মানুষের নামকে সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বিধানঃ
নাম বিকৃত করা আমাদের সমাজের স্বাভাবিক চিত্র। নাম বিকৃতি করে ডাকা একটি অসুস্থ মানসিকতা। আমাদের সমাজের কিছু মানুষের একটি অত্যন্ত আপত্তিকর অভ্যাস হলো নাম বিকৃত করা। মানুষের নাম বিকৃত করে ডাকা অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ।
নাম একটি মানুষের আপন পরিচয় বহন করে এবং অন্য মানুষের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করে। তাই প্রত্যেক মানুষের জম্মের সাথে-সাথে সামাজিক এবং ধর্মীয় রীতি মেনে একটি সুন্দর-শ্রুতিমধুর নাম রাখা হয়। তবে অর্থবহ নাম রাখা সবচেয়ে উত্তম।
আমি, আপনি, আমরা সেই ব্যক্তিকে তার সুনিদিষ্ট নামে না ডেকে, বিকৃত করে ডাকি। যা কখনো সৌজন্যবোধ হতে পারে না! এতে ব্যক্তি যেমন বিব্রত হয়, তেমনি ঐ ব্যক্তির নিম্ন মানসিকতা প্রকাশ ঘটে। দুভাগ্য হলেও সত্যি আমাদের সমাজে কিছু মানুষের মাঝে এই প্রবনতা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিকৃত নামে ডাকলে অনেক সময় ব্যক্তি অপমানবোধ করে উপ্তত হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সূত্রপাত হয়। অনেক ক্ষেত্রে নাম বিকৃত ব্যক্তির মানসিক বিপদজয় ঘটে এবং নিজেকে খুব ছোট ভাবতে শুরু করে। যা সভ্য সমাজে আমাদের কারো কাম্য নয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে নাম বিকৃত করে ডাকলে নামের অর্থ-ভাব-মর্যাদা নষ্ট হয় এবং যাহা নিঃসন্দেহে একটি গুনাহের কাজ। মানুষের মূল নাম বাদ দিয়ে ভিন্ন নামে ডাকা এটা আরো বেশি ঘৃণিত কাজ।
দুইভাবে আমরা এ-কাজ করে থাকি।
প্রথমত, নামকে বিকৃত করা। যেমনঃ হাসান-কে হাসান্যা, বা হাসু বলা, খালেদ কে খালিদ্দা, হাবিব কে হাবিব্বা, তাছাড়াও ল্যাংড়া, কানা, বোবা, রিকাশা ওয়ালা, বদিল্লা, বুইড়গা ইত্যাদি।
তাই মহান আল্লাহ তায়ালা বলছেন:-
হে মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গুনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই জালেম। (সুরা: হুজুরাত : ১১)
নাম বিকৃত করা আমাদের সমাজের স্বাভাবিক চিত্র। নাম বিকৃতি করে ডাকা একটি অসুস্থ মানসিকতা। আমাদের সমাজের কিছু মানুষের একটি অত্যন্ত আপত্তিকর অভ্যাস হলো নাম বিকৃত করা। মানুষের নাম বিকৃত করে ডাকা অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ।
নাম একটি মানুষের আপন পরিচয় বহন করে এবং অন্য মানুষের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করে। তাই প্রত্যেক মানুষের জম্মের সাথে-সাথে সামাজিক এবং ধর্মীয় রীতি মেনে একটি সুন্দর-শ্রুতিমধুর নাম রাখা হয়। তবে অর্থবহ নাম রাখা সবচেয়ে উত্তম।
আমি, আপনি, আমরা সেই ব্যক্তিকে তার সুনিদিষ্ট নামে না ডেকে, বিকৃত করে ডাকি। যা কখনো সৌজন্যবোধ হতে পারে না! এতে ব্যক্তি যেমন বিব্রত হয়, তেমনি ঐ ব্যক্তির নিম্ন মানসিকতা প্রকাশ ঘটে। দুভাগ্য হলেও সত্যি আমাদের সমাজে কিছু মানুষের মাঝে এই প্রবনতা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিকৃত নামে ডাকলে অনেক সময় ব্যক্তি অপমানবোধ করে উপ্তত হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সূত্রপাত হয়। অনেক ক্ষেত্রে নাম বিকৃত ব্যক্তির মানসিক বিপদজয় ঘটে এবং নিজেকে খুব ছোট ভাবতে শুরু করে। যা সভ্য সমাজে আমাদের কারো কাম্য নয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে নাম বিকৃত করে ডাকলে নামের অর্থ-ভাব-মর্যাদা নষ্ট হয় এবং যাহা নিঃসন্দেহে একটি গুনাহের কাজ। মানুষের মূল নাম বাদ দিয়ে ভিন্ন নামে ডাকা এটা আরো বেশি ঘৃণিত কাজ।
দুইভাবে আমরা এ-কাজ করে থাকি।
