এটা ছিল হেজাবের হুকুম নাযিল হওয়ার পরের ঘটনা। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন.
'তোমরা দু’জন তার থেকে পর্দা কর। আমরা বললাম, সে তো অন্ধ। আমাদেরকে দেখছে না এবং আমাদেরকে চিনেও না। তখন তিনি বললেন, ‘তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখতে পাচ্ছ না?
(সুনানে আবূ দাঊদ হাদীস ৪১১২)
#উক্ত আয়াতও হাদীসের আলোকে ফকীহগণ বলেন, কুনজরে পুরুষের দিকে তাকানো মহিলাদের জন্য নাজায়েয। তদ্রপ আকর্ষণ সৃষ্টি হয় এমন গভীরভাবে দৃষ্টিপাত করাও নিষেধ।
আর কোন ধরনের ফিতনার আশংকা না হলে সাধারণ দৃষ্টিতে পর পুরুষের দিকে তাকানো নাজায়েয নয়। তবে এক্ষেত্রে না তাকানোই ভালো।
সুতরাং ভিডিও লেকচার দেখা হতে নারীর বিরত থাকা উচিত। কারন এভাবে গাইরে মাহরাম পুরুষদের দেখা ফেত্নামুক্ত না।
দ্বীন শিখার জন্য দ্বীনি কিতাব পড়া উচিত।
(ফাতাওয়া শামী: ৬/৩৭১; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/২২৭; আল মুফাসসাল: ৩/২২৭; জামেউ আহকামিন নিসা: ৪/২৮৩
ফেসবুক পোস্ট লিংকঃ https://www.facebook.com/kmarifin98/posts/484910465596137?__tn__=K-R
No comments:
Post a Comment