❌হেযবুত তাওহীদের ভ্রান্ত মতবাদ ❌
বর্তমানের ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়
হিযবুত তাওহীদঃ ঈমান বিধ্বংসী এক ফিরকা
হিযবুত তওহীদ। ১৯৯৫ সালে হোমিও ডাক্তারখ্যাত বায়াজীদ খান পন্নী নামক জনৈক ব্যক্তির দ্বারা টাঙ্গাইল করটিয়ায় এটার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এটি নামধারী একটি ইসলামিক দল হলেও মূলত এটি ইসলাম ধ্বংশ করার গোপন ষড়যন্ত্র।
সম্রাট আকবর যেমন সব ধর্ম মিলিয়ে “দ্বীনে এলাহী” নামক একটি ধর্মের গোড়াপত্তন করেছিল, ঠিক তেমনি বায়েজিদ খান পন্নীও সম্রাট আকবর প্রতিষ্ঠিত “দ্বীনে এলাহী” নামক ধর্মের মতই “হেযবুত তওহীদ” নামক এ নতুন ধর্মটি আবিস্কার করেন।
খুব অল্প সময়ে উদ্ভট সব থিউরী দিয়ে বেশ কিছু ভক্ত যুগিয়ে ফেলেন পন্নী সাহেব।ইসলামের মৌলিক বিধানাবলীর নতুন সব অপব্যাখ্যা করে পুরো দ্বীনটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে রাখার দুষ্কর্ম তিনি আমরণ করে যান।
অবশ্য নবী দাবীদার মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীর মতবাদের সাথে বায়াজীদ খান পন্নীর অনেক মতবাদ হুবহু মিলে যায়।
৬০/৭০ হিজরীর পর থেকে ১৩০০ হিজরির পর পুরো ইসলাম ধর্মটি বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং সমস্ত মুসলমান কাফের এবং মুশরিক হয়ে গিয়ে। সুৎরাং প্রচলিত ইসলামটি আসল ইসলাম নয় বরং আল্লাহর প্রেরিত ইসলামের বিপরিত এটা।
অথচ বিধর্মীদের মত দাড়ীতে তারা ষ্টাইল করা রুচিসম্মত কাজ মনে করে থাকেন।
এজন্য তারা ঘোষণা দিয়ে তাদের বইয়ের মধ্যে লিখেছে-
“যারা হেযবুত তওহীদ করবে তাদের জন্য নিশ্চিত জান্নাত। এনকি যদি কেউ হেযবুত তওহীদে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে দুই শহিদের মর্যাদা পাবে।আর যারা পন্নী সাহেবের মোজেজা বিশ্বাস করবে না তারা মোনাফেক। তাদের কোনো মুক্তি নাই।তারা জাহান্নামী।”[লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।]
“যারা হেযবুত তওহীদ করবে তাদের জন্য নিশ্চিত জান্নাত। এনকি যদি কেউ হেযবুত তওহীদে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে দুই শহিদের মর্যাদা পাবে।আর যারা পন্নী সাহেবের মোজেজা বিশ্বাস করবে না তারা মোনাফেক। তাদের কোনো মুক্তি নাই।তারা জাহান্নামী।”[লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।]
অবশেষে ১৬ ই জানুয়ারী ২০১২ ইং সনে তার মৃত্যু হয়।কিন্তু এতদিনে তার ভ্রান্ত দলের কর্মী হাজার ছাড়িয়ে যায়।
বায়জীদ খান পন্নীর এ নতুন ফেরকা হেযবুত তাওহীদ ভ্রান্ত হবার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ।তার ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারের জন্য বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে।যেগুলোতে কুরআন হাদীস ও ইসলামের মৌলিক আক্বীদা বিরুদ্ধ কথার ছড়াছড়ি।
আমরা ধারাবাহিকভাবে সেসব ভ্রান্ত মতবাদের ইলমি খন্ডন আপনাদের সামনে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ………………
বর্তমানের ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়!
হিযবুত তাওহীদের বক্তব্যঃ
বর্তমান অমরা যে ধর্মটিকে এসলাম হিসেবে দেখছি,যেটাকে ধর্মপ্রাণ মানুষ অতি যত্ন সহকারে পালন করার চেষ্টা কোরছেন, যে এসলামটাকে সর্বত্র স্কুল,কলেজ মাদ্রাসায় ও পীরের খানকায় শেখানো হোচ্ছে সেটা প্রকৃত এসলাম নয়”।(সূত্রঃ এসলাম শুধু নাম থাকবে- পৃঃ ৯)
“যাত্রাদলের বন্দুকের সঙ্গে আসল বন্দুকের যতটা পার্থক্য, প্রকৃত এসলামের সঙ্গে বর্তমান এসলামের ততটাই পার্থক্য। এদু’টির চলার পথ সম্পূর্ণ বিপরীত”।(সূত্রঃ এসলাম শুধু নাম থাকবে- পৃঃ ৯)
হাদীসের বক্তব্যঃ আল্লাহ পাকের মনোনিত দ্বীন ইসলামের হেফাযত তিনি নিজেই করবেন।
যেদিন ইসলাম এবং মুসলিম থাকবে না সেদিন কেয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে।
যেদিন ইসলাম এবং মুসলিম থাকবে না সেদিন কেয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে।
অর্থাৎ আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সঃ বলেন- যেদিন দুনিয়াতে কোনো আল্লাহ আল্লাহ বলনেওয়ালা মুমিন থাকবে না সেদিন কেয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে।(সহীহ মুসলিম হাদিস নং- ১৪৮;তিরমিযি হাদিস-২২০৭)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ বলেন রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন আমার সকল উম্মতকে আল্লাহ তায়ালা কখনও ভ্রান্ত (বিকৃত) বিষয়ের উপর ঐক্য করবেন না।
(তিরমিযি হাদিস-২১৬৭;আবু দাউদ হাদিস-৪২৫৩)
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের একটি দল সর্বদাই হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাঁদের সঙ্গ ত্যাগ করে কেউ তাদের কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। এমন কি এভাবে আল্লাহর আদেশ অর্থাৎ কিয়ামত এসে পড়বে আর তারা যেমনটি ছিল তেমনটই থাকবে। (সহীহ মুসলিম-ইঃফা,হাদীস নং-৪৭৯৭)
—–
সুতরাং হাদীসের ভাষ্য হচ্ছে উম্মতের একটি দল সবসময় হক্বের উপর থাকবে ।যদি ইসলাম বিকৃত হয়ে যায় তাহলে এ হাদীসকে ভুল বলতে হয়(নাউযুবিল্লাহ)
সুতরাং হাদীসের ভাষ্য হচ্ছে উম্মতের একটি দল সবসময় হক্বের উপর থাকবে ।যদি ইসলাম বিকৃত হয়ে যায় তাহলে এ হাদীসকে ভুল বলতে হয়(নাউযুবিল্লাহ)
হিযবুত তাওহীদের সমর্থকদের নিকট প্রশ্ন রইল- আপনি কার দিকে ফিরে যাবেন?
No comments:
Post a Comment