প্রথমত, নামকে বিকৃত করা। যেমনঃ হাসান-কে হাসান্যা, বা হাসু বলা, খালেদ কে খালিদ্দা, হাবিব কে হাবিব্বা, তাছাড়াও ল্যাংড়া, কানা, বোবা, রিকাশা ওয়ালা, বদিল্লা, বুইড়গা ইত্যাদি।
দ্বিতীয়ত, আল্লাহর দাসত্ব বোধক নামগুলিকে আল্লাহর নামে ডাকা। আব্দুর রাহমান, আব্দুর রাযযাক্ব, ইত্যাদি অগণিত নাম আমরা ‘আব্দুল’ ফেলে শুধুই রাহমান, রাযযাক্ব ইত্যাদি নামে ডেকে থাকি। এ বিকৃতি বেশি মারাত্মক, কঠিন গোনাহ।
এছাড়াও আমাদের সমাজে কিছু মানুষ নিজ সন্তানের ডাক নাম রাখেন রাব্বি!! নাউযুবিল্লাহ। আবার সকলে তাকে এই নামেই ডেকে থাকে!! রাব্বি মানে কি আমরা জানি? রাব্বি মানে রব ব পালনকর্তা যা আমরা আল্লাহকে সম্বোধন করে ডেকে থাকি।
আব্দুল্লাহ বা আল্লাহর দাসকে ‘আল্লাহ’ ডাকার বা ‘রাহমানের দাসকে’ ‘রাহমান’ বলে ডাকার চেয়ে ঘোরতর অন্যায় আর কি হতে পারে??
আমাদের অবশ্যই এই জঘন্য অভ্যাস অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে, এবং আল্লাহর দরবারে তাওবা করতে হবে খুব বেশি দেরী হওয়ার পূর্বেই।
তাই মহান আল্লাহ তায়ালা বলছেন:-
হে মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গুনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই জালেম। (সুরা: হুজুরাত : ১১)
এতো স্পষ্ট আয়াত থাকার পরেও যদি আমরা এ কাজ থেকে বিরত না থাকি, তাহলে সে বেহুশ ভাইদের হুশ ফেরানোর জন্য একটি আয়াতই যথেষ্ট। আল্লাহ সূরা আল বুরূজ:১২ নং আয়াতে এরশাদ করেন- "নিশ্চয় তোমার পালনকর্তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন।"
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
উল্লেখ্য যে, নাম বিকৃতিকরণটা শুধু অপমানজনক হয়, বিষয়টা এমন নয়। কখনো আদর করেও নামের বিকৃতি হয়। যেমন ছোট বোনের নাম রোজিনা। ঘরের সবাই ডাকে ‘রোজি’ বলে! এমন ডাকাটা অপরাধ নয়। নামের ভাব অর্থ ও ব্যক্তির প্রতি সম্মান বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত করা বা নামের অংশ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু কাউকে অপমানমূলক বা হেয় করার জন্য কিংবা সাধারণ দুষ্টুমি করে বিকৃত নামে ডাকা হয়! এবং সেই ডাকার কারণে নামের অর্থ-ভাব-মর্যাদা নষ্ট হয় তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে কাজটি গুনাহের তালিকাভুক্ত।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
উল্লেখ্য যে, নাম বিকৃতিকরণটা শুধু অপমানজনক হয়, বিষয়টা এমন নয়। কখনো আদর করেও নামের বিকৃতি হয়। যেমন ছোট বোনের নাম রোজিনা। ঘরের সবাই ডাকে ‘রোজি’ বলে! এমন ডাকাটা অপরাধ নয়। নামের ভাব অর্থ ও ব্যক্তির প্রতি সম্মান বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত করা বা নামের অংশ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু কাউকে অপমানমূলক বা হেয় করার জন্য কিংবা সাধারণ দুষ্টুমি করে বিকৃত নামে ডাকা হয়! এবং সেই ডাকার কারণে নামের অর্থ-ভাব-মর্যাদা নষ্ট হয় তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে কাজটি গুনাহের তালিকাভুক্ত।
▬▬▬✪✪✪ ▬▬▬
প্রশ্ন: মানুষের নামকে বিকৃত করে বা সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বিধান কি? যেমন, হেলাল উদ্দিনকে হেলু, সানাউল ইসলামকে শুধু সানু বা ইসলাম নামে ডাকা।
প্রশ্ন: মানুষের নামকে বিকৃত করে বা সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বিধান কি? যেমন, হেলাল উদ্দিনকে হেলু, সানাউল ইসলামকে শুধু সানু বা ইসলাম নামে ডাকা।
উত্তর:
