‘‘আইয়ামে বীজ’’ এর সিয়াম
উদাহরণসরূপঃচদ্র মাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজ মাগরিব থেকে ১৩-রবিউস সানি ১৪৩৯ হিজরী। যারা ‘আইয়ামে বীজ’ এর সিয়াম রাখতে চান, তারা আজ রবিবার রাতে সাহরী খেয়ে আগামী সোম, মংগল ও বুধবার - এই তিনদিন সিয়াম রাখবেন ইং শা আল্লহ। সোমবারের সিয়ামের ক্ষেত্রে আইয়ামের বীজের সিয়াম + সোমবারের নফল সিয়াম, দুটো নিয়ত একই সাথে করবেন। এর দ্বারা একটি সিয়ামের দ্বারা দুটোর সওয়াব পাওয়া যাবে ইং শা আল্লহ।
প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আইয়ামে বীজের সিয়াম চন্দ্র মাসের 13,14,15 তারিখ না রাখতে পারলে কি মাসের যে কোনো দিন রাখা যাবে? আর একটানা তিনদিন লাগাতার রাখতে হবে নাকি বিচ্ছিন্ন ভাবে রাখলেও হবে?
আইয়ামে বীজের সিয়াম চন্দ্র মাসের 13,14,15 তারিখ না রাখতে পারলে কি মাসের যে কোনো দিন রাখা যাবে? আর একটানা তিনদিন লাগাতার রাখতে হবে নাকি বিচ্ছিন্ন ভাবে রাখলেও হবে?
উত্তর: ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লহ।
চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীজ বলা হয়। আইয়াম শব্দের অর্থ সময় বা কাল আর বিয শব্দের অর্থ উজ্জল। এ তিন রাতে চাঁদ বেশি উজ্জল থাকে তাই সেগুলোকে বীয বলা হয়েছে।
এ তিন দিন সিয়াম থাকা উত্তম। আবু যর রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا صُمْتَ شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ ، فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ ، وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ ، وَخَمْسَ عَشْرَةَ
“প্রত্যেক মাসে কিছু (নফল) সিয়াম পালন করলে (চন্দ্র মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করো।”
চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীজ বলা হয়। আইয়াম শব্দের অর্থ সময় বা কাল আর বিয শব্দের অর্থ উজ্জল। এ তিন রাতে চাঁদ বেশি উজ্জল থাকে তাই সেগুলোকে বীয বলা হয়েছে।
এ তিন দিন সিয়াম থাকা উত্তম। আবু যর রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا صُمْتَ شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ ، فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ ، وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ ، وَخَمْسَ عَشْرَةَ
“প্রত্যেক মাসে কিছু (নফল) সিয়াম পালন করলে (চন্দ্র মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করো।”
(তিরমিযীঃ ৭৬১, নাসায়ীঃ ২৪২৪, সুনানে আবু দাউদঃ২৪৪৯, শায়খ আলবানীর মতে হাসান সহীহ, তাহকীক রিয়াদুস সালেহীন।)
☑ প্রত্যেক মাসে তিনটি করে সিয়াম রাখার ফযীলত:
প্রতি মাসে তিনটি করে নফল সিয়াম রাখা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ কাজ। চাই তা মাসের শুরুতে হোক, মাঝখানে হোক বা শেষে হোক। চাই লাগাতার রাখা হোক বা বিছিন্নভাবে রাখা হোক।
আবু দরদা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ
أوصاني خليلي بثلاث لا أدعهن حتى أموت صوم ثلاثة أيام من كل شهر وصلاة الضحى ونوم على وتر .
رواه البخاري ( 1124 ) ومسلم ( 721 )
“আমার প্রিয় বন্ধু (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন, যা আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই ত্যাগ করব না। সেগুলো হচ্ছে: প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন করা, চাশতের সলাত পড়া এবং বিতির না পড়ে ঘুমাতে না যাওয়া।” (মুসলিমঃ ৭২২)
প্রতি মাসে তিনটি করে নফল সিয়াম রাখা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ কাজ। চাই তা মাসের শুরুতে হোক, মাঝখানে হোক বা শেষে হোক। চাই লাগাতার রাখা হোক বা বিছিন্নভাবে রাখা হোক।
আবু দরদা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ
أوصاني خليلي بثلاث لا أدعهن حتى أموت صوم ثلاثة أيام من كل شهر وصلاة الضحى ونوم على وتر .
