খুবই প্রচলিত একটি ভুল আমল হচ্ছে অজুর সময়ে ঘাড়/গর্দান মাসেহ করা ও সুন্নাতি তরিকায় মাথা মাসেহ না করা।
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
“যে আমাদের এ ধর্মে এমন কোন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করবে যা ধর্মে অন্তর্ভুক্ত ছিল না তা প্রত্যাখ্যাত হবে”। (বুখারী ও মুসলিম)
এ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট হল যে,নতুন আবিস্কৃত বিষয়টি যদি ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে ধরে নেয়া হয় তাহলে তা বিদ‘আত ও প্রত্যাখ্যাত।
হাদীসে আরো এসেছে:
“যে ব্যক্তি এমন কাজ করল যার প্রতি আমাদের (ইসলামের) নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত”।(মুসলিম)
অযুতে মাথা অর্ধেক বা আংশিক বা চারভাগের বা তিনভাগের একভাগ মাসেহ করাঃঃ
আমাদের সমাজে মাথা আংশিক মাসেহ করার প্রচলন রয়েছে যা মারাত্মক ভুল। অজুতেই যদি ভুল হয়ে যায় তবে সলাত সহ অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত বাতিল হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
‘হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা সলাতের জন্য প্রস্ত্তত হও, তখন তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তদ্বয় কনুই সমেত ধৌত কর এবং তোমাদের মাথা মাসাহ কর ও পদযুগল টাখনু সমেত ধৌত কর.....’ (মায়েদাহ ৬)।
এই আয়াতে আল্লাহ মাথা মাসেহ বলতে মাথার অংশ মাসেহ করতে বলেন নি। তাছাড়া কোনো সহিহ হাদিসেও মাথা আংশিক মাসেহ করার কোনো কথা আসে নি।
হাতে পানি নিয়ে হাত ভিজিয়ে [তিরমিযী, মিশকাত হা/৪১৫ ‘ওযূর সুন্নাত সমূহ’ অনুচ্ছেদ-৪।]
দু’হাতের ভিজা আংগুলগুলি মাথার সম্মুখ হ’তে পিছনে ও পিছন হ’তে সম্মুখে বুলিয়ে একবার পুরা মাথা মাসাহ করবে। [মুওয়াত্তা, মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৯৩-৯৪]
√= সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসেহ করতে হবে।
কপালের উপরে চুলের গোড়া থেকে মাথার পিছনে শেষ চুলের গোড়া পর্যন্ত হলো মাথা!
কপালের চুলের গোড়া থেকে দুই হাত দিয়ে মাসেহ করে মাথার পিছনে শেষ চুলের গোড়া পর্যন্ত টেনে আবার মাসেহ করা অবস্থায়' রিটার্ন ফেরত আসতে হবে সামনে।
➡ অযুতে ঘাড় মাসেহ করা:
ঘাড় মাসাহ করার কোন বিশুদ্ধ প্রমাণ নেই। ইমাম নবভী (রহঃ) একে ‘বিদ‘আত’ বলেছেন।
(আহমাদ হা/১৫৯৯৩, আবুদাঊদ হা/১৩২, আলবানী, উভয়ের সনদ যঈফ; নায়লুল আওত্বার ১/২৪৫-৪৭।)
‘যে ব্যক্তি ওযূতে ঘাড় মাসাহ করবে, ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় বেড়ী পরানো হবেনা’ বলে যে হাদীছ বলা হয়ে থাকে, সেটি মওযূ বা জাল।
(আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৭৪৪)
আমাদের উপমহাদেশে অযুতে ঘাড় মাসেহ করা শিখানোহয় যা স্পষ্ট বিদাত। রাসুল (সাঃ), সাহাবিগণ, তাবেয়ীগণ, তাবে তাবেয়ীন গণ এমন কি বিখ্যাত ইমামদের কারো নিকট থেকেই ঘাড় মাসেহ করার কোনো প্রমান নাই।
√= অজু করার সময় ঘাড় মাসেহ করা যাবে না।