ইসলামের দৃষ্টিতে কারো নামের কিছু শব্দ বা অক্ষর কমিয়ে সংক্ষেপে ডাকা জায়েজ আছে যদি অর্থের বিকৃতি না ঘটায়, যার নাম ডাকা হল সে যদি এতে অসন্তুষ্ট না হয় এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য না হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে কারো নামের কিছু শব্দ বা অক্ষর কমিয়ে সংক্ষেপে ডাকা জায়েজ আছে যদি অর্থের বিকৃতি না ঘটায়, যার নাম ডাকা হল সে যদি এতে অসন্তুষ্ট না হয় এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য না হয়।
✅ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কে কখনো কখনো বলতেন, يا عائش হে আয়েশ (আয়েশাহ নয়)।
যেমন নিম্নোক্ত হাদীসটি:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ‘আয়িশ! এই যে জিবরীল ‘আ.) তোমাকে সালাম বলছেন। তিনি বললেনঃ তাঁর উপরও আল্লাহর শান্তি ও রহমত নাযিল হোক। এরপর তিনি বললেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখেন, যা আমি দেখি না। [৩২১৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৫)
ইমাম নওবী রহ. বলেন, “এ হাদীস থেকে কারো নাম সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বৈধতা প্রমাণিত হয় যদি এতে সে কষ্ট না পায়।”
ইমাম নওবী রহ. বলেন, “এ হাদীস থেকে কারো নাম সংক্ষিপ্ত করে ডাকার বৈধতা প্রমাণিত হয় যদি এতে সে কষ্ট না পায়।”
✅ এছাড়াও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু হুরায়রা কে 'আবু হির' বলে সম্বোধন করেছেন। যেমন
ইমাম বুখারী রা, অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এভাবে: “কারো সঙ্গীকে তার নামের কিছু অক্ষর কমিয়ে ডাকা।”
وَقَالَ أَبُو حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا هِرٍّ
আবূ হাযিম (রহ.) বলেন, আবূ হুরাইরাহ বলেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ‘হে আবু হির’ বলে ডাক দেন। [সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৭৮/ আচার-ব্যবহার (كتاب الأدب)]
✅ ইমাম বুখারীর আল আদাবুল মুফরাদ কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান বিন আফফান রা.কে শুধু ‘উসম’ বলে সম্বোধান করেছেন।
ইমাম বুখারী রা, অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এভাবে: “কারো সঙ্গীকে তার নামের কিছু অক্ষর কমিয়ে ডাকা।”
وَقَالَ أَبُو حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا هِرٍّ
আবূ হাযিম (রহ.) বলেন, আবূ হুরাইরাহ বলেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ‘হে আবু হির’ বলে ডাক দেন। [সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৭৮/ আচার-ব্যবহার (كتاب الأدب)]
✅ ইমাম বুখারীর আল আদাবুল মুফরাদ কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান বিন আফফান রা.কে শুধু ‘উসম’ বলে সম্বোধান করেছেন।
সুতরাং সানাউল ইসলামকে সানাউল, হেলাল উদ্দিনকে হেলু, ওসমানকে ওসম..... এভাবে সংক্ষেপে ডাকায় কোন দোষ নেই ইনশাআল্লাহ। এটাকে নাম বিকৃতি বলা যাবে না।
এভাবে বড় নামকে সংক্ষিপ্ত করে ডাকার প্রচলন আরবি সহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিদ্যমান রয়েছে।
আরবী পরিভাষায় এ পদ্ধতিকে 'তারখীম' বলা হয়।
আল্লাহু আলম।
▬▬▬✪✪✪ ▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
জুবাইল, সৌদি আরব
এভাবে বড় নামকে সংক্ষিপ্ত করে ডাকার প্রচলন আরবি সহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিদ্যমান রয়েছে।
আরবী পরিভাষায় এ পদ্ধতিকে 'তারখীম' বলা হয়।
আল্লাহু আলম।
▬▬▬✪✪✪ ▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
জুবাইল, সৌদি আরব
No comments:
Post a Comment