رواه البخاري ( 1124 ) ومسلم ( 721 )
“আমার প্রিয় বন্ধু (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন, যা আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই ত্যাগ করব না। সেগুলো হচ্ছে: প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন করা, চাশতের সলাত পড়া এবং বিতির না পড়ে ঘুমাতে না যাওয়া।” (মুসলিমঃ ৭২২)
প্রত্যেক মাসে ৩টি করে সিয়াম রাখলে সারা বছর নফল সিয়াম রাখার সমান পাওয়া যাবে ইংশাআল্লহ। কারণ, আল্লাহ তাআলা যেকোনো ভালো কাজের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ বা তার চেয়ে বেশী দান করেন। সে হিসেবে ৩×১০=৩০ অর্থাৎ মাসে তিনটি সিয়ামের বিনিময়ে অন্তত: পুরো মাস নফল সিয়ামের সওয়াব পাওয়া যাবে ইংশাআল্লহ।
এভাবে প্রতি মাসে ৩টি সিয়াম রাখলে সারা বছরই নফল সিয়াম রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে ইং শা’ আল্লহ।
আ’ব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
صيام ثلاثة أيام من كل شهر صيام الدهر
“প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম রাখা, সারা বছর ধরে সিয়াম রাখার সমান।” (বুখারীঃ ১১৫৯, ১৯৭৫)
আইয়ামে বীজ সিয়ামের নিয়ত করলে তাহলে তা চন্দ্র মাসের ১৩ ১৪ ১৫ তারিখে রাখতে হবে। হাদিস মোতাবেক এটাই নিয়ম। তাছাড়া মুহাদ্দিসগনও এই ব্যাপারে একমত। তবে কোন বিশেষ কারনে কেউ যদি সে সময় না রাখতে পারে বরং অন্য সময় তিনটি সিয়াম রাখে তবে একই সওয়াব পাওয়া যাবে ইংশাআল্লহ।
উল্লেখ্য মুসলিম শরীফের হাদিস মোতাবেক ৩টি কাজের অসিয়ত হিসেবে প্রতি মাসে ৩ টি সিয়াম রাখা ও বুখারী শরীফের হাদিস মোতাবেক প্রতি মাসে ৩টি সিয়াম রাখলে সারা বছর সিয়াম রাখার সমান ফযিলত হিসেবে যে দুইটি পৃথক হাদিস বর্ণিত আছে তা ইচ্ছা করলে মাসের যেকোন ৩দিন রাখলেই হবে অথবা কেউ যদি আইয়ামে বীজের অর্থাৎ ১৩ ১৪ ১৫ তারিখ সিয়াম রাখার সময় উক্ত ২ হাদিসের ফজিলতের নিয়তে আইয়ামের বীজের সিয়াম রাখার সময়ে এই ২ হাদিসের নিয়তও সংযুক্ত রাখে তাহলে একই সাথে ১৩ ১৪ ১৫ তারিখ সিয়াম রাখার মাধ্যমে সে ৩টি পৃথক হাদিসের ফজিলত একই সাথে অর্জন করবে ইংশাআল্লহ।
আল্লহু আলাম।উল্লেখ্য মুসলিম শরীফের হাদিস মোতাবেক ৩টি কাজের অসিয়ত হিসেবে প্রতি মাসে ৩ টি সিয়াম রাখা ও বুখারী শরীফের হাদিস মোতাবেক প্রতি মাসে ৩টি সিয়াম রাখলে সারা বছর সিয়াম রাখার সমান ফযিলত হিসেবে যে দুইটি পৃথক হাদিস বর্ণিত আছে তা ইচ্ছা করলে মাসের যেকোন ৩দিন রাখলেই হবে অথবা কেউ যদি আইয়ামে বীজের অর্থাৎ ১৩ ১৪ ১৫ তারিখ সিয়াম রাখার সময় উক্ত ২ হাদিসের ফজিলতের নিয়তে আইয়ামের বীজের সিয়াম রাখার সময়ে এই ২ হাদিসের নিয়তও সংযুক্ত রাখে তাহলে একই সাথে ১৩ ১৪ ১৫ তারিখ সিয়াম রাখার মাধ্যমে সে ৩টি পৃথক হাদিসের ফজিলত একই সাথে অর্জন করবে ইংশাআল্লহ।
ᐅ এই সম্পর্কে একজন শাইখের উত্তর দেখে নিতে পারেনঃ
No comments:
Post a Comment