কেননা বিদাতযুক্ত কোনো আমল গ্রহণ যোগ্য হয় না। (ইবনু মাজাহ)
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
“যে আমাদের এ ধর্মে এমন কোন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করবে যা ধর্মে অন্তর্ভুক্ত ছিল না তা প্রত্যাখ্যাত হবে”। (বুখারী ও মুসলিম)
এ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট হল যে,নতুন আবিস্কৃত বিষয়টি যদি ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে ধরে নেয়া হয় তাহলে তা বিদ‘আত ও প্রত্যাখ্যাত।
হাদীসে আরো এসেছে:
“যে ব্যক্তি এমন কাজ করল যার প্রতি আমাদের (ইসলামের) নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত”।(মুসলিম)
অযুতে মাথা অর্ধেক বা আংশিক বা চারভাগের বা তিনভাগের একভাগ মাসেহ করাঃঃ
আমাদের সমাজে মাথা আংশিক মাসেহ করার প্রচলন রয়েছে যা মারাত্মক ভুল। অজুতেই যদি ভুল হয়ে যায় তবে সলাত সহ অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত বাতিল হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
‘হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা সলাতের জন্য প্রস্ত্তত হও, তখন তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তদ্বয় কনুই সমেত ধৌত কর এবং তোমাদের মাথা মাসাহ কর ও পদযুগল টাখনু সমেত ধৌত কর.....’ (মায়েদাহ ৬)।
এই আয়াতে আল্লাহ মাথা মাসেহ বলতে মাথার অংশ মাসেহ করতে বলেন নি। তাছাড়া কোনো সহিহ হাদিসেও মাথা আংশিক মাসেহ করার কোনো কথা আসে নি।
হাতে পানি নিয়ে হাত ভিজিয়ে [তিরমিযী, মিশকাত হা/৪১৫ ‘ওযূর সুন্নাত সমূহ’ অনুচ্ছেদ-৪।]
দু’হাতের ভিজা আংগুলগুলি মাথার সম্মুখ হ’তে পিছনে ও পিছন হ’তে সম্মুখে বুলিয়ে একবার পুরা মাথা মাসাহ করবে। [মুওয়াত্তা, মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৯৩-৯৪]
√= সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসেহ করতে হবে।
কপালের উপরে চুলের গোড়া থেকে মাথার পিছনে শেষ চুলের গোড়া পর্যন্ত হলো মাথা!
কপালের চুলের গোড়া থেকে দুই হাত দিয়ে মাসেহ করে মাথার পিছনে শেষ চুলের গোড়া পর্যন্ত টেনে আবার মাসেহ করা অবস্থায়' রিটার্ন ফেরত আসতে হবে সামনে।
➡ অযুতে ঘাড় মাসেহ করা:
ঘাড় মাসাহ করার কোন বিশুদ্ধ প্রমাণ নেই। ইমাম নবভী (রহঃ) একে ‘বিদ‘আত’ বলেছেন।
(আহমাদ হা/১৫৯৯৩, আবুদাঊদ হা/১৩২, আলবানী, উভয়ের সনদ যঈফ; নায়লুল আওত্বার ১/২৪৫-৪৭।)
‘যে ব্যক্তি ওযূতে ঘাড় মাসাহ করবে, ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় বেড়ী পরানো হবেনা’ বলে যে হাদীছ বলা হয়ে থাকে, সেটি মওযূ বা জাল।
(আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৭৪৪)
আমাদের উপমহাদেশে অযুতে ঘাড় মাসেহ করা শিখানোহয় যা স্পষ্ট বিদাত। রাসুল (সাঃ), সাহাবিগণ, তাবেয়ীগণ, তাবে তাবেয়ীন গণ এমন কি বিখ্যাত ইমামদের কারো নিকট থেকেই ঘাড় মাসেহ করার কোনো প্রমান নাই।
√= অজু করার সময় ঘাড় মাসেহ করা যাবে না।
কেননা বিদাতযুক্ত কোনো আমল গ্রহণ যোগ্য হয় না। (ইবনু মাজাহ)
No comments:
Post a Comment